শেয়ারবাজার :::: পুঁজিবাজারের বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের 'বাংলাদেশ ব্যাংকস ভিউজ অন রিসেন্ট ক্যাপিটাল মার্কেট মেহ্যাম' শীর্ষক প্রতিবেদনে:
বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশ উপেক্ষা করে জেলা পর্যায়ে ব্রোকারেজ হাউসের শাখা সম্প্রসারণের মাধ্যমে আরো বেশি সাধারণ মানুষকে অস্থিতিশীল এ পুঁজিবাজারে সম্পৃক্ত করা হয়। এ জন্য পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো রোড শো এবং ইনভেস্টরস ফেয়ারের আয়োজন করে। ফলে বাজারে বিপুল পরিমাণে স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগকারী ঢুকে পড়ে। কিন্তু এর বিপরীতে নতুন কম্পানির শেয়ার বাজারে আনার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয় এসইসি। ফলে এসব স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগকারী পুরনো শেয়ার ক্রয় করতে শুরু করে এবং বাজার অতিমূল্যায়িত হতে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ : যৌথ সেমিনারের সুপারিশের আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং খাতকে সম্ভাব্য বিপর্যয় থেকে রক্ষার উদ্যোগ নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর কাছে তাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, মুনাফা ও ঋণের তথ্য জানতে চায়। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোর দেওয়া ঋণ যথাযথ খাতে না গিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হয়েছে কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়।
এর আগেই ২০০৯ সালের ৬ জুলাই ব্যাংকগুলোকে তাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত তথ্য জানানোর নির্দেশসংবলিত একটি সার্কুলার জারি করা হয়। এতে বিভিন্ন পর্যায়ে বিরোধিতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক কম্পানি আইনের ২৬-এর ২ ধারা অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে তাদের ধারণকৃত শেয়ারের পরিমাণ মোট আমানতের ১০ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার জন্য কয়েক দফা সময় বেঁধে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে তাদের মার্চেন্ট ব্যাংকিং উইংগুলোকে সাবসিডিয়ারি কম্পানিতে রূপান্তরের নির্দেশ দেয়। এ নির্দেশনা পাওয়ার পর জানুয়ারি ২০১০-এর মধ্যেই ৩১টি ব্যাংক তাদের মার্চেন্ট ব্যাংকিং উইংকে সাবসিডিয়ারি কম্পানিতে রূপান্তরের জন্য এসইসি বরাবর আবেদন করে। কিন্তু এসইসির অনুমোদন না পাওয়ায় তারা ব্যর্থ হয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ওপর ১২৫ শতাংশ রিস্ক ওয়েট আরোপ করে এবং শেয়ার কেনার জন্য দেওয়া ঋণের ওপর ২ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশ উপেক্ষা করে জেলা পর্যায়ে ব্রোকারেজ হাউসের শাখা সম্প্রসারণের মাধ্যমে আরো বেশি সাধারণ মানুষকে অস্থিতিশীল এ পুঁজিবাজারে সম্পৃক্ত করা হয়। এ জন্য পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো রোড শো এবং ইনভেস্টরস ফেয়ারের আয়োজন করে। ফলে বাজারে বিপুল পরিমাণে স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগকারী ঢুকে পড়ে। কিন্তু এর বিপরীতে নতুন কম্পানির শেয়ার বাজারে আনার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয় এসইসি। ফলে এসব স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগকারী পুরনো শেয়ার ক্রয় করতে শুরু করে এবং বাজার অতিমূল্যায়িত হতে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ : যৌথ সেমিনারের সুপারিশের আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং খাতকে সম্ভাব্য বিপর্যয় থেকে রক্ষার উদ্যোগ নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর কাছে তাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, মুনাফা ও ঋণের তথ্য জানতে চায়। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোর দেওয়া ঋণ যথাযথ খাতে না গিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হয়েছে কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়।
এর আগেই ২০০৯ সালের ৬ জুলাই ব্যাংকগুলোকে তাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত তথ্য জানানোর নির্দেশসংবলিত একটি সার্কুলার জারি করা হয়। এতে বিভিন্ন পর্যায়ে বিরোধিতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক কম্পানি আইনের ২৬-এর ২ ধারা অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে তাদের ধারণকৃত শেয়ারের পরিমাণ মোট আমানতের ১০ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার জন্য কয়েক দফা সময় বেঁধে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে তাদের মার্চেন্ট ব্যাংকিং উইংগুলোকে সাবসিডিয়ারি কম্পানিতে রূপান্তরের নির্দেশ দেয়। এ নির্দেশনা পাওয়ার পর জানুয়ারি ২০১০-এর মধ্যেই ৩১টি ব্যাংক তাদের মার্চেন্ট ব্যাংকিং উইংকে সাবসিডিয়ারি কম্পানিতে রূপান্তরের জন্য এসইসি বরাবর আবেদন করে। কিন্তু এসইসির অনুমোদন না পাওয়ায় তারা ব্যর্থ হয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ওপর ১২৫ শতাংশ রিস্ক ওয়েট আরোপ করে এবং শেয়ার কেনার জন্য দেওয়া ঋণের ওপর ২ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করে।