শেয়ারবাজার :::: পুঁজিবাজারকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে বড় পুঁজি সংগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ ছাড়া এই বছরের মধ্যেই দীর্ঘমেয়াদি সরকারি বিনিয়োগ ফান্ড চালু করার কথাও জানান তিনি।
আজ দুপুরে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) লভ্যাংশ হস্তান্তর-সম্পর্কিত এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।
বিডিবিএল ২০১০ সালের অর্জিত মুনাফা থেকে পাঁচ কোটি টাকা লভ্যাংশ অর্থমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিডিবিএলের চেয়ারম্যান নাজেম আহমদ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জিল্লুর রহমানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজার এখন স্থিতিশীল। শেয়ারের দাম বাড়ছে-কমছে। তবে ছয় মাসের মধ্যে পুঁজিবাজারকে পুঁজি সংগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসহ রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর শেয়ার ছাড়ার জন্য ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Sharemarket scam: ACC to sue SEC’s Anwarul Kabir
The Anti-Corruption Commission (ACC) is preparing to sue Securities and Exchange Commission (SEC) executive director Anwarul Kabir Bhuiyan, his wife Rukhsana Akhter and three others for their involvement in recent sharemarket scam.
“Enquiry has revealed involvement of these people in manipulation of the sharemarket,” Farrukh Ahmad, ACC director general (admin and establishment), said in a monthly press conference of the commission Tuesday.
A three-member ACC team led by assistant director Akhter Hamid Bhuiyan carried out the enquiry after finance ministry probe found his involvement in the market manipulation. The report was forwarded to the ACC in May.
Anwarul Kabir was made officer on special duty (OSD) immediately after the sharemarket started collapsing in January this year.
শেয়ারবাজার :::: পুঁজিবাজারের বর্তমান শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে একটি সমন্বিত কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি বাজারের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে সমন্বিতভাবে সেসব সমস্যা নিরসনে কাজ করবে।
সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি (বিএমবিএ) ও মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমন্বিত কমিটি গঠনের ব্যাপারে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কোনো রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়নি। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই রূপরেখা তৈরি করা হবে।’ তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গবেষণা ও পরামর্শ সেবা উন্মুক্ত করে দেওয়া এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রাতিষ্ঠানিক পরামর্শ সেবা সুনির্দিষ্ট করা, ডিসক্রিশনারি বা ঐচ্ছিক হিসাবধারীদের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো যাতে আরও সুচিন্তিত পরামর্শ ও সহায়তা দেয়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে বিএমবিএ নেতা সোনালি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ওয়ালিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য এসইসি আমাদের ডেকেছিল। সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো বাজারে বিনিয়োগ করছি এবং তা চালিয়ে যাব। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের অজ্ঞতার কারণে বাজার অস্বাভাবিক আচরণ করছে। তাঁদের শিক্ষিত করতে পারলে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।’
এসইসির মুখপাত্র জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে বাজারে গুজব রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী যেসব ব্যাংক তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমা (সিঙ্গেল পার্টি এক্সপোজার লিমিট) অতিক্রম করেছে সেসব প্রতিষ্ঠানকে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঋণ সমন্বয় করতে হবে, যা মোটেই সত্য নয়। এটি নিতান্তই গুজব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ব্যাংকগুলো ঋণ সমন্বয়ের জন্য আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাবে।
বাজারচিত্র: সোমবার দরপতনের ধারা থেকে বের হয়ে এসেছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। দুই বাজারেই লেনদেন হওয়া শেয়ারের দাম ও সূচক বেড়েছে। তবে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল দিনশেষে সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১০৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২২৪ পয়েন্টে।
ডিএসইতে হাতবদল হওয়া ২৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ২২৭টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ২৪টির ও অপরিবর্তিত ছিল পাঁচটির দাম। দিনশেষে ঢাকার বাজারে ৪৯৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ৬৫ কোটি টাকা কম।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক গতকাল ৩২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৭৫০ পয়েন্টে। সিএসইতে হাতবদল হওয়া ১৮৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬২টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ১২টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
তবে দিন শেষে চট্টগ্রামের বাজারে ৬৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ১২ কোটি টাকা কম।
পুঁজিবাজারে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে এসইসিতে ১৫ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদল গতকাল দুপুরে এসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনের কাছে স্মারকলিপি দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ ফান্ডের আকার পাঁচ হাজার কোটি থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা, পুঁজিবাজারে কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পুনর্বিনিয়োগে বাধ্য করা, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত এসএলআর ও সিআরআরের হার কমানো, বাজারে ভালো মৌলভিত্তির শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে নিয়ে আসা, কোনো কোম্পানি আইপিওতে আসার ক্ষেত্রে মূল্য আয় অনুপাত (পিই) ১৫ নির্ধারণ, সব কোম্পানির শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকায় রূপান্তর, বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন, মার্জিন ঋণের হার ১:২ কার্যকর করা ইত্যাদি।
The Anti-Corruption Commission yesterday sued former prime minister Khaleda Zia and three others for abusing power to set up a charitable trust named after late president Ziaur Rahman.
It is the first graft case against the BNP chairperson since the Awami League-led grand alliance came to power.
The charges say the money for the trust was collected from different sources, using the influence of the then prime minister's office.
BNP termed the case “baseless and politically motivated” and said it is part the government's conspiracy to eliminate the opposition.
According to the first information report, Tk 7.81 crore was deposited in the trust account in a week starting from January 13, 2005.
Khaleda, as the first managing trustee, opened the account with the PMO branch of Sonali Bank on January 1 that year.
Of the trust fund, Tk 6.19 crore came from BNP and the rest from unknown sources.
The other accused in the case are Abul Harris Chowdhury, political secretary to the then prime minister; his assistant personal secretary Ziaul Islam Munna; and Monirul Islam Khan, APS to Dhaka City Corporation's incumbent mayor Sadeque Hossain Khoka.
The case, filed with Tejgaon Police Station by ACC Assistant Director Harunur Rashid, follows almost two years of enquiry that began in October 2009.
On January 16, 2005, Tk 1.35 crore was deposited in the trust account in five pay orders issued by an organisation called Metro Makers and Developers Ltd.
Then on January 18, Harris's APS Ziaul Islam deposited more than Tk 27 lakh.
Tk 6.19 crore that came from different BNP accounts bore signatures of Tarique Rahman, Khaleda's elder son, and former BNP secretary general Abdul Mannan Bhuiyan, among others.
“Though the trust was established for charity purposes, there's no evidence of charity activities done with the fund,” read the FIR. “Rather, Khaleda purchased land with money from the trust.”
A 42-katha land was bought from one Suraiya Khan for Tk 6.52 crore from the trust, named Shaheed Zia Charitable Trust. The land registered on January 19, 2005, has yet to be mutated in the trust's name.
The money was transferred to Suraiya's account by two cheques signed by Khaleda.
Suraiya was also paid Tk 1.25 crore in addition to the price of the land, said the FIR adding that the source of that sum too could not be known.
AFM Jahangir, managing director of Metro Makers and Developers Ltd, told the ACC investigators that the company never donated any money to the trust.
He said DCC mayor's APS Monirul Islam used the company's name to deposit the money. He also mentioned that Harris Chowdhury had given Monirul the money for depositing in the account.
Harris's APS Ziaul told the ACC enquiry officials that he deposited the money in the trust account on instructions from Harris.
Despite several attempts, ACC could not get any statement from Khaleda regarding the allegations.
“Khaleda Zia established the name-only trust using her cantonment address [her then residence]. She along with her two sons abused power to collect money in the trust's name only to serve their personal interests,” the FIR said.
Queried why her sons--Tarique and Arafat Rahman--also trustees, were not included in the case, ACC official Harunur Rashid said, “The matter will be investigated extensively. The two would also be accused if their names come up during probe.”
Besides this case, Khaleda stands accused in Zia Orphanage Trust, Gatco, Niko and Barapukuria graft cases--all filed during the last caretaker government rule.
BNP REACTION
BNP acting secretary general Mirza Fakhrul Islam Alamgir yesterday said filing cases against Khaleda is nothing but a government plot to wipe out the opposition.
“The case against the chairperson is absolutely baseless and politically motivated,” he added.
Talking to The Daily Star, Fakhrul also said the people will resist such cases, which are being filed to “pursue a personal vendetta against the leader of the opposition.”
BNP will come up with its formal reaction later, party insiders said.
Khandaker Mosharraf Hossain, a member of the BNP standing committee, said the government is hell-bent on suppressing the anti-government movement and this is why they have filed the cases.
The BNP leader said they will face the issue both legally and politically.