GET UP AND GO
1st part
এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি খতিয়ে দেখেই ব্যাংকের অভ্যন্তরে ভিজিলেন্স টিম গঠন করে প্রতিটি বিভাগে বিভাগে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করাসহ ব্যাপক হারে তদারকি বাড়ানো হয়েছে। দৈনিক দু’ থেকে তিনবার সব কর্মকর্তাদের উপস্থিতি খতিয়ে দেখা এবং সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত ব্যাংকের সব কর্মকর্তা নিজ আসনে আছেন কি-না তাও দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে হাজিরা খাতায় অভিযান চালানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় ২০ শতাংশ কর্মকর্তা তাদের নির্দিষ্ট কাজ রেখে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করায় এ ধরনের কঠোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক, তফসিলি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তা রয়েছেন যারা পুঁজিবাজার সম্পর্কে বিভিন্ন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনেক গোপন তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি তারা নিজেরাও গোপন খবরের ভিত্তিতেই অধিক হারে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন। এসব কর্মকর্তারা আবার নিজেদের শেয়ার বিক্রি করার লক্ষ্যে বাজারে মূল্যবৃদ্ধির বিভিন্ন গুজবও ছড়িয়ে থাকেন। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা স্বাভাবিকভাবেই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কথা বিশ্বাস করে নামসর্বস্ব বা অপেক্ষাকৃত কম মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগ করে তাদের স্বল্প পুুঁজি হারিয়ে পথে বসেন।
এতে পুঁজিবাজার সম্পর্কে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। এসব বিষয় বিবেচনা করে এবং কর্মঘণ্টা বাঁচানোর লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর হচ্ছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জগলুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বেসরকারি একাধিক ব্যাংক রয়েছে যেগুলোর একাধিক কর্মকর্তা কাজে ফাঁকি দিয়ে শেয়ার ব্যবসা করছেন। এটি সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংকের জন্য ক্ষতিকর।’
বিষয়টি রোধ বাংলাদেশ ব্যাংকসহ তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তা না হলে ব্যাংকিং খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’
একাধিক তফসিলি ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তা রয়েছেন যারা কাজ ফাঁকি দিয়ে গ্রুপ করে শেয়ার ব্যবসা করছেন। এ ক্ষেত্রে তারা ৫ থেকে ৬ জনের একটি গ্রুপ করে কাজ করছেন। এ গ্রুপের মধ্যে একজনকে শেয়ার ব্যবসা করার লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে পাঠানো হয়। কিন্তু যে কর্মকর্তা পুঁজিবাজারে যাচ্ছেন তার সব কাজ ওই গ্রুপের অন্য কর্মকর্তারা ভাগাভাগি করে করছেন। এছাড়া কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজার সম্পর্কে গোপন খবরকে পুঁজি করে শেয়ার ব্যবসা করছেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা নামে-বেনামে অবৈধভাবে শত শত বিও অ্যাকাউন্ট খুলে শেয়ার ব্যবসা করছেন। ফলে তাদের কর্মঘণ্টার অনেক সময়ই শেয়ার ব্যবসায় দিতে হচ্ছে। এতে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাজের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এসব বিষয় কম বেশি প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা জ্ঞাত রয়েছেন।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো দেশের আর্থিক খাতের অভিভাবক। এখানকার কর্মকর্তারা দ ও কর্মঠ হলে দেশের ব্যাংকিং খাত আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। কিন্তু ওই ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যদি তাদের দায়িত্বের অবহেলা করে তাহলে এর দায়ভার পড়বে পুরো আর্থিক খাতের ওপরে।’
এতে দেশের অর্থনীতিতে একটি বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কর্মঘণ্টা ফাঁকি দিয়ে শেয়ার ব্যবসা করা উচিত নয়। এ প্রবণতা পরিহার করা উচিত।’
source
1st part
এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি খতিয়ে দেখেই ব্যাংকের অভ্যন্তরে ভিজিলেন্স টিম গঠন করে প্রতিটি বিভাগে বিভাগে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করাসহ ব্যাপক হারে তদারকি বাড়ানো হয়েছে। দৈনিক দু’ থেকে তিনবার সব কর্মকর্তাদের উপস্থিতি খতিয়ে দেখা এবং সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত ব্যাংকের সব কর্মকর্তা নিজ আসনে আছেন কি-না তাও দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে হাজিরা খাতায় অভিযান চালানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় ২০ শতাংশ কর্মকর্তা তাদের নির্দিষ্ট কাজ রেখে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করায় এ ধরনের কঠোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক, তফসিলি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তা রয়েছেন যারা পুঁজিবাজার সম্পর্কে বিভিন্ন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনেক গোপন তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি তারা নিজেরাও গোপন খবরের ভিত্তিতেই অধিক হারে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন। এসব কর্মকর্তারা আবার নিজেদের শেয়ার বিক্রি করার লক্ষ্যে বাজারে মূল্যবৃদ্ধির বিভিন্ন গুজবও ছড়িয়ে থাকেন। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা স্বাভাবিকভাবেই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কথা বিশ্বাস করে নামসর্বস্ব বা অপেক্ষাকৃত কম মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগ করে তাদের স্বল্প পুুঁজি হারিয়ে পথে বসেন।
এতে পুঁজিবাজার সম্পর্কে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। এসব বিষয় বিবেচনা করে এবং কর্মঘণ্টা বাঁচানোর লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর হচ্ছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জগলুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বেসরকারি একাধিক ব্যাংক রয়েছে যেগুলোর একাধিক কর্মকর্তা কাজে ফাঁকি দিয়ে শেয়ার ব্যবসা করছেন। এটি সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংকের জন্য ক্ষতিকর।’
বিষয়টি রোধ বাংলাদেশ ব্যাংকসহ তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের আরও জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তা না হলে ব্যাংকিং খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’
একাধিক তফসিলি ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তা রয়েছেন যারা কাজ ফাঁকি দিয়ে গ্রুপ করে শেয়ার ব্যবসা করছেন। এ ক্ষেত্রে তারা ৫ থেকে ৬ জনের একটি গ্রুপ করে কাজ করছেন। এ গ্রুপের মধ্যে একজনকে শেয়ার ব্যবসা করার লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে পাঠানো হয়। কিন্তু যে কর্মকর্তা পুঁজিবাজারে যাচ্ছেন তার সব কাজ ওই গ্রুপের অন্য কর্মকর্তারা ভাগাভাগি করে করছেন। এছাড়া কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজার সম্পর্কে গোপন খবরকে পুঁজি করে শেয়ার ব্যবসা করছেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা নামে-বেনামে অবৈধভাবে শত শত বিও অ্যাকাউন্ট খুলে শেয়ার ব্যবসা করছেন। ফলে তাদের কর্মঘণ্টার অনেক সময়ই শেয়ার ব্যবসায় দিতে হচ্ছে। এতে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাজের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এসব বিষয় কম বেশি প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা জ্ঞাত রয়েছেন।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো দেশের আর্থিক খাতের অভিভাবক। এখানকার কর্মকর্তারা দ ও কর্মঠ হলে দেশের ব্যাংকিং খাত আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। কিন্তু ওই ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যদি তাদের দায়িত্বের অবহেলা করে তাহলে এর দায়ভার পড়বে পুরো আর্থিক খাতের ওপরে।’
এতে দেশের অর্থনীতিতে একটি বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কর্মঘণ্টা ফাঁকি দিয়ে শেয়ার ব্যবসা করা উচিত নয়। এ প্রবণতা পরিহার করা উচিত।’
source
কর্মঘণ্টা ফাঁকি দিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ নিয়ে ব্যস্ত ব্যাংক কর্মকর্তারা
GET UP AND GO
ব্যাংক কর্মকর্তারা যাতে কর্মঘণ্টা ফাঁকি দিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে না পারেন এ লক্ষ্যে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দফায় দফায় নজরদারী বাড়ানোর পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়াও তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে কর্মঘণ্টা নষ্ট করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে না পারে এবং ব্যাংকিং খাতের গতি আরও বাড়ে এ লক্ষ্যেই হার্ড লাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব বিষয় উল্লেখ করে খুব শিগগিরই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি পাঠানো হতে পারে বলেও জানা গেছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক মহাব্যবস্থাপক, উপ-মহাব্যবস্থাপক, যুগ্ম-পরিচালক, সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক থেকে এমএলএসএস পর্যন্ত অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী ওয়ার্কিং ডেতে কর্মঘণ্টা ফাঁকি দিয়ে শেয়ার ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।’
এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিঘœ ঘটে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় বিবেচনা করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরে মনিটিরং ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করাও হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা যাতে কর্মঘণ্টা ফাঁকি দিয়ে শেয়ার ব্যবসা না করেন এ লক্ষ্যে খুব শিগগিরই চিঠি পাঠানো হতে পারে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ২০ ভাগ কর্মকর্তা তাদের নির্দিষ্ট কাজ রেখে বিভিন্ন অযুহাতে পুঁজিবাজারে যাচ্ছেন শেয়ারে বিনিয়োগ করতে। যারা যাচ্ছেন না তারাও কম্পিউটার ওপেন করে শেয়ারের সার্বিক তথ্য নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের ট্রেডার বা অথোরাইজকে তাদের পছন্দের কোম্পানির শেয়ার ক্রয় বা বিক্রি করার নির্দেশ দিচ্ছেন। এছাড়া অনেক কর্মকর্তা কাজের অধিকাংশ সময়ই ব্যাংকের বাইরে থাকছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এসব বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর (ডিজিদের) মধ্যে বিভিন্নভাবে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি নির্বাহী পরিচালকদের (ইডি) মধ্যে বৈঠকও হয়েছে।
আরো পড়ুন
ব্যাংক কর্মকর্তারা যাতে কর্মঘণ্টা ফাঁকি দিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে না পারেন এ লক্ষ্যে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দফায় দফায় নজরদারী বাড়ানোর পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়াও তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে কর্মঘণ্টা নষ্ট করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে না পারে এবং ব্যাংকিং খাতের গতি আরও বাড়ে এ লক্ষ্যেই হার্ড লাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব বিষয় উল্লেখ করে খুব শিগগিরই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি পাঠানো হতে পারে বলেও জানা গেছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক মহাব্যবস্থাপক, উপ-মহাব্যবস্থাপক, যুগ্ম-পরিচালক, সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক থেকে এমএলএসএস পর্যন্ত অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী ওয়ার্কিং ডেতে কর্মঘণ্টা ফাঁকি দিয়ে শেয়ার ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।’
এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিঘœ ঘটে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় বিবেচনা করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরে মনিটিরং ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করাও হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা যাতে কর্মঘণ্টা ফাঁকি দিয়ে শেয়ার ব্যবসা না করেন এ লক্ষ্যে খুব শিগগিরই চিঠি পাঠানো হতে পারে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ২০ ভাগ কর্মকর্তা তাদের নির্দিষ্ট কাজ রেখে বিভিন্ন অযুহাতে পুঁজিবাজারে যাচ্ছেন শেয়ারে বিনিয়োগ করতে। যারা যাচ্ছেন না তারাও কম্পিউটার ওপেন করে শেয়ারের সার্বিক তথ্য নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের ট্রেডার বা অথোরাইজকে তাদের পছন্দের কোম্পানির শেয়ার ক্রয় বা বিক্রি করার নির্দেশ দিচ্ছেন। এছাড়া অনেক কর্মকর্তা কাজের অধিকাংশ সময়ই ব্যাংকের বাইরে থাকছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এসব বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর (ডিজিদের) মধ্যে বিভিন্নভাবে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি নির্বাহী পরিচালকদের (ইডি) মধ্যে বৈঠকও হয়েছে।
আরো পড়ুন
বাচা গেল একটি কঠিন আইন হতে
GET UP AND GO
রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে সুবিধাভোগী লেনদেন নিষিদ্ধকরণ আইন পরিপালনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত কোনো কোম্পানিকে পুঁজিবাজারের এ আইনটি পরিপালন করতে হবে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) গত মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির শেয়ার বিক্রির (অফলোড) সুবিধার্থে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে এসইসি জানিয়েছে। আইনটির একটি ধারা অনুযায়ী, কোনো কোম্পানির হিসাব বছর শেষ হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় আগে ও পরে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার, পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ার লেনদেন নিষিদ্ধ। এ শর্তের কারণে যাতে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার বাজারে ছাড়ার বিষয়টি ব্যাহত না হয়, সে উদ্দেশ্যে এদের ওই আইনের প্রয়োগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা যাতে গোপন তথ্য ব্যবহার করে শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা না নিতে পারেন, সে লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (প্রহিবিশন অব ইনসাইডার ট্রেডিং) রুলস প্রণয়ন করা হয়। চলতি বছরের মার্চে এতে কিছু সংশোধনী আনা হয়। সংশোধিত ধারায় বলা হয়, কোনো কোম্পানির হিসাব বছর শেষ হওয়ার দুই মাস আগে থেকে পরিচালনা পর্ষদের সভায় আর্থিক বিবরণী অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত এর উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার, পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন না। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত আটটি রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির শেয়ার বাজারে ছাড়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে যমুনা ওয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়ামসহ কয়েকটি কোম্পানির আর্থিক বছর গত ৩০ জুন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ এখনো ওই বছরের হিসাব অনুমোদন করেনি। সুবিধাভোগী আইন বহাল থাকা অবস্থায় সরকার চাইলেও হিসাব অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত এসব কোম্পানির শেয়ার বাজারে বিক্রি করা যেত না। অন্যদিকে যেসব কোম্পানির হিসাব বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে, সেসব কোম্পানির আর্থিক হিসাব নিরীক্ষণ শেষে পরিচালনা পর্ষদে তা অনুমোদন হতে আরও তিন-চার মাস সময় লেগে যাবে। আইনটি বলবৎ থাকলে এসব কোম্পানির জন্যও ঘোষিত সময়ের মধ্যে শেয়ার বিক্রি কঠিন হয়ে যেত।
source
রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে সুবিধাভোগী লেনদেন নিষিদ্ধকরণ আইন পরিপালনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত কোনো কোম্পানিকে পুঁজিবাজারের এ আইনটি পরিপালন করতে হবে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) গত মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির শেয়ার বিক্রির (অফলোড) সুবিধার্থে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে এসইসি জানিয়েছে। আইনটির একটি ধারা অনুযায়ী, কোনো কোম্পানির হিসাব বছর শেষ হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় আগে ও পরে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার, পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ার লেনদেন নিষিদ্ধ। এ শর্তের কারণে যাতে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার বাজারে ছাড়ার বিষয়টি ব্যাহত না হয়, সে উদ্দেশ্যে এদের ওই আইনের প্রয়োগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা যাতে গোপন তথ্য ব্যবহার করে শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা না নিতে পারেন, সে লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (প্রহিবিশন অব ইনসাইডার ট্রেডিং) রুলস প্রণয়ন করা হয়। চলতি বছরের মার্চে এতে কিছু সংশোধনী আনা হয়। সংশোধিত ধারায় বলা হয়, কোনো কোম্পানির হিসাব বছর শেষ হওয়ার দুই মাস আগে থেকে পরিচালনা পর্ষদের সভায় আর্থিক বিবরণী অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত এর উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার, পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন না। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত আটটি রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির শেয়ার বাজারে ছাড়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে যমুনা ওয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়ামসহ কয়েকটি কোম্পানির আর্থিক বছর গত ৩০ জুন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ এখনো ওই বছরের হিসাব অনুমোদন করেনি। সুবিধাভোগী আইন বহাল থাকা অবস্থায় সরকার চাইলেও হিসাব অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত এসব কোম্পানির শেয়ার বাজারে বিক্রি করা যেত না। অন্যদিকে যেসব কোম্পানির হিসাব বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে, সেসব কোম্পানির আর্থিক হিসাব নিরীক্ষণ শেষে পরিচালনা পর্ষদে তা অনুমোদন হতে আরও তিন-চার মাস সময় লেগে যাবে। আইনটি বলবৎ থাকলে এসব কোম্পানির জন্যও ঘোষিত সময়ের মধ্যে শেয়ার বিক্রি কঠিন হয়ে যেত।
source
Subscribe to:
Posts (Atom)
Blog Archive
- ► 2011 (2088)