মার্জিন লোনের নীতিমালা, বুকবিল্ডিং পদ্ধতি, মবিল যমুনা ও এমআই সিমেন্টের তালিকাভুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। তাই এই চার ইস্যু নিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এখন নানা চাপের মুখে।
ঢাকা ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও পাবলিক লিস্টেড কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএপিএলসি) উল্লিখিত বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে। তাই এসইসি বিষয়টি নিয়ে দোটানায় রয়েছে এসইসি।
জানা যায়, মার্জিন লোন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাজারকে প্রভাবিত করে। মার্জিন লোন নিয়ে ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণে একাধিকবার তোপের মুখে পড়েছে এসইসি। ফলে মার্জিন লোনের বিষয়টি এড়াতে এসইসি বিএমবিএ ও দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নীতিমালা তৈরীর নির্দেশ দেয়।
বিএমবিএ একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করলেও স্টক এক্সচেঞ্জ মার্জিন লোনের নীতিমালা তৈরির ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বরাবরই মার্জিন লোনের সিদ্ধান্ত বাজারের জন্য সংবেদনশীল তথ্য হিসেবে কাজ করে। তাই মার্জিন লোনের সিদ্ধান্তের ভার কোনো প্রতিষ্ঠানই নিচ্ছে না।
বিএমবিএ ১:২ বহাল রেখে খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। এসইসিও এ প্রস্তাবনাকে চুড়ান্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু স্টক এক্সচেঞ্জের অনিহার কারণে বিএমবিএ চুড়ান্ত প্রস্তাবনা এসইসিতে জমা দিচ্ছে না। ফলে প্রায় দুই মাস পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না।
মার্জিন লোনের ব্যাপারে স্টক এক্সচেঞ্জ ও বিএমবিএর অনাগ্রহের কথা জানতে চাইলে তা এড়িয়ে গিয়ে বিএমবিএর সভাপতি শেখ মর্তুজা আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বিএমবিএ একটি প্রস্তাবনা জমা দিয়েছিল। পরে এসইসির নির্দেশে সেখানে নতুন কিছু সংযোযন বিয়োজন করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা একটি কমিটি করেছি।
জনতা ইনভেস্টমেন্টর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর মিয়াকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
বুকবিল্ডিং পদ্ধতির সংশোধন করে এসইসি একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। এ প্রস্তাবনাটি দুই স্টক এক্সচেঞ্জ, বিএপিএলসি ও বিএমবিএ এ চার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এসইসি গত ২১ মার্চ একটি বৈঠক করে। বৈঠকে বিএপিএলসির সভাপতি সালমান এফ রহমানসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই দ্বিমত পোষণ করে। ফলে পুনরায় পর্যালোচনার প্রস্তাবনাটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া হয়েছে।
গত ২৬ মার্চ এ চার প্রতিষ্ঠান বুকবিল্ডিং পদ্ধতির সংশোধন নিয়ে বৈঠকে বসে। বৈঠকে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত বুকবিল্ডিং পদ্ধতি সংশোধন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সিএসইর প্রেসিডেন্ট ফখরুদ্দীন আলী আহমেদ বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বুকবিল্ডিং পদ্ধতি নিয়ে কোনো ত্রুটি চিহ্নিত করা হতে পারে কিংবা কোনো পরামর্শ বা সুপারিশ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সকল ত্রুটি, পরামর্শ ও সুপারিশ নিয়ে সংশোধনে আসতে হবে। এজন্য আপাতত এ পদ্ধতির সংস্কার স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মতামত না পাওয়ায় এসইসিও বুকবিল্ডিং পদ্ধতির সংশোধন নিয়ে চুড়ান্ত প্রস্তাবনা অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠাতে পারছে না।
মবিল যমুনা ও এমআই সিমেন্টের তালিকাভুক্তি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে এসইসি। কোম্পানিদুটিকে তালিকাভুক্তির জন্য এসইসি নির্দেশনা দিলেও দুই স্টক এক্সচেঞ্জ বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
এসইসি থেকে তালিকাভুক্তির জন্য যে শর্ত দেওয়া হয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জ সে শর্তগুলোকে তালিকাভুক্তির আইন পরিপন্থী মনে করছে। এজন্য এসইসি দুই সপ্তাহ সময় বাড়িয়েছে। তবে এ সময়েও স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত করবে না বলে জানা গেছে। ফলে এসইসি থেকে তালিকাভুক্তির বিষয়টি হাইকোর্টে পাঠানো হতে পারে।
এ ব্যাপারে ডিএসইর পরিচালক মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, যেহেতু কোম্পানিটি বাইব্যাক থেকে সরে এসে ক্ষতিপূরনের শর্ত দিচ্ছে। সেহেতু ডিএসই এ শর্তে কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করবে না। কোম্পানিটির স্পন্সররা যদি বাইব্যাকের শর্তে রাজি হয় তাহলে তালিকাভুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঢাকা ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও পাবলিক লিস্টেড কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএপিএলসি) উল্লিখিত বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে। তাই এসইসি বিষয়টি নিয়ে দোটানায় রয়েছে এসইসি।
জানা যায়, মার্জিন লোন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাজারকে প্রভাবিত করে। মার্জিন লোন নিয়ে ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণে একাধিকবার তোপের মুখে পড়েছে এসইসি। ফলে মার্জিন লোনের বিষয়টি এড়াতে এসইসি বিএমবিএ ও দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নীতিমালা তৈরীর নির্দেশ দেয়।
বিএমবিএ একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করলেও স্টক এক্সচেঞ্জ মার্জিন লোনের নীতিমালা তৈরির ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বরাবরই মার্জিন লোনের সিদ্ধান্ত বাজারের জন্য সংবেদনশীল তথ্য হিসেবে কাজ করে। তাই মার্জিন লোনের সিদ্ধান্তের ভার কোনো প্রতিষ্ঠানই নিচ্ছে না।
বিএমবিএ ১:২ বহাল রেখে খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। এসইসিও এ প্রস্তাবনাকে চুড়ান্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু স্টক এক্সচেঞ্জের অনিহার কারণে বিএমবিএ চুড়ান্ত প্রস্তাবনা এসইসিতে জমা দিচ্ছে না। ফলে প্রায় দুই মাস পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না।
মার্জিন লোনের ব্যাপারে স্টক এক্সচেঞ্জ ও বিএমবিএর অনাগ্রহের কথা জানতে চাইলে তা এড়িয়ে গিয়ে বিএমবিএর সভাপতি শেখ মর্তুজা আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বিএমবিএ একটি প্রস্তাবনা জমা দিয়েছিল। পরে এসইসির নির্দেশে সেখানে নতুন কিছু সংযোযন বিয়োজন করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা একটি কমিটি করেছি।
জনতা ইনভেস্টমেন্টর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর মিয়াকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
বুকবিল্ডিং পদ্ধতির সংশোধন করে এসইসি একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। এ প্রস্তাবনাটি দুই স্টক এক্সচেঞ্জ, বিএপিএলসি ও বিএমবিএ এ চার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এসইসি গত ২১ মার্চ একটি বৈঠক করে। বৈঠকে বিএপিএলসির সভাপতি সালমান এফ রহমানসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই দ্বিমত পোষণ করে। ফলে পুনরায় পর্যালোচনার প্রস্তাবনাটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া হয়েছে।
গত ২৬ মার্চ এ চার প্রতিষ্ঠান বুকবিল্ডিং পদ্ধতির সংশোধন নিয়ে বৈঠকে বসে। বৈঠকে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত বুকবিল্ডিং পদ্ধতি সংশোধন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সিএসইর প্রেসিডেন্ট ফখরুদ্দীন আলী আহমেদ বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বুকবিল্ডিং পদ্ধতি নিয়ে কোনো ত্রুটি চিহ্নিত করা হতে পারে কিংবা কোনো পরামর্শ বা সুপারিশ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সকল ত্রুটি, পরামর্শ ও সুপারিশ নিয়ে সংশোধনে আসতে হবে। এজন্য আপাতত এ পদ্ধতির সংস্কার স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মতামত না পাওয়ায় এসইসিও বুকবিল্ডিং পদ্ধতির সংশোধন নিয়ে চুড়ান্ত প্রস্তাবনা অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠাতে পারছে না।
মবিল যমুনা ও এমআই সিমেন্টের তালিকাভুক্তি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে এসইসি। কোম্পানিদুটিকে তালিকাভুক্তির জন্য এসইসি নির্দেশনা দিলেও দুই স্টক এক্সচেঞ্জ বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
এসইসি থেকে তালিকাভুক্তির জন্য যে শর্ত দেওয়া হয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জ সে শর্তগুলোকে তালিকাভুক্তির আইন পরিপন্থী মনে করছে। এজন্য এসইসি দুই সপ্তাহ সময় বাড়িয়েছে। তবে এ সময়েও স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত করবে না বলে জানা গেছে। ফলে এসইসি থেকে তালিকাভুক্তির বিষয়টি হাইকোর্টে পাঠানো হতে পারে।
এ ব্যাপারে ডিএসইর পরিচালক মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, যেহেতু কোম্পানিটি বাইব্যাক থেকে সরে এসে ক্ষতিপূরনের শর্ত দিচ্ছে। সেহেতু ডিএসই এ শর্তে কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করবে না। কোম্পানিটির স্পন্সররা যদি বাইব্যাকের শর্তে রাজি হয় তাহলে তালিকাভুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।