ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট সালমান এফ রহমান।
(১৭৭৯) রভাবশলীদের অযাচিত চাপে
সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) কোনো কার্যকর আইন ও নীতিমালা নেই। যেসব নীতিমালা রয়েছে, তা প্রয়োগেও স্বচ্ছতা নেই। এসইসির আইন ও বিধিমালার ৫৯ শতাংশ মানা হচ্ছে না।
গ্লোবাল কমিপিটিটিভনেস রিপোর্ট ২০১১-১২ এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বৃহস্পতিবার সিপিডির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
শেয়ারবাজারের কার্যক্রম মনিটরিংয়ে এসইসির দুর্বলতা রয়েছে। সেই সঙ্গে তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায়ও কার্যকর কোনো আইন নেই। এতে আরো বলা হয়, দুর্বল অডিট রিপোর্ট, এসইসির অভ্যন্তরে প্রভাবশলীদের অযাচিত চাপেও এসইসি জর্জরিত।
(১৭৭৮) ১০৮ নম্বরে
গ্লোবাল কমিপিটিটিভনেস রিপোর্ট (জিসিআর) রিপোর্টে বিশ্বের ১৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৮ নম্বরে এসেছে। গত বছর বাংলাদেশ ছিল ১০৭ নম্বরে।
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ- সিপিডির কার্যালয়ে গ্লোবাল কমিপিটিটিভনেস রিপোর্ট ২০১১-১২ এবং বাংলাদেশ বিজনেস এনভায়রনমেন্ট স্টাডি ২০১১ প্রকাশ করা হয়।
ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের অধীনে এই মতামত জরিপ চালানো হয়।
এই জরিপের প্রতিবেদনের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সুইজারল্যান্ড, দ্বিতীয় স্থানে আছে সিঙ্গাপুর ও তৃতীয় স্থানে আছে সুইডেন। ভারত ৫৬ ও শ্রীলঙ্কা আছে ৫২ নম্বরে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান এ মতামত জরিপকে পারভাসিভ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু সূচকে বাংলাদেশ কিছুটা এগিয়েছে। আবার কিছু সূচকে পিছিয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে বিবেচনা করলে আমরা পিছিয়েছি। এতে আমাদের খুব বেশি অবনতি হয়েছে তা বলা যাবে না। অন্যদেশগুলো যখন দ্রুত এগিয়ে যায় তখন বাংলাদেশ এক জায়গায় স্থির থাকলে আমাদের অবস্থান পিছিয়ে দেবে এটাই স্বাভাবিক।’
(১৭৭৭) একটা শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের রাইট শেয়ার অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(এসইসি)।
বৃহস্পতিবার কমিশনের ৩৯৭তম নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান বলেন, কমিশন সভায় লাফার্জ সুরমার একটা শেয়ারের বিপরীতে একটি শেয়্রা রাইট হিসেবে দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ কোম্পানিটির ১০০টাকা অভিহিত মূল্যের ৫কোটি ৮০লাখ ৬৮হাজার ৬৭৫টি শেয়ার রয়েছে। কোনো প্রিমিয়াম ছাড়াই এ রাইট শেয়ার দেওয়া হবে।
(১৭৭৬) ধারায় ফিরে এসেছে
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার আবার দরপতনের ধারায় ফিরে এসেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)।
আগের দুই কার্যদিবসের মতো এদিনও দিনের শুরুতে সূচকের ওঠানামায় উভয় বাজারের লেনদেন চলে।
পরে দুপুর পৌনে ২টা থেকে ধীরে ধীরে ডিএসইর সূচক কমতে থাকে। যা দিনের লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
একই সঙ্গে লেনদেনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে।
লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিটে ডিএসইর সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৯ পয়েন্টের মতো বাড়ে। তবে ১১ টা ১০ থেকে ২৫ মিনিট পর্যন্ত সূচক কমে যায়।
এ সময় ২৮ পয়েন্টের মতো সূচক হারায় ডিএসই। পরে ১২ টা ৫ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত সূচক বাড়ে। এরপর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সূচক পুনরায় কমে।
এদিন লেনদেন শেষে ডিএসইর সূচক কমেছে ১৮ ও সিএসইর ৪৯ পয়েন্ট।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ২৫১টি প্রতিষ্ঠানের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৫৬টির দাম কমেছে, ৮০টির বেড়েছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে বাকি ১৫টি প্রতিষ্ঠানের দাম।
একই সঙ্গে ডিএসইর সাধারণ সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৭৭ পয়েন্টে। আগের দিন ডিএসইতে সূচক বেড়েছিল ২৯ পয়েন্ট।
এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ২৪১ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের দিন বুধবার লেনদেন হয়েছে ৩০৮ কোটি টাকা।
লেনদেনের ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ ২০ প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য কোম্পানিগুলো হলো- লাফার্জ সুরমা, ইউসিবিএল, তিতাস গ্যাস, বেক্সিমকো, এনবিএল, স্কয়ার ফার্মা, যমুনা অয়েল, গ্রামীণফোন, ওয়ান ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ফুওয়াং ফুড, সিএমসি কামাল ইত্যাদি।
অন্যদিকে, সিএসইতে ১৭৭টি কোম্পানির লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৩৭টির দাম বেড়েছে, ১২৭টির কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির দাম।
পাশাপাশি সিএসইর সাধারণ সূচক ৪৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ১১ হাজার ০৯ পয়েন্টে।
মোট লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
(১৭৭৫) ব্যাপক পরিকল্পনা
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে এর কোনও বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার হোটেল রূপসী বাংলার মার্বেল রুমে দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গোয়িং ডিজিটাল: রিয়েলাইজিং ড্রিমস অব এ ডিজিটাল বাংলাদেশ ফর অল’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য প্রযুক্তি খুব তাড়াতাড়ি বদলে যাচ্ছে। নতুন একটি পণ্য কিনলে পুরনোটা কিছুদিন পরই আর কাজে লাগে না। এটি তথ্য প্রযুক্তির বড় সমস্যা। তবে আবডেট করে নেওয়ারও সুযোগ আছে।
আগে তথ্য প্রযুক্তি পণ্যে আমদানি শুল্ক অনেক বেশি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু এখন আমদানি শুল্ক নেই। আমি ১৯৮৩ সালে বিদেশ থেকে একটি কম্পিউটার এনেছিলাম তাতে আমাকে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি শুল্ক দিতে হয়েছিল।’ শুল্কসহ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার কম্পিউটারের দাম পড়ে ছিল ৪ লাখ টাকা। কিন্তু, কম্পিউটারের দাম এখন অনেকগুণ কমে গেছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া তথ্য প্রযুক্তি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক তুলে দেন। ফলে পণ্যের দাম অনেক কমে আসে। বলা যায় তখন থেকেই বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির যাত্রা শুরু হয় । কিন্তু, এখন এ খাতের উন্নয়নে আমাদের ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে। নইলে আমরা পিছিয়ে পড়বো।’
তিনি আরও বলেন, তথ্য প্রযুক্তি পণ্য আমদানি এবং এ খাতে কি কি সমস্যা আছে তা কম্পিউটার সমিতির সাথে বসে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
(১৭৭৪) সায়হাম টেক্সটাইলের শেয়ার
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের সায়হাম টেক্সটাইলের শেয়ার লেনদেন ১১ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে স্পট মার্কেটে শুরু হবে। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ মার্কেটে কোম্পানিটির শেয়ার কেনাবেচা করা যাবে।
১৪ সেপ্টেম্বর রেকর্ড ডেটের কারণে সায়হাম টেক্সটাইলের লেনদেন স্থগিত থাকবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর এ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) রেকর্ড ডেট।
(১৭৭৩) প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ
শেয়ারবাজার :::: শেয়ারবাজারে অব্যাহত দরপতন, বিনিয়োগ কমে যাওয়াসহ সার্বিক সমস্যা এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) পরিদর্শন করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিদর্শনের সময় প্রতিদিন দলের সদস্যরা সিএসইর বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান ডেভিড কোয়েন উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, পুঁজিবাজার কিভাবে চলছে তা পর্যবেক্ষণ এবং বেসরকারি বিনিয়োগ কিভাবে বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে ধারনা পেতে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দু’সপ্তাহের সফরে এসেছি। সফর শেষে ওয়াশিংটনে গিয়ে আমাদের সদরদপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেব। সেই প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।’
পরিদর্শনের সময় ছয় সদস্য বিশিষ্ট আইএমএফ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ডেভিড কোয়েন এবং সিএসইর পক্ষে ছিলেন সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমেদ।
আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সিএসই সভাপতি বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ কিভাবে বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে তাদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং বিদ্যমান সমস্যা থেকে উত্তোরণের উপায় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
এ সময় আইএমএফ প্রতিনিধি দলের অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র অর্থনীতিবিদ জেরার্ড জে অ্যালমেকিন্ডার্স, স্যাং গুয়ান তোহ, জুলস্ লিচটার, আবাসিক প্রতিনিধি ইটেরি ভিনট্রেডজ ও অর্থনীতিবিদ আবুল কাশেম।
সিএসই’র সাবেক সভাপতি সালমান ইস্পাহানি, নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীসহ বোর্ড সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আইএমএফ কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের সময় নগরীর আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
‘ইনভেস্টরস ফোরাম অব চিটাগং’ নামে একটি সংগঠন এ কর্মসূচি পালন করে।
পুঁজিবাজারের অবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগকারীরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহ্বায়ক আছলাম মোরশেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সরোজ চৌধুরী, এম এ কাদের ও সদস্য সচিব রানা বিশ্বাস।
(১৭৭২) বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে
শেয়ারবাজার :::: দেশের পুঁজিবাজার আন্তর্জাতিক আদলে গড়ে তুলতে সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ও আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থা ইন্টরন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) বৈঠকে বসছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ প্রধান কার্যালয়ের সভা কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে আইএমএফের এশিয়া প্যাসিফিক ডিভিশনাল চিফ মি. ডেভিড কাওয়েনের নেতৃত্বে আইএমএফের ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এছাড়া সিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন এ বৈঠকে।
বুধবার সিএসইর প্রেসিডেন্ট ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের পুঁজিবাজার আন্তর্জাতিক আদলে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। বৈঠকে দেশের পুঁজিবাজার আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কি প্রয়োজন বা কি ধারনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সে বিষয়গুলো নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বের সাঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য দেশের শেয়ার মার্কেটকে আন্তর্জাতিক আদলে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সিএসই বেশকিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন সফ্টওয়্যার “নেক্সট জেনারেশন ট্রেডিং সিস্টেম”।
(১৭৭১) একটি পজিটিভ নিউজ
শেয়ারবাজার :::: পুঁজিবাজারে ইলেকট্রনিক শেয়ার সংরক্ষণ ও লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) বিভিন্ন চার্জ কমিয়ে আনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
বিভিন্ন চার্জ কমিয়ে আনার বিষয়টি চুড়ান্ত করার জন্য আগামী সপ্তাহে সিডিবিএল পরিচালনা বোর্ডের বৈঠক ডাকা হয়েছে। এ বৈঠকের মাধ্যমেই সিডিবিএর কি ধরনের চার্জ কমাবে তার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট সূত্র।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন সিডিবিএলকে শেয়ার সংরক্ষণ ও লেনদেনের জন্য বিভিন্ন ফি নামিয়ে আনার অনুরোধ জানায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেন।
এ অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ জুলাই ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। গত ২১ আগস্ট কমিটি সিডিবিএল-এর কোন কোন খাতে ফি কমানো যায় এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সভাপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সিডিবিএল এর বিভিন্ন ফি কমানোর জন্য এসইসি’র চেয়ারম্যান গত দুই মাস আগে অনুরোধ জানিয়েছেন। এর পর থেকেই সিডিবিএল তাদের চার্জ কমানোর জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে একটি বৈঠক করা কথা রয়েছে। বৈঠকে ফি কমানোর বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে।
এদিকে পুঁজিবাজারে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সিডিবিএলের মুনাফার পরিমাণ ব্যাপক হারে বাড়ছে।
সিডিবিএলের বার্ষিক প্রতিবেদন দেখা গেছে, ২০০৮ সালে সিডিবিএলের কর পরবর্তী মুনাফার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। ২০০৯ সালে এ মুনাফার পরিমাণ প্রায় ৫৫ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। ২০১০ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা ১০০ কোটি টাকা ছাড়ায়।
ডিপোজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩-এর তফসিল-৪ অনুযায়ী বিভিন্ন পর্যায়ে সিডিবিএল ১০ ধরনের চার্জ পুঁজিবাজার থেকে আদায় করে। এর মধ্যে ৫ ধরনের চার্জ সরাসরি বিনিয়োগকারীদের বহন করতে হয়।
নতুন বিও হিসাব খোলার সময় সিডিবিএল পাচ্ছে-১৫০ টাকা।
প্রতিটি লেনদেনের ক্ষেত্রে সিডিবিএলের চার্জে হার ০.০২৫ শতাংশ।
এক্ষেত্রে শেয়ার ক্রয় এবং বিক্রয় উভয় ক্ষেত্রেই বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এ চার্জ আদায় করা হয়। অথচ সিডিবিএলে জমাকৃত শেয়ারের লেনদেন নিষ্পত্তি ও হস্তান্তরের সঙ্গে বাজার মূল্যের কোন সম্পর্ক নেই।
এছাড়া শেয়ার ডিমেট করার ক্ষেত্রেও বাজার মূল্যের ০.০২৫ শতাংশ হারে চার্জ আদায় করা হয়।
আইপিওর মাধ্যমে বাজারে নতুন ইস্যু যুক্ত হলে ইস্যু মূল্যের ০.০২৫ শতাংশ চার্জ আদায় করে সিডিবিএল।
একই সঙ্গে বোনাস ও রাইট শেয়ার বিতরণের ক্ষেত্রেও বাজার মূল্যের ভিত্তিতে চার্জ আদায় করা হয়। আবার প্রতিটি ইস্যুয়ার কোম্পানির কাছ থেকেও বার্ষিক ফি আদায় করা হয়।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সিডিবিএল যেসব চার্জ আদায় করছে, অন্যান্য দেশে তার অধিকাংশই নেই। আবার যেগুলো রয়েছে, সেগুলোর হারও অনেক কম।
ভারতের দুটি সেন্ট্রাল ডিপোজিটরিতে বিও হিসাব খোলার সময় কোনো চার্জ দিতে হয় না ।
ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের জন্য বার্ষিক হিসাব রক্ষণ ফি’ও নেই।
শুধু শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি সার্ভিসেস (সিডিএসএল) প্রতিবারের জন্য সাড়ে ৫ টাকা এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোজিটরি (এনএসডিএল) সাড়ে ৪ টাকা চার্জ নিয়ে থাকেন তারা।
এ দুটি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ডিমেটের জন্যও কোনো চার্জ নেয় না।
এছাড়া অযৌক্তিক আরও কিছু ফি আদায় করে থাকে সিডিবিএল।
যেমন বাংলাদেশে প্রতি ১ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার সংরক্ষণের জন্য বার্ষিক ৫০ টাকা হারে কাস্টডি ফি আদায় করা হয়। ভারতে এ ধরনের ফি নেওয়া হয় না।
একইভাবে পাকিস্তানের সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি কোম্পানির (সিডিসি) ফির হারও সিডিবিএলের তুলনায় অনেক কম। এভাবে প্রতি বছর মুনাফা বাড়লেও শেয়ারবাজারের স্বার্থে অতিরিক্ত চার্জ আদায় বন্ধ করছে না সিডিবিএল।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারের আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণ ও লেনদেনের জন্য ২০০০ সালে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ (সিডিবিএল) প্রতিষ্ঠিত হয়।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক, বীমা কোম্পানি, কয়েকটি তালিকাভুক্ত কোম্পানিসহ মোট ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সিডিবিএল প্রতিষ্ঠিত হয়।
এর পরিচালনা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১৪।
প্রাথমিকভাবে এই কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা ছিল।
Subscribe to:
Posts (Atom)
Blog Archive
- ▼ 2011 (2088)