ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেডের আবেদনে সাড়া দিচ্ছে না স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ - Wata Chemicals Is not getting response from SEC

Monday, October 14, 2013 Other

মূল বাজারে পুনঃতালিকাভুক্তিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনাপত্তিপত্র পাওয়ার পরও ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেডের আবেদনে সাড়া দিচ্ছে না স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে গত ২৯ আগস্ট ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে আবেদন করে কোম্পানিটি। তবে আবেদনের দেড় মাস পার হলেও কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি এক্সচেঞ্জ দুটির পরিচালনা পর্ষদ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওয়াটা কেমিক্যালসের মূল বাজারে পুনঃতালিকাভুক্তি নিয়ে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে। কোম্পানিটির স্বল্প পরিশোধিত মূলধনই এ অস্বস্তির কারণ। সম্প্রতি স্বল্প পরিশোধিত মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিক বাড়ায় এ কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সম্প্রতি স্বল্প মূলধনি কোম্পানি জেএমআই সিরিঞ্জের তালিকাভুক্তির পর এর শেয়ার দরে যে অস্বাভাবিকতা দেখা যায়— এ বিষয়ও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে, যা ওয়াটা কেমিক্যালসের পুনঃতালিকাভুক্তিতে বাধা সৃষ্টি করছে। ফলে আপাতত ওয়াটা কেমিক্যালসের পুনঃতালিকাভুক্তির আবেদনের প্রস্তাব স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ড সভায় উত্থাপন হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এছাড়া ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম নিয়ে ব্যস্ততার কারণেও এ কোম্পানির প্রস্তাব বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হয়নি। স্বল্প মূলধনি কোম্পানির লেনদেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে ওয়াটা কেমিক্যালসকে তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে উৎপাদন বন্ধ, লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ, নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা না করায় ওয়াটা কেমিক্যালসহ মোট ৫০টি জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে পাঠানোর নির্দেশ দেয় বিএসইসি। পরে শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়া ও বাষিক সাধারণ সভা করায় গত ৯ আগস্ট ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেডকে মূল মার্কেটে ফেরার অনাপত্তিপত্র দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং বিধিমালা অনুযায়ী কোম্পানিটিকে আবার তালিকাভুক্তি বিবেচনা করতে অনাপত্তি দেয় কমিশন। ২০০৯ সাল থেকেই কোম্পানিটি পুঞ্জীভূত লোকসান থেকে বেরিয়ে আসে। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে পেরেছে। সর্বশেষ ২০১২ সালের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। - See more at: http://www.bonikbarta.com/sharemarket/2013/10/15/19353#sthash.vfy201MX.dpuf

বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবধারীর সংখ্যা - Number of BO Account in Stock Exchange BD

Monday, October 14, 2013 Other

শেয়ারবাজারে মন্দাভাব অব্যাহত থাকলেও বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবধারীর সংখ্যা বাড়ছে। সেকেন্ডারি বাজারে টানা দরপতন হলেও প্রাইমারি বাজার চাঙ্গা রয়েছে। ফলে নতুন কোম্পানির প্রাইমারি শেয়ার পেতে বিও হিসাব খোলার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ২৭ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছর হিসাব যোগ হয়েছে প্রায় সোয়া দুই লাখ। এদিকে বিও হিসাব বাড়লেও তাতে শেয়ারধারীর সংখ্যা কমছে। বর্তমানে শেয়ার রয়েছে— এমন বিও হিসাবের সংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ। আগের বছরের এপ্রিলে এর সংখ্যা ছিল ১৮ লাখের বেশি। তবে বর্তমানে যেসব বিও হিসাবে শেয়ার রয়েছে তার প্রায় ৬০ শতাংশই হচ্ছে প্রাইমারি শেয়ারহোল্ডারদের। অবশিষ্ট বিও হিসাবে শেয়ার থাকলেও এরা নিয়মিত লেনদেনে অংশগ্রহণ করেন না। সেকেন্ডারি বাজারে মন্দা অব্যাহত থাকায় প্রাইমারি বাজারনির্ভরতা বাড়ছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) দেয়া তথ্যানুযায়ী গতকাল পর্যন্ত মোট বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ ৩ হাজার ৬৩৯টি। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি মোট বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৮১০টি। বর্তমানে যে পরিমাণ বিও হিসাব রয়েছে, তার মধ্যে কোম্পানির বিও হিসাব হচ্ছে ৯ হাজার ৫২৭টি। বর্তমানে যে বিও হিসাব রয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৭ লাখ হিসাবে কোনো শেয়ার নেই। আর ২ লাখ ৩৫ হাজার বিও হিসাব রয়েছে, যেগুলোয় কখনই শেয়ার ছিল না। মোট বিও হিসাবের প্রায় ৩০ শতাংশের মধ্যে কোনো শেয়ার নেই। দেশের প্রধান বাজারে (সেকেন্ডারি মার্কেট) আড়াই বছর ধরেই মন্দাবস্থা চলছে। টানা দরপতনে পুঁজি হারিয়ে বিপুলসংখ্যক বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার থেকে বেরিয়ে গেছে। অন্যদিকে অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবে শেয়ার থাকলেও কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়ায় তা লেনদেন হচ্ছে না। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মার্জিন ঋণসংকট। গ্রাহকদের নিজস্ব ইকুইটি কমে যাওয়ায় মার্জিন বিধিমালার কারণে ঋণে কেনা শেয়ার লেনদেন করা যাচ্ছে না। যদিও কিছু দিন আগে মার্জিন ঋণ বিধিমালার সংশ্লিষ্ট উপবিধি স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক সংকট। নেতিবাচক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বড় বিনিয়োগকারীদের উল্লেখযোগ্য অংশই এখন সাইডলাইনে রয়েছে। এসব কারণে বর্তমানে নিয়মিত বিনিয়োগকারীরা অধিকাংশই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। সূত্র জানায়, বর্তমানে শেয়ার রয়েছে— এমন ১৭ লাখ ৭০ হাজার বিও হিসাবের মধ্যে প্রাইমারি শেয়ারধারী প্রায় ১২ লাখ। অবশিষ্ট ৫ লাখ ৭০ হাজার বিও হিসাবধারী প্রতি মাসে একাধিকবার লেনদেন করেন। আগের বছর শেয়ারবাজারে নিয়মিত লেনদেনকারীর এ সংখ্যা ছিল প্রায় ৮ লাখ। এক বছরের ব্যবধানে এ ধরনের বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমেছে ২ লাখের বেশি। মূলত মন্দা পরিস্থিতির কারণেই শেয়ারবাজারে নিয়মিত বিনিয়োগকারী কমে যাচ্ছে। এদিকে সেকেন্ডারি মার্কেটে মন্দাবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলেও প্রাইমারি বাজারে চাঙ্গাভাব লক্ষ করা গেছে। নতুন কোম্পানির আইপিওতে শেয়ার পেতে কয়েক গুণ বেশি আবেদন জমা পড়ছে। মূলত অভিহিত মূল্যে তুলনামূলক দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের কারণে প্রাইমারি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। আইপিওতে পাওয়া শেয়ার সেকেন্ডারি বাজারে কয়েক গুণ বেশি দরে বিক্রির সুযোগ থাকায় প্রাইমারি বাজার চাঙ্গা রয়েছে। এতে বিও হিসাব খোলার প্রবণতা বাড়ছে। উল্লেখ্য, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে চাইলে সিডিবিএলের আওতাধীন যেকোনো ডিপিতে (ডিপোজিটরি পার্টিসিপেন্ট) একটি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব খুলতে হয়। একজন ব্যক্তি একটি ব্যাংক হিসাবের বিপরীতে একক নামে একটি এবং যৌথ নামে একটি বিও হিসাব খুলতে পারেন। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) ডিপোজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩-এর তফসিল-৪ অনুযায়ী, বিও হিসাব পরিচালনার জন্য ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারী বা বিনিয়োগকারীকে নির্ধারিত হারে বার্ষিক হিসাবরক্ষণ ফি প্রদান করে হিসাব নবায়ন করতে হয়। প্রতিটি বিও হিসাব নবায়নের জন্য বর্তমানে ৫০০ টাকা ফি পরিশোধ করতে হয়। এর মধ্যে সিডিবিএল ১৫০ টাকা, হিসাব পরিচালনাকারী ব্রোকারেজ হাউস ১০০ এবং বিএসইসি ৫০ টাকা পায়। বাকি ২০০ টাকা সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়। ২০০৮ সালের জুন মাসে শেয়ারবাজারে বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৭১ হাজার ২৫২টি। ২০০৯ সালের একই সময়ে তা বেড়ে ১৪ লাখ ১৯ হাজার ১৫টিতে দাঁড়ায়। ২০১০ সালে বিপুলসংখ্যক বিনিয়োগকারী যুক্ত হয় শেয়ারবাজারে। সে বছরের জুন পর্যন্ত বিও হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ৪০৭। ডিসেম্বরের মধ্যে সংখ্যাটি ৩০ লাখ অতিক্রম করে। তবে ওই বছরের ধসের পরও শেয়ারবাজারে বিও হিসাবধারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। ২০১১ সালের মে মাস শেষে বিও হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৩৪ লাখে। তবে ওই বছরের জুলাইয়ে এ সংখ্যা কমে ২৬ লাখ ৭৮ হাজারে নেমে আসে। ২০১২ সালে তা আরো কমে ২৬ লাখ ১৬ হাজারে নেমে এসেছে। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৮১০। - See more at: http://www.bonikbarta.com/sharemarket/2013/10/15/19352#sthash.IGUj9TtH.dpuf

অনুমোদিত কর্মসূচিটি (স্কিম) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে হস্তান্তর - Unapproved Skim of Stock Exchange

Monday, October 14, 2013 Other

স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণের (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) অনুমোদিত কর্মসূচিটি (স্কিম) গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিন বিকেলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধির হাতে কর্মসূচির দলিল হস্তান্তর করে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএসইসি এই কর্মসূচিটি অনুমোদন করে। অনুমোদনের পরবর্তী তিন কার্যদিবসের মাথায় এটি হস্তান্তর করা হয়। কর্মসূচিটি হস্তান্তরের আগেও গতকাল সকালে কমিশনের পক্ষ থেকে এটির খুঁটিনাটি বিষয় চূড়ান্তভাবে পর্যালোচনা করা হয়। জানা গেছে, অনুমোদিত কর্মসূচিতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত প্রথম পরিচালনা পর্ষদের তালিকাটি অন্তর্ভুক্ত নেই। দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে বর্তমান পর্ষদকে প্রথম পরিচালনা পর্ষদ হিসেবে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছিল। স্টক এক্সচেঞ্জের প্রস্তাবিত প্রথম পরিচালনা পর্ষদের তালিকাটি অনুমোদন না করায় আইন অনুযায়ী বিশেষ সাধারণ সভায় অন্তর্বর্তীকালীন নতুন পর্ষদ গঠন করতে হবে। অনুমোদিত পৃথক্করণ কর্মসূচি অনুযায়ী, ১৩ সদস্য নিয়ে ডিমিউচুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করতে হবে। এর মধ্যে সাতজন হবেন স্বতন্ত্র পরিচালক, শেয়ারধারী পরিচালক হতে পারবেন সর্বোচ্চ পাঁচজন, আর ভোটাধিকারের ক্ষমতাসহ এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও পরিচালক হবেন। আর স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্য থেকে পর্ষদের সভাপতি নির্বাচিত হবেন। শেয়ারধারী পাঁচ পরিচালকের মধ্যে ন্যূনতম একজন থাকবেন কৌশলগত (স্ট্র্যাটেজিক) বিনিয়োগকারী। যত দিন কৌশলগত বিনিয়োগকারী পাওয়া যাবে না, তত দিন ওই পদটি শূন্য থাকবে। এর ফলে বর্তমান শেয়ারধারীদের মধ্য থেকে মাত্র চারজন পরিচালক হওয়ার সুযোগ পাবেন। আইন অনুযায়ী, ৮ অক্টোবরের মধ্যে স্কিমটি গেজেট, ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এদিকে আজ বুধবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় কর্মসূচিটি অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) আজ কর্মসূচিটি হস্তান্তর করা হবে।

রক্ত দিলেই নাগরিকতা পাওয়া যায় সহজে - Citizenship with Blood

Monday, October 14, 2013 Other

অবৈধভাবে গ্রিসে প্রবেশ। স্ট্রবেরি খামারে অমানবিক পরিশ্রম। নেই বেতন। বকেয়ার দাবিতে আন্দোলন। মালিকপক্ষের গুলি। ৩৫ জন আহত। এরপর দুঃসহ অনিশ্চিত জীবন। তবে সেই দুঃসহ যন্ত্রণার অবসান হয়েছে। গ্রিসের স্ট্রবেরি খামারে বেতনের দাবিতে আন্দোলন করে গুলিবিদ্ধ হওয়া সেই ৩৫ বাংলাদেশিকে বৈধতা দিয়েছে দেশটির সরকার। ১২ অক্টোবর তাঁদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈধতার কাগজপত্র তুলে দেন গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছিলেন উচ্ছ্বসিত। রাজধানী এথেন্স থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তরের কৃষিপ্রধান এলাকা মানোলাদার প্রত্যন্ত একটি গ্রামের স্ট্রবেরি খামারে ওই বাংলাদেশিরা কাজ করতেন। দীর্ঘদিন বেতন বকেয়া থাকায় এ বছরের এপ্রিলে তাঁরা আন্দোলন করেন। এ সময় মালিকপক্ষের লোকেরা তাঁদের ওপর গুলি চালায়। এতে ওই বাংলাদেশিরা আহত হন। এ ঘটনায় গ্রিসে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পুলিশ ওই খামারের মালিক ও সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করে। গ্রিস ও ইউরোপ-প্রবাসী বাংলাদেশিরা এর সুবিচার দাবি করেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলোও গ্রিসের সরকারের ওপর চাপ দেয়। এরপর গ্রিস সরকার ওই বাংলাদেশিদের বৈধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। অবশেষে গত শনিবার গ্রিসের মানোলাদাতেই আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ ৩৫ জনের হাতে গ্রিসে থাকার বৈধ কাগজপত্র তুলে দেন। এ সময় উল্লাসে ফেটে পড়েন সদ্য বৈধ হওয়া বাংলাদেশিরা। গ্রিসের আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা সবাই এ সময় উপস্থিত ছিলেন। গ্রিসে বৈধতা পেয়ে কেমন লাগছে, জানতে চাইলে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের মোরশেদ চৌধুরী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘অনেক ভালো লাগছে। আমি অনেক আনন্দিত। সবাই বলছে, যে কাগজ পেয়েছি, তাতে করে আমাদের আর কাজে সমস্যা হবে না।’ মোরশেদ জানান, বাংলাদেশ থেকে দুবাই, এরপর সেখান থেকে অবৈধভাবে গ্রিসে এসেছিলেন। এরপর খুব কষ্টে ছিলেন। যেটা পেয়েছেন, ঈদের আগে সেটা বিশাল একটা উপহার। একই রকম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তোফাজ্জল হোসেন, মোহাম্মদ ফরহাদ, কামরুল মিয়া, শেখ হুমায়ুনসহ আরও অনেকে। তাঁরা সবাই বলেন, গ্রিসের ওই স্ট্রবেরি খামারে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁরা জীবন নিয়ে চরম হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কীভাবে বিদেশে আসার খরচ তুলবেন, কীভাবে বাড়িতে টাকা পাঠাবেন, সেসব নিয়ে ছিলেন দুশ্চিন্তায়। কিন্তু এখন তাঁরা আবার নতুন করে আশার আলো দেখছেন। প্রবাসীদের সংগঠন অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (আয়েবা) সভাপতি জয়নাল আবেদিন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘গ্রিসের এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা ইউরোপের সব দেশের দূতাবাসে স্মারকলিপি দিই। ইউরোপের বিভিন্ন গণমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করে। মানবাধিকারকর্মীরা এগিয়ে আসেন। বিষয়টি নিয়ে ইউরোপে তোলপাড় শুরু হয়। অবশেষে গ্রিসের সরকার তাঁদের বৈধ করে। আমাদের কাছে এটি রক্ত দিয়ে বৈধতা পাওয়ার মতো বিষয়। আর এই ঘটনার পর কোনো খামারমালিক এখন আর শ্রমিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে না। বাংলাদেশিদের গুলি করার ঘটনায় ইউরোপজুড়ে মানবাধিকারকর্মীরা প্রতিবাদ জানান। আমরা প্রথম থেকেই গ্রিসের সরকারের কাছে বিষয়টির সুরাহা দাবি করি। শেষ পর্যন্ত গ্রিসের সরকার যেটি করেছে, সেটি আসলেই বাংলাদেশিদের জন্য আনন্দের।’ গ্রিসের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ আজ সোমবার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ওই ঘটনার পরপরই গ্রিস সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করি। দেশটির শ্রমমন্ত্রী ও জনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেন যে তাঁরা বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখবেন। অবশেষে তাঁরা ৩৫ জন বাংলাদেশিকে গ্রিসে থাকার এবং কাজ করার বৈধতা দিয়েছেন। এখন এই বাংলাদেশি কর্মীরা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবেন এবং তাঁরা যেকোনো জায়গায় ভালো বেতনে চাকরি করতে পারবেন। তবে অবৈধভাবে কোনো বাংলাদেশিরই বিদেশে আসা উচিত নয়।’

ছেলেরা মেয়েদের ব্যপারে যে ৬ টি ভুল করে থাকে - 6 Mistakes Boys makes with girl

Monday, October 14, 2013 Other

সুদর্শন সুপুরুষ ছেলেটিকে দেখে প্রশংসাসূচক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকে যেকোনো মেয়ে। কাজেই ছেলেটি নিজের বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে গিয়ে প্রায়ই হোঁচট খেতে হয় তাকে। এর কারণ অনুসন্ধান করে গবেষকরা বের করেছেন যে, এর মূলে রয়েছে ছেলেদের বড় মাপের ছয়টি ভুল। যার খেসারত দিতে হয় সম্পর্কটি অঙ্কুরে বিনষ্ট করে। মূলত ছেলেদের এসব ভুলের কারণে যেকোনো মেয়ে তার থেকে এক শ হাত দূরে ছিটকে যায়। ১. সহজে বেজায় খুশি: সম্পর্কের শুরুতে বেশি খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠা ছেলেদের একটি বড় ভুল। হাস্যকর না হলেও মেয়েটির কৌতুকে অযথা হেসে কুটিকুটি হওয়া বা সে যা বলে তা করতে সদাপ্রস্তুত থাকা- এমন ছেলেদের নিয়ে মেয়েরা বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। ইতিবাচক মন্তব্য মেয়েরা পছন্দ করলেও তাদের খুশি করার মাত্রাতিরিক্ত প্রচেষ্টায় রীতিমতো নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে তারা। ২. খুব শিগগিরই বেশি অধিকার খাটানো: আপনার সম্পর্ক অল্প কিছু দিনের। প্রেমিকা তার বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে গেছে এবং আসতে একটু দেরিই হচ্ছে। ব্যস, আপনি পাগল হয়ে গেলেন। বারবার ফোন, ম্যাসেজ আর ফেসবুকে খুঁজতে খুঁজতে প্রেয়সীকে অস্থির করে তুললেন। এই ধরনের আচরণে মেয়েটি বিরক্তবোধ করবে। ৩. আপনি জানেন বিষয়টি কেমন: ধরুন, আপনার প্রেমিকা তার অন্য বন্ধু বা ছেলে কলিগদের সাথে দু'ঘণ্টা ধরে আড্ডা দিচ্ছে। এতো সময় পেরিয়ে গেলেও আপনি তার কোনো খোঁজ করলেন না। বরং হিংসাভারাক্রান্ত মন নিয়ে বাসায় বসে ভিডিওগেম খেলা শুরু করলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে আপনার প্রেমিকা এ বিষয়টিকে মোটেও ভাল চোখে দেখবে না। হিংসার পথে না গিয়ে তাকে বোঝান যে, সে তার খুশিমতো চলতে ফিরতে স্বাধীন। আর যদি তা করতে পারেন, দেখবে উল্টো মেয়েটিই আপনার সাথে সময় কাটাতে চাইছে। ৪. যেকোনো খরচে মানিব্যাগটি বের করে ফেলেন: রেস্টুরেন্টে একসাথে খেতে গেলেই আপনি দামি খাবার ছাড়া অর্ডার দেন না। খরচের মুহূর্তে নিজের পকেট থেকে মানিব্যাগটা সব সময়ই বের করেন। এ ধরনের স্বভাব বেশ অস্বস্তিকর মেয়েদের জন্য। বরং অন্য কোনো সাধারণ খাবার খেতে যান তাকে সাথে করে। আবার সে বিল দিতে চাইলে তাকে দিতে দিন। এতে মেয়েটির ভাল লাগবে। অন্যদিকে, প্রতিবার বিলের ঝক্কি প্রেমিকার ঘাড়ে চাপানোও ভালো নয়। এতে আপনার সাথে মেয়েটি কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে না। ৫. অতীত প্রেম নিয়ে টানাটানি: আপনার জীবনে সাবেক প্রেম থাকতে পারে। এ ঘটনা জানতেও পারে নতুন প্রেমিকা। এ জন্য তার কাছে প্রায়ই আগের প্রেমিকার দোষ তুলে ধরা বা তার সঙ্গে অশান্তির জীবনের বয়ান দেওয়া বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। আপনাকে অবধারিতভাবেই সে জঞ্জাল বলে মনে করবে। তা ছাড়া এ ধরনের গল্পে নতুনজন নিজেকে আপনার অনেক দূরের একজন বলে ভাবতে শুরু করবে। ৬. শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে পীড়াপীড়ি করা: মেয়েরা সাধারণত ভালবেসে দীর্ঘ সম্পর্কে আবদ্ধ হতে চায়। প্রায়ই দেখা যায়, এ কারণে ছেলেরা প্রেমিকার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করতে পীড়াপীড়ি করে। আসলে এমন করার প্রয়োজন নেই। সে নিজেই আপনাকে বুঝিয়ে দিবে যে কখন সে প্রস্তুত। আর ধারণার অনেক আগেই হয়তো মেয়েটি আপনার সাথে এমন সম্পর্কে জড়াতে চাইবে। কাজেই তাকে সময় দিন।

শ্বাশুড়ি আর পুত্রবধূর মধ্যে শত্রু শত্রু ভাব দূর ১০টি উপায় - How to please Mother in Law

Monday, October 14, 2013 Other

নিজের শ্বাশুড়িকে খুশি করতে আপনি কতো কিছুই না করেন। তাছাড়া শ্বাশুড়ি আর পুত্রবধূর মধ্যে শত্রু শত্রু ভাব দূর করে সুসম্পর্ক তৈরি করতে আপনাকে ১০টি উপায় বাতলে দেয়া হলো। এগুলো যত্নের সাথে পালন করুন। আশা করি আপনি শ্বাশুড়ির রক্তরাঙা চোখে আদর আর ভালবাসা দেখতে পাবেন। ১. ঘরের কাজ করুন: হাজবেন্ডের কাছ থেকে জেনে নিন যে, আপনার শ্বাশুড়ি কী কী বিষয় পছন্দ করেন। নতুন এ পরিবারের চাল-চলন বা নিয়ম-কানুন সম্পর্কে আপনার ধারণা নাও থাকতে পারে। কাজেই এসব ব্যাপারে না জেনেই মতামত দেয়া শুরু করবেন না। নতুন মায়ের সাথে তার পছন্দ বা অপছন্দ নিয়ে আলাপ করুন। ২. উপহার দিন: আপনার বাড়িতে কেউ একটি উপহার নিয়ে এসে আপনার হাতে তুলে দিল, আপনার কি ভাল লাগবে না? তেমনি বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে শ্বাশুড়ির হাতে একটি উপহার দিলেন। তার মনটি আনন্দে ভরে উঠবে। মাঝে-মধ্যে এ কাজটি করতে পারেন। ৩. ভাল পোশাকে থাকুন: শ্বশুরালয়ে রুচিশীল পোশাক পরে চুল আঁচড়ে একেবারে পরিপাটি হয়ে চলুন। সুন্দরভাবে যারা চলেন তাদের এমনিতেই ভাল লাগে। বেশি রঙচঙে পোশাক এবং অতিরিক্ত সাজসজ্জা না করাই ভাল। ৪. প্রতিযোগীতায় যাবেন না: শ্বাশুড়ি তার ছেলের প্রতি একটু বেশি অধিকার খাটাবেন। এ বাস্তবতা মেনে নিন। কাজেই আপনার স্বামীর জন্যে কী কী খাবার করতে হবে তার উপদেশ দিতে যাবেন না। আপনার হাতের রান্না তার বেশি পছন্দ হলেও এ কথা ভুলেও শ্বাশুড়ির কাছে প্রকাশ করবেন না। বরং সমসময় তার রান্নার প্রশংসা করুন এবং রেসিপি নিন। ৫. নম্র-ভদ্র থাকুন: আচার-আচরণে তার সাথে নম্র থাকুন। তার ভুল ধরিয়ে দিতে যাবেন না। অযথা বিতর্কে জড়ানো থেকে বিরত থাকুন। ৬. ঘন ঘন দেখা করুন: বাড়িতে থাকলে একটু পর পরই তাকে সম্বোধন করে ডাকুন। তিনি আপনাকে ডাকার আগেই যেনো তার সামনে আপনাকে দেখা যায়। আর দূরে থাকলে দিনে কয়েকবার ফোন দিয়ে খোঁজ নিলে তিনি আপনার ওপর অনেক খুশি থাকবেন। ৭. উপদেশ চান: নিজের সিদ্ধান্তে চলতে চান বা না চান, শ্বাশুড়ির কাছে উপদেশ চান। আপনার ওপর তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে চিন্তা করে তিনি তৃপ্ত থাকবেন। ৮. সমস্যা গোপন রাখুন: শ্বশুড়ালয়ের গৃহকর্তীর সাথে কোনো ঝামেলা থাকলেও তা সবার সামনে প্রকাশ করা ঠিক হবে না। যেকোনো পারিবারিক আলোচনা বা সমস্যা চলাকালীন শ্বাশুড়ির দোষ তুলে ধরা খুব বাজে কাজ। ৯. শ্বাশুড়ির সামনে তার ছেলের প্রশংসা করুন: নিজের ছেলের প্রশংসা শুনতে সবার ভাল লাগে। কাজেই এ পদ্ধতি প্রয়োগ করুন। তার ভাল লাগবে। ১০. সহজ স্বাভাবিক থাকুন: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, শ্বাশুড়ির সামনে স্নায়ুচাপে থাকবেন না। সবসময় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলুন এবং ভুলে যান। এই সাধারণ নিয়মটি শ্বাশুড়ির সাথে আপনার সম্পর্ককে অনেক সহজ ও স্বাবলীল করবে। সূত্র: ইন্টারনেট

Blog Archive