মুম্বাইয়ের স্থানীয় এক আদালত বলেছে, স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্ক থেকে বঞ্চিত করা এবং তার চরিত্রের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করা নিষ্ঠুরতার নামান্তর। ২৭ বছরের এক নারীর তালাকের মামলার রায়ে আদালত বলেছে, 'বিবাদী স্বামীর কোনো অধিকার নেই আবেদনকারী স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্ক থেকে বঞ্চিত করার বা তার চরিত্রের প্রতি সন্দেহ পোষণ করার। এ ব্যাপারে অন্তত এটুকু বলা যায়, এমন আচরণকে নিষ্ঠুরতা হিসেবে গণ্য করার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে।'
তালাকের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত ৩৩ বছরের স্বামীকে স্ত্রীর খরপোষ বাবদ তিন লাখ রুপি নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০০৯ সালে বিয়ের আগে তারা দু'বছর প্রেম করেন। কিন্তু, নানারকম বঞ্চনার শিকার হয়ে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তালাকের জন্য মামলা দায়ের করেন। বাদী অভিযোগ করেন, বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বাসর রাতে স্বামীর স্বজনরা বাবার পক্ষ থেকে সাজানো কক্ষটি দখল করে নেন। পরবর্তীতে তার স্বামী দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানিয়ে বলেন, তার চাকরি চলে যাওয়ায় কিছু করার নেই।
তার শাশুড়ি অকথ্য গালাগাল করতেন এবং এক পর্যায়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে পড়ে যখন তার স্বামী সন্দেহবশত চরিত্রে কালিমা দিতে থাকেন।
আদালত রায়ে উল্লেখ করেন, 'বিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে অধিকার দেয় এবং দায়িত্ব অর্পণ করে। দুজন দুজনের কাছে ন্যায্য কিছু প্রত্যাশা করে। শারীরিক সম্পর্ক বৈবাহিক বাধ্য-বাধকতার অন্যতম মৌলিক শর্ত। বিয়ের সুখ থেকে একজন আরেক জনকে বঞ্চিত করার কোনো অধিকার রাখে না।