শেয়ারবাজার :::: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১১-১২ অর্থবছরের এক লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা ২৫ মিনিটে অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন। স্পিকার আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
এর আগে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। বিকেল চারটার পরপরই প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী একসঙ্গে সংসদে প্রবেশ করেন।
চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের মূল বাজেট ছিল এক লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকার। অর্থাত্ আগামী বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বর্তমান বছরের মূল বাজেট থেকে ৩১ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার বেশি।
প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব বা অনোন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৭ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর, এনবিআর-বহির্ভূত কর ও কর ব্যতীত আয় থেকে এ অর্থ সংগ্রহ করা হবে।
অন্যদিকে প্রস্তাবিত আগামী অর্থবছরের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বা উন্নয়নব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি ছিল ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু, দুই দফা সংশোধনের পর এডিবি দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত আগামী বছরের এডিপি হচ্ছে চলতি বছরের মূল উন্নয়ন ব্যয় থেকে সাত হাজার ৫০০ কোটি টাকা বেশি।
আগামী বছরের বাজেটে অনুদান বাদে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪ কোটি টাকা।
এই ঘাটতি অর্থায়নের বড় অংশ অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ করে মেটানো হবে। অভ্যন্তরীণ খাতে মোট ঋণ দেখানো হচ্ছে ২৭ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে ১৮ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা। আর সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে আট হাজার ২৫১ কোটি টাকা। এ ছাড়া আরও অন্যান্য খাত থেকে ঋণ করে বাজেট অর্থায়ন করা হবে।
ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সাহায্য ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। কিন্তু মূলত বৈদেশিক সাহায্য কম আসার কারণে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১৮ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা ঋণ করার জন্য সংশোধিত বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা উত্থাপনের আগে চলতি বছরের এক লাখ ৩০ হাজার ১১ কোটি টাকার সংশোধিত বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করেন।
Budget of hopes and challenges
The national budget for fiscal 2011-12 is being presented today against a sliding macroeconomic stability and the need to balance several conflicting objectives such as inflation without hampering growth and providing subsidies with 'no additional burden' on taxpayers.
Emphasis on social spending and financial inclusion is also of paramount importance. Reviving investor confidence and stockmarket sentiment, badly hurt by the weak regulations and policy issues, is also high on the expectations list.
Yet, there are lots of challenges.
The manufacturing sector is eagerly waiting to see how the government addresses energy and infrastructure constraints. Growing subsidy requirement for electricity, fuel oil and food is also a vital issue. It is now time to see how the finance minister deals with the issues in the proposed budget.
Pressure is mounting on reserves and balance of payments, giving rise to concerns for further tensions in the economy.
Ahsan H Mansur, executive director of Policy Research Institute, said unlike last year this year's budget is different in terms of macroeconomic stability, growing needs for subsidy, tackling inflation and managing the deficit.
"The government has to be careful in managing the budget and the macroeconomic stability following a climbing pressure on the BOP," said Mansur.
Latest figures show BOP is on negative territory, point-to-point inflation soared to 10.67 percent and foreign exchange reserve went down to $10.45 billion.
"If revenue falls short of the target, there is not enough fiscal space this year as there was last year," said Mansur. In the circumstances, the government borrowing will be higher and consequently there will be further tensions in the money market, he added.
The national budget is a specific plan of the government's finances. Undoubtedly the budget session is the most important economic and financial event for a country like Bangladesh where one-third of the 160 million people live below the poverty line and depend much on government welfare activities.
Above all, the budget will be discussing new tax measures, incentives, pricing of commodities, and allocations for various development programmes. The private sector, the engine of economic growth, is facing severe energy shortage that ultimately affects industrialisation and much-needed job creation.
"Gas supply should be given the topmost priority," said Mostofa Kamal, chairman of Meghna Group of Industries that boasts of a $1.5 billion turnover.
Kamal has invested Tk 1,500 crore to set up some new factories, including a Tk 450 crore chemical factory, after getting approval for gas connections in 2009. But these factories are yet to get gas connections and sitting idle.
Though corporate people were not much interested in the budget in previous years, the situation is different this year in the wake of growing borrowing by the government from the banking sector and liquidity crisis in the money market.
"The government may try alternative sources of borrowing so the money can be used by entrepreneurs for investments and job creation," said Anis A Khan, managing director of Mutual Trust Bank.
Monzur Hossain, senior research fellow of Bangladesh Institute of Development Studies, said inflation would rise in an expansionary fiscal measure, but the challenge for the government is to keep it at a tolerable level.
এর আগে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। বিকেল চারটার পরপরই প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী একসঙ্গে সংসদে প্রবেশ করেন।
চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের মূল বাজেট ছিল এক লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকার। অর্থাত্ আগামী বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বর্তমান বছরের মূল বাজেট থেকে ৩১ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার বেশি।
প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব বা অনোন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৭ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর, এনবিআর-বহির্ভূত কর ও কর ব্যতীত আয় থেকে এ অর্থ সংগ্রহ করা হবে।
অন্যদিকে প্রস্তাবিত আগামী অর্থবছরের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বা উন্নয়নব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি ছিল ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু, দুই দফা সংশোধনের পর এডিবি দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত আগামী বছরের এডিপি হচ্ছে চলতি বছরের মূল উন্নয়ন ব্যয় থেকে সাত হাজার ৫০০ কোটি টাকা বেশি।
আগামী বছরের বাজেটে অনুদান বাদে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪ কোটি টাকা।
এই ঘাটতি অর্থায়নের বড় অংশ অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ করে মেটানো হবে। অভ্যন্তরীণ খাতে মোট ঋণ দেখানো হচ্ছে ২৭ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে ১৮ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা। আর সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে আট হাজার ২৫১ কোটি টাকা। এ ছাড়া আরও অন্যান্য খাত থেকে ঋণ করে বাজেট অর্থায়ন করা হবে।
ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সাহায্য ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। কিন্তু মূলত বৈদেশিক সাহায্য কম আসার কারণে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১৮ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা ঋণ করার জন্য সংশোধিত বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা উত্থাপনের আগে চলতি বছরের এক লাখ ৩০ হাজার ১১ কোটি টাকার সংশোধিত বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করেন।
Budget of hopes and challenges
The national budget for fiscal 2011-12 is being presented today against a sliding macroeconomic stability and the need to balance several conflicting objectives such as inflation without hampering growth and providing subsidies with 'no additional burden' on taxpayers.
Emphasis on social spending and financial inclusion is also of paramount importance. Reviving investor confidence and stockmarket sentiment, badly hurt by the weak regulations and policy issues, is also high on the expectations list.
Yet, there are lots of challenges.
The manufacturing sector is eagerly waiting to see how the government addresses energy and infrastructure constraints. Growing subsidy requirement for electricity, fuel oil and food is also a vital issue. It is now time to see how the finance minister deals with the issues in the proposed budget.
Pressure is mounting on reserves and balance of payments, giving rise to concerns for further tensions in the economy.
Ahsan H Mansur, executive director of Policy Research Institute, said unlike last year this year's budget is different in terms of macroeconomic stability, growing needs for subsidy, tackling inflation and managing the deficit.
"The government has to be careful in managing the budget and the macroeconomic stability following a climbing pressure on the BOP," said Mansur.
Latest figures show BOP is on negative territory, point-to-point inflation soared to 10.67 percent and foreign exchange reserve went down to $10.45 billion.
"If revenue falls short of the target, there is not enough fiscal space this year as there was last year," said Mansur. In the circumstances, the government borrowing will be higher and consequently there will be further tensions in the money market, he added.
The national budget is a specific plan of the government's finances. Undoubtedly the budget session is the most important economic and financial event for a country like Bangladesh where one-third of the 160 million people live below the poverty line and depend much on government welfare activities.
Above all, the budget will be discussing new tax measures, incentives, pricing of commodities, and allocations for various development programmes. The private sector, the engine of economic growth, is facing severe energy shortage that ultimately affects industrialisation and much-needed job creation.
"Gas supply should be given the topmost priority," said Mostofa Kamal, chairman of Meghna Group of Industries that boasts of a $1.5 billion turnover.
Kamal has invested Tk 1,500 crore to set up some new factories, including a Tk 450 crore chemical factory, after getting approval for gas connections in 2009. But these factories are yet to get gas connections and sitting idle.
Though corporate people were not much interested in the budget in previous years, the situation is different this year in the wake of growing borrowing by the government from the banking sector and liquidity crisis in the money market.
"The government may try alternative sources of borrowing so the money can be used by entrepreneurs for investments and job creation," said Anis A Khan, managing director of Mutual Trust Bank.
Monzur Hossain, senior research fellow of Bangladesh Institute of Development Studies, said inflation would rise in an expansionary fiscal measure, but the challenge for the government is to keep it at a tolerable level.