শেয়ারবাজার :::: পুঁজিবাজারে ভয়াবহ বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সহনশীল বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিও হিসাবের বিপরীতে আগের বর্ধিত ফি মওকুফসহ কোনো প্রকার চার্জ থাকছে না। এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে অর্জিত মূলধনী মুনাফার ওপর করারোপ এবং বিও হিসাব পরিচালনার ক্ষেত্রে কর শনাক্তকরণ নাম্বার (টিআইএন) বাধ্যতামূলক হচ্ছে না। পাশাপাশি শুধু পুঁজিবাজারের জন্য কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হচ্ছে। পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে বাজেট সংক্রান্ত চূড়ান্ত প্রস্তাবনায় এসব সুপারিশ করা হয়েছে এবং বাজেটে তার বাস্তবায়ন ঘটবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে বিও অ্যাকাউন্টের সঙ্গে টিন নাম্বার বাধ্যতামূলকের পরিবর্তে ১০০ টাকা সার চার্জ নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিও অ্যাকাউন্ট মেইনটেন্যান্স ফি ৩০০ টাকা থেকে বর্ধিত করে ৫০০ টাকা ধার্য করা হয়। আগের বিও অ্যাকাউন্ট চার্জ ৩০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা বৃদ্ধি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হবে। এ নতুন আইনের ফলে সরকার এ খাত থেকে ৪ গুণ বেশি রাজস্ব আয় করে। তবে আগামী বাজেটে শেয়ারবাজারের ধস ও বিনিয়োগকারীদের লোকসানের কথা বিবেচনা করে সব বিও হিসাবের বিপরীতে কোনো চার্জ না রাখার সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
এ ব্যাপারে স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিনিয়োগকারীদের উৎসাহী করতে বিও হিসাবের বিপরীতে আগের ধার্য করা ফিসহ সব চার্জ মওকুফের সুপারিশ করেছি। এছাড়া টিআইএন নাম্বার বাধ্যতামূলক করা হবে না। বাজেটে এর প্রতিফলন ঘটবে।
এছাড়া সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও পুঁজিবাজারে শর্তসাপেক্ষে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বিনিয়োগের সুযোগ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরাসরি নাকি 'বাংলাদেশ ফান্ডের' মাধ্যমে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হবে, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে এখনো দ্বিমত রয়েছে। তবে তারল্য সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারে ধারাবাহিক মন্দা দূর করার জন্য সীমিত সময়ের জন্য হলেও অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালসহ নীতিনির্ধারক পর্যায়ের বেশ কয়েক জন্য ব্যক্তি এ বিষয়ে সচেষ্ট রয়েছেন। লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় সীমিত সময়ের জন্য হলেও শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।
জানা গেছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অর্জিত মূলধনী মুনাফার ওপর আরোপিত ১০ শতাংশ হারে বিদ্যমান কর বহাল থাকছে। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মুনাফার ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ করও অপরিবর্তিত থাকছে।
সূত্র জানায়, গত বছর ঘোষিত বাজেটে পুঁজিবাজারে কোম্পানির শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে অভিহিত মূল্যের অতিরিক্ত প্রিমিয়াম মূল্যের ওপর ৩ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হয়েছিল। ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করতে এবার ওই কর প্রত্যাহার করা হচ্ছে। বড় বিপর্যয়ের পর বাজেটকে কেন্দ্র করে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস যাতে দুর্বল না হয়, সে জন্য বাজেটে শেয়ারবাজার নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত থাকবে না। বর্তমান অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের ওপর নতুন করে কর আরোপ বা টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হলে বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। দেশের পুঁজিবাজার এবং লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর স্বার্থে বর্তমান সহায়ক নীতিগুলো আগামী বাজেটেও অব্যাহত রাখা হবে।
বাজেটে ব্যক্তি বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী উভয় ক্ষেত্রেই কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে অর্জিত আয়ের ওপর আরোপিত কর কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে। ব্যক্তি বিনিয়োগকারীর ক্ষেত্রে বর্তমানে লভ্যাংশের ওপর বিভিন্ন ধাপে কর ধার্য রয়েছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য কর হার ২০ শতাংশ। কিন্তু তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো তাদের নিট মুনাফার ওপর কর পরিশোধের পর শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ প্রদান করে। একই মুনাফার ওপর দু'বার উচ্চহারে কর পরিশোধের বিষয়টি যুক্তিসঙ্গত নয় বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এ কারণেই দ্বৈত কর পরিহার করে লভ্যাংশ থেকে অর্জিত আয়ের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর ধার্য করা হচ্ছে। এতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজাওে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বাজেটে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বর্তমান কর হার ৪২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এই তিনটি খাত বাদে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর ২২.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোম্পানির মোট শেয়ারের কমপক্ষে ২০ শতাংশ শেয়ারবাজারে ছাড়ার শর্ত আরোপ করা হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে ২০ শতাংশের কম শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির সুযোগ বন্ধ করা হতে পারে। অন্যদিকে পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা কোম্পানির কর হার ৩৭.৫ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে।
জানা যায়, ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে বিও অ্যাকাউন্টের সঙ্গে টিন নাম্বার বাধ্যতামূলকের পরিবর্তে ১০০ টাকা সার চার্জ নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিও অ্যাকাউন্ট মেইনটেন্যান্স ফি ৩০০ টাকা থেকে বর্ধিত করে ৫০০ টাকা ধার্য করা হয়। আগের বিও অ্যাকাউন্ট চার্জ ৩০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা বৃদ্ধি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হবে। এ নতুন আইনের ফলে সরকার এ খাত থেকে ৪ গুণ বেশি রাজস্ব আয় করে। তবে আগামী বাজেটে শেয়ারবাজারের ধস ও বিনিয়োগকারীদের লোকসানের কথা বিবেচনা করে সব বিও হিসাবের বিপরীতে কোনো চার্জ না রাখার সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
এ ব্যাপারে স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিনিয়োগকারীদের উৎসাহী করতে বিও হিসাবের বিপরীতে আগের ধার্য করা ফিসহ সব চার্জ মওকুফের সুপারিশ করেছি। এছাড়া টিআইএন নাম্বার বাধ্যতামূলক করা হবে না। বাজেটে এর প্রতিফলন ঘটবে।
এছাড়া সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও পুঁজিবাজারে শর্তসাপেক্ষে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বিনিয়োগের সুযোগ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরাসরি নাকি 'বাংলাদেশ ফান্ডের' মাধ্যমে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হবে, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে এখনো দ্বিমত রয়েছে। তবে তারল্য সরবরাহ বাড়িয়ে বাজারে ধারাবাহিক মন্দা দূর করার জন্য সীমিত সময়ের জন্য হলেও অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালসহ নীতিনির্ধারক পর্যায়ের বেশ কয়েক জন্য ব্যক্তি এ বিষয়ে সচেষ্ট রয়েছেন। লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় সীমিত সময়ের জন্য হলেও শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।
জানা গেছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অর্জিত মূলধনী মুনাফার ওপর আরোপিত ১০ শতাংশ হারে বিদ্যমান কর বহাল থাকছে। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মুনাফার ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ করও অপরিবর্তিত থাকছে।
সূত্র জানায়, গত বছর ঘোষিত বাজেটে পুঁজিবাজারে কোম্পানির শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে অভিহিত মূল্যের অতিরিক্ত প্রিমিয়াম মূল্যের ওপর ৩ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হয়েছিল। ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করতে এবার ওই কর প্রত্যাহার করা হচ্ছে। বড় বিপর্যয়ের পর বাজেটকে কেন্দ্র করে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস যাতে দুর্বল না হয়, সে জন্য বাজেটে শেয়ারবাজার নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত থাকবে না। বর্তমান অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের ওপর নতুন করে কর আরোপ বা টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হলে বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। দেশের পুঁজিবাজার এবং লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর স্বার্থে বর্তমান সহায়ক নীতিগুলো আগামী বাজেটেও অব্যাহত রাখা হবে।
বাজেটে ব্যক্তি বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী উভয় ক্ষেত্রেই কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে অর্জিত আয়ের ওপর আরোপিত কর কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে। ব্যক্তি বিনিয়োগকারীর ক্ষেত্রে বর্তমানে লভ্যাংশের ওপর বিভিন্ন ধাপে কর ধার্য রয়েছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য কর হার ২০ শতাংশ। কিন্তু তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো তাদের নিট মুনাফার ওপর কর পরিশোধের পর শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ প্রদান করে। একই মুনাফার ওপর দু'বার উচ্চহারে কর পরিশোধের বিষয়টি যুক্তিসঙ্গত নয় বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এ কারণেই দ্বৈত কর পরিহার করে লভ্যাংশ থেকে অর্জিত আয়ের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর ধার্য করা হচ্ছে। এতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজাওে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বাজেটে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বর্তমান কর হার ৪২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এই তিনটি খাত বাদে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর ২২.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোম্পানির মোট শেয়ারের কমপক্ষে ২০ শতাংশ শেয়ারবাজারে ছাড়ার শর্ত আরোপ করা হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে ২০ শতাংশের কম শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির সুযোগ বন্ধ করা হতে পারে। অন্যদিকে পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা কোম্পানির কর হার ৩৭.৫ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে।