✔ বস্ত্র ও ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের চাহিদাই বেশি ✍ সংবাদদাতা ☞ নিজস্ব প্রতিবেদক of bonibarta
শেয়ারবাজারের লেনদেনে বস্ত্র ও ব্যাংকিং খাতের প্রাধান্য অব্যাহত রয়েছে। গতকালও এ দুটি খাতের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার লেনদেন হয়। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট লেনদেনের প্রায় ৪২ শতাংশ সম্পন্ন হয় এ দুটি খাতে। তবে এদিন বস্ত্র খাতের শেয়ারের দর সংশোধন হয়। ব্যাংকিং ও জ্বালানি খাতের শেয়ারের দর বাড়ায় উভয় বাজারের সব ধরনের সূচক বাড়ে।
ডিএসইতে গতকাল অধিকাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২৮ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বেড়ে ৪২৪১ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক ৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৪৪৬ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে দাঁড়ায়। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৩১৪৯ পয়েন্টে দাঁড়ায়।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে লেনদেনের শুরুতেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হয়। অধিকাংশ শেয়ারের দর বাড়ায় দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক প্রায় ৬৬ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বস্ত্র ও বীমা খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেয়ার প্রভাবে সূচক কিছুটা সমন্বয় হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়।
এদিকে বিভিন্ন কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা ও প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের প্রভাবে শেয়ারবাজারে ধারাবাহিকভাবে লেনদেন বাড়ছে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৫ কোটি ২১ লাখ টাকা বেশি। গত ২৩ সেপ্টেম্বরের পর এটিই ডিএসইর সর্বোচ্চ লেনদেন। অন্যদিকে সিএসইতে কেনাবেচা হয় ৫২ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড, যা আগের দিনের চেয়ে ৭০ লাখ টাকা বেশি।
লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, মূলত তিনটি খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি রয়েছে। গতকাল বস্ত্র, ব্যাংকিং ও জ্বালানি খাতের শেয়ারে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২ শতাংশ ছিল বস্ত্র খাতের। এছাড়া লেনদেনের ২০ শতাংশ ছিল ব্যাংকিং খাতের। গতকালও একক কোম্পানি হিসেবে বস্ত্র খাতের জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনসের সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়। এদিন কোম্পানিটির ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ারে লেনদেন হয়।
যদিও বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতায় গতকাল বস্ত্র খাত গড়ে দশমিক ৭৩ শতাংশ দর হারায়। এছাড়া বীমা খাত ১ শতাংশের বেশি দর হারায়। বিপরীত দিকে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের দর বাড়ে ১ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর জ্বালানি খাতের সরকারি মালিকানাধীন কয়েকটি কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে পুরো খাতে। খাতটির শেয়ারের দর গড়ে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাড়ে।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হওয়া ২৮৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বাড়ে ১৪২টির, কমে ১২৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৪টির। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বাড়ে ১০৬টির, কমে ৯৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৯টির শেয়ারের দর।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো— জেনারেশন নেক্সট, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, বেঙ্গল উইন্ডসর, আরএন স্পিনিং, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, মালেক স্পিনিং, সামিট পূর্বাঞ্চল, তাল্লু স্পিনিং, ওয়ান ব্যাংক ও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ।
দর বাড়ার তালিকার শীর্ষে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো— বিডি বিল্ডিং, হাক্কানী পাল্প, মুন্নু সিরামিক, দেশ গার্মেন্টস, বিডি অটোকারস, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, কোহিনূর কেমিক্যালস, সোনালী আঁশ, পপুলার লাইফ ও কেয়া কসমেটিকস।
অন্যদিকে দর কমার তালিকার শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানি হলো— ন্যাশনাল পলিমার, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, স্টাইল ক্র্যাফট, ফু-ওয়াং সিরামিকস, অ্যারামিট লিমিটেড, এএমসিএল (প্রাণ), আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, সায়হাম টেক্সটাইল, অলটেক্স ও ডেল্টা লাইফ।
Blog Archive
- ► 2011 (2088)