(২৭১) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে

Sunday, February 13, 2011 Unknown
usb slot      business opportunity
পুঁজিবাজারের বর্তমান নেতিবাচক পরিস্থিতির কারণে আপাতত নতুন কোম্পানির আইপিও অনুমোদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) । প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে করণীয় নির্ধারণে প্রয়োজনীয় সুপারিশমালায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে এসইসি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রেরিত চিঠিতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণে অধিক সতর্কতার সাথে এসইসিকে কাজ করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, পুঁজিবাজারের সংকট কাটাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এসইসির কাছে কয়েকটি বিষয়ে মতামত জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এরমধ্যে তারল্য সংকট, অতি মূল্যায়ন রোধ, কারসাজিকারকদের শনাক্তকরণসহ বিভিন্ন বিষয় জানতে চাওয়া হয়। এসইসি তাদের সুপারিশমালায় জানিয়েছে যে, পুঁজিবাজারে বর্তমানে তারল্য সংকট চলছে। এ অবস্থায় নতুন আইপিও'র অনুমোদন দেয়া হলে তা তারল্য সংকট আরো প্রকট করে তুলবে। এ অবস্থায় আপাতত নতুন আইপিও'র অনুমোদন দেয়া বন্ধ রেখেছে এসইসি। ইতিমধ্যেই বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। তবে ফিঙ্ড প্রাইস পদ্ধতি চালু থাকলেও এ মুহূর্তে আইপিও'র আবেদনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরই ধারবাহিকতায় গত সপ্তাহে রংপুর ডেইরি এন্ড ফুড প্রডাক্টসের আইপিও ফেরত দেয়া হয়েছে। বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসলে আইপিও অনুমোদন দেয়া শুরু হবে বলে এসইসি সুপারিশে জানিয়েছে। এছাড়া পুজিবাজারের বর্তমান অবস্থায় সরকারি শেয়ার ছাড়ার বিষয়টি নতুন করে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সরকারি শেয়ার বাজারে ছাড়ার বিষয়টি বিলম্বিত হতে পারে। কারণ, এখন বাজারে সরকারি শেয়ার ছাড়া হলে প্রকৃত মূল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ইতিমধ্যেই দর পড়ে যাওয়ায় রূপালী ব্যাংকের শেয়ার অফলোড প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে তারল্য হ্রাস বৃদ্ধির বিষয়ে এসইসি কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলে তাদের সুপারিশে বলা হয়। মার্জিন ঋণ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করার জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে পৃথকভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে মার্জিন ঋণ ও আর্থিক সমন্বয় সুবিধা বন্ধের বিষয়ে এসইসি কোনো মতামত দেয়নি বলে জানা গেছে।
সুপারিশমালায় তালিকাভুক্ত কোম্পানির অতি মূল্যায়ন রোধ বিষয়ে এসইসি জানিয়েছে, কোম্পানির শেয়ারের দর ও মৌলভিত্তিতে সমন্বয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দুই স্টক এঙ্চেঞ্জকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। চিঠিতে পুঁজিবাজারে কারসাজির সাথে জড়িতদের শনাক্তকরণে এসইসির ভূমিকা বিষয়ে জানতে চাইলে এসইসি জানিয়েছে যে, কারসাজির সাথে জড়িতদের শনাক্তকরণে ইউনিফর্ম সফটওয়্যার করবে। একই সাথে পুঁজিবাজারের সার্ভিলেন্স কার্যক্রমকে আরো জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এছাড়া পুঁজিবাজারে শেয়ার লেনদেনে বিনিয়োগকারীদের অধিক সতর্ক করার জন্য নিয়মিতভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে এসইসি তাদের সুপারিশে জানিয়েছে।

(২৭০) মানুষ পাগলের মতো

Sunday, February 13, 2011 Unknown
দেশের শেয়ারবাজার এখন আর পুঁজি বিনিয়োগের বাজার নেই, হয়ে উঠেছে ‘ক্যাসিনো’ (জুয়ার আসর) USB slot মত ।
প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি business forum ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। রেহমান সোবহান আরও বলেছেন, ‘দেশের মানুষ পাগলের মতো শেয়ারবাজারে ছুটে গেছে।Business opportunity বাজারের আয়-অনুপাতের সঙ্গে যার কোনো সম্পর্ক নেই। লাভের পেছনে ছুটতে গিয়ে আজকের এই পরিণতি হয়েছে।’
সিপিডি আয়োজিত ‘প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রানীতি: ২০১১ অর্থবছরে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংলাপে সভাপতির বক্তব্যে রেহমান সোবহান আজ রোববার এসব কথা বলেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এই সংলাপের আয়োজন করা হয়।
রেহমান সোবহান বলেন, দেশে সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মধ্যে বড় ব্যবধান আছে। দেশের মানুষের কাছে বিনিয়োগযোগ্য অতিরিক্ত অর্থ প্রকৃত বিনিয়োগে যেতে পারত পুঁজিবাজারের মাধ্যমে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বলতে যা বোঝায়, তা এখানে হচ্ছে না।
রেহমান সোবহান ব্যাখ্যা করে বলেন, সঞ্চিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে কোম্পানির লভ্যাংশ আয় করার মানসিকতা কারোর নেই। সবাই ছুটছে অতি দ্রুত শেয়ার বেচাকেনা করে লাভ পাওয়ার পেছনে। প্রাথমিক শেয়ারও (আইপিও) অতি মূল্যায়িত হয়ে বাজারে এসেছে, এটা কাঙ্ক্ষিত হতে পারে না।
সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিসহায়ক। মুদ্রানীতি আমাদের নিজস্ব, আমরা এর মালিক। এটা স্বদেশি মুদ্রানীতি, আমরা এর কৌশলগত পরিকল্পনা করে তৈরি করেছি।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (এফএও) জানুয়ারি মাসে খাদ্যমূল্যের যে সূচক প্রকাশ করেছে, তা এযাবত্কালের মধ্যে সর্বোচ্চ। আবার বর্তমানে বাংলাদেশের মুদ্রা টাকার মূল্যমান কমতির দিকে। ফলে বাড়বে আমদানি-ব্যয়। এ রকম পরিস্থিতিতে গড় মূল্যস্ফীতির হার ৭ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে মনে হয় না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যেকোনো আর্থিক সংকটের পেছনেই একটা বুদ্বুদ বা বাবলস থাকে—হোক তা ঋণবাজার কিংবা শেয়ারবাজার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে শেয়ারবাজারে এক ধরনের বাবলস দেখা গেছে। আমার ভয় হয়, এই বাবলস গোটা আর্থিক খাতেই না ছড়িয়ে পড়ে।’
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান অর্থনীতির ওপর সংস্থার বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সাম্প্রতিক যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাতে শিগগির মূল্যস্ফীতির চাপ কমে আসার কোনো সম্ভাবনা দেখা যায় না।

(২৬৯) নীতিনির্ধারকদের মুখ থেকে

Sunday, February 13, 2011 Unknown
সপ্তাহের শেষ দিনে এসে সরকার ২১টি রাষ্ট্রায়ত্ত USB SLOT কোম্পানির শেয়ার ছাড়ার দিনক্ষণ নতুনভাবে বেঁধে দিয়েছে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কোনো কোম্পানি আসতে ব্যর্থ হলে সেসব কোম্পানির প্রধানদের পদত্যাগ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
শেয়ার ছাড়ার এ উদ্যোগকে বাজার BUSINESS FORUM বিশ্লেষকেরা স্বাগত জানালেও সিদ্ধান্তটি সময়মতো কতখানি বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে দ্বিধা রয়ে গেছে।
এমনকি এ সিদ্ধান্ত কতটুকু সময়োচিত হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তাঁরা বলছেন, বাজার এমনতিই তারল্যসংকটে ভুগছে। এ অবস্থায় জোগানের চেয়ে চাহিদা সৃষ্টি করা বেশি জরুরি। তাই চাহিদা না বাড়িয়ে জোগান বাড়ানো হলে বাজার নতুন করে চাপে পড়তে পারে।
সরকারি কোম্পানিগুলোর শেয়ার কম দামে কাউকে পাইয়ে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতেই এ সময় বেছে নেওয়া হয়েছে কি না, সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
তবে ভিন্ন বক্তব্যও রয়েছে। বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, সরকারের শেয়ার এলে বাজারে নতুন গতি সঞ্চার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, এসব শেয়ার নতুন অনেক বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করবে।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আহমেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, এসব শেয়ার বিক্রির সময় অতিমূল্য আশা করা সরকারের ঠিক হবে না। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী শেয়ার বিক্রি অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ, থেমে থেমে বিক্রির উদ্যোগ বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এতে বিদ্যমান সরকারি কোম্পানিগুলোর শেয়ারধারীরা তো ক্ষতিগ্রস্ত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কম দামে পেলে তারা তো নতুন করে কিনে গড় মূল্য কমিয়ে আনার সুযোগ পাবে। যেহেতু সরকারি কোম্পানিগুলোর আয় তুলনামূলক ভালো, তাই বলা যায়, শেষ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরাই লাভবান হবেন।
এদিকে গত সপ্তাহেই টানা দরপতনের মধ্যে একটু আশার আলো হয়ে দেখা দিয়েছিল গত মঙ্গলবার বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে।
এদিন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাজার শিগগিরই স্থিতিশীল হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
তাঁর এ ইঙ্গিতের ভিত্তি কী, তা পরিষ্কার না হলেও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কথাটির ওপর আস্থা রেখেছিলেন। সেদিনের মূল্যসূচকে মূলত এরই প্রভাব পড়েছিল।
কিন্তু কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে একই মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন ভিন্ন কথা। তাঁর মতে, সূচক তিন-চার হাজার পয়েন্টের ঘরে নামলে অনেক বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যদিও তাঁর এ বক্তব্যের সঙ্গে বাজার বিশ্লেষকদের কেউই একমত নন।
তার পরও বক্তব্যটি বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ফাটল ধরাতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সরকারের নীতিনির্ধারকদের মুখ থেকে দুই ধরনের বক্তব্য আসায় বিনিয়োগকারীরা কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। টানা দরপতনে যখন পুরো বাজার আস্থার সংকটে ভুগছে, তখন এ ধরনের বক্তব্য বাজার সম্পর্কে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন করে দ্বিধায় ফেলে দেয় তাঁদের।
এ কারণে যেসব বিনিয়োগকারী অব্যাহত দরপতনে শেয়ারের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে চলে এসেছে বলে বিনিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তাঁরা আবার হাত গুটিয়ে ফেলেন। ফলে গত সপ্তাহের শেষ দুই দিন মূল্যসূচক কমার সঙ্গে সঙ্গে শেয়ারের লেনদেনও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।

(২৬৮) অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ

Sunday, February 13, 2011 Unknown
business opportunity প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের অব্যাহত দরপতনে দুপুর ১২টার দিকে বিনিয়োগকারীরা একযোগে ব্রোকারেজ হাউস থেকে বের হয়ে বরিশালের প্রধান সড়কে জড়ো হন। এরপর usb slot মিছিল করে আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় তাঁরা অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেন। একপর্যায়ে তাঁরা সড়কে খড়কুটো স্তূপ করে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।
উত্তেজিত বিনিয়োগকারীরা একটি ব্রোকারেজ হাউস আইসিবির ক্যাশ কাউন্টারে চেয়ার ছুড়ে গ্লাস ভাঙচুর করেন। এ সময় সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিনিয়োগকারীরা একটি টেম্পো ভাঙচুর করেন। পুলিশ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় ৪৫ মিনিট সদর রোড এলাকায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। পাশাপাশি সব দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বরিশাল আইসিবির শাখা ব্যবস্থাপক গিয়াসউদ্দিন জানান, ১২টা ১০ মিনিটে বিনিয়োগকারীরা একযোগে ব্রোকারেজ হাউসের মধ্যেই হইচই শুরু করেন এবং কাউন্টারের গ্লাস ভাঙচুর করেন।

(২৬৭) অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ অব্যাহত

Sunday, February 13, 2011 Unknown
business forum
ব্যাপক দরপতনে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচকের পাশাপাশি usb slot কমেছে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এ মুহূর্তে মতিঝিল এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বরিশালে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা ভাঙচুর করেছেন।
সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবসে আজ রোববার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে সব প্রতিষ্ঠানের দাম কমে যায়। ডিএসইর ইতিহাসে এই প্রথম একসঙ্গে সব প্রতিষ্ঠানের দাম কমে যায়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সাধারণ মূল্যসূচক ৩০০ পয়েন্টের বেশি কমে গেলে বিনিয়োগকারীরা ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় মধুমিতা ভবনসহ কয়েকটি ভবন থেকে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। এতে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রথম বিনিয়োগকারীরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ এ সময় বিক্ষোভে কোনো বাধা দেয়নি।
আজ ডিএসইতে সাধারণ মূল্যসূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সূচক কমার গতি আরও বেড়ে যায়। একই সঙ্গে কমে যায় প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দামও।
আজ ডিএসইতে সাধারণ মূল্যসূচক ৪৭৪.৭৭ পয়েন্ট কমে ৬,০৫২ পয়েন্টে দাঁড়ায়। আজ লেনদেনের পাঁচ মিনিটের মাথায় সাধারণ সূচক ৩৬ পয়েন্ট কমে যায়। এর মাত্র চার মিনিট পরই সূচক কমে যায় ১৭৪ পয়েন্ট। এর পর থেকে আরও দ্রুত সূচক পড়ার হার বাড়তে থাকে। বেলা আড়াইটার দিকে সাধারণ সূচক ৫০১ পয়েন্টের বেশি কমে যায়। এভাবেই চলে ডিএসইতে সূচক পতনের লড়াই।
আজ মোট লেনদেন হয়েছে ২৫৫টি প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে বেড়েছে পাঁচটির, কমেছে ২৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। মোট লেনদেন হয়েছে ৭১৫ কোটি টাকার।
গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে সাধারণ মূল্যসূচক ১৪৬.২২ পয়েন্ট কমে ৬,৫২৭.১৯ পয়েন্টে দাঁড়ায়। ডিএসইতে ২৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়। এর মধ্যে দাম বাড়ে ১৭টির এবং কমে ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানের। স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ৫৬৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়।
বরিশাল: দরপতনের ফলে বরিশালে আজ দুপুর ১২টার দিকে বিনিয়োগকারীরা সড়ক অবরোধ, টেম্পো ও ব্রোকারেজ হাউস ভাঙচুর করেছেন।

(২৬৬) আগামী সাত দিন

Sunday, February 13, 2011 Unknown
usb slot  সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দরপতনে বিক্ষোভ শুরু করেছে বিনিয়োগকারীরা।


আগামী সাত দিনের মধ্যে পুঁজিবাজার পরিস্থিতি ভালো না হলে হরতালসহ বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে তারা।


বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা এ হুমকি দেয়। এসময় তারা ব্যাংকিং খাতের বিনিয়োগ বাড়ানোরও দাবি জানায়।


রাজধানীর মধুমিতা সিনেমা হলের সামনের রাস্তা অবরোধ করেছে তারা। কয়েকজন বিনিয়োগকারী হাতে ঝাড়– নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন ‘জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো আগুন জ্বালো, ডিএসইর গদিতে আগুন জ্বালো।’


বিক্ষোভকারীরা পুঁজিবাজারের কুচক্রি মহলকে চিহ্নিত এবং অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন।


বিক্ষোভের কারণে রাস্তার দু’পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।


মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও নিক্ষেপ করা হয়।


লেনদেনের দ’ঘণ্টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৩১২.৬৯ পয়েন্ট কমেছে। এসময় এক লাখ ১৫ হাজার ৮৯৪টি শেয়ার লেনদেন হয়। যার মোট মূল্য ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৮ টাকা।


দুপুর ১টা পর্যন্ত লেনদেন হওয়া ২৫১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৭টির। কমেছে ২৩৮টি কোম্পানির দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে ৬টি কোম্পানির দাম।


পুঁজিবাজারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা নেই। বোকারেজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতও তেমন নেই।


গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে চারদিনই পুঁজিবাজারে দরপতন হয়। গড়ে সাধারণ সূচক কমে ৫৯৮ পয়েন্ট।


এদিকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিনেয়োগকারীদের বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।



(২৬৫) হাতবদল হয়

Sunday, February 13, 2011 Unknown
সপ্তাহের শুরুর দিনের প্রথম usb slot ভাগেই ব্যাপক দরপতন হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। কমেছে প্রায় সব শেয়ারের দাম। আর এতে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ শুরু করায় মতিঝিলে ডিএসইর সামনের রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। রোববার লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাধারণ সূচক পড়তে থাকে। প্রথম ঘণ্টায় সে ধারা অব্যাহত ছিলো।


দুপুর ১২টা ২ মিনিটে সাধারণ সূচক ২৮৩ পয়েন্ট কমে ৬২৪৪ দশমিক ১২ এ দাঁড়ায়। এরপর দর কিছুটা চড়লেও পরেই আবার শুরু হয় পতন।


দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে সাধারণ সূচক ৬২৩০ দশমিক ৯৩ এ দাঁড়ায়, যা দিনের শুরুর চেয়ে ২৯৬ পয়েন্ট কম।


ওই সময় পর্যন্ত লেনদেন হওয়া ২৩৭টি শেয়ারের দামই কমেছে, বেড়েছে ৬টির। ৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিলো।


তখন পর্যন্ত ৩৩৫ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়।


ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় ব্যাপক দরপতনের পর সোয়া ১২টার দিকে বিভিন্ন ব্রোকারেস হাউজে অবস্থানকারী বিনিয়োগকারীরা ভবনের ভেতর থেকেই বিক্ষোভ শুরু করে।


মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে আগে থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিলো। বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন ভবনের ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ঢিল ছোড়া শুরু করে।


সাড়ে ১২টার পর বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা নেমে আসে রাস্তায়। তারা মিছিল শুরু করেছে। প্রথমে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। তবে তারপরও মিছিল চলছে।


ঢিল ছোড়াছুড়ির পর দুপুর সোয়া ১২টায়ই শাপলা চত্বর থেকে আর কে মিশন রোড পর্যন্ত সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।


গত সপ্তাহের শেষ দিনে শুরুতে দর চড়লেও দিন শেষে সূচকের ১৪৬ দশমিক ২১ পয়েন্ট কমে। দরপতনের পর বুধবার বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা মতিঝিল থেকে আর কে মিশন রোড পর্যন্ত সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে।



(২৬৪) বন্ধ হয়ে যায়

Sunday, February 13, 2011 Unknown
বড় ধরনের দরপতনে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে আজ রোববার সাধারণ মূল্যসূচক ৩০০ পয়েন্টের বেশি কমে গেলে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিনিয়োগকারীরা usb slot ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করেন। তাঁরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে ডিএসইর সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া করে তাঁদের সরিয়ে দেয়। এ সময় ডিএসইর পাশের কিছু বিল্ডিং থেকে বিনিয়োগকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আজ ডিএসইতে সাধারণ মূল্যসূচক কমার মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় সূচক কমার গতি আরও বেড়ে যায়। একই সঙ্গে কমে যায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দামও।
দুপুর ১২টা ১১ মিনিটের দিকে সাধারণ সূচক ৩১৪ পয়েন্ট কমে ৬,২১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনের পাঁচ মিনিটের মাথায় সাধারণ সূচক ৩৬ পয়েন্ট কমে যায়। এর মাত্র চার মিনিট পরই সূচক কমে যায় ১৭৪ পয়েন্ট। এর পর থেকে সূচক পড়ার হার আরও দ্রুত হয়। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টা শেষে সূচক ৩১৪ পয়েন্ট কমে যায়। পরে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় মোট লেনদেন হয়েছে ২৪২টি প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে বেড়েছে একটির, কমেছে ২৩৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে সাতটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। মোট লেনদেন হয়েছে ২৪২ কোটি টাকার।
গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে সাধারণ মূল্যসূচক ১৪৬.২২ পয়েন্ট কমে ৬,৫২৭.১৯ পয়েন্টে দাঁড়ায়। ডিএসইতে ২৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়। এর মধ্যে দাম বাড়ে ১৭টির এবং কমে ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানের। স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ৫৬৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

(২৬৩) বলার অধিকার আমারও নেই

Sunday, February 13, 2011 Unknown
শেয়ারবাজার usb slot নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আহম মোস্তফা কামালের (লোটাস কামাল) সমালোচনা করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে ছাড়া সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ সমালোচনা করেন। শেয়ারবাজার নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে মঙ্গলবার লোটাস কামালের দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটার তার নিজস্ব মত।’


শেয়ারবাজারের ইনডেক্সসহ অন্যান্য কিছু বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদীয় কমিটির কাজ সুপারিশ দেওয়া, এটা মানা বা না মানার ব্যাপার আমার।’ লোটাস কামালের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো কখনো বলিনি যে শেয়ারবাজারের ইনডেক্স কত হবে। এটা বলার অধিকার আমারও নেই।’

Blog Archive