রোজায় লাগামহীনভাবে সবজির দাম বাড়লেও ঈদের পর কিছুটা কমেছে। কিন্তু আমিষের বাজার- মুরগি, মাছ, গরু ও খাসির মাংসের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই।
(১৭৬৯) কে চায় কার কাছে???????!
শেয়ারবাজার :::: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চার রাজ্যে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন এর মুখ্যমন্ত্রীরা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরসঙ্গী হয়ে ঢাকায় এসে একটি মধাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তারা।
রাজ্যগুলোতে বিনিয়োগের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন তারা।
এরা হচ্ছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এবং মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলা।
বুধবার হোটেল সোনারগাওয়ের বলরুমে বাংলাদেশ ফেডারেশন অব চেম্বারস অ্যান্ড কমার্স (এফবিসিসিআই) এর আয়োজনে ওই মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন ভারতীয় ব্যাবসায়ী প্রতিনিধি ও বাংলদেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান এতে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট একে আজাদ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ভারতীয় রাজ্য প্রধানরা বলেন, বাংলাদেশে এই আলোচনা ভারতের উত্তর পূর্বে ব্যবসা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রাখবে।
এসময় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশের সহযোগিতা ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পালাটানা পর্যন্ত নেওয়া সম্ভব হতো না।
তিনি ওই কেন্দ্রে যে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে তার মধ্যে থেকে ১০০ মেগাওয়াট বাংলাদেশকে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ পেলে এসব রাজ্যে বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে পারবে এমন কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান।
(১৭৬৮) কেয়া কস, মুন্নু সির, মুন্নু জু ও এইমস ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
শেয়ারবাজার :::: রেকর্ড ডেটের কারণে বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি ও এক মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন স্থগিত থাকবে। কোম্পানিগুলো ও মিউচুয়াল ফান্ডটি হলো- কেয়া কসমেটিকস, মুন্নু সিরামিক, মুন্নু জুটেক্স ও এইমস ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে বুধবার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন স্থগিত থাকবে মুন্নু জুটেক্স ও মুন্নু সিরামিকসের।
(১৭৬৭) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার
শেয়ারবাজার :::: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার লেনদেনের শেষ ঘণ্টার চমকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে। আগের দিন মঙ্গলবারের মতো ঠিক একইরকমভাবে সূচক বেড়ে এদিনও লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেনের প্রথম পৌনে একঘণ্টা সূচক দ্রুত ওঠানামা করলেও পরে পড়তে থাকে।
লেনদেনের প্রথম ২০ মিনিটে ডিএসইর সূচক আগের দিনের চেয়ে ২০ পয়েন্টের মতো বাড়ে। তবে ১১ টা ২৭ মিনিটে আগের দিনের চেয়ে ২০ পয়েন্ট পড়ে যায়। দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত সূচক পড়ার এ গতি অব্যাহত থাকে। এরপর সোয়া ১২ টা থেকে ১২ টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত বাড়ার পর আবার কমতে থাকে যা পৌনে ২ টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এরপর দুপুর পৌনে ২ টা থেকে হঠাৎ দ্রুত বাড়তে থাকে সূচক। যা দিনের লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় দুপুর ২টা ৩৩ মিনিট পর্যন্ত সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে উঠে আসে ৬ হাজার ১০০ পয়েন্টে। যা দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ১০২ পয়েন্টে স্থির হয়। অন্যদিকে সিএসইর সূচক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে উঠে যায় ১১ হাজার ৫৮ পয়েন্টে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইর সূচক কমে ৩০ ও সিএসইর ৫০ পয়েন্ট। আধঘণ্টা শেষে ডিএসইর সূচক কমেছিল ২১ ও সিএসইর ১৯ পয়েন্ট।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয় ২৫৩টি প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে ১৬৪টির দাম বেড়েছে, ৭৬টির কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে বাকি ১৩টি প্রতিষ্ঠানের দাম।
একই সঙ্গে ডিএসইর সাধারণ সূচক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে উঠে যায় ৬ হাজার ১০২ পয়েন্টে।
মোট লেনদেন হয়েছে ৩০৮ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
অন্যদিকে, সিএসইতে ১৬৭টি কোম্পানির লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১১০টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, ৪৭টির কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির দাম।
পাশাপাশি সিএসইর সাধারণ সূচক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৫৮ পয়েন্টে।
মোট লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
(১৭৬৬) জমা পড়া প্রায় শতাধিক আবেদনের একটিও যাচাই করা হচ্ছে না
শেয়ারবাজার :::: বর্তমানে যেহেতু নতুন করে কোনও ব্যাংক খোলার অনুমতি দেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না বাংলাদেশ ব্যাংক, তাই জমা পড়া প্রায় শতাধিক আবেদনের একটিও যাচাই করা হচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা সরকারের পক্ষ থেকে নতুন ব্যাংক প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হলেই কেবল আবেদন পত্র যাচাই করে যোগ্যদের ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হবে।
এ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন ব্যাংক দেওয়া নিয়ে কাজ শুরু করেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধিকাংশ কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে। কিন্তু নিরূপায় হলেও ব্যাংকের লাইসেন্স প্রদানে কাজ করতে হবে তাদের।
(১৭৬৫) অভিজ্ঞ ব্যাংকাররা বলছেন
শেয়ারবাজার :::: অভিজ্ঞ ব্যাংকাররা বলছেন, এই মুহূর্তে নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার কোনও যৌক্তিক কারণ নেই। এখন নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হলে সেটি হবে রাজনৈকি কারণ। এটি হবে কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করা। এতে দেশের অর্থনীতিতে একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন, বেসরকারি, বিশেষায়িত এবং বিদেশি মিলিয়ে মোট ৪৭টি ব্যাংক রয়েছে।
এসব ব্যাংকের সারা দেশে মোট ৭ হাজার ৭১২টি ব্রাঞ্চ রয়েছে। এর মধ্যে আবার শহরমুখী রয়েছে ৩ হাজার ২৯২টি এবং পল্লী অঞ্চলে রয়েছে ৪ হাজার ৪৩০টি শাখা।
ব্যাংকগুলোর নতুন ব্যাংক অনুমোদনের বিষয় অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবু আহমদ বলেন,‘নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হলে ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে।’
তবে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার।
তিনি বাংলাদেশ বলেন, ‘শহরভিত্তিক আরও ৫ থেকে ১০টি ব্যাংক স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া উচিত। কারণ ২০০১ সালের পর নতুন করে ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।’
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভৌগোলিক অবস্থান ও দেশের মানুষের ব্যাংকিং করার চাহিদা বিবেচনা করেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ নতুন ব্যাংক খোলার অনুমতি প্রদান করে।
এ ক্ষেত্রে নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্টদের মানসিকতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা, মিশন, ভিশন এবং সর্বোপরি দেশের স্বার্থে কতটুকু কাজ করবে সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা হয়।
এর পাশাপাশি ব্যাংক খোলার পরে যাতে ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে সে বিষয়েও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
(১৭৬৪) ওই বৈঠকের
শেয়ারবাজার :::: বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ওই সময়ে উত্তরা ও পূবালী ব্যাংক মিলিয়ে মোট ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
এরপর ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বেসরকারি খাতে মোট ৮টি ব্যাংকের সনদ প্রদান করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মোট ১৩ বাণিজ্যিক ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়।
এরপর আর কোনও নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।
২০০১ সালের পর থেকে নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে মোট ১৬৫টি আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু এসব আবেদন নতুন ব্যাংক নেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী আবেদন করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, তফসিলি ব্যাংক (যেসব ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করে) রয়েছে মোট ৪৭টি। বিদ্যমান দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতিতে ৪৭টি ব্যাংকই যথেষ্ট। এখানে আর নতুন ব্যাংকের কোনও প্রয়োজন নেই। নতুন ব্যাংক হলে ব্যাংকিং খাতে এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ী বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অধিকাংশ কর্মকর্তাদের আপত্তির পরেও সরকারের পক্ষ থেকে নতুন ৫টি ব্যাংকের লাইসেন্স প্রদান করা হতে পারে।
তবে নতুন ব্যাংকের অনুমোধন দেওয়া নিয়ে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া না দেওয়ার বিষয় নিয়ে ওই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান ওই বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন।
(১৭৬৩) আরও উন্নত মানের সেবা
শেয়ারবাজার :::: রাজনৈতিক ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরনো ব্যাংকের সঙ্গে নতুন ব্যাংক যোগ হলে গ্রাহকরা আরও উন্নত মানের সেবা পাবেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. জাহাঙ্গীর আলম নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।’
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসর পর থেকেই ব্যাংকিং খাতের উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ শুরু করা হয়েছে।
সরকারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতকে তুলে ধরার লক্ষ্যে অনলাইন, অটোমেশন, গিনণ ব্যাংকিংসহ উন্নত ও আধুনিক ব্যাংকিং করার জন্যে সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
ফলে বিশ্ব মন্দার পরেও দেশের অর্থনীতি তথা ব্যাংকিং খাতের ওপর তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। বরং অন্যান্য বছরের তুলায় ব্যাংকের মুনাফার পরিমাণ অনেকাংশে বৃদ্ধি পয়েছে।
শতভাগ মুনাফাভিত্তিক ব্যাংক ব্যবসার সফলতা দেখে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও নতুনভাবে ব্যাংক ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। সরকারের শীর্ষ মহল থেকে তারা সব ধরনের যোগাযোগ শুরু করে ব্যাংকের লাইসেন্স নেওয়ার জন্যে। শুরু করেছেন তদ্বিরও।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স প্রদান না করলেও এরই মধ্যে দুয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তি ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করেছেন।
(১৭৬২) সরকারের শীর্ষ মহল ও বাংলাদেশ ব্যাংক
শেয়ারবাজার :::: নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে সরকারের শীর্ষ মহল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে ঠাণ্ডা বিরোধ চলছে। সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের খুশি করার লক্ষ্যে নতুন করে বাণিজ্যিক ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ার জন্যে জোর চেষ্টা করা হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় অধিকাংশ কর্মকর্তারা এর বিরোধী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের সামগ্রিক আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করলে নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া ঠিক হবে না।
কারণ হিসাবে তারা বলছেন, এতে ব্যাংকগুলোর মধ্যে অসম প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। বৃদ্ধি পাবে বিভিন্ন ধরনের চার্জ আদায়ের আওতাও।
পাশাপাশি ডিপোজিট সঙ্কটে ভুগবে একাধিক ব্যাংক।
(১৭৬১) ইউরোপের ঋণ সংকট USA SHARE
শেয়ারবাজার :::: ইউরোপের ঋণ সংকট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পরায় সে দেশের শেয়ারবাজারে মঙ্গলবার আবারও ধস নেমেছে।
ডো জোন্স ইন্ডাস্ট্রির শেয়ারের দাম গড়ে ১০০.৯৬ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ১শ’ ৩৯ দশমিক ৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ব্রডার এস অ্যান্ড অ্যাম্প পি ৫০০ এর দাম ৮ দশমিক ৭৩ (০ দশমিক ৭৪ শতাংশ) পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১শ’ ৬৫ দশমিক ২৪ পয়েন্টে এবং নাসডাকের শেয়ার ৬ দশমিক ৫০ পয়েন্ট (০ দশমিক ২৬ শতাংশ) কমে ২ হাজার ৪শ’ ৭৩ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
ব্যাংক অব আমেরিকার শেয়ার ৩.৬ শতাংশ, জেপি মর্গান চেজ ৩.৪ শতাংশ এবং সিটি গ্রুপের শেয়ারে ২.৫ শতাংশ দরপতন হয়েছে।
তবে বন্ডের দাম কিছুটা বাড়লেও তা গত সপ্তাহের দামে এসে দাঁড়িয়েছে।
দরপতন প্রসঙ্গে ওয়েডবুশ মর্গান সিকিউরিটিসের ম্যানিজিং ডিরেক্টর মাইকেল জেমস বলেন, দিনের শুরুতে মন্দা অবস্থার মধ্যেও তথ্য প্রযুক্তি খাতের শেয়ারের প্রাধান্য ছিল। তাই বাজারের এ অবস্থাকে তিনি গভীর জলের মাছ বলে আখ্যা দেন।
(১৭৬০) পববর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে
শেয়ারবাজার :::: আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন থেকে (বড় অংকের ঋণ) বৃহদাংক ঋণের তথ্য তিন মাস অন্তর পববর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের এক সাকুর্লারে মঙ্গলবার এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তার মোট মূলধনের (পরিশোধিত মূলধন ও রিজার্ভ) ১৫ শতাংশের বেশি ঋণ দেয়, তবে তা বড় ঋণ হিসেবে গণ্য হবে। এবং ঋণ হিসাবায়নে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সব ধরনের ঋণ বিবেচনায় আনতে হবে।
নিদের্শনায় বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এসব ঋণের তথ্য তিন মাস পর পরের মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে জমা দিতে হবে।
(১৭৫৯) যমুনা ব্যাংক
শেয়ারবাজার :::: যমুনা ব্যাংকের অন্যতম উদ্যোক্তা নওশীন লায়লা বুলু জানিয়েছেন, তিনি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে দুই লাখ শেয়ার বিক্রি করেছেন।
(১৭৫৮) ফেডারেল ইনস্যুরেন্সের
ফেডারেল ইনস্যুরেন্সের অন্যতম উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আবদুল খালেক জানিয়েছেন, তিনি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ৬০ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছেন।
(১৭৫৭) এনসিসি ব্যাংকে
শেয়ারবাজার :::: এনসিসি ব্যাংকের অন্যতম উদ্যোক্তা আসলাম-উল-করিম জানিয়েছেন, তিনি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ৫০ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছেন।
(১৭৫৬) ব্যাংক এশিয়া
শেয়ারবাজার :::: ব্যাংক এশিয়ার অন্যতম করপোরেট উদ্যোক্তা মোস্তফা স্টিল গ্যালভানাইজিং জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ব্যাংকটির ৪০ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছেন। সূত্র: ডিএসই ওয়েবসাইট।
(১৭৫৫) টাকা খরচ হয়নি যাদের
যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অর্থ ব্যয় করতে পারেনি, সেগুলো হলো: পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়: পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ; সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ বিভাগ (আইএমইডি); গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; কৃষি মন্ত্রণালয়; বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; তথ্য মন্ত্রণালয়;, শিল্প মন্ত্রণালয়; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; নৌ মন্ত্রণালয়; পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়; ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়; বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়; ভূমি মন্ত্রণালয়; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়; খাদ্য বিভাগ; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়; সেতু বিভাগ; বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)।
শীর্ষ মন্ত্রণালয়গুলো নাজুক: এডিপির বরাদ্দপ্রাপ্ত শীর্ষ ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে চলতি এডিপির ৩২ হাজার ২৮২ কোটি টাকা বা ৭০ শতাংশ বরাদ্দ রয়েছে।
এর মধ্যে এ বছরের জুলাই মাসে মাত্র এক হাজার ৬০৩ কোটি টাকা খরচ করেছে এসব মন্ত্রণালয়, যা বরাদ্দের মাত্র পাঁচ শতাংশ।
গত বছরের জুলাই মাসে বাস্তবায়ন হার ছিল মাত্র তিন শতাংশ, খরচ হয়েছিল ৭৮২ কোটি টাকা।
এসব শীর্ষ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে দুটি কোনো টাকা খরচ করতে পারেনি। এগুলো হলো: সেতু বিভাগ ও কৃষি মন্ত্রণালয়। আর এক শতাংশের কম অর্থ খরচ করেছে তিনটি মন্ত্রণালয়। এগুলো হলো: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ পাঁচ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগ ১৪ শতাংশ, সড়ক ও রেলপথ বিভাগ দুই শতাংশ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এক শতাংশ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় পাঁচ শতাংশ খরচ করতে পেরেছে।
চলতি বছরের শুরুতেই এডিপি বাস্তবায়নে গতি আনতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এসব বৈঠকে অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মধ্যে প্রকল্পসমূহের দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া এ বছর এডিপিতে অর্থ বরাদ্দের সংকট থাকায় মন্ত্রণালয়গুলোকে অগ্রাধিকার প্রকল্প চিহ্নিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
(১৭৫৪) মোট ১০ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ
চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের বরাদ্দের কোনো অর্থ ব্যয় করতে পারেনি।
এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অনুকূলে মোট ১০ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর বাইরে থোক বরাদ্দের চার হাজার ৫৪১ কোটি টাকা থেকে কোনো অর্থ খরচেরও প্রয়োজন হয়নি।
গতবারও জুলাই মাসে ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কোনো টাকা খরচ করতে পারেনি।
চলতি বছরের এডিপিতে ৪৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে ৪৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
প্রতিবছরের শুরুতেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর প্রথম তিন প্রান্তিকের (জুলাই-মার্চ) জন্য অর্থ খরচের অনুমোদন দেওয়া থাকে। এ জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হয় না।
তবে এডিপির আকার অনুযায়ী বাস্তবায়ন হার কিছুটা বেড়েছে। জুলাই মাসে মাত্র এক হাজার ৬৩২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যা এডিপির চার শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল দুই শতাংশ।
প্রতিবারই অর্থবছরের শুরুর দিকে সরকারের পক্ষ থেকে এডিপি পুরোপুরি বাস্তবায়নের হাঁকডাক দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় না।
জুলাই মাসে ২৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এডিপির বরাদ্দকৃত কিছু অর্থ খরচ করতে পেরেছে। মোট ব্যয়কৃত অর্থের মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় রয়েছে এক হাজার ২০৩ কোটি টাকা আর বিদেশি সহায়তা বাবদ ৪৩০ কোটি টাকা।
আর দেশি-বিদেশি মিলিয়ে গত বছর জুলাই মাসে ৮৩৬ কোটি টাকা খরচ করেছিল মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো।
(১৭৫৩) প্রবণতা ↓↓
শেয়ারবাজার :::: দেশের পুঁজিবাজারে আজ বুধবারও নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। আড়াই ঘণ্টা শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমায় সূচকও কমেছে।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, বেলা দেড়টার দিকে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ২৬.৩০ পয়েন্ট কমে ৬০৩৯.২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
গতকালের মতো আজও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। ১৫ মিনিটের মাথায় সূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে এরপর থেকে সূচক নিম্নমুখী হয়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
এ সময়ে লেনদেন হওয়া ২৪০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের দাম। এখন পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ১৬০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ পর্যন্ত লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে—যমুনা অয়েল, ইউসিবিএল, তিতাস গ্যাস, এমআই সিমেন্ট, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো, গ্রামীণফোন, সিটি ব্যাংক ও ইউনাইটেড এয়ার।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেলা দেড়টার দিকে সিএসসিএক্স সূচক ৫৩.০২ পয়েন্ট কমে ১০৯৫৫.০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে লেনদেন হওয়া ১৪৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম, কমেছে ১১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে চারটি প্রতিষ্ঠানের দাম। এখন পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ২২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
(১৭৫২) মিউচুয়াল ফান্ড প্রসংগ
শেয়ারবাজার :::: শেয়ারবাজারের অবস্থা খারাপ, তার চেয়েও খারাপ মিউচুয়াল ফান্ডের অবস্থা। প্রতিটি মিউচুয়াল ফান্ডের মূল্য এখন NAV বা ইউনিটপ্রতি সম্পদের নিচে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ মূল্য NAV -এর ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কম। এর অর্থ হলো, আস্থাহীনতা মিউচুয়াল ফান্ড মূল্যের ওপর চলছে! এর কারণ কী? কারণ হলো, অতীত থেকে মিউচুয়াল ফান্ডকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং বড় ভুল হলো এগুলোকে শেয়ার বলে চালিয়ে দেয়া। অন্য ভুল ছিল, বাজারের লোকদের এটা বলা যে মিউচুয়াল ফান্ড নিরাপদ, এগুলো কিনলে ক্যাপিটাল লস হবে না। তৃতীয় ভুল ছিল, এগুলোকে স্পন্সরদের নামে অভিহিত করা এবং এভাবেই ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে আড়ালে রাখা। চতুর্থ ভুল, এগুলো কেনার জন্য ব্যাংকঋণের ব্যবস্থা করা। ফলে ১০ টাকার মিউচুয়াল ফান্ড বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকার ওপর; অথচ তখনো ওই মিউচুয়াল ফান্ডের NAV ছিল ১০ টাকা। মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে এত বড় ভুল বিশ্বের অন্য কোথাও হয়েছে কি না জানি না। অন্য ভুলটি ছিল মিউচুয়াল ফান্ড থেকে বোনাস-রাইট ইউনিট ইস্যু করা যায় কি না, তা নিয়ে বিতর্ক তোলা এবং সেটাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া।
মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে অনেক অস্পষ্টতা ছিল এবং এখনো আছে। তবে শেয়ারবাজার ধসের পর সবার কিছুটা হুঁশ হয়েছে বলে মনে হয়। হুঁশটা রেগুলেটর এসইসির বেশি হলে ভালো হয়। তাদের ভুলের কারণেই ১০ টাকার NAV -এর মিউচুয়াল ফান্ড ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবং মিউচুয়াল ফান্ডকে নিয়ে এক ধরনের প্লেসমেন্ট বাণিজ্য হয়েছে। ওয়ারেন বাফেটের মিউচুয়াল ফান্ড প্রিমিয়ামে সেল হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে অতি অপরিচিত অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোর মিউচুয়াল ফান্ড কীভাবে প্রিমিয়ামে বিক্রি হলো? অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মধ্যে আছে ICB AMC LTD, AIMS, RACE, LR Global, PFACMC এবং আরও কয়েকটি। মিউচুয়াল ফান্ডের কয়জন ক্রেতা এসব সম্পদ ম্যানেজমেন্টের নাম জানে? ৯৫ শতাংশ লোক জানেই না, সে যে মিউচুয়াল ফান্ডটি কিনেছে তা কোন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি বা ফান্ড ম্যানেজার ব্যবস্থা করছে। বস্তুত এসব মিউচুয়াল ফান্ডের বাজারমূল্য বা ইউনিটপ্রতি NAV কত হবে, তা নির্ভর করছে ফান্ড ম্যানেজারদের দক্ষতার ওপর। সে জন্য বিদেশে ফান্ড ম্যানেজারদের Ranking হয় এবং মিউচুয়াল ফান্ডের Rating হয়। আমাদের অর্থনীতিতে এসবের বালাই নেই। এসইসি কোনো দিনই এমন একটা রেগুলেশন জারিও করেনি। অন্য বিষয়টি হলো, আমাদের এ বাজারে মিউচুয়াল ফান্ডের ক্রেতারা জানেই না যে, ফান্ড ম্যানেজার কীভাবে তার থেকে নেয় অর্থ ব্যবহার করেছে। মিউচুয়াল ফান্ডের পোর্টফলিওর ধরন ও প্রকৃতি সম্পর্কে ক্রেতা সম্পূর্ণ অন্ধকারে। ফলে সে বুঝতে পারে না কোন মিউচুয়াল ফান্ডের ভবিষ্যত্ ভালো। অন্য কথা হলো, যে সব সম্পদ ব্যবস্থাপক মানুষের কাছ থেকে ইউনিটপ্রতি ১০ টাকা নিয়ে এরই মধ্যে ২ টাকা হারিয়ে হাতে মাত্র ৮ টাকার সম্পদ নিয়ে বসে আছে, সেসব ফান্ড ম্যানেজার ম্যানেজমেন্ট ফি নেবে কেন? তাদের কি নৈতিক কোনো অধিকার আছে ১০ টাকার নিচে যেসব মিউচুয়াল ফান্ডের NAV নেমে গেছে, সেগুলো থেকে ফি নেয়ার? এসইসি এ ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। আয়েশা আকতার ফান্ড ম্যানেজারকে দিয়েছেন ১০ টাকা আর সেই ১০ টাকার মূল্য নেমে এসেছে ৮ টাকায়। এই হয়রানিটা কার দোষে হলো? তার পরও আয়েশা কেন ফান্ড ম্যানেজারকে ম্যানেজমেন্ট ফি দেবেন? একটা রেগুলেশন এমন হতে পারে যে, NAV ১০ টাকায় আসা পর্যন্ত কোনো রকম ম্যানেজমেন্ট ফি নেয়া যাবে না। অন্য বিষয়টি হলো, একেক ফান্ড ম্যানেজার একাধিক মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজ করছে। ধরা যাক, তার অধীন পাঁচটি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দুটির অবস্থা বড়ই খারাপ, তিনটির অবস্থা ভালো। এখন যদি সে অন্তে মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে বেচাকেনা করে ভালো তিনটির বিনিময়ে খারাপ দুটিকে ভালো করে, তাহলে সেটা আইনি হবে কেন? আমি এসইসি কর্তৃক প্রকাশিত নীতিমালায় এ ব্যাপারে কোনো রেগুলেশন দেখলাম না। অন্য বিষয় হলো, সম্পদ ব্যবস্থাপকের যদি ব্যক্তিগত BO হিসাব থাকে বা তার পরিবারের লোকজনদের থাকে তাহলে এমনও তো হতে পারে যে, ব্যবস্থাপক নিজে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য মিউচুয়াল ফান্ড ও তার BO অ্যাকাউন্টের মধ্যে বেচাকেনা করল। এটাকে বলা হয় স্বার্থের সংঘাত। স্বার্থের সংঘাত যেখানেই আছে, সেখানেই রেগুলেটর এসইসি প্লেয়ারকে যেকোনো একটা কাজ করতে দেয়। প্রকাশিত মিউচুয়াল ফান্ড নীতিমালায় আমি এ ক্ষেত্রেও কোনো রকম বিধিনিষেধ দেখলাম না।
এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, আমাদের এসইসি যতটা গুরুত্বের সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ডের উত্সগুলোকে দেখা দরকার সেটা দেখছে না। একদিন দেখা যাবে, মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে বড় রকমের কেলেঙ্কারি হচ্ছে। ৯৯ শতাংশ মিউচুয়াল ফান্ড ক্রেতা এটাও জানে না, ফান্ড ম্যানেজারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অন্য অভিজ্ঞতা এবং তাদের চরিত্রগত অবস্থান কী। এসইসির দায়িত্ব, তাদের ব্যাপারে জনগণকে জানতে দেয়া বাধ্যতামূলক করা।
যুক্তরাষ্ট্রের লোকেরা ওয়ারেন বাফেটকে যত সহজে অর্থ দেবে তাদের ফান্ড ম্যানেজ করার জন্য, ওয়ালস্ট্রিটের অন্য একজন টম-ডিক-হ্যারিকে কি না জেনে অর্থ দেবে? আমাদের বাজারে আমরা কেউ কিছু না জেনে যেমন শেয়ার কিনছি, তেমনি তার থেকে ঘোর বেশি অন্ধকারে থেকে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো কিনছি। মিউচুয়াল ফান্ড থেকে প্রাপ্ত মুনাফা করমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ মিউচুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশের ওপর কর বসালে সেটা ডাবল ট্যাক্সসেশনের সমতুল্য হবে। এসইসির উচিত হবে, AMC -কে নতুন লাইসেন্স দিলে অত্যন্ত ভেবেচিন্তে দেয়া। এমনকি ট্রাস্টি বোর্ডকে অনুমোদন দিতেও অনেক যাচাই-বাচাই করতে হবে। সম্পদ ব্যবস্থাপক এবং ট্রাস্টি বোর্ড অবশ্যই সম্পূর্ণ আলাদা হতে হবে। ট্রাস্টির ক্ষমতা থাকতে হবে সম্পদ ব্যবস্থাপককে বদল করার। অন্য ইস্যু হলো, মিউচুয়াল ফান্ডগুলো হলো ক্লোজড অ্যান্ড-এর। কিন্তু ক্রেতারা জানে না কোন মিউচুয়াল ফান্ড কখন অবসায়িত হবে। এটা তো এসইসির দায়িত্ব End year টা সবাইকে জানিয়ে দেয়া। আমি এসইসিকে একটু চালাক হতে অনুরোধ করব। নইলে তারাও পুরনো এসইসির দোষে দুষ্ট হবে। শুধু অনুমোদন দেয়াই এসইসির কাজ নয়। কী অনুমোদন দেয়া হচ্ছে তা যদি এসইসি না দেখে তাহলে রেগুলেশন বলতে যা বোঝায় তার থেকে এসইসি বহু দূরেই থেকে যাবে।
(১৭৫১) চালু হওয়ার কথা ছিল
চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়েই চালু হওয়ার কথা ছিল ট্রানজিট। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে ভারতের পক্ষে সবচেয়ে বড় এজেন্ডা হিসেবে আলোচিত হয়েছে ট্রানজিট প্রসঙ্গ আর বাংলাদেশের পক্ষে আলোচিত ছিল তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির মুখে দুই সরকারপ্রধানের শীর্ষ বৈঠকের এক দিন আগে সবার কাছে মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে যায়, তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি হচ্ছে না। এরপর সোমবার রাতেই সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে ধারণা পাওয়া যায়, তিস্তার পানি না পেলে ট্রানজিট নিয়ে এগোবে না বাংলাদেশ। ঠিক তা-ই হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বৈঠকে নির্ধারিত অধিকাংশ চুক্তি হলেও ট্রানজিট বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, একটি প্রটোকল ও আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
ট্রানজিট ও তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আশাবাদী ছিলেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। কারণ ট্রানজিট বিষয়ে চুক্তি হলে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে এবং সে দেশে রফতানি বাড়বে বলে আশাবাদী ছিলেন দেশের ব্যবসায়ীরা। ট্রানজিটের ফলে বাংলাদেশে ভারতের বড় ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের সম্ভাবনাও দেখছিলেন তারা। কিন্তু এই দফায় তাদের সে আশা পূরণ হলো না।
মনমোহনের সফর নিয়ে ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহ্মাদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমরা খুবই আশাবাদী। তিস্তা ও ট্রানজিট চুক্তি সামনে অবশ্যই হবে। যেভাবে চুক্তি হলে দীর্ঘ সময় তার কার্যকারিতা থাকে, সেভাবেই চুক্তি করা উচিত।’
তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি না হওয়ায় কি ট্রানজিট চুক্তি আটকে গেছে— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি মোটেই এ রকম নয়। দুটিই বন্ধুপ্রতিম দেশ। তাড়াহুড়ো করে কোনো কিছু করা ঠিক নয়। ট্রানজিট বিষয়ে এখনো অনেক হোমওয়ার্ক বাকি আছে। ফি কত হবে, রুট কী হবে— এমন অনেক বিষয় অমীমাংসিত আছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে বলতে পারেন এগ্রিমেন্টস অব ট্রায়াল রান। আমি আশাবাদী, এক বছরের মধ্যেই ট্রানজিট ও তিস্তার পানি ভাগাভাগি বিষয়ে চুক্তি হবে।’
(১৭৫০) তিনি ১৯৮৮সালে সহকারী পরিচালক পদে বাংলাদেশ ব্যাংকে
শেয়ারবাজার :::: বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক ড. আবুল কালাম আজাদ মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি ব্যাংকের ‘কৃষি ঋণ বিভাগ’-এর মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করবেন।
পদোন্নতি পাওয়ার পূর্বে ড. আজাদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে (বিআরপিডি) র্কমরত ছিলেন। তিনি ১৯৮৮সালে সহকারী পরিচালক পদে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে যোগদান করেন।
তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক ডেপোজিট একাউন্টস বিভাগ, কৃষিঋণ পরির্দশন বিভাগ , ব্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ, হিসাব বিভাগ, এফআরটিএমডি (সাবেক আর্ন্তজাতিক বিভাগ) ডি. অফ সাইট সুপারভিশন (সাবেক ডিবিওডি), বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ, সিলেট ও বগুড়া অফিসে কর্মরত ছিলেন।
(১৭৪৯) বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন
শেয়ারবাজার :::: বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনা ও অগোছালো পরিবেশের জন্য চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
মঙ্গলবার ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকি, নির্বাহী পরিচালক এসএম মনিরুজ্জামান, উপ মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
এ সময় ড. আতিউর রহমান বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ, ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক প্রকল্প, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগ, বৈদেশিক মুদ্রা পরিচালনা বিভাগ, গবেষণা বিভাগ এবং গৃহায়ন তহবিল পরিদর্শন করেন। ওইসব বিভাগের কাজকর্মে অব্যবস্থাপনা দেখে তিনি বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে নানা অব্যবস্থাপনার জন্য মৌখিকভাবে জবাব দিতে বলেন।
তিনি ব্যাংক চত্বরের নানা অব্যবস্থপনা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালক ও মহাব্যবস্থাপককে নিয়িমিত বিভিণ্ণ বিভাগের কার্যক্রম পরিদর্শনের তাগিদ দেন। গভর্নর অনেক চেয়ার কেন ফাঁকা তা সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানদের কাছে জানতে চান।
সূত্র জানায়, এসব অব্যবস্থাপনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি জরুরি সভা ডেকেছেন। এর আগে ১৪ আগস্টের বোর্ড সভাও বিষয়টি আলোচনা হবে।
গভর্নর এ সময় বিভিন্ন বিভাগের গ্রাহকদের অনুমোদনের ফাইল কেন টেবিলে পড়ে থাকে তা জানতে চেয়ে বলেন, ‘কোনো গ্রাহকের ফাইল টেবিলে আটকে থাকতে পারবে না। যত দ্রুত তা অনুমোদন করে দিতে হবে।’
ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানসহ কোনো গ্রাহকই যাতে হয়রানির শিকার না হয় তিনি সেদিকেও খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
(১৭৪৮) চলতি মাসেই আশা জাগানিয়া
শেয়ারবাজার :::: চলতি মাসেই রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সংযোজিত পাজেরো স্পোর্টস কার বাজারজাত করার ঘোষণা দিয়ে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেছেন, এরইমধ্যে প্রগতি কারখানা পর্যায়ে পাজেরো স্পোর্টস কার সংযোজনের কাজ শেষ করেছে। পাশাপাশি আগামী বছর প্রগতি সংযোজিত সেডান কার বাজারজাত করা হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে ‘‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও দেশের পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটগুলোতে জাপান ও জার্মানির শিল্প কারখানার প্রযুক্তিগত সহায়তায় কার, বাস, পিক আপ, ট্রাক, লিফ্ট, জেনারেটর, ডিজিটাল মিটার, এসি, কম্পিউটার, মটর সাইকেলসহ ন্যূনতম ১০ টি পণ্য সংযোজন ও বিপণনের মাধ্যমে দেশে উৎপাদনমুখী শিক্ষা বিস্তার ও শিল্প বিপ্লব সংঘটন” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ শিল্প ও উন্নয়ন পরিষদ (ইওউঈ) এ সেমিনার আয়োজন করে।
একইদিন সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে এসব কথা বলা হয়।
(১৭৪৭) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা শাখা সূত্রে জানা যায়
শেয়ারবাজার :::: আগস্ট মাসে প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে ১১ কোটি ৪২ লাখ ৪৭ হাজার মার্কিন ডলার। ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিলো ৯৬ কোটি ৩৯ লাখ দুই হাজার মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা শাখা সূত্রে জানা যায়, গত জুলাই মাসে প্রবাসীরা ১০২ কোটি ৮১ লাখ ৩৬ হাজার মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিলো ৮৫ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে। এর পরিমাণ ৭৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ৫শ’ মার্কিন ডলার। আর সবচেয়ে বেশি এসেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের মাধ্যমে। এই ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছে ২৮ কোটি ৭৯ লাখ ৪৮ হাজার মার্কিন ডলার।
প্রবাসীরা সরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়েছে ৩০ কোটি ৮৪ লাখ মার্কিন ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠিয়েছে এক কোটি ৯১ হাজার মার্কিন ডলার ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়েছে ৮০ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার।
(১৭৪৬) বড় অংকের ঋণ
শেয়ারবাজার :::: আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন থেকে (বড় অংকের ঋণ) বৃহদাংক ঋণের তথ্য তিন মাস অন্তর পববর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের এক সাকুর্লারে মঙ্গলবার এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তার মোট মূলধনের (পরিশোধিত মূলধন ও রিজার্ভ) ১৫ শতাংশের বেশি ঋণ দেয়, তবে তা বড় ঋণ হিসেবে গণ্য হবে। এবং ঋণ হিসাবায়নে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সব ধরনের ঋণ বিবেচনায় আনতে হবে।
নিদের্শনায় বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এসব ঋণের তথ্য তিন মাস পর পরের মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে জমা দিতে হবে।
(১৭৪৫) ইন্না নিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
শেয়ারবাজার :::: স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের একমাত্র ছেলে ফাহিমুর রহমান সায়েম (২৫) আজ রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিন জন। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে চকরিয়ার কাছে রাত সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ফাহিমুরসহ চার জন একটি প্রাইভেট গাড়িতে করে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট অরুণ ঘটনাস্থল থেকে জানান, ওই সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। গাড়িটি চকরিয়া ছাড়িয়ে আরও দুই কিমি যাওয়ার পর বেন্দিবাজার এলাকায় একটি ব্রিজে ধাক্কা খায়। এতে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়।
জানা গেছে, উদ্ধার কাজ শুরু করতে দেরি হয়। স্থানীয় লোকজন দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে চার জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সকেরা সায়েমকে মৃত ঘোষণা করেন।
Subscribe to:
Posts (Atom)
Blog Archive
-
▼
2011
(2088)
-
▼
September
(357)
-
▼
Sep 07
(26)
- (১৭৭০) চলেন একটু কাচা বাজার থেইক্যা ঘুইরা আসি...
- (১৭৬৯) কে চায় কার কাছে???????!
- (১৭৬৮) কেয়া কস, মুন্নু সির, মুন্নু জু ও এইমস ফার্স...
- (১৭৬৭) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার
- (১৭৬৬) জমা পড়া প্রায় শতাধিক আবেদনের একটিও যাচাই কর...
- (১৭৬৫) অভিজ্ঞ ব্যাংকাররা বলছেন
- (১৭৬৪) ওই বৈঠকের
- (১৭৬৩) আরও উন্নত মানের সেবা
- (১৭৬২) সরকারের শীর্ষ মহল ও বাংলাদেশ ব্যাংক
- (১৭৬১) ইউরোপের ঋণ সংকট USA SHARE
- (১৭৬০) পববর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে
- (১৭৫৯) যমুনা ব্যাংক
- (১৭৫৮) ফেডারেল ইনস্যুরেন্সের
- (১৭৫৭) এনসিসি ব্যাংকে
- (১৭৫৬) ব্যাংক এশিয়া
- (১৭৫৫) টাকা খরচ হয়নি যাদের
- (১৭৫৪) মোট ১০ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ
- (১৭৫৩) প্রবণতা ↓↓
- (১৭৫২) মিউচুয়াল ফান্ড প্রসংগ
- (১৭৫১) চালু হওয়ার কথা ছিল
- (১৭৫০) তিনি ১৯৮৮সালে সহকারী পরিচালক পদে বাংলাদেশ ব...
- (১৭৪৯) বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন
- (১৭৪৮) চলতি মাসেই আশা জাগানিয়া
- (১৭৪৭) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা শাখা সূত্র...
- (১৭৪৬) বড় অংকের ঋণ
- (১৭৪৫) ইন্না নিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
-
▼
Sep 07
(26)
-
▼
September
(357)