দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সাধারণ মূল্যসূচক বৃদ্ধির সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে আজ মঙ্গলবার। বেলা তিনটার সময় ডিএসইর লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সাধারণ মূল্যসূচক ১০১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫১২ পয়েন্টে। এর আগে ২০০৯ সালের ১৬ নভেম্বর ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক সর্বোচ্চ ৭৬৪ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল।
গতকাল সোমবার ডিএসইতে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দরপতনের ঘটনা ঘটে। লাখ লাখ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষুব্ধ ও সহিংস প্রতিবাদ শুরু করে। এর ফলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশের প্রধান পুঁজিবাজারের লেনদেন। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে।
গতকাল বিকেলেই এসইসি, ডিএসই ও মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়ে আগে নেওয়া বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নতুন করে সমন্বয় করেন।
আজ মঙ্গলবার ডিএসইর লেনদেন আবার শুরু হলে সাধারণ মূল্যসূচক ওপরে উঠতে থাকে। প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দামও বেড়ে যায়। ডিএসই ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া মোট ২৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪৩টির এবং কমেছে তিনটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। এদিকে ডিএসইতে আজ মঙ্গলবার ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায় (সার্কিট ব্রেকার) সেগুলোর লেনদেন স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় বন্ধ হয়ে যায়। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা ছিল না বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার ঢাকা শেয়ারবাজারে মোট ৯৭৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান ছিল—বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সটেক্স, বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো সিনথেটিক লিমিটেড, এবি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, এইমস ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড ও ফার্স্ট জনতা মিউচুয়াল ফান্ড।