পপস্টার ম্যাডেনার পর এবার অ্যামান্ডা হোল্ডেনও বললেন, একজন বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতা তাকে যৌন নিপীড়ন করেছিলেন। এতদিন বিষয়টি তিনি গোপন রেখেছেন, কারণ তিনি চাননি তার স্বামী লেস ডেনিস বিষয়টা জেনে গোলমাল করুক। ৪২ বছর বয়সে এসে আত্মজীবনীতে এ কথা প্রকাশ করে দিয়েছেন অ্যামান্ডা। ব্রিটেনের ডেইলি স্টার পত্রিকা এ খবর দিয়েছে।
অ্যামান্ডা লিখেছেন, একটি অনুষ্ঠানে তিনি স্বামী ডেনিসের সঙ্গে গিয়েছিলেন। সেখানে টয়লেট থেকে বের হওয়ার পথে এক কোণায় একজন কমেডিয়ান তাকে ধরে বসেন। তিনি নাম উল্লেখ না করে বলেন, সেই অভিনেতা তাকে চুমো খাওয়ার চেষ্টা করেন এবং আপত্তিকর স্থানে হাত দেয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। অ্যামান্ডা দেখতে পান, তাদের প্রতিবিম্ব একটি আয়নায় দেখা যাচ্ছে। এতে তিনি বিমূঢ় হয়ে পড়েন। তখন অভিনেতা অন্ধের মতো পথ হাতড়াতে থাকেন এবং তার নাক টিপে দিয়ে চলে যান।
এখন অ্যামান্ডা জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান 'ব্রিটেন হ্যাজ গট ট্যালেন্টে'র বিচারক। ২০০৩ সালে তিনি ডেনিসকে ডিভোর্স দিয়ে ক্রিস হিউজকে বিয়ে করেন।
প্রথম ডেটিংয়ে কি করবেন?- What to do in First Dating
পছন্দের মেয়েটিকে নিয়ে প্রথম ডেটিংয়ে যাওয়া সহজ হতে পারে। তবে তার চেয়ে কঠিন দ্বিতীয় দিনের জন্য তাকে আগ্রহী করে তোলা। একটি মেয়েকে আপনি ভালবেসে ফেলতে পারেন। আপনার পরিকল্পনায় আছে, তাকে একদিন এক কাপ চা খাওয়াতে বা রেস্টুরেন্টে বসে লাঞ্চ করাতে নিয়ে গিয়ে মনের কথা বলবেন। ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়েও গেলেন। কিন্তু হায়! বিধি বাম। আপনার সঙ্গ যেনো মেয়েটির ভালই লাগল না। আসলে আপনার কপালের দোষ দিয়ে লাভ নেই। বরং আচার-আচরণ আর কথায় আপনার কিছু ভুল আছে। যে কারণে মেয়েটির মধ্যে দ্বিতীয় ডেটিংয়ে যাওয়ার আগ্রহ দেখতে পাবেন না।
কাজেই প্রথম দিনেই মেয়েটি তার মনের গহীনে যেনো আপনাকে স্থান দেয় তার কিছু টিপস দেয়া হল।
অস্থির চোখ দু'টোকে সুস্থির করুন: ধরে নিলাম একটি ক্যাফেতে বসেছেন দুজন। এমনিতেই মানসিকভাবে আপনি অস্থির থাকতে পারেন। এ পরিস্থিতিতে এবার চোখ দুটোকেও সামলান। কারণ মনের চেহারা দেখতে না পারলেও চোখের ভাব কিন্তু সে নিজের চোখেই দেখতে পাবে। যেমন- আপনাদের পাশ দিয়ে সুন্দরী একটি মেয়ে চলে গেলো। আপনি হা করে তার দিকে তাকিয়ে রইলেন বা এক ঝলক দৃষ্টিপাত করলেন। ব্যস, পাশে বসা মনের মানুষটি কিন্তু সব দেখে ফেলেছেন। ছেলেদের এ ধরনের আচার-আচরণের প্রতি মেয়েদের প্রখর দৃষ্টি থাকে। এক সেকেন্ডের জন্যে হলেও এ ভুলের মাসুল দিতে হবে আপনাকে। আপনার সম্পর্কে বাজে ধারনা নিয়ে সে আর পরেরবার দেখা করতে রাজি হবে না।
নম্র-ভদ্র থাকুন: বেশি মাত্রার বীরত্ব ও ঔধত্য তার কাছে আপনার পতনের কারণ হতে পারে। অন্তত প্রথম ডেটিংয়ে একেবারে নম্র-ভদ্র থাকুন। এ বিষয়ে এক হাজার মেয়ের ওপর একটি পরিসংখ্যান চালিয়ে দেখা যায়, তাদের দুই-তৃতীয়াংশ প্রেমিক হিসেবে নম্র-ভদ্র ছেলেদের পছন্দ করেন। এর মানে এই নয় যে, মেয়েটি ক্যাফেতে প্রবেশ করা মাত্র আপনার উঠে দাঁড়াতে হবে বা ঘাসের ওপর আপনার দামী জ্যাকেট বিছিয়ে তাকে বসতে দিতে হবে। সাধারণ সৌজন্য দেখান। আপনার আসতে দেরি হয়ে গেলে তাকে ফোন করে দু:খ প্রকাশ করুন। যদি একসাথে কোথাও যেতে চান তাহলে ট্যাক্সিতে ওঠার আগে দরজাটা খুলে তাকে উঠতে দিন বা রেস্টুরেন্টের দরজাটা তার জন্যে খুলে দিন, আজ এই সুন্দর বিকালটি উপহার দেয়ার জন্যে তাকে ধন্যবাদ জানান ইত্যাদি।
কথাবার্তায় সহজ-সরল থাকুন: প্রথম ডেটিংয়ের সময়টি বেশ স্পর্শকাতর। সে অন্য কোনো ছেলেকে পছন্দ করে কিনা বা তার সাবেক প্রেমিক থাকলেও তাকে নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন নেই। কারণ দেখবেন আপনার ব্যাপারেও সে জানতে চাইবে না। যদি প্রসঙ্গ এসেই পড়ে, তবে অতীতকে আপাতত উড়িয়ে দিন আজকের জন্য। জোকস বলে যেকোনো সময় বরফ গলানো যায়। কিন্তু অপরিণত বা অশ্লীল কৌতুক করা উচিত নয়। এসব না করে দুজন দুজনকে বোঝার চেষ্টা করুন। কোন বিষয়গুলোতে আপনাদের দুজনেরই মিল রয়েছে তা বের করুন। মেয়েরা ভালবাসার কথা শুনতে পছন্দ করেন। তবে এ পরিস্থিতিতে অতি ভালবাসার কথা তাকে বৈরি করে তুলতে পারে। মোদ্দাকথা, প্রথমবারের মতো দুজন ডেটিংয়ে বের হয়েছেন, হাসি-খুশি থাকুন, মজা করুন এবং ভদ্র-সভ্য কথা বলুন।
অর্থে-জ্ঞানে সেরাভাব ত্যাগ করুন: হতে পারে আপনি স্কুল-কলেজের সব কুইজ পরীক্ষায় প্রথম হতেন। এখন আপনার টাকা-পয়সাও অনেক। তাই বলে এ দুটো বিষয়ের অতি প্রকাশ ঘটানোর প্রয়োজন নেই। সবজান্তা ভাব নিয়ে চলা ছেলেদের মেয়েরা পণ্ডিত মনে করে। আর টাকার গরম দেখানোর সময় এখন নয়। কাজেই এসব আচরণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ইন্টারনেট থেকে সাকিব সিকান্দার
একা সময় কাটানোর উপায় - How to spend time lonely at Home
আপনি কি আজ বাসায় একা? তাহলে পরিকল্পনা করুন কিভাবে কাটাবেন সারা দিন। বই পড়া, ছবি আঁকা, সিনেমা দেখা- এরকম অসংখ্য প্রিয় বিষয় আছে যা আপনি একা একা বাড়িতে উপভোগ করতে পারেন।
দিনের প্রস্তুতি: যখন জানলেন, বাড়িতে আজ আপনি একা, প্রিয় কাজগুলি কিংবা বিনোদনের একটি তালিকা তৈরি করুন। এটা হতে পারে কেনাকাটায় যাওয়া, সিনেমা দেখা, বই পড়া কিংবা স্রেফ ঘুম। জেনে নিন একা একা বাসায় কিভাবে কাটাবেন:
নিজেকে দুঃচিন্তামুক্ত রাখুন: এমন দিন সব সময় আসে না যখন আপনি একা। সুতরাং সব রকম দুঃচিন্তা ঝেড়ে ফেলে দিনটি উপভোগ করুন। আপনি হয়তো বিছানায় কিংবা সোফায় হেলান দিয়ে প্রিয় কোন সিনেমা দেখছেন। এ সময়কে আরো আয়েশি করতে পাশে রাখুন দুটো বালিশ এবং কিছু হালকা শুকনো খাবার। এতে আপনার সময় আরো খুশির এবং আপনি আরো ফুরফুরে হয়ে উঠবেন।
শুনুন পছন্দের গান: পৃথিবীব্যাপী এক সুরের মায়াজাল। আপনার চারপাশজুড়ে প্রতিনিয়ত বয়ে চলেছে সুরের প্রবাহ। সুরের এই প্রবাহকে ধরতে অবিরাম সাধনা করে যাচ্ছেন সঙ্গীতজ্ঞরা। পছন্দের সঙ্গীত নির্বাচন করতে বাছাই করুন সুরপ্রধান সঙ্গীত। এ তালিকায় থাকতে পারে টপ্পা, ঠুমরি, খেয়াল-এর মত উচ্চমার্গীয় সঙ্গীত। এগুলি আপনার কাছে কেবল উপভোগ্যই হবে না- গভীর একাগ্রতায় আচ্ছন্ন করবে আপনাকে।
দেখুন ভালো সিনেমা: পরিকল্পনা করুন কোন কোন ছবিগুলি আপনি দেখতে পছন্দ করেন। আপনি হয়তো নিঃসঙ্গতা কাটাতে আপনার বন্ধু-বান্ধব বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাবেন। এটা না করে আপনি এ সময় অনলাইনে প্রিয় ছবিগুলি দেখতে পারেন কিংবা ডিভিডিও আনতে পারেন। বাংলায় সত্যজিৎ কিংবা ঋত্বিক ঘোটকের মতো চলচ্চিত্রকারের বিখ্যাত অনেক ছবি রয়েছে। এখনো তৈরি হচ্ছে অনেক শিল্পমানসমৃদ্ধ বাংলা ছবি। এসবের বাইরে জোগাড় করতে পারেন অন্য ভাষার বিখ্যাত সব চলচ্চিত্র।
পড়তে পারেন পছন্দের সব বই: বই পড়া হতে পারে একটি চমৎকার কাজ যখন বাড়িতে আপনি একা থাকবেন অথবা কেউ আপনাকে বিরক্ত করতে পারে এমন কেউ থাকবে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রিয় উপন্যাস অথবা মজার সব বই পড়ার পরিকল্পনা করতে পারেন এ সময়।
আপনার প্রেমিক মেন্টালি সিক কিনা বুঝার উপায় - How to determine a mentally sick Boy Friend
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারীরা বুঝে উঠতে পারেন না, তিনি যে ছেলেটির প্রেমে পড়েছেন বা যাঁর সঙ্গে প্রেম করছেন, সেই ছেলেটি উদাসীন প্রকৃতির বিকারগ্রস্ত (সাইকোপ্যাথ) নাকি মানসিকভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক। প্রেমিক যদি বিকারগ্রস্ত হন, তাহলে তার চেয়ে বিরক্তিকর আর কিছু নেই। এই প্রেমিকটি শেষ পর্যন্ত জীবনসঙ্গী হলে তার খেসারত দিতে হয় আজীবন। তাই চূড়ান্ত পরিণয়ের আগে যাচাই করে নিন আপনার প্রেমিক বিকারগ্রস্ত, নাকি স্বাভাবিক। টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে চারটি লক্ষণের কথা বলা হয়েছে। লক্ষণগুলো যদি আপনার প্রেমিক বা হবু প্রেমিকের মধ্যে থাকে, তাহলে ধরে নেবেন নির্ঘাত তিনি বিকারগ্রস্ত। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে বড় ধরনের বিপদে পড়ার আগে লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিন। সহমর্মিতার অভাব: আপনার সুখে-দুঃখে যদি প্রতিনিয়তই সমানভাবে আপনার প্রেমিক একাত্ম হতে না পারেন এবং সব সময় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকেন, তাহলে বুঝবেন আপনি একজন আত্মকেন্দ্রিক বিকারগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে প্রেম করছেন। বিষয়টি বোঝা মাত্রই আপনাকে সতর্ক হতে হবে। কারণ আর যা-ই হোক, আত্মকেন্দ্রিক একজন লোকের সঙ্গে নিরন্তর বিরক্তি নিয়ে প্রেম করা বা ঘর বাঁধা ‘স্বাস্থ্যকর’ নয়। কারণে-অকারণে মিথ্যে বলা: সৎ ও সত্যবাদী হওয়া যেকোনো টেকসই সম্পর্কের পূর্বশর্ত। যদি দেখেন, আপনার প্রেমিক বা হবু প্রেমিক কারণে-অকারণে অবলীলায় মিথ্যা বলে যাচ্ছেন, তখনই ধরে নেবেন এই ছেলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ভেবেচিন্তে দেখার বিষয় আছে। মনে রাখবেন, নিয়মিত মিথ্যা বলা একজন খ্যাপাটে বা বিকারগ্রস্ত মানুষেরই লক্ষণ। আর আপনার সঙ্গে মিথ্যে বলা মানে সম্পর্কের সঙ্গে প্রতারণা করা। তাঁকে একবারে বিশ্বাস না করে খুঁজে দেখুন, আপনার মতো আর অন্য কারও সঙ্গেও তাঁর প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও থাকতে পারে। বিবেকবর্জিত মানসিকতা: ধরুন, আপনাকে কথা দিয়ে আপনার প্রেমিক তা রাখতে পারেননি। কিন্তু এর জন্য তাঁর মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। আপনি কষ্ট পেয়েছেন কি না, তা নিয়ে তাঁর মাথাব্যথাও নেই; তিনি তাঁর মতোই আছেন। তাহলে বুঝবেন আপনার ব্যাপারে তিনি খুব একটা মনোযোগী নন। এমন হলে দ্রুত এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো। নির্মম রসিকতায় আসক্তি: সতর্কভাবে খেয়াল করুন, অন্য সবার বিরক্তির উদ্রেক করে কিংবা অন্যকে আহত করে, এমন কোনো নির্মম রসিকতা আপনার প্রেমিক করছেন কি না। যদি দেখেন, স্রেফ মজা করে আপনার প্রেমিক কোনো নিরীহ কাউকে পিটিয়ে কিংবা অবলা জীবজন্তুকে হত্যা বা মারধর করে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করছেন, তাহলে নিশ্চিত জানবেন আপনার প্রেমিক একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ।
Subscribe to:
Posts (Atom)
Blog Archive
- ► 2011 (2088)