USB slot Get up and go
>>> বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে একটি গুলি করেন
USB SLOT
আপনারা আমার বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে একটি গুলি করেন। আমি মরতে চাই। আমি শেষ হয়ে গেছি। এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে মরাই ভালো।’ আজ সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল ভবনের সামনে পুলিশকে লক্ষ্য করে এমন আকুতি করেন একজন বিনিয়োগকারী।
শুধু ওই বিনিয়োগকারীই নন, তাঁর মতো পুঁজি হারিয়ে আরও অনেকে এখন দিশেহারা। অনেকে শুরু করেন অস্বাভাবিক আচরণ। এক বিনিয়োগকারী সড়ক দ্বীপে থাকা একটি সাইনবোর্ড ভেঙে নিয়ে সেখানে কর্তব্যরত ক্যামেরাম্যানদের দিকে তেড়ে আসেন। এ সময় সেখানে অবস্থান করা বেশ কয়েকজন লোক তাঁর কাছ থেকে সাইনবোর্ডটি কেড়ে নেন। অনেককে আবার পুঁজি হারিয়ে কান্নাকাটি করতে দেখা যায়। অনেকে জুতা মিছিল করেন। কেউ কেউ আবার সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত ডিএসইর সামনের সড়কে আজ সারা দিনই ছিল এমন চিত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান বিরোধী দলের ডাকা হরতালের দিনে আজ কোরাম পূর্ণ হওয়ায় বেলা ১১টায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। গত দুই দিনের মতো আজও দরপতনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় লেনদেন। পাঁচ মিনিটে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ২৩৭ পয়েন্ট নেমে যায়। এরপর সূচক ঘুরে দাঁড়ালেও ১১টা ৫০ মিনিটের পর থেকে আবার পতন শুরু হয়, যা সারা দিনই অব্যাহত থাকে। তবে দুপুর একটার দিকে সূচক প্রায় ২৮০ পয়েন্ট পড়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা রাজপথে নেমে আসেন। প্রথমে সংখ্যা কম থাকলেও কিছুক্ষণের মধ্যে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস থেকে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নামেন। তাঁরা ডিএসইর সামনের সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকদফা ইট নিক্ষেপ করেন। তাঁরা অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ এসইসির চেয়ারম্যান ও ডিএসইর প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। ওই সব ব্যক্তির পদত্যাগেরও দাবি করেন তাঁরা। বেশ কিছু বিনিয়োগকারী খালি গায়ে মিছিল করেন। একপর্যায়ে কিছু বিনিয়োগকারীকে সেখানে জুতা মিছিলও বের করতে দেখা যায়। দুপুর দুইটার দিকে একদল বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারী মতিঝিলের জীবনবিমা টাওয়ারের (এসইসির কার্যালয়) নিচতলায় কাচ ভাঙচুর করেন। এ সময় চার/পাঁচটি যানও ভাঙচুর করা হয়।
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মতিঝিল শাপলা চত্বরের পাশে অবস্থিত আইএফআইসি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ডিএসই ভবনের বিপরীত পাশের জনতা ব্যাংকের অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কাচ ভাঙচুর করেন বিনিয়োগকারীরা। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে বিনিয়োগকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করেন। এ ছাড়া কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসেও ভাঙচুরের খবর পাওয়া যায়।
প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বেলা পৌনে চারটার দিকে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বাজার পরিস্থিতি: আজ দিন শেষে ডিএসইতে সাধারণ মূল্যসূচক ৩২৪ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৩৯৪ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া ২৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২টির, কমেছে ২৪১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। আজ স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ৬০৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। গতকালও স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ৪০৬ পয়েন্ট পতন হয়।
আজ ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ইউসিবিএল, গ্রামীণফোন, এনবিএল, বেক্সিমকো, তিতাস গ্যাস, এবি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ও সাইথইস্ট ব্যাংক।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) আজ দরপতন হয়েছে। সিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক আজ ৭৮৩ দশমিক ৭ পয়েন্ট কমে ১৮৪২৯ দশমিক ১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ছয়টির, কমেছে ১৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। আজ স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ৮৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
শুধু ওই বিনিয়োগকারীই নন, তাঁর মতো পুঁজি হারিয়ে আরও অনেকে এখন দিশেহারা। অনেকে শুরু করেন অস্বাভাবিক আচরণ। এক বিনিয়োগকারী সড়ক দ্বীপে থাকা একটি সাইনবোর্ড ভেঙে নিয়ে সেখানে কর্তব্যরত ক্যামেরাম্যানদের দিকে তেড়ে আসেন। এ সময় সেখানে অবস্থান করা বেশ কয়েকজন লোক তাঁর কাছ থেকে সাইনবোর্ডটি কেড়ে নেন। অনেককে আবার পুঁজি হারিয়ে কান্নাকাটি করতে দেখা যায়। অনেকে জুতা মিছিল করেন। কেউ কেউ আবার সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত ডিএসইর সামনের সড়কে আজ সারা দিনই ছিল এমন চিত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান বিরোধী দলের ডাকা হরতালের দিনে আজ কোরাম পূর্ণ হওয়ায় বেলা ১১টায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। গত দুই দিনের মতো আজও দরপতনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় লেনদেন। পাঁচ মিনিটে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ২৩৭ পয়েন্ট নেমে যায়। এরপর সূচক ঘুরে দাঁড়ালেও ১১টা ৫০ মিনিটের পর থেকে আবার পতন শুরু হয়, যা সারা দিনই অব্যাহত থাকে। তবে দুপুর একটার দিকে সূচক প্রায় ২৮০ পয়েন্ট পড়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা রাজপথে নেমে আসেন। প্রথমে সংখ্যা কম থাকলেও কিছুক্ষণের মধ্যে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস থেকে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নামেন। তাঁরা ডিএসইর সামনের সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকদফা ইট নিক্ষেপ করেন। তাঁরা অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ এসইসির চেয়ারম্যান ও ডিএসইর প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। ওই সব ব্যক্তির পদত্যাগেরও দাবি করেন তাঁরা। বেশ কিছু বিনিয়োগকারী খালি গায়ে মিছিল করেন। একপর্যায়ে কিছু বিনিয়োগকারীকে সেখানে জুতা মিছিলও বের করতে দেখা যায়। দুপুর দুইটার দিকে একদল বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারী মতিঝিলের জীবনবিমা টাওয়ারের (এসইসির কার্যালয়) নিচতলায় কাচ ভাঙচুর করেন। এ সময় চার/পাঁচটি যানও ভাঙচুর করা হয়।
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মতিঝিল শাপলা চত্বরের পাশে অবস্থিত আইএফআইসি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ডিএসই ভবনের বিপরীত পাশের জনতা ব্যাংকের অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কাচ ভাঙচুর করেন বিনিয়োগকারীরা। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে বিনিয়োগকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করেন। এ ছাড়া কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসেও ভাঙচুরের খবর পাওয়া যায়।
প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বেলা পৌনে চারটার দিকে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বাজার পরিস্থিতি: আজ দিন শেষে ডিএসইতে সাধারণ মূল্যসূচক ৩২৪ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৩৯৪ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া ২৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২টির, কমেছে ২৪১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। আজ স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ৬০৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। গতকালও স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ৪০৬ পয়েন্ট পতন হয়।
আজ ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ইউসিবিএল, গ্রামীণফোন, এনবিএল, বেক্সিমকো, তিতাস গ্যাস, এবি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ও সাইথইস্ট ব্যাংক।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) আজ দরপতন হয়েছে। সিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক আজ ৭৮৩ দশমিক ৭ পয়েন্ট কমে ১৮৪২৯ দশমিক ১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ছয়টির, কমেছে ১৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। আজ স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ৮৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
>>পাঁচ ব্রোকারেজ হাউসের বিরুদ্ধে লেনদেনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার
USB SLOT
আগ্রাসীভাবে শেয়ার বিক্রির কারণে পাঁচ ব্রোকারেজ হাউসের বিরুদ্ধে লেনদেনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
আজ সোমবার দুপুর আড়াইটায় কমিশনের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই পাঁচটি ব্রোকারেজ হাউস হলো, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক সিকিউটিরিজ লিমিটেড, অ্যালায়েন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
এসইসি সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জানুয়ারি ডিএসইতে লেনদেনের পাঁচ মিনিটের মধ্যে সাধারণ সূচক প্রায় ৬০০ পয়েন্ট পতন হয়। এতে সূচক সার্কিট ব্রেকারে পৌঁছানোয় ডিএসইতে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। ওই দিনই এসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সার্ভিল্যান্স বিভাগে গিয়ে মোট ছয়টি ব্রোকারেজ হাউসে অস্বাভাবিক শেয়ার বিক্রির তথ্য পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন ছয়টি হাউসের লেনদেন এক মাসের জন্য স্থগিত করে। একই সঙ্গে ওই ছয় হাউসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের এক মাস নিষ্ক্রিয় রাখার সিদ্ধান্ত হয়। পরে এ ঘটনা তদন্তে ছয়টি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন হয়। কমিটিগুলো তদন্ত শেষে গতকাল তাদের রিপোর্ট পেশ করে।
উল্লেখ্য, এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ নামে প্রতিষ্ঠানটিকে আগেই লেনদেনের অনুমতি দেওয়া হয়।
এসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, ওই পাঁচটি ব্রোকারেজ হাউস আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে লেনদেন শুরু করতে পারবে। শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগ্রাসীভাবে শেয়ার বিক্রির কারণে পাঁচ ব্রোকারেজ হাউসের বিরুদ্ধে লেনদেনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
আজ সোমবার দুপুর আড়াইটায় কমিশনের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই পাঁচটি ব্রোকারেজ হাউস হলো, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক সিকিউটিরিজ লিমিটেড, অ্যালায়েন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
এসইসি সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জানুয়ারি ডিএসইতে লেনদেনের পাঁচ মিনিটের মধ্যে সাধারণ সূচক প্রায় ৬০০ পয়েন্ট পতন হয়। এতে সূচক সার্কিট ব্রেকারে পৌঁছানোয় ডিএসইতে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। ওই দিনই এসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সার্ভিল্যান্স বিভাগে গিয়ে মোট ছয়টি ব্রোকারেজ হাউসে অস্বাভাবিক শেয়ার বিক্রির তথ্য পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন ছয়টি হাউসের লেনদেন এক মাসের জন্য স্থগিত করে। একই সঙ্গে ওই ছয় হাউসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের এক মাস নিষ্ক্রিয় রাখার সিদ্ধান্ত হয়। পরে এ ঘটনা তদন্তে ছয়টি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন হয়। কমিটিগুলো তদন্ত শেষে গতকাল তাদের রিপোর্ট পেশ করে।
উল্লেখ্য, এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ নামে প্রতিষ্ঠানটিকে আগেই লেনদেনের অনুমতি দেওয়া হয়।
এসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, ওই পাঁচটি ব্রোকারেজ হাউস আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে লেনদেন শুরু করতে পারবে। শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
>>>>> সোমবার কাহন
USB slot
পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের কারণে সোমবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনের রাস্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও ভাংচুর করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এদিন হরতালে ডিএসই’র সামনের রাস্তায় যানবাহন চলাচল কম থাকলেও যা চলছে তাও বন্ধ করে দেন তারা।
বিক্ষোভকালে বিনিয়োগকারীরা টিকাটুলী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন এবং পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। বিকালে বিনিয়োগকারীরা মতিঝিল এলাকায় বেশ কয়েকটি Ÿ্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং অর্থমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ান। এছাড়া মধুমিতা সিনেমা হল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশের আইসিবি ইসলামি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, বাংলালিঙ্ক অফিসসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইট পাটকেল ছুড়ে জানালা দরজার কাঁচ ভাঙেন বিনিয়োগকারীরা।
এ সময় পুলিশ ও র্যাব লাঠিচার্জ করে বিনিয়োগকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে করে বিকেল সাড়ে ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে বিকেল চারটায় দিকে বিনিয়োগকারীরা চলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
এর আগে কোরাম পূর্ণ হওয়ায় সোমবার হরতালের মধ্যেও সকাল ১১ টায় যথাসময়েই দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয়। লেনদেনের শুরুতে সাধারণ মূল্য সূচক সামান্য বাড়লেও সকাল ১১টা ৫ মিনিটে সাধারণ মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৩৭ পয়েন্ট কমে যায়। এ সময় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা শুরু হয় এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজার স্বাভাবিক হয়ে না আসায় বিনিয়োগকারীরা দুপুর একটার দিকে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় তারা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। শত শত বিনিয়োগকারী রাস্তাজুড়ে অবস্থান নিয়ে অর্থমন্ত্রী, ডিএসই প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করেন। তারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন এবং তা চারটা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এ সময় বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন দাবিতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ডিএসই’র সামনে থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ফটক পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করতে থাকেন। দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে বিনিয়োগকারীরা যাত্রবাড়ী-গাবতলী রুটের একটি গাড়ি ভাংচুর করেন। বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারীদের হামলার করার আগপর্যন্ত মতিঝিল এলাকায় ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও পুলিশ কোনও অ্যাকশনে যায়নি।
সোমবার দিনশেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩২৪ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৯৪ পয়েন্টে নেমে আসে।
এ নিয়ে গত তিন দিনে ডিএসইতে সাধারণ মূল্য সূচক কমেছে ৯১৩ পয়েন্ট। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১২টির, কমেছে ২৪১টির এবং ২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত থাকে।
পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের কারণে সোমবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনের রাস্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও ভাংচুর করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এদিন হরতালে ডিএসই’র সামনের রাস্তায় যানবাহন চলাচল কম থাকলেও যা চলছে তাও বন্ধ করে দেন তারা।
বিক্ষোভকালে বিনিয়োগকারীরা টিকাটুলী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন এবং পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। বিকালে বিনিয়োগকারীরা মতিঝিল এলাকায় বেশ কয়েকটি Ÿ্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং অর্থমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ান। এছাড়া মধুমিতা সিনেমা হল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশের আইসিবি ইসলামি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, বাংলালিঙ্ক অফিসসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইট পাটকেল ছুড়ে জানালা দরজার কাঁচ ভাঙেন বিনিয়োগকারীরা।
এ সময় পুলিশ ও র্যাব লাঠিচার্জ করে বিনিয়োগকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে করে বিকেল সাড়ে ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে বিকেল চারটায় দিকে বিনিয়োগকারীরা চলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
এর আগে কোরাম পূর্ণ হওয়ায় সোমবার হরতালের মধ্যেও সকাল ১১ টায় যথাসময়েই দুই স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয়। লেনদেনের শুরুতে সাধারণ মূল্য সূচক সামান্য বাড়লেও সকাল ১১টা ৫ মিনিটে সাধারণ মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৩৭ পয়েন্ট কমে যায়। এ সময় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা শুরু হয় এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজার স্বাভাবিক হয়ে না আসায় বিনিয়োগকারীরা দুপুর একটার দিকে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় তারা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। শত শত বিনিয়োগকারী রাস্তাজুড়ে অবস্থান নিয়ে অর্থমন্ত্রী, ডিএসই প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করেন। তারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন এবং তা চারটা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এ সময় বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন দাবিতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ডিএসই’র সামনে থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ফটক পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করতে থাকেন। দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে বিনিয়োগকারীরা যাত্রবাড়ী-গাবতলী রুটের একটি গাড়ি ভাংচুর করেন। বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারীদের হামলার করার আগপর্যন্ত মতিঝিল এলাকায় ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও পুলিশ কোনও অ্যাকশনে যায়নি।
সোমবার দিনশেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩২৪ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৯৪ পয়েন্টে নেমে আসে।
এ নিয়ে গত তিন দিনে ডিএসইতে সাধারণ মূল্য সূচক কমেছে ৯১৩ পয়েন্ট। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১২টির, কমেছে ২৪১টির এবং ২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত থাকে।
Subscribe to:
Posts (Atom)
Blog Archive
- ▼ 2011 (2088)