বানিজ্য সংবাদ :::: সার্ক দেশগুলোর মধ্যে আন্তবাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদারে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব করেছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। তিনি বলেন, সব পণ্যের কোটা ও শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় দ্রুত শিল্পায়ন হবে। আঞ্চলিক সহযোগিতা দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
গতকাল রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে ইন্ডিয়া ইনভেসট্রেড ২০১১ আয়োজিত তিন দিনের ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মেলন ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া এসব কথা বলেন। ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (আইবিসিসিআই)-এর সহায়তায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) এ সম্মেলনের আয়োজন করে। মন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারতকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। উভয় দেশের বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলায় বাণিজ্য বহুমুখীকরণের প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প খাতে সরাসরি কিংবা যৌথ বিনিয়োগে ভারতীয় উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।
এ দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ সবচেয়ে লাভজনক উল্লেখ করে আইবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাতলুব আহমাদ বলেন, বিদ্যুতের প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সরবরাহ নেই। উদ্যোক্তাদের আগ্রহ থাকার পরও গড়ে উঠছে না নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান। আবার অনেক কারখানা এ সংকটে লোকসান গুনছে শত শত কোটি টাকা। তাই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা হাইড্রো পাওয়ার উৎপাদনে ত্রি-দেশীয় 'বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল' এবং 'বাংলাদেশ-ভারত-ভুটান' এ বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের যৌথ উদ্যোগে ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ব্যবসায়ী এই নেতা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাতলুব আহমাদ বলেন, সুবিধামতো জায়গার অভাবে টাটা, বিড়লা, ডেনিমের মতো ভারতীয় প্রতিষ্ঠান শিল্প-কারখানা নির্মাণ করতে পারছে না। তাই আইবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে সুনামগঞ্জের ছাতকে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে শুধু ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে পারবেন। বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে বলে তিনি জানান।
আইসিসির সভাপতি রাজিব সিং বলেন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ থাকায় বাংলাদেশে দ্রুত শিল্পায়ন ঘটছে। তাই বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়েই চলছে। কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা ১৫ হাজার মেগাওয়াটে পেঁৗছবে। ভারত ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যৌথ বিনিয়োগে এ চাহিদা পূরণে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে উভয় দেশের মধ্যে সড়ক, নদী, আকাশ ও রেলপথে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের সুপারিশ করেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রধান ফারুক সোবহান। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের হয়রানি না করে ভিসা দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার সঞ্চয় ভট্টাচার্য, শিল্পোদ্যোক্তা ফ্রাঞ্চাই কারপেন্টার প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ মেলায় বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের প্রদর্শনীতে ভারতের ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের ৫২টি স্টল রয়েছে।
গতকাল রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে ইন্ডিয়া ইনভেসট্রেড ২০১১ আয়োজিত তিন দিনের ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মেলন ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া এসব কথা বলেন। ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (আইবিসিসিআই)-এর সহায়তায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) এ সম্মেলনের আয়োজন করে। মন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারতকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। উভয় দেশের বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলায় বাণিজ্য বহুমুখীকরণের প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প খাতে সরাসরি কিংবা যৌথ বিনিয়োগে ভারতীয় উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।
এ দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ সবচেয়ে লাভজনক উল্লেখ করে আইবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাতলুব আহমাদ বলেন, বিদ্যুতের প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সরবরাহ নেই। উদ্যোক্তাদের আগ্রহ থাকার পরও গড়ে উঠছে না নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান। আবার অনেক কারখানা এ সংকটে লোকসান গুনছে শত শত কোটি টাকা। তাই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা হাইড্রো পাওয়ার উৎপাদনে ত্রি-দেশীয় 'বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল' এবং 'বাংলাদেশ-ভারত-ভুটান' এ বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের যৌথ উদ্যোগে ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ব্যবসায়ী এই নেতা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাতলুব আহমাদ বলেন, সুবিধামতো জায়গার অভাবে টাটা, বিড়লা, ডেনিমের মতো ভারতীয় প্রতিষ্ঠান শিল্প-কারখানা নির্মাণ করতে পারছে না। তাই আইবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে সুনামগঞ্জের ছাতকে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে শুধু ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে পারবেন। বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে বলে তিনি জানান।
আইসিসির সভাপতি রাজিব সিং বলেন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ থাকায় বাংলাদেশে দ্রুত শিল্পায়ন ঘটছে। তাই বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়েই চলছে। কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা ১৫ হাজার মেগাওয়াটে পেঁৗছবে। ভারত ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যৌথ বিনিয়োগে এ চাহিদা পূরণে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে উভয় দেশের মধ্যে সড়ক, নদী, আকাশ ও রেলপথে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের সুপারিশ করেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রধান ফারুক সোবহান। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের হয়রানি না করে ভিসা দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার সঞ্চয় ভট্টাচার্য, শিল্পোদ্যোক্তা ফ্রাঞ্চাই কারপেন্টার প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ মেলায় বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের প্রদর্শনীতে ভারতের ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের ৫২টি স্টল রয়েছে।