শেয়ারবাজার :::: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্কের আরো উন্নয়ন ও বিনিয়োগের নতুন প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে সোমবার শেষ হয়েছে তিনদিনব্যাপী ইন্ডিয়া ইনভেসট্রেড-২০১১। ভারতীয় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্র্রিজ (আইসিসি) এই মেলার আয়োজন করে। এতে সর্বভারতীয় ৪৮টি ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলার সমাপনী উপলক্ষে সোমবার সকালে রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে (হোটেল শেরাটন) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিদ্যুৎ ও লাইটিং খাত নিয়ে তিনদিনের এই আয়োজন শতভাগই সফল মনে করছেন আয়োজকরা। তারা জানায়, মেলা থেকে এক হাজার ২৭৩ কোটি টাকার বাণিজ্য-প্রস্তাব পাওয়া গেছে। মেলায় দু’দেশের ব্যবসায়ীরা ৬টি সমঝোতা চুক্তি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরো ১১ টি সমঝোতা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান আইসিসি’র উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের চেয়ারম্যান এম কে শাহারিয়ারের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া।
আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের উপ-হাই কমিশনার সঞ্জয় ভট্টাচার্য, ভারতীয় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মহাপরিচালক ড. রাজীব সিং, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউটের প্রধান ফারুক সোবহান, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ প্রমুখ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তারা বৈদ্যতিক সামগ্রী রপ্তানি করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
অপর দিকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, তারা ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোকের নিজেদের জন্য বড়বাজার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সে সুযোগ তারা কাজে লাগাতে আগ্রহী।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উভয় দেশের ব্যবসায়ী নেতারা দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে দুই সরকারকে আরো বেশি করে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। যাতে করে ব্যবসায়ীরা কোনও ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখে না পড়েন।
একই সঙ্গে তারা দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রিভিসা চালুরও দাবি জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ বড়–য়া বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের এক নিরাপদ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় সুবিধা দিতে প্রস্তুত। সেইসঙ্গে শিল্পবান্ধব নীতি করার করারও চিন্তা করছে সরকার।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর জন্য শূন্য-শুল্ক (জিরো ট্যারিফ) এলাকা ঘোষণার প্রস্তাব করে বলেন, এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন টেকসই করতে শুল্কমুক্ত আমদানি-রপ্তানির সুবিধা দিতে হবে ব্যবসায়ীদের।
বিশেষ অতিথি সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভারতীয় ব্যবসায়ী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছেন। তারা যৌথভাবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাজ করছেন।
বিনিয়োগে আগ্রহী ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তত ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস। প্রয়োজনীয় পরিচিতিপত্র থাকলে ভিসা পেতে ব্যবসায়ীদের কোনও ধরনের সমস্যা হবে না। তবে তিনি ব্যবসায়িদের দীর্ঘ দিনের দাবি মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার ব্যাপারে কিছু বলেননি।
ফারুক সোবহান বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ঝুকি পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে কম। বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। উন্নয়ন করতে হবে যোগাযোগ ব্যবস্থার।
আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ ভারতীয় ব্যবসায়িদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের সুবিধা দিতে প্রস্তুত। তাদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে সুনামগঞ্জের ছাতকে ভারতীয় ব্যবসায়িদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা (এসইজে) গড়ে তোলা হবে বেসরকারি উদ্যোগে। যেখানে ৫০টির অধিক ব্যবসায়ি তাদের শিল্প স্থাপন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে গত ২১ মে শনিবার তিন দিনব্যাপী বিদ্যুৎ খাতের পণ্য প্রদর্শনী নিয়ে মেলা শুরু হয়েছিলো। বিদ্যুৎ খাতের বিনিয়োগ নিয়ে এ ধরনের আয়োজন এটাই প্রথম বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
এ আয়োজনের ফলে দুদেশের ব্যবসা বাণিজ্যে সহযোগিতা ও বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে আশা করছেন উভয় দেশের ব্যবসায়ী মহল।
মেলার সমাপনী উপলক্ষে সোমবার সকালে রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে (হোটেল শেরাটন) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিদ্যুৎ ও লাইটিং খাত নিয়ে তিনদিনের এই আয়োজন শতভাগই সফল মনে করছেন আয়োজকরা। তারা জানায়, মেলা থেকে এক হাজার ২৭৩ কোটি টাকার বাণিজ্য-প্রস্তাব পাওয়া গেছে। মেলায় দু’দেশের ব্যবসায়ীরা ৬টি সমঝোতা চুক্তি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরো ১১ টি সমঝোতা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান আইসিসি’র উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের চেয়ারম্যান এম কে শাহারিয়ারের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া।
আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের উপ-হাই কমিশনার সঞ্জয় ভট্টাচার্য, ভারতীয় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মহাপরিচালক ড. রাজীব সিং, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউটের প্রধান ফারুক সোবহান, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ প্রমুখ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তারা বৈদ্যতিক সামগ্রী রপ্তানি করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
অপর দিকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, তারা ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোকের নিজেদের জন্য বড়বাজার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সে সুযোগ তারা কাজে লাগাতে আগ্রহী।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উভয় দেশের ব্যবসায়ী নেতারা দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে দুই সরকারকে আরো বেশি করে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। যাতে করে ব্যবসায়ীরা কোনও ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখে না পড়েন।
একই সঙ্গে তারা দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রিভিসা চালুরও দাবি জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ বড়–য়া বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের এক নিরাপদ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় সুবিধা দিতে প্রস্তুত। সেইসঙ্গে শিল্পবান্ধব নীতি করার করারও চিন্তা করছে সরকার।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর জন্য শূন্য-শুল্ক (জিরো ট্যারিফ) এলাকা ঘোষণার প্রস্তাব করে বলেন, এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন টেকসই করতে শুল্কমুক্ত আমদানি-রপ্তানির সুবিধা দিতে হবে ব্যবসায়ীদের।
বিশেষ অতিথি সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভারতীয় ব্যবসায়ী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছেন। তারা যৌথভাবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাজ করছেন।
বিনিয়োগে আগ্রহী ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তত ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস। প্রয়োজনীয় পরিচিতিপত্র থাকলে ভিসা পেতে ব্যবসায়ীদের কোনও ধরনের সমস্যা হবে না। তবে তিনি ব্যবসায়িদের দীর্ঘ দিনের দাবি মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার ব্যাপারে কিছু বলেননি।
ফারুক সোবহান বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ঝুকি পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে কম। বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। উন্নয়ন করতে হবে যোগাযোগ ব্যবস্থার।
আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ ভারতীয় ব্যবসায়িদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের সুবিধা দিতে প্রস্তুত। তাদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে সুনামগঞ্জের ছাতকে ভারতীয় ব্যবসায়িদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা (এসইজে) গড়ে তোলা হবে বেসরকারি উদ্যোগে। যেখানে ৫০টির অধিক ব্যবসায়ি তাদের শিল্প স্থাপন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে গত ২১ মে শনিবার তিন দিনব্যাপী বিদ্যুৎ খাতের পণ্য প্রদর্শনী নিয়ে মেলা শুরু হয়েছিলো। বিদ্যুৎ খাতের বিনিয়োগ নিয়ে এ ধরনের আয়োজন এটাই প্রথম বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
এ আয়োজনের ফলে দুদেশের ব্যবসা বাণিজ্যে সহযোগিতা ও বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে আশা করছেন উভয় দেশের ব্যবসায়ী মহল।