শেয়ারবাজার :::: শেয়ারবাজারের কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় জাতীয় সংসদে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ সরকারি দলের সাংসদেরা। আজ সোমবার বিকেলে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে ক্ষমতাসীন মহাজোটের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর শেখ ফজলুল করিম সেলিম কড়া ভাষায় অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে আলোচনার সূত্রপাত করেন।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগ নামধারী কিছু লোক এ কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছেন। দু-একজনের জন্য সরকার বা আওয়ামী লীগ এর দায় নেবে না।
অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে সাংসদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কারও ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার জনগণের সরকার। শেয়ার কারসাজির সঙ্গে যে-ই জড়িত থাকুক, সরকারি দলের কেউ জড়িত থাকলেও—তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’ এ সময় তিনি শেয়ারবাজার কারসাজির ঘটনা তদন্ত কমিটির প্রধান খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের আরেক সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, শেয়ারবাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের ধরতে হলে অর্থমন্ত্রীকে শর্ষের মধ্যেই ভূত খুঁজতে হবে। অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজার কারসাজির ঘটনায় কোথায় দরবেশ, কোথায় ইমাম, কোথায় মোয়াজ্জিন আছে, খুঁজে বের করুন।’ সাংসদদের বক্তব্যের সময় সংসদে উপস্থিত সাংসদেরা দফায় দফায় টেবিল চাপড়িয়ে সমর্থন জানান।
পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক একই বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তদের ব্যাপারে তদন্তের বিষয়টি সরাসরি দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) কাছে পাঠান।’ তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলছেন জড়িতদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কিন্তু কেন যাবে না, তা আমি বুঝতে পারি না।’
এরপর স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিম বলেন, ‘সরকারি দলের সাংসদেরা শেয়ারবাজার নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা মানুষের মনের কথা।’ খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের বিরুদ্ধে মামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আগামীতে এমন কোনো তদন্ত কমিটির জন্য আর কাউকে পাবেন না।’
এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৩০০ বিধিতে সংসদকে বলেন, সরকারের কাছে তথ্য রয়েছে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী শেয়ারবাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু প্রয়োজনীয় আরও কিছু তথ্যের জন্য তাদের ধরা যাচ্ছে না। তবে জড়িতদের চিহ্নিত করে ধরার চেষ্টা চলছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, শেয়ারবাজার সম্পর্কে প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই সরকার ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। তদন্ত কমিটির ৩৬টি সুপারিশের মধ্যে ১১টি সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাকিগুলোও করা হবে। তিনি বলেন, এ তদন্ত করার জন্য খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ একটি মহলের তোপের মুখে পড়েছেন। তাঁরা তাঁকে হেনস্তা করতে চাইছেন। কিন্তু ওই মহলটি যত বড়ই হোক না কেন, সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা চালিয়ে যাবেই। সরকার এরই মধ্যে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সংসদে উত্তপ্ত হয়। বিএনপি আজও সংসদে যোগ দেয়নি।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগ নামধারী কিছু লোক এ কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছেন। দু-একজনের জন্য সরকার বা আওয়ামী লীগ এর দায় নেবে না।
অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে সাংসদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কারও ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার জনগণের সরকার। শেয়ার কারসাজির সঙ্গে যে-ই জড়িত থাকুক, সরকারি দলের কেউ জড়িত থাকলেও—তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’ এ সময় তিনি শেয়ারবাজার কারসাজির ঘটনা তদন্ত কমিটির প্রধান খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের আরেক সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, শেয়ারবাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের ধরতে হলে অর্থমন্ত্রীকে শর্ষের মধ্যেই ভূত খুঁজতে হবে। অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজার কারসাজির ঘটনায় কোথায় দরবেশ, কোথায় ইমাম, কোথায় মোয়াজ্জিন আছে, খুঁজে বের করুন।’ সাংসদদের বক্তব্যের সময় সংসদে উপস্থিত সাংসদেরা দফায় দফায় টেবিল চাপড়িয়ে সমর্থন জানান।
পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক একই বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তদের ব্যাপারে তদন্তের বিষয়টি সরাসরি দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) কাছে পাঠান।’ তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলছেন জড়িতদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কিন্তু কেন যাবে না, তা আমি বুঝতে পারি না।’
এরপর স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিম বলেন, ‘সরকারি দলের সাংসদেরা শেয়ারবাজার নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা মানুষের মনের কথা।’ খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের বিরুদ্ধে মামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আগামীতে এমন কোনো তদন্ত কমিটির জন্য আর কাউকে পাবেন না।’
এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৩০০ বিধিতে সংসদকে বলেন, সরকারের কাছে তথ্য রয়েছে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী শেয়ারবাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু প্রয়োজনীয় আরও কিছু তথ্যের জন্য তাদের ধরা যাচ্ছে না। তবে জড়িতদের চিহ্নিত করে ধরার চেষ্টা চলছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, শেয়ারবাজার সম্পর্কে প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই সরকার ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। তদন্ত কমিটির ৩৬টি সুপারিশের মধ্যে ১১টি সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাকিগুলোও করা হবে। তিনি বলেন, এ তদন্ত করার জন্য খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ একটি মহলের তোপের মুখে পড়েছেন। তাঁরা তাঁকে হেনস্তা করতে চাইছেন। কিন্তু ওই মহলটি যত বড়ই হোক না কেন, সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা চালিয়ে যাবেই। সরকার এরই মধ্যে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সংসদে উত্তপ্ত হয়। বিএনপি আজও সংসদে যোগ দেয়নি।