জানা গেছে, শেয়ারবাজারে মোট লেনদেনের প্রায় ৭০ শতাংশই হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ। কিন্তু ডিসেম্বরের ধসের পর থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কোনো ভূমিকাই রাখছে না। একমাত্র রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ও জনতা, সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংক শেয়ারবাজারে দরপতন ঠেকাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শেয়ার ক্রয় করেছে। অপরদিকে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ঋণ কেনা-বেচা ছাড়া আর কোনো ভূমিকা পালন করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো লাইসেন্সপ্রাপ্তির শর্ত অনুসারে, গ্রাহকদের পোর্টফোলিও ছাড়াও নিজস্ব পোর্টফোলিও মেইনটেন করার কথা ছিল। কিন্তু অধিকাংশ মার্চেন্ট ব্যাংকই এ শর্ত পালন করছে না। বরং বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে স্টেটমেন্ট জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতার কারণে প্রতি মাসের শেষের দিকে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ঋণ সমন্বয়ের ফলে শেয়ারবাজারে দরপতনের ঘটনা ঘটে থাকে। একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন বীমা কোম্পানি ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরাও শেয়ারবাজার থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে সাইড লাইনে চলে আসে। ফলে সর্বনিম্ন অবস্থায় চলে আসে ডিএসইর লেনদেনের পরিমাণ।