অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করার আহ্বান জানিয়ে ডিএসই সভাপতি বলেন, ‘গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাজারে শেয়ারের দর ব্যাপক হারে কমে গিয়েছিল। সে সময় সব পক্ষ থেকেই বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাজেটে শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়।’
সরকারের সেই সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য মানসিক শক্তি যুগিয়েছে। এতে জুলাই মাসে বাজার উর্দ্ধমুখী হয়। কিন্তু এর পরই বিষযটি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। বাজেটে যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল তা বহাল আছে কিনাÑ সে বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এই বিভ্রান্তি নিরসনে সরকারকে অনুরোধ করা হবে।’
শাকিল রিজভী জানান, বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য গত দু’ বছরে অনেকগুলো মিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠন করা হয়েছে। কিন্তু ফান্ডগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে কিনাÑ এসইসিকে তা নিরীক্ষা করার অনুরোধ করা হবে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ না করে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখা হচ্ছে কিনাÑ তা খতিয়ে দেখতে হবে। এছাড়া ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে শেয়ারবাজারে অর্থায়নের জন্য নিজস্ব অর্থায়নের সুযোগ করে দেওয়া যায় কিনাÑ সে বিষয়েও ডিএসইর পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হবে।
ডিএসইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটো বলেন, ‘উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়াও কিভাবে বাজারের সার্বিক পরিবেশ ভালো করা যায় তা নিয়ে আমরা এসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবো। সর্বপরি বিসয়টি নিয়ে আলোচনা হবে সরকারের সঙ্গে। আশা করি এতে আমরা সফল হবো এবং বাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশিলতা ফিরে আসবে।