জেনে নিতে পারবেন আপনার প্রেম টিকবে কি না...
ফেসবুকে এবার দারুণ এক প্রযুক্তি যোগ করতে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এখানে বসে আপনি কার সাথে প্রেম করছেন তার পরিচয় ঠিক ঠিক জানিয়ে দেবে এমন একটি ফেসবুক অ্যালগরিদম তৈরি করেছেন তারা। শুধু তাই নয়, আপনাদের দুজনের সম্পর্কে ভাঙনের লক্ষণ দেখা দিলেও এই প্রযুক্তির কল্যাণে তাও জানতে পারবেন আপনি। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসরের সঙ্গে ফেসবুকের এক প্রকৌশলী জোট বেঁধে নতুন ধরনের মেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে এই অ্যালগরিদম পদ্ধিতিটি গঠন করেছেন। এটি ফেসবুক ফ্রেন্ডদের এবং সবার বন্ধুদের তালিকার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে উপাত্ত সংগ্রহ করে। তারা ইতিমধ্যে ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্য থেকে বড় সংখ্যার তথ্য সংগ্রহ করে পরীক্ষা চালিয়েছেন। দেখা গেছে, ৬০ ভাগ ব্যবহারকারীরা কার সাথে ডেটিং করছেন তার সঠিক হদিস বের করতে পেরেছে এই প্রযুক্তি। দীর্ঘ সম্পর্কের ক্ষেত্রে লগারিদমের বিক্ষেপণ সাম্যাবস্থায় ছিল। আবার প্রায় ৫০ শতাংশ জুটির সম্পর্ক পরবর্তি দু'মাসের মধ্যে ভেঙে গেছে। এরা যে ডেটিং করছেন তা ধরাই পড়েনি অ্যালগরিদমে। এ দুই গবেষক জানান, একজনের সাথে অপরজনের মধ্যে এ বন্ধুত্ব নিরুপণ করা হয়েছে মূলত একে অপরের প্রোফাইল কতোবার দেখেছেন, একই ইভেন্টে একযোগে অংশ নিয়েছেন এবং মেসেজ পাঠিয়েছেন ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2013/10/30/16561#sthash.q1nJCYMF.dpuf
তরুণী ম্যাডোনার নগ্ন ছবি- Naked Medona
এবার নিলামে উঠতে যাচ্ছে তরুণী ম্যাডোনার নগ্ন ছবি। সেই ১৯৭৭ সালে এই হলিউড তারকার কিছু ছবি তোলা হয়েছিল যেখানে ম্যাডোনাকে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় দেখা যায়। ওই বছরই তিনি নিউ ইয়র্কে এসেছিলেন নিজের ক্যারিয়ার গড়তে। গোটা কয়েক এমন ছবি আগামী ৮ নভেম্বর অনলাইনে নিলামে উঠবে বলে জানায় দ্য ডেইলি স্টার অনলাইন। মোটা অঙ্কে এই ছবিগুলো বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ম্যাডোনা তখনো তারকা খ্যাতি পাননি। পেন্টহাউজ ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা বব গুচিয়নি এ ছবিগুলো তুলেছিলেন। ১৯৮৭-তে এ ছবিগুলো ম্যাগাজিনে প্রকাশও করা হয়েছিল। ওই ফটোসেশনে প্রতি ঘণ্টায় ম্যাডোনার উপার্জন ছিল মাত্র ১০ ডলার। গুচিয়নির মৃত্যুর পর উত্তরসূরী জেরেমি ফ্রোমার এ ছবিগুলো তার সংগ্রহে রেখেছিলেন।
আপনার বয় ফ্রেন্ড এই কথাগুলো গোপন রাখবে-What things Boy Friend dont tell you
মেয়েদের কিছু টিপস দেওয়া যাক। প্রেমিক বা স্বামীর সঙ্গে আপনার সম্পর্কের গভীরতা বাধাহীন। দুজন দুজনকে চেনেন নিজের হাতের তালুর মতো। জীবনের যাবতীয় বিষয়ে কারো কোনো রাখঢাক নেই। তবুও জেনে রাখুন, মনোবিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন, ৫টি বিষয়ে আপনার জীবনসঙ্গী টু-শব্দটি পর্যন্ত উচ্চারণ করবেন না। অথচ এসব নিয়ে তার মনে প্রাণে ঝড় বয়ে যাবে। তাই আপনার নিজেকেই এগুলো বুঝে নিতে হবে। ১. বন্ধুদের পছন্দ করা যাবে, কিন্তু ভালবাসা যাবে না: একটি মেয়ে তার বন্ধুদের সাথে মেলামেশা করছে- এমনটা তার প্রেমিক মেনে নিতে পারেন। তাই বলে আপনি সারাদিন তাদের নিয়েই মেতে আছেন তা কিন্তু তিনি মেনে নেবেন না কখনো। একইসাথে এই অপছন্দের কথাটিও আপনাকে জানতে দেবেন না। কাজেই নিজের চর্কায় তেল দিয়ে বুঝে নিন। ২. তার প্রতি তুমি অতিমাত্রায় আসক্ত: সালমানের মোহনীয় ফিগার দেখে বা টম ক্রুজ হাসিতে বিমোহিত হয়ে পড়েন আপনি। কারো ফ্যান হতেই পারেন। কিন্তু এসব নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত এবং দৃষ্টিকটু মাতামাতি আপনার সঙ্গীর মোটেই ভাল লাগবে না। ঠিক যেমন হাজবেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড ক্যাটরিনা কায়েফ বা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ম্যাগাজিন কাভারের দিকে মুগ্ধ বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকলে আপনার গায়ে জ্বালা ধরে যাবে। ৩. আরো ভাল কাউকে খুঁজে পেয়েছ কি?: মনের এ ভাব আপনার কাছে কখনোই প্রকাশ করবেন না তিনি। কিন্তু তার মনে এমন শঙ্কা সবসময় থাকবে যে, আপনি তার চেয়ে ভাল এবং যোগ্য কাউকে হয়তো খুঁজে পেয়েছেন। এ দুশ্চিন্তা আপনার মধ্যেও কাজ করবে। ৪. আলিঙ্গনে যৌন অনুভূতি নাও থাকতে পারে: শুধু মেয়েরাই তার ভালবাসার মানুষের আলিঙ্গনে থাকতে পছন্দ করেন না, ছেলেরাও তার প্রেমিকা বা সঙ্গিনীকে জড়িয়ে ধরে একটু প্রশান্তি খুঁজে নিতে ভালবাসেন। আপনাকে আবেগে জড়িয়ে ধরা মানে এই নয় যে, সে আপনাকে বিছানায় পেতে চাইছে। আবার তার অন্তরে যে কোনো দুষ্টুমি নেই এমনও নয়। এসব বিষয়ে কিছু ভিন্ন ও বৈচিত্রময় চাহিদা থাকতেই পারে যা প্রকাশযোগ্য নয়। ৫. জানতে চেয়ো না আমরা বন্ধুরা কী করি: আপনার প্রাণের সঙ্গীটি তার বন্ধুদের সাথে কী করেন বা কোথায় যান তার বিস্তারিত বর্ণনা আপনাকে দেবেন, তা ভুলেও আশা করবেন না। জিজ্ঞাসা করলেও তিনি এড়িয়ে যাবেন। কাজেই এসব মেনে নেওয়াই ভাল। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2013/10/29/16241#sthash.x1xOsCmp.dpuf
আপনার বয় ফ্রেন্ডকে এই কথাগুলো বলেছেন কি ? Did you say your boy friend this thing yet?
নারী-পুরুষ সম্পর্কের সবচেয়ে বাজে বিষয়টি কী জানেন? যেকোনো বিষয়ে মেয়েটির মৌনতা। ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে সঠিক কথা বলাটা সময় ও বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক এবং শৈল্পিক হওয়া চাই। এটি মেয়েদের জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন গবেষকরা। এখানে মেয়েদের ১৬টি কথা বা বাক্যের একটি তালিকা দেওয়া হচ্ছে। কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে একটি ছেলেকে এই কথাগুলো বলা বাঞ্ছনীয়। বিশেষজ্ঞরা অভিভাবকদেরও পরামর্শ দিয়েছেন, তারা যেনো তাদের মেয়েকে এ সম্পর্কে শিক্ষা প্রদানের বিষয়টিও নিশ্চিত করেন। ১. থামো: বেশিরভাগ সম্পর্কে সেক্সুয়াল বিষয়ে 'থামো' শব্দটা মেয়েদের অহরহ বলতে হয়। এসব পরিস্থিতিতে প্রেমিককে সরাসরি না বলার সাধ্যই বলে দেয়, তার সাথে আপনি একাজ করতে বাধ্য নন বা এ কাজের সময় এখনো হয়নি বলে আপনি মনে করেন। আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, দৈহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি জড়াতে চান কি-না। ২. প্রতিজ্ঞা করো: সন্দেহজনক, অঙ্গীকারবদ্ধ নয় অথবা সুসময়ের বন্ধুর মতো কারো সাথে যেকোনো বিষয়ে ঐক্যমতে পৌছানোর আগে অবশ্যই তাকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করিয়ে নিন। প্রেমিকের শপথ বা অঙ্গীকার ছাড়া তার সাথে জড়িয়ে মূলত আপনি নিজেই নিজের বড় শত্রু বনে গেলেন। ৩. আমি এখন চলে যাব: আপনাকে স্পর্শ করার অনুমতি প্রেমিককে এখনও আপনি দেননি। অথবা তার সাথে এখন আপনি সেক্স করতে আগ্রহী নন। ডেটিংয়ের সময় ছেলেটি তা করতে চাইলে তাকে পরিষ্কারভাবে বলুন, এমন করলে আপনি এখনই চলে যাবেন। সে আপনার হাতে-পায়ে ধরলেও আপনাকে স্পষ্টবাদী থাকতে হবে। শিখতে হবে এসব মুহূর্তে কিভাবে নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে হয় এবং কোনো আপোষে না গিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হয়। ৪. তুমি আমার অনুভূতিতে আঘাত করেছ: তার আচরণে কষ্ট পেলে বা হতাশ হলে তা প্রকাশ করে দিন। এরকম ছোটখাট বোঝাপড়ায় খোলামেলা যোগাযোগের সাথে সাথে সুস্থ-সবল সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একে অপরের দ্বারা আঘাত পেতেই পারেন। এ সম্পর্কে তাকে সতর্ক করে দেয়া ভাল, নয়তো সীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে। ৫. আমি এভাবেই চিন্তা করি: আমাদের সবার জীবনেই নানা বিষয়ে নানা কষ্ট রয়েছে। আপন মানুষটির কাছ থেকে যেন আবার যন্ত্রণা পোহাতে না হয়, সেজন্য তার সাথে এগুলো ভাগাভাগি করে নিন। জীবনে কোন কষ্টগুলো আপনি তার কাছ থেকে আশা করেন না, তা স্পষ্ট করুন। জীবনে তাকে ধীরে ধীরে প্রবেশ করতে দিন এবং তার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করুন। ৬. না: ছেলেটি চায় আপনাকে নিয়ে তার বাসায় যেতে। সে যখন-তখন আপনার শরীরের হাত দেয়। বন্ধুদের মাঝে আপনাকে নিয়ে বোকার মতো কৌতুক করে বসে। এসব ঘটামাত্রই তাকে 'না' বলতে শিখুন। নিজের জন্যে তাকে রুখে দিন। তাকে ক্ষমা করবেন না এবং চুপও থাকবেন না। ৭. আমি এটা চাই: সে নিশ্চয় আপনার মনের গোপন কথাটি পড়তে পারবেন না। কাজেই তার কাছ থেকে কী আশা করেন, তা জানিয়ে দিন। আপনার কোন জিনিসটি কিভাবে চান, সে সম্পর্কে তার ধারণা থাকা জরুরি। ৮. আমি তোমার সাথে জীবন কাটাতে চাই: ভালবেসে তাকে জীবন সঙ্গী হিসেবে পেতে চাইছেন- মনের এ ভাব ছেলেটির কাছে উন্মুক্ত করুন। ৯. যা প্রয়োজন তোমার তা আছে: আপনার সঙ্গী তার সবকিছু দিয়ে সংগ্রাম করছেন জীবনে কিছু করার জন্য। কোনো স্বপ্ন পূরণে বা পেশাগত জীবনে ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে তাকে নানা কটুক্তি শুনতে হতে পারে। তার যন্ত্রণাক্লিষ্ট চোখে চোখ রেখে বলুন, সফল হতে যা প্রয়োজন তা তোমার আছে। আর তার ওপর আপনার পুরোপুরি বিশ্বাস রয়েছে। ১০. এটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ: যেকোনো বিষয় হতে পারে, আপনার ক্যারিয়ার বা বিশ্বাস বা সন্তান ইত্যাদি। প্রিয় মানুষটিকে জানাতে হবে যে, আপনার কাছে কোন ব্যাপারটি মূল্যবান। অথবা আপনার কী বা কেমন, লুকোচুরির কিছু নেই। আপনি আসলে যা, তা মেনে নিয়েই যে সম্পর্ক গড়ে উঠবে তার চেয়ে চমৎকার সম্পর্ক অন্য কিছুতে আসতে পারে না। ১১. আমার সাথে যোগাযোগ করো না: আপনাকে ভীতি নিয়ে জীবন কাটাতে হবে না। অথবা তার পরের মেসেজটি নিয়ে আবার অশান্তিতে ভুগতে হবে না। কাজেই বলে দিন, সে যেনো আর যোগাযোগ না করে। অন্তত কিছু সময় আপনি শান্তিতে শ্বাস নিতে চান, মনের শান্তি ফিরিয়ে আনতে চান। ১২. এ ব্যবহার সহ্য করা যায় না: আপনাদের সম্পর্কের মধ্যে পারস্পরিক সম্মানবোধের মাত্রা ঠিক করুন। ঝগড়া-বিবাদ হতে পার। ঘটতে পারে সম্পর্কের চরম অবনতি। কিন্তু যতো বাজে পরিস্থিতিই আসুক, পরস্পরের প্রতি সম্মানহানির পর্যায়টি যেনো সীমা অতিক্রম না করে। তার কোন ব্যবহার আপনার ধৈর্য ও সহ্যের বাইরে তা বুঝিয়ে দিন। ১৩. এ ছবিটি আমি পাঠাতে চাই না: আপনার বা আপনাদের কোনো একটি ছবি সে তার মোবাইলে পাঠিয়ে দিতে বললো। কিন্তু আপনি তা চান না। এমনকি সে এজন্য আপনার সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়ার হুমকি দিলেও বুঝতে হবে, উল্টো তার গালে চপেটাঘাতের সময় হয়েছে আপনার। সোজা না করে দিন, প্রয়োজনে তার মোবাইল নম্বরটি মুছে ফেলুন, হালকা বোধ করবেন। ১৪. তুমি আমাকে কতটুকু ভালবাস?: আপনি যেমন মেয়ে, আপনার জন্যে আরো অনেক ভাল ছেলে অপেক্ষা করতে পারেন। কাজেই প্রেমিকার ভালবাসায় আপনি নিজেকে খুঁজে পান কিনা তা ছেলেটিকে বুঝতে দিন, আপনি নিজেও বোঝার চেষ্টা করুন। তাহলে ছেলেটির বাষ্পীয় ভালবাসা আপনার আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাতে পারবে না। ১৫. তোমাকে ঘিরেই আমার জীবন কাটে না: সকাল ১০টা বাজতেই আপনার মোবাইলে মেসেজ এলো 'কোথায় তুমি?' একটু দেরিতে দেখা হওয়া মাত্রই তার বাজে ব্যবহার। আবার চলে যাওয়ার পর একটা অপমানজনক মেসেজ। তাকে বোঝান আপনারও কাজ থাকতে পারে। তাকে নিয়েই আপনার সারা দিন কাটে না। বরং একটা পরিকল্পনা করুন, দেখা করার ক্ষেত্রে দেরি হলে কিভাবে কী করবেন। ১৬. আমি মুখোমুখি শুনতে চাই: মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে বা ফেসবুকে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে তর্ক, গালাগালি, আজেবাজে কথা বা হুমকি ইত্যাদি দেয়া সোজাসাপ্টা ব্যাপার। এসব মুহূর্তে তাকে সরাসরি বলে দিন, আপনি তার সাথে মুখোমুখি কথা বলতে চান। সত্যিকার ব্যক্তিত্ববান ছেলেরা আপনার চোখে চোখ রেখে কথা বলবেন। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2013/10/27/15614#sthash.i6utp1O8.dpuf
শেয়ারবাজারে হঠাত্ করে ঘুরে দাঁড়ানোয় - Share Market was very good today
দেশের শেয়ারবাজারে সূচকের উল্লম্ফন ঘটেছে। বাজার হঠাত্ করে ঘুরে দাঁড়ানোয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। কেননা গত বৃহস্পতিবার বাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে। বাজারের এমন আচরণকে অনেকে অস্বাভাবিক বলেও মনে করছেন। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও বড় কিছু প্রতিষ্ঠান বাজারে সক্রিয় হওয়ায় অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। তাদের মতে, এখন দেখার বিষয় তারা কত দিন সক্রিয় থাকে। তারা যদি পুনরায় নিষ্কিয় হয় তাহলে বাজারের অবনতি হবে।
এদিকে, আজ রোববার সপ্তাহের এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিনে প্রধান দুই শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে(সিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে সূচক বৃদ্ধির চাঙাভাবের মধ্যে। ডিএসইতে সূচক বেড়েছে প্রায় ১১০ পয়েন্ট ও সিএসইতে প্রায় ২৩৫ পয়েন্ট। সূচকের ব্যাপক বৃদ্ধিতে দিন শেষে উভয় প্রায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। সার্বিক লেনদেনে মন্দাভাব অব্যাহত রয়েছে। যদিও গত বৃহস্পতিবারের চেয়ে আজ লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে হরতালের কারণে বাজারে বিনিয়োগকারীর উপস্থিতি অনেকটা কমে গেছে। প্রধান বাজার ডিএসইতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার একই বাজারে লেনদেন হয়েছিল ২৩০ কোটি টাকা।
ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, বেলা আড়াইটায় ডিএসইএক্স সূচক ১০৯ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বেড়ে ৩ হাজার ৯০৯ দশমিক ১৪ পয়েন্টে গিয়ে পৌছেছে। এর আগে সকাল ১১টায় সূচক ৩৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে ৩ হাজার ৮৩৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে, দুপুর ১২টায় সূচক ৭৩ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে ৩ হাজার ৮৭২ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে এবং বেলা ১টায় সূচক ৮১ দশমিক শুন্য ১ পয়েন্ট বেড়ে ৩ হাজার ৮৮০ দশমিক ২৯ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়ায়। বেলা ২টায় সূচক ১০৯ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে ৩ হাজার ৯০৮ দশমিক ৯১ পয়েন্টে গিয়ে পৌছায়।
আজ ডিএসই’তে লেনদেন হয়েছে ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ডিবেঞ্চার। এদের মধ্যে দর বেড়েছে ২৪৭টির, কমেছে ৩৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। মোট লেনদেন হয়েছে ২৪৯ কোটি ৯০ লাখ ৫ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বেশি। শেয়ার, ডিবেঞ্চার ও মিচ্যুয়াল ফান্ড বিক্রি হয়েছে ৭ কোটি ৯৮ লাখ ৬ হাজার ৫২০টি।বেলা শেষে ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষ দশে রয়েছে-জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, এনভয় টেক্সটাইল, আর্গন ডেনিমস, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্রামীণফোন, মালেক স্পিনিং, অ্যাক্টিভফাইন কেমিক্যালস, গোল্ডেন সন, ডেল্টালাইফ ইন্সুরেন্স ও ন্যাশনাল ব্যাংক।
এদিকে, দেশের আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে(সিএসই)ও সূচকের ব্যাপক বৃদ্ধির মধ্যে লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। বেলা আড়াইটায় সিএসসিএক্স সূচক ২৩৪ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৬৭৭ দশমিক ২০ পয়েন্টে গিয়ে পৌছেছে। এর আগে সকাল ১১টায় সূচক ৭২ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৫১৫ দশমিক শুন্য ২ পয়েন্টে, দুপুর ১২টায় সূচক ১৪৭ দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৫৮৯ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে এবং বেলা ১টায় সূচক ১৪৫ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৫৮৮ দশমিক ২৯ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়ায়। বেলা ২টায় সূচক ২০৫ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৬৪৮ দশমিক ৩০ পয়েন্টে গিয়ে পৌছায়।
আজ সিএসই’তে লেনদেন হয়েছে মোট ২০৬টি প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭১টির, কমেছে ২৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম। টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৩১ লাখ ৯১ হাজার ৯৬৩ টাকা,যা আগের দিনের চেয়ে ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা বেশি। হাতবদল হওয়া শেয়ার, ডিবেঞ্চার ও মিচ্যুয়াল ফান্ডের পরিমাণ ৯৪ লাখ ২৭ হাজার ৯২৩টি।দিনের শেষে সিএসই’র লেনদেনের শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো-জেনারেশ নেক্সট ফ্যাশন, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আর.এন স্পিনিং, গ্রামীণফোন, এনভয় টেক্সটাইল, ইস্টার্ন হাউজিং, ইউনাইটেড এয়ার, ওয়ান ব্যাংক ও লিগ্যাসি ফুটওয়ার।
- See more at: http://bonikbarta.com/sharemarket/2013/10/27/20376#sthash.E3Uzgrmk.dpuf
সিএসইর সাধারণ সভায় (ইজিএম) এ সিদ্ধান্ত- CSE-EGM
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথককরণ বা ডিমিউচুয়ালাইজেশনের স্কিম সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে সিএসইর সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সাজিদ হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে জানান, ইজিএমে স্কিম গ্রহণ ছাড়া সংঘ স্মারক ও সংঘবিধির পরিবর্তন এবং প্রথম পরিচালনা পর্ষদের তালিকা বিশেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সিএসইর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিএসইর সভাপতি আল মারুফ খান ইজিএম পরিচালনা করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম কে এম মহিউদ্দিন, এ এস এম শহিদুল্লাহসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শেয়ার মুল্যবৃদ্ধির গুজব নাকি এটাই সত্যি - SEC has ask to stop facebook spaming for share price
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) কোনো ধরনের আপ্যায়ন বা উপহারসামগ্রী বিতরণ না করতে আবারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএসইসি জানিয়েছে, এর আগে ২০০০ সালের অক্টোবরে এ বিষয়ে বিএসইসি একটি নির্দেশনা জারি করেছিল। তাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় উপহারসামগ্রী বিতরণ ও আপ্যায়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। তার পরও কিছু কিছু কোম্পানি তাদের বার্ষিক সভায় নানা ধরনের আপ্যায়নের নানা আয়োজন অব্যাহত রেখেছে।
বিএসইসি বলছে, আপ্যায়ন-ব্যবস্থার কারণে প্রায়ই এ নিয়ে এজিএম চলাকালে সভাস্থলে হট্টগোল তৈরি হয়। এতে এজিএমের মূল কার্যক্রম বা আলোচনার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। তাই তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো যেন আপ্যায়ন বা উপহারসামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যথাযথভাবে অনুসরণ করে, সে জন্য পুনরায় নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক এবং মুঠোফোনে খুদে বার্তাসহ (এসএমএস) নানাভাবে শেয়ারবাজার নিয়ে গুজব রটনাকারীদের সতর্ক করেছে বিএসইসি। ২১ অক্টোবর সংস্থাটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফেসবুক, খুদে বার্তা বা অন্য কোনোভাবে শেয়ারবাজার নিয়ে গুজব ছড়ানো বিদ্যমান সিকিউরিটিজ আইনের বিরোধী। যাঁরা আইন ভেঙে এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি কোনো গুজবের ওপর ভিত্তি করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ না করার জন্যও বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিএসইসি বলছে, গুজবের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা হলে বিনিয়োগকারীদের ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। গুজবের পরিবর্তে কোম্পানির মৌল ভিত্তি দেখে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে বিএসইসি।
বাজার-পরিস্থিতি: গতকাল শেয়ারবাজারে বড় দরপতন ঘটেছে। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ২ দশমিক ১৮ শতাংশ বা ৮৫ পয়েন্ট কমেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ২ শতাংশ বা ২৫১ পয়েন্ট কমেছে। সেই সঙ্গে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনেও কমেছে। ডিএসইতে ২৩০ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ৬৬ কোটি টাকা কম। সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৮ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ছয় কোটি টাকা কম।
CITYBANK-EGM of the Company will be held on November 28, 2013
Trading Code: | CITYBANK |
News: | The Company has further informed that the EGM of the Company will be held on November 28, 2013 for getting shareholders' approval to issue Tier-II Subordinated Debt (Bond) worth Tk. 300.00 crore, Tenor: 6 years; to meet capital requirement under Basel II. Record date for EGM: 29.10.2013. Venue of the EGM will be notified later. |
Post Date: | 2013-10-20 |
Expire Date: | 2013-10-20 |
FINEFOODS-stock dividend @ 2% for the year ended on June 30
Trading Code: | FINEFOODS |
News: | The Board of Directors has recommended stock dividend @ 2% for the year ended on June 30, 2013. Date of AGM: 04.12.2013, Time: 11:45 AM, Venue: Project-1 Mondolvog, Manikkhali, Katiadi, Kishoreganj. Record Date: 03.11.2013. The Company has also reported EPS of Tk. 0.046, NAV per share of Tk. 10.63 and NOCFPS of Tk. 0.24 for the year ended on June 30, 2013. |
Post Date: | 2013-10-20 |
Expire Date: | 2013-10-20 |
স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ - Demutualization Under Condition
শর্তসাপেক্ষে বিন্যস্তকৃত (ডিমিউচুয়ালাইজড) এক্সচেঞ্জের অন্তর্বর্তী পর্ষদ বা প্রথম পরিচালনা পর্ষদ হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান প্রেসিডেন্ট অন্তর্বর্তী পর্ষদের চেয়ারম্যান হতে পারবেন না। স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্য থেকে অন্তর্বর্তী পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে। ১৩ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয় এ পরামর্শ দেয়।
ডিমিউচুয়ালাইজেশন (বিন্যস্তকরণ) স্কিম অনুমোদনের পর বিন্যস্তকৃত এক্সচেঞ্জের প্রথম পরিচালনা পর্ষদ বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জের মতবিরোধ তৈরি হয়। প্রথম পরিচালনা পর্ষদ হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব খারিজ হলেও অনুমোদিত স্কিমে আলাদাভাবে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। আলাদা নির্দেশনা না থাকায় দুই স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ড সভায় কমিশনে খারিজ হওয়া পুরনো প্রস্তাবটিই গ্রহণ করা হয়। এ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় কমিশন। ১৩ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে উপপরিচালক নাসিরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ পরামর্শ পেল কমিশন, যা সেদিন বিকালেই দুই স্টক এক্সচেঞ্জে ফ্যাক্সযোগে প্রেরণ করা হয়।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক (বিএসইসি) অনুমোদিত স্কিমের আদলেই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বর্তমান পর্ষদকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও অন্তর্বর্তী পর্ষদের আকার কি হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়নি। তবে অন্তর্বর্তী পর্ষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিচালক হবেন স্বতন্ত্র। একই সঙ্গে স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্য থেকে অন্তর্বর্তী পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। এ পর্ষদ বিন্যস্তকৃত এক্সচেঞ্জের নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠানের আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রসঙ্গত, বিন্যস্তকৃত এক্সচেঞ্জের প্রথম পরিচালনা পর্ষদ বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রস্তাব খারিজ হওয়ায় অনুমোদিত ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিমের আদলে অন্তর্বর্তী পর্ষদ বা প্রথম পরিচালনা পর্ষদ গঠনের পক্ষে কমিশনের একাধিক সদস্য মত দিয়েছিলেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেয়া পরামর্শে প্রতিফলিত হয়েছে বলে মনে করেন কমিশন সদস্যরা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ পরামর্শের কারণে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান প্রেসিডেন্টকে তাদের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে। তবে অন্তর্বর্তী পর্ষদের পরিচালক হতে তাদের কোনো বাধা নেই। ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ও ২৯ অক্টোবর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে অনুমোদিত স্কিম, সংঘস্মারক ও সংঘবিধি পরিবর্তন এবং বিন্যস্তকৃত এক্সচেঞ্জের প্রথম পরিচালনা পর্ষদের তালিকা বিশেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করা হবে।
গত ২৯ জুলাই এক্সচেঞ্জের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পৃথকীকরণে ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম জমা দেয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ গত ২৬ সেপ্টেম্বর ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম অনুমোদন দেয় কমিশন। তবে অনুমোদিত স্কিমে প্রথম পরিচালনা পর্ষদ হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব খারিজ করা হলেও আলাদাভাবে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। এতে জটিলতা তৈরি হয়।
অনুমোদিত স্কিমে এ বিষয়ে আলাদা নির্দেশনা না থাকায় আসন্ন বিশেষ সাধারণ সভায় গ্রহণের জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ড সভায় কমিশনে খারিজ হওয়া পুরনো প্রস্তাবটিই গ্রহণ করা হয়। এতে কমিশনে অসন্তোষ দেখা দেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন থেকে প্রথম পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকদের নামের তালিকায় ‘কমিশনের নির্দেশক্রমে পরিবর্তন করা হতে পারে’ কথাটি যুক্ত করার মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর অনুমোদিত ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম অনুসারে স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ হবে ১৩ সদস্যের। স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য স্বতন্ত্র পরিচালক হবেন। অনুমোদিত স্কিম অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক সাতজন ও স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারসহ (কৌশলগত বিনিয়োগকারী) শেয়ারহোল্ডার পাঁচজন থাকবেন। তবে যত দিন পর্যন্ত স্ট্র্যাটেজিক শেয়ারহোল্ডার নির্বাচিত না হবে তত দিন পর্যন্ত এ পদ শূন্য থাকবে
- See more at: http://bonikbarta.com/sharemarket/2013/10/21/19702#sthash.uSRWqcao.dpuf
বিকৃতযৌনলোভী, মিথ্যুক একজন মানুষ- Steve was sex sick, liar and mad of sex
তিনি ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে নামী ব্র্যান্ড অ্যাপলের জনক। সিলিকন ভ্যালির মুকুটধারী সম্রাট। তার প্রজন্মের ঈর্ষণীয় প্রধান নির্বাহী, তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণা। সেই স্টিভ জবসের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এবার মুখ খুললেন তার সাবেক প্রেমিকা ক্রিসান ব্রেনান। তার আত্মজীবনীতে এমন এক স্টিভ জবসকে পাওয়া যাবে, যে কথা কারো ধারণাতেও ছিল না। তাতে তিনি লিখেছেন, দরজার আড়ালে জবস ছিলেন যৌনপীড়ক, ওপরে ফিটফাট হলেও ভেতরে ফাঁপা এবং বিকারগ্রস্ত মিথ্যাবাদী। সত্তরের দশকে ক্রিসান ও জবসের সম্পর্ক ছিল অম্ল-মধুর। জবসের প্রথম সন্তানের জননীও ক্রিসান। তার বর্ণনায় জবস ছিলেন, খারাপ বাল্যকালের আবেগী ঘূর্ণাবর্তে বন্দী। ২০১১ সালে ৫৬ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জবস।
সাবেক প্রেমিকার বই ‘দি বাইট ইন দ্য অ্যাপল’-এ তাকে ভুল কাজের জন্য বারবার আক্রান্ত হতে হয়েছে। ক্রিসান ব্রেনানের বইটি এ মাসেই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। এতে বলা হয়েছে, অ্যামেরিকার কর্পোরেট জগতের সবচেয়ে গোছানো ক্যাপ্টেন ব্যক্তিগত জীবনে কীভাবে বখাটের মতো আচরণ করতেন। ব্রেনানের বইটি জবসের পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ক আবার উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে জবসের ওপর কথা বলার কথা ছিল তার। কিন্তু রোলিংস্টোন ম্যাগাজিনকে জবস ও তার সম্পর্ক বিষয়ে তথ্য বলার কারণে সে আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। 'দি বাইট ইন দ্য অ্যাপলে'র সাবটাইটেল দেয়া হয়েছে ‘স্টিভ জবসের সঙ্গে আমার জীবনের স্মৃতিকথা’। বইয়ে ব্রেনান লিখেছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার মোনটেরেতে বসবাসরত তরুণ পেইন্টার ও গ্রাফিক ডিজাইনার জবস ছিলেন ‘বেমানান মেধাবী’। তিনি মনে করতেন তরুণ বয়সেই মারা যাবেন। সময় যাচ্ছিল এবং তিনিও ইতিবাচক স্বৈরাচারি হয়ে উঠছিলেন। অ্যাপল যখন বেড়ে ওঠে তখন জবসের মধ্যে নিজের নাম জাহির করার প্রবণতাও বেড়ে ওঠে। সত্তর দশকের শুরুতে আটারি কম্পিউটার্সে কাজ করার সময় কলিগরা বলেছিল, তারা জবসের সঙ্গে কাজ করবে না। কারণ তার গা থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। ব্রেনানের মতে, এটা সত্য ছিল না। আমি শুনেছিলাম, জবস রাতের শিফটে চলে গিয়েছিলেন কারণ কলিগরা মনে করতো তিনি নেতিবাচক ও ক্ষতিকর। ব্রেনান ও জবস ক্যালিফোর্নিয়ার কাপার্টিনোর হোমস্টেড হাইস্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই শহরেই অ্যাপলের হেডকোয়ার্টার তৈরি হয়েছিল। এখনও আছে। জবস ও তার এক বন্ধু একটি গ্যারেজ থেকে অ্যাপল শুরু করার সময় তারা দুজন লিভটুগেদার শুরু করেন। ৫ বছর পর যখন তাদের ছাড়াছাড়ি হয় তখন ব্রেনান গর্ভবতী। ১৯৭৮ সালে ব্রেনানের যে সন্তান হয় তাকে নিজের সন্তান বলে স্বীকৃতি দিতে চাননি জবস। পরে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে জবস ছিলেন ভুল অবস্থানে।
উলটাপালটা দৌড়ালে খবর আছে !! - How to walk properly
শরীর সুস্থ রাখতে দৌড় দারুণ এক উপকারী ব্যায়াম। কিন্তু শুধু দৌড়ালে তো হবে না, এর জন্য কিছু নিয়ম-কানুন মানাও জরুরি। এতে করে একদিকে যেমন নিজেকে ইনজুরি থেকে মুক্ত রাখা যাবে, তেমনি তুলনামূলক বেশি উপকারও পাওয়া যাবে।
হাত : দুই হাতকে শরীরের কাছে রেখে সামনে ও পেছনে চলমান রেখে দৌড়াতে হবে। কনুইয়ের ভাঁজটা এমনভাবে করতে হবে, যেন সেখানে ৯০ ডিগ্রি কোণ উৎপন্ন হয়। হাত দুটি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে।
গোড়ালি ও পায়ের পাতা : দৌড়ানোর সময় পায়ের গোড়ালি কখনো শক্ত করে রাখা যাবে না। দৌড়ের সময় সরাসরি গোড়ালি মাটিতে রাখা যাবে না। গোড়ালি ও পায়ের মাঝখানের মাঝামাঝি অংশ মাটিতে রাখতে হবে। শুরুতে এটা করতে একটু সমস্যা হতে পারে, তবে একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে কোনো রকম অতিরিক্ত চেষ্টা ছাড়াই এটা সহজে করা যাবে। এটা সহজে করার জন্য দৌড়ের সময় একজন সহযোগী নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া দৌড়ের একটি ভিডিও করা যেতে পারে। এতে করে নিজের ভুলগুলো নিজের কাছেই ধরা পড়বে।
মাথা ও কাঁধ : দৌড়ের সময় কখনো নিচের দিকে এমনকি নিজের পায়ের দিকে নজর রাখা ঠিক নয়। বরং সামনের দিকে মনোযোগী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে দৌড়ের সময় মাথা, ঘাড় ও স্পাইনের সঠিক অবস্থান নিশ্চিত হয়।
ধীরগতি : দৌড়ের শুরুতে দ্রুতগতিতে দৌড়ানো উচিত নয়, বরং শুরুতে ধীরে ধীরে দৌড়ানো উচিত। এতে করে স্টামিনা বাড়বে। দৌড়ের গতি এমন হওয়া উচিত, যেন দৌড়ানোর সময় আপনি স্বাভাবিকভাবে কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারেন।
লম্বা দৌড় : দীর্ঘ দূরত্বের পথ সপ্তাহে এক দিন দৌড়ানো ভালো। সাধারণত দীর্ঘ দূরত্বের দৌড় ছুটির দিনে দৌড়ানো উচিত। এতে করে ওয়ার্মআপ, স্ট্রেচ ও কুল ডাউনের জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়।
দ্রুতগতিতে দৌড় : শুরুতেই দ্রুতগতিতে দৌড়ানো উচিত নয়। সপ্তাহে তিন দিন দৌড়ানোয় যখন অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন, তখন দ্রুতগতিতে দৌড়ানোর পরিকল্পনা নিতে পারেন। শুরুতে অল্প দূরত্ব দ্রুতগতিতে দৌড়ানো উচিত।
মাত্র ১২ টাকায় খুন করা হয়- Murdered only for 12 taka
শেরপুর সদর উপজেলার তিলকান্দি মধ্যপাড়া গ্রামে গতকাল শনিবার রাতে মাত্র ১২ টাকা পাওনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় তাঁর তিন ভাই আহত হন। নিহত ব্যক্তির নাম সোবাহান আলী (৩৪)। তিনি তিলকান্দি মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিলকান্দি মধ্যপাড়া গ্রামের সোবাহান আলীর ছোট ভাই আবদুস সালাম কয়েক দিন আগে প্রতিবেশী মুদি দোকানি গোলাপ হোসেনের কাছ থেকে ১২ টাকা বাকিতে কোমল পানীয় কেনেন। দোকানদার গতকাল রাত ১০টার দিকে সালামের কাছে পাওনা টাকা চাইলে তাঁদের মধ্যে তুমুল বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে গোলাপ তাঁর সহযোগীদের নিয়ে সালামের ওপর হামলা চালান। খবর পেয়ে তাঁর তিন ভাই সোবহান (৩৪), হালিম (৪০) ও শাহ জামাল (৩৫) দোকানের সামনে যান। এ সময় তাঁদের ওপরও ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। হামলায় ফলাবিদ্ধ হয়ে সোবাহান আলী ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত তিন ভাইকে গতকাল রাত ১২টার দিকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই হাসপাতালে সোবাহানের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় সোবাহান আলীর ভাই মুদি দোকানি গোলাপ হোসেনকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ওই গ্রামের মোজাফফর আলী, রহিমা বেগম, রুমা বেগম ও স্বপ্না বেগম নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পিসিতে এবার পাবেন ফ্রি- Windows 8.1 for free
উইন্ডোজের ৮.১ সংস্করণ বাজারে ছাড়ল মাইক্রোসফট। উইন্ডোজ ৮ ব্যবহারকারীরা বিনা মূল্যে অপারেটিং সিস্টেমটি হালনাগাদ করে নিতে পারবেন।
জানা গেছে, উইন্ডোজ ৮ টাচ স্ক্রিন ডিভাইসনির্ভর হলেও উইন্ডোজ ৮.১ ল্যাপটপ ও ডেস্কটপেও ব্যবহার করা যাবে। আর উইন্ডোজ ৮-এ স্টার্ট বাটন না থাকায় ব্যবহারে বিড়ম্বনায় পড়েছেন অনেকে। নতুন সংস্করণে এ সমস্যাও দূর করা হয়েছে।
ফারহাত আহম্মেদ
সূত্র : ইন্টারনেট
থৃজি আর নেই- ফাইভ জি- 5G Internet is in pipeline
সবে থ্রিজি নেটওয়ার্ক চালু হলো বাংলাদেশে। ফোর জি আসতে অনেক দেরি। এরই মধ্যে খবর এলো ফাইভ জি আসছে। তবে সময় লাগবে আরো সাত বছর। অ্যাপ্লিকেশন বাইনারি ইন্টারফেস (এবিআই)-এর একটি গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, ২০২০-এর আগে ৫ জি প্রস্তুত হবে না।
শীঘ্রই কেন ৫ জি চালু হচ্ছে না, এ প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়েছে, এখনও এটি ফোনে ব্যবহারের জন্য সার্টিফিকেট পায়নি। থ্রিজির মতো এটি ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের অনুমোদন পায়নি।
অন্যদিকে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকদের ৫জি প্রযুক্তির বিজ্ঞাপন দিতেও এখনও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। এ মাসেই জাপানের ডোকোমো কোম্পানি ঘোষণা দিয়েছে, তারা ২০২০ সালে ৫জি চালু করবে। এনটিটি ডোকোমো বলেছে, তারা ৫জিতে ১০০ গুণ বেশি ইন্টারনেট স্পিড দেবে। অন্যদিকে স্যামসাং বলেছে, তারা ৫জি'র মাধ্যমে তারা ১ জিবিপিএস স্পিড দেবে।
এই যখন বড় কোম্পানিরগুলো প্রস্তুতি তখনও ৪ জি পরীক্ষামূলক অবস্থায়। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৪ সাল শেষ হওয়ার আগে এটি ব্যবহার উপযোগী হতে পারে। খবর মিলেছে, স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট থ্রিতে ৮০এমবিপিএস স্পিড পাওয়া যাচ্ছে। তবে এটা ঘটছে শুধু নিউ ইয়র্ক শহরের কিছু এলাকায়।
মোবাইল নিয়ে যুদ্ধ - War between samsung amd iphone 5
স্মার্টফোনের যুদ্ধে স্যামসাংকে আরেক ধাপ পেছনে ফেলেছে অ্যাপল। যুক্তরাজ্যের ‘হুইচ?’ সাময়িকীর পরীক্ষায় সবচেয়ে দ্রুতগতির স্মার্টফোন হিসেবে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস৪কে পেছনে ফেলেছে অ্যাপলের সম্প্রতি বাজারে আনা আইফোন ৫এস।
গবেষকেরা স্বতন্ত্রভাবে অ্যাপল, স্যামসাং, এইচটিসি ও এলজির স্মার্টফোনের প্রসেসরের গতি ও পারফরম্যান্স নিয়ে গবেষণা করেন। কোন স্মার্টফোন কত দ্রুত অ্যাপ্লিকেশন চালু করতে পারে, ভিডিও দেখা, গেম খেলা বা একাধিক কাজের সময় কেমন পারফরম্যান্স দেখায়, তা পরীক্ষা করেন গবেষকেরা। এতে দেখা গেছে, দ্রুতগতির স্মার্টফোনের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আইফোন ৫এস, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এলজির জি২ এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস৪। পরীক্ষায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে এইচটিসি ওয়ান ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে গ্যালাক্সি এস৪ মিনি। এই তালিকায় সবচেয়ে ধীরগতির ফোন হিসেবে স্থান পেয়েছে এইচটিসি ওয়ান মিনি।
এর আগে জুন মাসে করা এক পরীক্ষায় দ্রুতগতির স্মার্টফোনের তালিকায় শীর্ষস্থানে ছিল গ্যালাক্সি এস৪। এ তালিকায় সবার শেষে অর্থাত্ সবচেয়ে ধীরগতির ফোনের খেতাব জুটেছিল আইফোন৫-এর।
হুইচ ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অ্যাপল আবার ফিরে এসেছে। এবারের প্রসেসর বেঞ্চমার্ক পরীক্ষায় রেকর্ড গড়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে আইফোন ৫এস। এ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ১.৩ গিগাহার্টজের ডুয়াল কোর প্রসেসর। গ্যালাক্সি এস৪ স্মার্টফোনটিতে কোয়াড কোরের প্রসেসর থাকলেও গবেষকদের মতে, বেশি কোর মানেই বেশি গতি তা কিন্তু নয়। কোয়াড কোর অর্থ একসঙ্গে অনেক কিছু করার সক্ষমতা।
খাবিনা? জোড় কইরা বাইন্দা খাওয়ামু- How to stop hunger strike
গুয়ানতানামো বে কারাগারে বন্দিদের অনশন ভাঙাতে ভয়ংকর সব শাস্তি দেয় কর্তৃপক্ষ। বন্দিদের মনোবল ভাঙাই এসব শাস্তির লক্ষ্য। বন্দিদের কাগজপত্র ও তাদের আইনজীবীদের বক্তব্য থেকে জানা গেছে এ তথ্য। ওষুধ বন্ধ করা, নির্জন কক্ষে আটক রাখা, কাপড়চোপড় খুলে নেওয়া, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানো, কক্ষের তাপমাত্রা বাড়ানো-কমানো, ব্যবহারের জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়াসহ নানা উপায় অবলম্বন করে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণাধীন এ কারাগারের রক্ষীরা। নির্যাতনের কৌশলও গোপন রাখা হয়।
মার্কিন সামরিক বাহিনী সম্প্রতি এক ঘোষণায় জানায়, গুয়ানতানামো বে কারাগারের বন্দিদের অনশনের অবসান হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণাকে 'ভুয়া' বলে অভিহিত করে। তারা জানায়, সেখানে এখনো অন্তত ১৬ জন বন্দিকে জোর করে খাওয়ানো হচ্ছে এবং দুজন হাসপাতালে আছে।
এক বন্দি জানান, কারাগারে আটক সর্বশেষ ব্রিটিশ নাগরিক শাকের আমেরের (৪৪) ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়, তাতে তাঁর পক্ষে অনশন অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। কারাগারে বন্দি সিরিয়ার নাগরিক আবু ওয়ায়েল দিয়াব (৪২) জানান, কারাগারের দাঙ্গা বিভাগের এঙ্ট্রিম রিঅ্যাকশন ফোর্সের সদস্যরা আমেরের অনশন ভাঙানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে দিনে পাঁচবার তাঁর কক্ষে ঢুকত। আমেরের চিকিৎসা-সংক্রান্ত নথি থেকে জানা যায়, সেনারা তাঁকে খাবার, পানি ও ওষুধ দিত না। এরপর সেনারা তাঁর কক্ষে আবার প্রবেশ করত এবং খাবার না দেওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করত। মূলত তাঁকে জাগিয়ে রাখাই ছিল এদের কৌশল।
আমেরের মতোই কারাগারে ১১ বছর বন্দি আছেন ওয়ায়েল। তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওয়ায়েল বলেন, 'সেনারা আমেরকে ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে পোশাক খুলে নিত এবং একটি মাত্র অন্তর্বাস পরিয়ে সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেলে রাখত, যা ছিল তাঁর জন্য অপমানকর।'
ইয়েমেনের সামির মুকবেল নামের এক বন্দি জানান, অনশন ভাঙাতে সেনারা বন্দিদের নির্জন কক্ষে আটক রাখে। বন্দিদের অনশন আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওই বন্দিশিবির বন্ধের ঘোষণা দেন।
আহমেদ বেলবাচা নামের আলজেরিয়ার এক বন্দি জানান, নির্জন কক্ষে আটক রাখার কৌশলটি কাজে লাগিয়ে বন্দিদের কাছ থেকে রাজনৈতিক বক্তব্যও আদায় করা হয়। এ ছাড়া সেনারা বন্দিদের ওপর নির্যাতনের ব্যবস্থা হিসেবে তাদের জিনিসপত্রও নিয়ে যেত। তিনি বলেন, 'আমার চশমা, আইনি কাগজপত্র, টুথব্রাশ, টুথপেস্টসহ প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র তারা নিয়ে যায়।' বেলবাচা, মুকবেল ও আমেরের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে একটি চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। তাঁদের আইনজীবী নাবিল হাদজারাব এসব তথ্য চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জানিয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী কোরি ক্রাইডার বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ উল্লসিত কণ্ঠে বলেছে যে অনশনের অবসান হয়েছে। কিন্তু বন্দিদের মনোবল ভাঙতে তারা যে ভয়ংকর কৌশল তাদের ওপর চালিয়েছে, তা বলতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। এখনো সেখানে অন্তত ১৬ জন বন্দি অনশন করছে, যাদের জোর করে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে দিনে দুইবার খাওয়ানো হচ্ছে।'
কিউবায় গুয়ানতানামো বে বন্দিশিবিরের ১৬৬ জন বন্দির মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে অনেক দিন ধরেই। জানা গেছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বন্দিশিবিরটি বন্ধের কাজ চূড়ান্ত করতে একজন কূটনীতিকও নিয়োগ দিয়েছে। এরই মধ্যে ৮০ জনকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পাকা হয়েছে। কিন্তু কবে নাগাদ তাদের ছাড়া হবে তা জানা যায়নি।
বিচার ছাড়াই অনির্দিষ্টকাল ধরে আটকে রাখার প্রতিবাদে এবং কারাগারে উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে গত ফেব্রুয়ারিতে বন্দিরা অনশন শুরু করে। একে একে ১৬৬ বন্দির মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি অনশনে যোগ দেয়। সূত্র : অবজারভার।
ল্যাম্বরগিনি ভেনেনো রোডস্টার-Lambergini venono roadstar- sport cat
বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ি বাজারে আনল ল্যাম্বরগিনি। ভেনেনো রোডস্টার নামের এ গাড়ি ঘণ্টায় ২২১ মাইল গতিতে ছুটতে পারে আর এর দাম ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার।
মাত্র তিন সেকেন্ডে ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে ভেনেনো রোডস্টার গাড়িটি। ডেইলি মেইল অনলাইনের এক খবরে বলা হয়েছে, ১৮ অক্টোবর ভেনেনো গাড়িটি উন্মোচন করেছে
ল্যাম্বরগিনি। ইতালির গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ল্যাম্বরগিনির দাবি, তাঁদের রেসিং কারের একটি মডেলকে রাজপথে চলার উপযোগী গাড়ি হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। গাড়িটি সীমিত সংখ্যক ক্রেতার জন্য তৈরি করা হচ্ছে বলে ল্যাম্বরগিনি জানিয়েছে। এ গাড়িটির কাঠামো তৈরি হয়েছে কার্বন-ফাইবার দিয়ে। ল্যাম্বরগিনির দাবি, ভেনেনোতে রয়েছে একাধিক ভেন্ট এবং কুলিং ডাক্ট, যা গাড়িটির অ্যারোডাইনামিক পারফরমেন্স নিশ্চিত করে আর ৭৫০ হর্সপাওয়ারের ভি-১২ ইঞ্জিনকে ঠাণ্ডা রাখে। রাজপথে চলার অনুমতিও পেয়ে গেছে এই গাড়িটি। বিখ্যাত বুল ফাইটিং ষাঁড়ের নাম ‘ভেনেনো’ থেকে এ গাড়িটির নামকরণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘ভেনেনো’ বাজারে আনার কথা জানিয়েছে ল্যাম্বরগিনি। ভেনেনোর আগে বাজারে আসা সবচেয়ে দামী গাড়ির তালিকায় ছিল ৮০ লাখ ডলারের মেব্যাচ অ্যাক্সেলেরো, ১৭ লাখ ডলারের বুগাটি ভেরন, ১৬ লাখ ডলারের ল্যাম্বরগিনি রেভেনটন, নয় লাখ ৭০ হাজার ডলারের মার্সিডিজ ম্যাকলারেন, ছয় লাখ ৭০ হাজার ডলার দামের ফেরারি এনজো। এক নজরে ল্যাম্বরগিনি ভেনেনো রোডস্টার ইঞ্জিন: ৬.৫ লিটার ভি১২ ২.৯ সেকেন্ডে: ১০০ কিলোমিটার গতি সর্বোচ্চ গতি: ঘণ্টায় ২৬০ মাইল ওজন: ১৪৯০ কেজি বাজারে গাড়ির সংখ্যা: নয়টি দাম: ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার।
ল্যাম্বরগিনি। ইতালির গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ল্যাম্বরগিনির দাবি, তাঁদের রেসিং কারের একটি মডেলকে রাজপথে চলার উপযোগী গাড়ি হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। গাড়িটি সীমিত সংখ্যক ক্রেতার জন্য তৈরি করা হচ্ছে বলে ল্যাম্বরগিনি জানিয়েছে। এ গাড়িটির কাঠামো তৈরি হয়েছে কার্বন-ফাইবার দিয়ে। ল্যাম্বরগিনির দাবি, ভেনেনোতে রয়েছে একাধিক ভেন্ট এবং কুলিং ডাক্ট, যা গাড়িটির অ্যারোডাইনামিক পারফরমেন্স নিশ্চিত করে আর ৭৫০ হর্সপাওয়ারের ভি-১২ ইঞ্জিনকে ঠাণ্ডা রাখে। রাজপথে চলার অনুমতিও পেয়ে গেছে এই গাড়িটি। বিখ্যাত বুল ফাইটিং ষাঁড়ের নাম ‘ভেনেনো’ থেকে এ গাড়িটির নামকরণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘ভেনেনো’ বাজারে আনার কথা জানিয়েছে ল্যাম্বরগিনি। ভেনেনোর আগে বাজারে আসা সবচেয়ে দামী গাড়ির তালিকায় ছিল ৮০ লাখ ডলারের মেব্যাচ অ্যাক্সেলেরো, ১৭ লাখ ডলারের বুগাটি ভেরন, ১৬ লাখ ডলারের ল্যাম্বরগিনি রেভেনটন, নয় লাখ ৭০ হাজার ডলারের মার্সিডিজ ম্যাকলারেন, ছয় লাখ ৭০ হাজার ডলার দামের ফেরারি এনজো। এক নজরে ল্যাম্বরগিনি ভেনেনো রোডস্টার ইঞ্জিন: ৬.৫ লিটার ভি১২ ২.৯ সেকেন্ডে: ১০০ কিলোমিটার গতি সর্বোচ্চ গতি: ঘণ্টায় ২৬০ মাইল ওজন: ১৪৯০ কেজি বাজারে গাড়ির সংখ্যা: নয়টি দাম: ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার।
বিষাক্ত বিষ আপনার মগজে -ধুয়ে নিন এখনই- Sleep wash out the poison of the barain
গবেষকরা প্রমাণ পেলেন, সারা দিনের হাড়ভাঙ্গা চিন্তার ধকলে জমা হওয়া ময়লা পরিষ্কার করতে আমাদের মস্তিষ্ক ঘুমকে কাজে লাগায়। যুক্তরাষ্ট্রের এই বিজ্ঞানী দল মনে করছে, ঘুমের প্রাথমিক প্রয়োজন 'আবর্জনা অপসারণ পদ্ধতি'র জন্য।
বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্তিষ্কের সেলগুলো ঘুমের মধ্যে সংকুচিত হয়ে নিউরনের মাঝখানে ফাঁকা জায়গা তৈরি করে যেন তরল পদার্থের মাধ্যমে ধুয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এভাবে পরিষ্কার না হলে বিষাক্ত প্রোটিন জমে থাকতে পারে। এই জমে থাকা উপাদান মস্তিষ্কের বিকৃতির জন্য ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘুম বিজ্ঞানীদের কাছে বড় একটি প্রশ্ন হচ্ছে, শিকারীদের কাছে বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি সত্ত্বেও প্রাণীরা ঘুমে ঢলে পড়ে কেন? মস্তিষ্কের সীমিত এনার্জির কারণে দুটো কাজ এক সঙ্গে করতে পারে না। সজাগ-সতর্ক থাকা এবং পরিচ্ছন্নতা সম্পাদন- এর মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হয়।
গবেষক ড. মাইকেন নেডারগার্ড উদাহরণ দিয়ে বলেন, এটা বাড়িতে পার্টি আয়োজনের মত। আপনাকে অতিথীদের সঙ্গ দিতে হবে অথবা বাড়ির পরিচ্ছন্নতায় ব্যস্ত থাকতে হবে। আপনি দুটোই একসঙ্গে করতে পারবেন না। সূত্র: বিবিসি।
প্রেম এটা টিকবেনা-বুঝার উপায়- How to know that love is going to be ending
'প্রথম প্রথম যখন আমাদের দেখা হতো, মনের ভিতর আনন্দের ফল্গুধারা বয়ে যেতো। কতো মধুর সময় কাটিয়েছি দুজন। ধীরে ধীরে দুজনের মাঝে শক্ত দেয়ালের গাঁথুনি অনুভব করলাম, যেনো একজন আরেকজনের চির শত্রু। এক সময় সব শেষ হয়ে গেল', বিরহ বিধূর এ কথাগুলো বেরিয়ে আসলো সদ্য সম্পর্ক ভাঙা এক নারীর হৃদয় থেকে। মানুষের সম্পর্কের এই ভাঙা-গড়ার খেলা নিরন্তর চলছে এবং চলতেই থাকবে। তবে নিজের অজান্তে এমন ঘটনা আকস্মিক ঘটে গেলে বড় ধরনের মানসিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা থাকে। তাই সম্পর্কের শুরুতে যেমন আপনি বুঝেছিলেন যে এই মানুষটির সাথে জড়াতে যাচ্ছেন, তেমনি ভাঙার মুহূর্তেও আপনার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সজাগ থাকতে হবে। এর কিছু লক্ষণ তুলে ধরেছেন গবেষকরা। সম্পর্ক ভাঙতে যাচ্ছে, এমন বুঝতে পারবেন কিছু মানসিক অবস্থা অনুধাবন করে। এতে করে আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে পারবেন।
অস্তিত্বহীন সঙ্গী: ফুরফুরে মন নিয়ে বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। হঠাৎ একজন আপনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তোমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেবে না?' প্রেমিকের কথা মনে হতেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো আপনার। উদাসী ভাব নিয়ে জবাবে বললেন, 'হবে কোনো একদিন'। বন্ধুদের সামনে আপনার বিশেষ সঙ্গীটিকে নিয়ে আসতে আপনার একদম ইচ্ছে করে না। অর্থাৎ তার সঙ্গ আপনার জন্য বিব্রতকর বা অস্বস্তিকর। কাজেই পার্টনার হিসেবে সে আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
বিনিময়ের ক্ষেত্রে বিশ্বাসের অভাব: বিশ্বাসের ওপর সম্পর্ক টিকে থাকে। এখানে ফাটল দেখা দিলে তার ধস নিশ্চিত। সে কিছু টাকা ধার চাইতে পারে। আপনি ফেরত দেয়ার শর্তে দিতেও চাচ্ছেন। কিন্তু মনে বারবার সন্দেহ দোলা দিচ্ছে, টাকাটা মনে হয় ফেরত পাব না। এ ধরনের যেকোনো লেনদেনে একে অপরের ওপর নিরেট বিশ্বাস স্থাপন না করতে পারলে বুঝতে হবে আপনাদের সম্পর্ক ভাঙনের মুখে রয়েছে।
শুধু কথা কাটাকাটি আর ঝগড়া: যেকোনো ব্যাপারে দুজনের মধ্যে শুধু বাক-বিতণ্ডা হয়। শেষ কবে যে আপনারা ভাল সময় কাটিয়েছিলেন তা মনেই করতে পারেন না। এর অর্থ দুজনের প্রতি দুজনের মন বিতৃষ্ণায় ছেয়ে গেছে। এখানে সুখের আশা বাতুলতা মাত্র।
বিন্দুমাত্র ভালবাসা নেই: ভেবে দেখুন, আপনি কি কখনো পার্টনারের অজান্তে তার সাথে প্রতারণা করেছেন? যদি করে থাকেন এবং এজন্য আপনার মধ্যে যদি কোনো অপরাধবোধ কাজ না করে তবে বুঝে নিন আপনার মনের ভালবাসা উবে গেছে। একে আর ধরে রাখার মানে নেই।
অন্ধকার ভবিষ্যত: যে মানুষটিকে নিয়ে জীবন কাটাবেন বলে ভাবছেন, তাকে নিয়ে ভবিষ্যতের ছবিতে শুধু অন্ধকার দেখছেন। এর মানে তাকে নিয়ে আপনার কোনো আশা-ভরসা নেই। আর যাকে নিয়ে আপনি ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পারছেন না, তার সাথে সম্পর্কের রশি কতদিন টানবেন? এ রশি এখন ছিঁড়ে ফেলার সময় হয়েছে। ইন্টারনেট থেকে সাকিব সিকান্দার
পানির নিচে ইন্টারনেট চালান সহজে- Wi-Fi is now under water
গভীর সমুদ্রকে ইন্টারনেটের আওতায় আনতে পানির নিচে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়। সুনামি, জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা এ সেবা দারুণ কাজে দেবে বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকদের। খবর বিবিসির।
দুর্যোগ মোকাবেলার পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজ কিংবা উদ্ধারকর্মীদেরও কাজে আসবে এ সেবা।
তবে প্রচলিত ওয়াইফাই সেবায় যেখানে বেতার তরঙ্গ ব্যবহার হয়, সেখানে এতে ব্যবহার করা হচ্ছে শব্দ তরঙ্গ। গবেষকদের মতে, বেতার তরঙ্গ পানিতে চলাচল করতে পারলেও এর সক্ষমতা একেবারে ক্ষীণ হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান অনেকটাই স্থিতিশীল থাকে। ডলফিন ও তিমিরের মতো প্রাণীরা পানির নিচে যোগাযোগ রক্ষা করতে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে।
এদিকে বেশ আগে থেকেই পানির নিচে বেতার যোগাযোগ করে আসছেন ডুবুরিরা। তবে বিভিন্ন কোম্পানির উদ্ভাবিত বিভিন্ন ধরনের প্রযুুক্তি একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমর্থ হয়নি এ পর্যন্ত। এ সমস্যা সমাধানে বিশেষ একটি মানদণ্ড নির্ধারণের জন্যও কাজ করছেন বাফেলোর গবেষকরা।
গবেষক দলের প্রধান তোমাসো মেলোডিয়া বলেন, মহাসাগরের বিভিন্ন তথ্য রিয়েল টাইমে সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে দারুণ কাজে দেবে পানির নিচে থাকা বেতার নেটওয়ার্ক।
- See more at: http://bonikbarta.com/telecom-and-technology/2013/10/19/19438#sthash.ytA64o49.dpuf
Rapist raped,Had SEX, Teen sex, Aubesment, WHY-HOW-WHO?
National Geographic
Published October 7, 2013
When you think rapist, you probably think of an adult male lurking in an alley and preying upon young women.
Not so fast, according to a new study published in today's JAMA Pediatrics that overturns many commonly held beliefs about sexual violence.
Researchers Michele Ybarra of the Center for Innovative Public Health Research and Kimberly Mitchell of the Crimes Against Children Research Center at the University of New Hampshire
followed American youth over the course of several years, asking the
youngsters questions about their sexual behavior during that time to see
if there was any indication of sexual violence early in a person's
history.
What they found was
startling: Nearly 10 percent of survey respondents reported perpetrating
some form of sexual violence in their lifetime, with 4 percent
reporting attempted or completed rape.
Not a Boy's Game
In
fact, teenage boys and girls increasingly instigate sexual violence—and
many convicted perpetrators of sexual crimes began at young ages.
Today's adult rapist may have once been a teenage perpetrator of sexual violence.
According to a study in 2010 by the Centers for Disease Control and Prevention,
more than 75 percent of women who have been raped were raped before the
age of 25—with 42.2 percent of this group being raped before their 18th
birthday.
Sexual violence is fairly common in the teenage years, both from a victim and perpetrator standpoint.
"When
you talk to people who have been convicted of crimes, overwhelmingly
they say [it all started in] adolescence," she said. "There's reason to
believe that sexually violent people emerge in adolescence.
"This study was a first attempt to ask people about [sexual perpetration] and understand when it's emerging."
For one thing, the researchers discovered that age 16 seems to be the peak time for sexual violence.
The results of the study may change the way society thinks about sexual violence—starting with the male and female divide.
(Related: "UN Study Looks at High Rate of Rape.")
Perhaps
the most controversial part of the study is that males, traditionally
thought of as the perpetrators of sexual violence, are not the only ones
responsible for sexual violence—females are too.
"Not
long ago, males were asked the perpetrator questions and females were
asked the victim questions," Ybarra noted. "We never appreciated the
fact that males could be victims and females could be perpetrators.
"[This study] highlights the importance of asking both sexes both questions."
The
study found that females and males had carried out sexual violence at
nearly equal levels by the age of 18. Of the survey respondents who
reported being perpetrators, 48 percent were female and 52 percent were
male. Interestingly, females tend to assault older victims, while males
are more likely to choose younger victims. Females are also more likely
to engage in "gang rape" types of activity and act in groups or teams (1
in 5 females reported this type of activity, compared with 1 in 39
males).
Researchers aren't sure if this pattern is because of differences in developmental trajectories between males and females.
Violent Video Games to Blame?
Although
the authors point to video games and X-rated media content as factors,
they are cautious about linking sexual violence to an increasingly
violent media.
"We certainly are not claiming
causation," Ybarra said. "We're not saying that sexual violence is
caused by violent media or vice versa. But one of the primary aims of
the study is to understand the linkages between media and behavior."
And the link is undeniably strong, said Ybarra.
The
researchers examined whether there were differences between X-rated
material and violent X-rated material that included one person being
hurt in some way. They first asked whether the subjects had viewed
X-rated material. If the answer was yes, a follow-up question was
asked—had the person also viewed violent X-rated material?
"Violent
X-rated material has more of an effect," Ybarra said. "When you look at
the rate of those that say yes [to having viewed violent X-rated
material], 17 percent who said yes were perpetrators versus 3 percent
[who had viewed violent X-rated material and were not perpetrators]."
Compare
that wide gap with their finding that 34 percent of nonperpetrators and
37 percent of perpetrators had viewed nonviolent X-rated material.
Changing Definitions
Sexual violence is a broad term, but researchers were careful to include all forms of sexual violence beyond rape.
The
four classifications of sexual violence considered were foresexual (or
presexual) contact, coercive sex, attempted rape, and completed rape.
Gender differences emerge in types of sexual violence.
"Foresexual
contact is similar for females and males," Ybarra said, with females
slightly edging out males in this category (52 percent and 47 percent,
respectively).
"But when you get
into coercive and attempted rape, it does seem to differ"—with males
committing 75 percent of these crimes, compared with 25 percent
committed by females.
But they
also found that completed rape is predominantly a male crime—a finding
that is in line with general attitudes about rape, according to Sharmili Majmudar of Chicago-based Rape Victim Advocates, which was not associated with the study.
"Almost
all of what we know of sexual violence by teens against teens and among
adults is fairly consistent in naming men as the most likely to be the
perpetrator" of completed rape, Majmudar said.
So
while females don't commit rape at the same rates as males, they are
just as likely to coerce a male partner into foresexual contact.
Who You Know
Perhaps
the most disturbing fact to come out of this report is that "stranger
danger is not really the problem," Ybarra said, referring to the popular
misconception that most victims of sexual violence are assaulted by
people they do not know.
In fact, nearly three-quarters
of those who experienced sexual violence did so at the hands of a
romantic partner. The remaining one-quarter were victims of someone they
knew.
In other words, all victims in the study had some sort of relationship with the perpetrator.
Ybarra argues that open conversations about healthy relationships and sexual activity are key to solving these problems.
"It's
an uncomfortable conversation," she acknowledges. "But it's not just
rape. Child abuse is more likely to be perpetrated by someone you know,
and [these crimes] go into adulthood."
Justice
is often hard to attain: 66 percent of victims reported that no one
found out about the assault, with only one percent of victims reporting
the crime to police, and only one percent of police reports leading to
an arrest.
Cultural attitudes are part of the problem, as 50 percent of perpetrators blame their victims for the sexual violence.
Still,
it's tough for a male victim to come forward. Majmudar cites a
"cultural framework of masculinity, where a man is supposed to be tough
and not be victimized by a woman or a girl.
"There
are ways our cultural lessons about gender silence the men who are
victims and, frankly, the cultural ideas about sexual violence silence
victims regardless of gender," she continued. "There's a lot of work to
be done to create communities for victims."
Ybarra
hopes this study informs conversations and policy about preventing
sexual violence that takes gender and development into account.
"Our hope is that this is the starting point of a useful and important conversation about healthy sex in adolescence," she said. "I want to understand the differences and similarities for males and females and what that means from a prevention standpoint. Do we need to do something different for females?"
ক্ষতিগ্রস্ত চামড়া ঠিক করুন নিমিষে- Burnt Skin repairing system discovered
প্রোটিন থেকে এমন এক চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন, যার মাধ্যমে আগুনে পুড়ে ও রাসায়নিক কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রোগীর ত্বক ও মাংসপেশির দ্রুত আরোগ্য সম্ভব। স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১০ সালে পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বোচ্চ সম্মাননা 'বেয়ার ইনোভেটর্স' পুরস্কার। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি মূল্যবান বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উদ্ভাবনের আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব রয়েছে ড. আজম আলীর নামে। এখন নিউজিল্যান্ড সরকারের 'ন্যাশনাল সায়েন্স চ্যালেঞ্জ প্রোগ্রাম'-এ কাজ করছেন এই বিজ্ঞানী। তাঁকে নিয়েই আজকের স্পটলাইটলেখা ও সাক্ষাৎকার : সাকিব সিকান্দার
নতুন ক্লাসের কড়কড়ে ভাঁজহীন সব বইয়ের মধ্যে বিজ্ঞান বইগুলো খুব দ্রুতই মলিন হয়ে যেত আজম আলীর। 'বিশেষ জ্ঞান'-এর বিস্ময়কর বিষয়গুলো জানার নেশায় সময় কাটত তাঁর। তাই সে শহরে গিয়ে লাইব্রেরিতে বিজ্ঞানবিষয়ক বই সংগ্রহে ব্যস্ত থাকত। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার অত্যাচারে অতিষ্ঠ থাকতেন মা। আর এসব কাণ্ড-কারখানা দেখে ছেলের নামের সঙ্গে 'ক্ষুদে বিজ্ঞানী'র তকমাটা জুড়ে দিয়েছিলেন বাবা এবং বলতেন, দেখো একদিন তোমার এই ছেলে বড় বিজ্ঞানী হবে। তখন কে জানত, একদিন সত্যি সত্যিই পৃথিবীর খ্যাতিমান বিজ্ঞানীদের তালিকায় লেখা হবে সেই বিজ্ঞানপাগল ছেলেটির নাম! বিশ্বের বিজ্ঞানী মহলে আজ পরিচিত নাম ড. আজম আলী। চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি অংশকে বহুদূর এগিয়ে নিয়েছেন জৈবরসায়নের এই জাদুকর।
আজম আলীর উদ্ভাবন
নিউজিল্যান্ডের ভেড়ার লোমে এক ধরনের প্রোটিন রয়েছে। এই প্রোটিনকে বলে কেরোটিন। এটিকে কাজে লাগিয়ে ক্ষত নিরাময়ের প্রযুক্তি ও ওষুধ উদ্ভাবন করেন ড. আজম। প্রথমে তিনি ভেড়ার লোম থেকে কেরোটিন নামের এ প্রোটিনকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন ধরনের এবং ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের জৈব প্রোটিন তৈরি করেন। উদ্ভাবিত নতুন এ পদার্থের চরিত্র ও আচরণ সম্পূর্ণ মৌলিক। এর ওপর বিজ্ঞানের আরো কিছু পরীক্ষা ফলিয়ে তৈরি করেন ক্ষতের চিকিৎসার সেই প্রযুক্তি ও ওষুধ। এসিডে ঝলসে যাওয়ায় বা আগুনে পুড়ে মানুষের চামড়ায় যে মারাত্মক ক্ষত হয়, তার ওষুধ হিসেবে এত দিন যে ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হতো, ড. আজম আলীর ওষুধটি কাজ করে তার চেয়ে ৪০ গুণ দ্রুত। এ ছাড়া প্রচলিত ওষুধ তৈরি হয় মানুষ বা শূকরের কোলাজেন বা চর্বি থেকে, যা অনেক দেশেই ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
ড. আজমের ওষুধটি চামড়ার টিস্যুর সঙ্গে এমনভাবে কাজ করে যে তা অতি দ্রুত টিস্যুকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়। টিস্যু ছাড়াও মাংসপেশির একই ধরনের জখমে এই বিশেষ জৈব প্রোটিন চামড়ার বিক্ষত চেহারাটিকে আগের মতোই করে দেয়। অন্যদিকে প্রচলিত ওষুধ শুধু ক্ষতের উপরিভাগ নিরাময় করে। ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু বা চামড়ার অন্য অংশ আগের সৌন্দর্য সহজে ফিরে পায় না।
ড. আজমের উদ্ভাবিত এ ধরনের দুটি প্রযুক্তি ও ওষুধ ইতিমধ্যে আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ গোটা ইউরোপে নিজ নিজ দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিভাগের স্বীকৃতি পেয়েছে। এ ছাড়া মানুুষের হাড় প্রতিস্থাপন বা জোড়া লাগানোর জন্য আজম আলীর গবেষণালব্ধ কিছু উদ্ভাবন পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এখানেও তাঁর জাদুকরী উদ্ভাবন দেখার অপেক্ষায় রয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞান।
জৈবরসায়ন বিশেষজ্ঞ
আজম আলী জৈবরসায়নবিদ। বিভিন্ন জৈবিক পদার্থ থেকে মানুষের চিকিৎসাসহ নানা কাজে প্রয়োজনীয় নতুন পদার্থ উদ্ভাবনে সিদ্ধহস্ত তিনি। তাঁর কাজের পরিধিতে রয়েছে বায়োপলিমার এবং প্রোটিন কেমিস্ট্রি, পলিমার ও ম্যাটারিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োম্যাটারিয়ালস, ন্যানোবিজ্ঞান, ন্যানোপ্রযুক্তি ইত্যাদি। চিকিৎসার নানা জৈবযন্ত্রপাতি তৈরি, বায়োসেন্সর এবং বায়োম্যাটারিয়ালস ও বায়োলজিকের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ, চরিত্রগত পরিবর্তন, নতুন বৈশিষ্ট্য প্রদান এবং নিয়মিত মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করেন তিনি। পাশাপাশি ম্যাটারিয়ালস এবং বায়োম্যাটারিয়ালসের চরিত্রগত ভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রদানসহ এসব বিষয়ে বৃহৎ পরিসরে প্রকল্প তৈরি, অবকাঠামো গড়ে তোলা, যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা এবং নেতৃত্ব প্রদান করে থাকেন ড. আজম।
যে জীবন গবেষকের
বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব ওটাগোর ডানেডিন ক্যাম্পাসে কাজ করছেন ড. আজম। এর আগে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান গবেষণামূলক সরকারি প্রতিষ্ঠান ক্রাউন রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (এজি রিসার্চ) কাজ করেছেন। ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর। এজি রিসার্চ ছাড়ার আগে তিনি জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে বায়োম্যাটারিয়াল এবং ন্যানোটেকনোলজি বিভাগের বিজ্ঞানী দলের প্রধান পদে দায়িত্বরত ছিলেন।
২০০৩ থেকে ২০০৭-এর জানুয়ারি পর্যন্ত উল রিসার্চ অর্গানাইজেশনে জৈবরসায়নের বায়োম্যাটারিয়ালস নিয়ে গবেষণা দলের প্রধান হয়ে কাজ করেছেন। পিএইচডি শেষ করেই ২০০০ সালে পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ ফেলো হিসেবে যোগ দেন পোহাং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে। একই বছরের অক্টোবরে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনায় রসায়ন বিভাগের পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে গবেষণা শুরু করেন এবং ২০০৩-এর জুলাই পর্যন্ত কাজ করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ন্যানোফটোরেজিস্ট সিনথেসিস, ফটোলিথোগ্রাফি, পলিমার বা বায়োপলিমেরিক বায়োম্যাটারিয়ালসের উন্নয়ন, টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাটারিয়ালস এবং বায়োম্যাটারিয়ালের চরিত্র নির্ণয় এবং এগুলোর নতুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে জটিল সব গবেষণা করেন। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার পাম অয়েল বোর্ড, জাপানের জায়েরি (জেএইআরআই), দক্ষিণ কোরিয়ার পোসটেকে (পিওএসটিইসিএইচ) কাজ করেছেন এই বিজ্ঞানী।
'বেয়ার ইনোভেটর্স' ও অন্যান্য সম্মাননা
২০১০ সালের ২৪ আগস্ট নিউজিল্যান্ডের এজি রিসার্চে কর্মরত থাকাকালীন বিখ্যাত 'বেয়ার ইনোভেটর্স' পুরস্কারে ভূষিত হন ড. আজম। বিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে অত্যন্ত সম্মানজনক একটি পুরস্কার এটি। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এজি রিসার্চের ফুড ও টেক্সটাইল বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার এবং তাঁরই এক সহকর্মী বলেন, 'মানুষের কল্যাণে আজমের বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও আবিষ্কার এ পৃথিবীতে অতুলনীয়। তাঁর গবেষণা পদ্ধতি এবং এর সুফল প্রমাণ করেছে, বিজ্ঞান শুধু মানুষের উপকারেই নয়; বরং একটি দেশের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রও গতিশীল করতে পারে। তাঁর এ উদ্ভাবনে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে নিউজিল্যান্ডের উলশিল্পটি।'
নিজের কাজের জন্য পেয়েছেন অনেক সম্মাননা। এর মধ্যে ২০০৩ সালে এনসিবিসি (ইউএস) রিসার্চ ফেলোশিপ, ২০০১ সালে ডিওডি (ইউএস) রিসার্চ ফেলোশিপ, ২০০০ সালে ব্রেইন কোরিয়া কে-২০ ফেলোশিপ, ১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়ান প্রাইমারি ইন্ডাস্ট্রি সিলভার মেডেল, ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ড ফেলোশিপ এবং ১৯৮৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর চ্যান্সেলর স্কলারশিপের অধিকারী তিনি। পাশাপাশি চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁর গবেষণালব্ধ লেখাগুলো বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
বিজ্ঞানী হিসেবে যুক্ত হয়েছেন অনেক আন্তর্জাতিক সংগঠনে। অস্ট্রেলিয়ান সোসাইটি ফর বায়োম্যাটারিয়ালস অ্যান্ড টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং, নিউজিল্যান্ড কন্ট্রোলড রিলিজ সোসাইটি, ক্যান্টাবুরি মেডিক্যাল রিসার্চ সোসাইটি, অস্ট্রেলিয়ান পলিমার সোসাইটি, আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির সদস্য তিনি।
দিনাজপুর থেকে নিউজিল্যান্ড
আজম আলীর জন্ম ১৯৬৭ সালের এপ্রিলে দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জের বন্ধুগাঁয়ে। বাবা আবদুল জলিল চৌধুরী পেশায় ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। স্কুলে শিক্ষকতাও করেছেন তিনি। মা শরিফা বেগম গৃহিণী। বন্ধুগাঁয়ের আলো-বাতাসেই বড় হয়েছেন আজম আলী। একমাত্র আজম আলী ছাড়া সাত ভাই ও দুই বোনের সবাই এখন দিনাজপুরে আছেন। তিন ভাই সরকারি কর্মকর্তা, দুই ভাই শিক্ষক, এক ভাই ব্যবসায়ী আরেক ভাই কৃষিজীবী।
সেতাবগঞ্জ পাইলট হাই স্কুল থেকে ১৯৮২ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগ নিয়ে মাধ্যমিক পাস করেছেন আজম আলী। পরে দিনাজপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। উচ্চ মাধ্যমিকেও প্রিয় বিজ্ঞান শাখা থেকে প্রথম বিভাগ পান। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন রসায়নে। এখান থেকেই ১৯৮৯ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৯১ সালে স্নাতকোত্তর পাস করেন প্রথম বিভাগ নিয়ে। মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি সেইনস মালয়েশিয়া থেকে পলিমার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ন্যানোটেকনোলজি বিষয় নিয়ে পিএইচডি করেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত।
বর্তমানে আজম আলী পরিবার নিয়ে বাস করছেন নিউজিল্যান্ডে। আছেন ১০ বছর ধরে। এর আগে পেশাগত কারণে ছিলেন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুত্তরাষ্ট্রে। স্ত্রী নার্গিস আজম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী। নার্গিস আজম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর করেছেন। যুক্ত ছিলেন ইউনিসেফের সঙ্গে। এখন কাজ করছেন নিউজিল্যান্ডে কমিউনিটি সার্ভিস নিয়ে। তাঁদের দুই ছেলে। তাঁরাও বাবার পেশায় আসেননি। বড় ছেলে নাফিস আজম নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ক্যান্টাবুরির ছাত্র। আইন ও অর্থনীতি বিষয়ে আলাদাভাবে ডাবল ডিগ্রি করছেন। তাঁর আরেকটি পরিচয়, তিনি নিউজিল্যান্ডে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে তরুণ সমাজের অ্যাম্বাসাডর। ছোট ছেলে আসিফ আজম ইন্টারমিডিয়েট লেভেলের স্কুলছাত্র। তার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন।
অমানুষ হবার সহজ উপায়- Technology making humane inhumane
প্রযুক্তি মানবসমাজকে মানবিকতা থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। বর্তমান প্রজন্মের তরুণরা প্রযুক্তিকে অমানবিক মনে করছে। মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর চিপ নির্মাতা ইন্টেল সম্প্রতি গ্রাহকদের ওপর ‘ইন্টেল ইনোভেশন ব্যারিয়ার’ শীর্ষক একটি জরিপ চালায়। জরিপে প্রযুক্তি সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের এ ধরনের মতামত উঠে আসে। খবর বিবিসির।
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি করতে পারে না— এ ধরনের কার্যক্রমের তালিকা ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। বায়োনিক ম্যান থেকে শুরু করে থ্রিডি প্রিন্টার সবই প্রযুক্তির আশীর্বাদ। জীবনকে আগের তুলনায় অনেক বেশি সহজ করে দিয়েছে প্রযুক্তি। মানুষের জীবনের বড় অনেক সিদ্ধান্তই প্রযুক্তি দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে।
কিন্তু এ প্রযুক্তিই মানুষের মধ্যে মানবিক আচরণ হ্রাসের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বর্তমান প্রজন্মের তরুণরা। তাদের মতে, প্রযুক্তি মানুষের মধ্যে অমানবিক আচরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করছে। মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর চিপ নির্মাতা ইন্টেলের সাম্প্রতিক এক জরিপে এ ধরনের তথ্য উঠে আসে।
কোম্পানিটি ব্রাজিল, চীন, ফ্রান্স, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের ১২ হাজার প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ওপর ‘ইন্টেল ইনোভেশন ব্যারিয়ার’ শীর্ষক জরিপটি পরিচালনা করে। এতে তরুণরা প্রযুক্তি সম্পর্কে অনেকটা নেতিবাচক মন্তব্য করলেও বয়স্ক গ্রাহকরা একে তাদের অন্যতম সহায় বলে মনে করছেন।
এদিকে জরিপ অনুযায়ী তরুণরা আগামী সময়গুলোয় প্রযুক্তি বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন। তবে প্রযুক্তিই জীবনের সবকিছু নয় বলে মনে করছেন তারা। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬১ শতাংশ তরুণ মনে করেন, প্রযুক্তি মানুষের মধ্যে অমানবিক আচরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করছে। এদিকে ৫৯ শতাংশ তরুণ মনে করেন, বর্তমানে সমাজব্যবস্থা প্রযুক্তির ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
নৃতত্ত্ববিদ ও ইন্টেল ল্যাবের মিথস্ক্রিয়া ও অভিজ্ঞতা গবেষণা বিভাগের পরিচালক ড. জিনিভাইবে বেল বলেন, তরুণদের বক্তব্য শুনলে প্রথমে মনে হবে তারা প্রযুক্তিবিরোধী। কিন্তু পুরো ব্যাপারটাই অনেক জটিল। প্রযুক্তি সম্পর্কে তাদের মতামত একবারে অগ্রাহ্য করার মতো নয়। তবে বর্তমান প্রজন্ম যে প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে, সেটিও তারা স্বীকার করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্ম চাচ্ছে প্রযুক্তিতে তাদের আরো প্রাধান্য দেয়া হোক। এদিকে আমরাও প্রযুক্তিকে বোঝা না বানিয়ে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গে পরিণত করতে অবিরত কাজ করে যাচ্ছি।’
জরিপে অংশগ্রহণকারী তরুণদের এক-তৃতীয়াংশই (৩৬ শতাংশ) মনে করেন যে, প্রযুক্তিকে তাদের প্রয়োজন বোঝার জন্য আরো উন্নত হতে হবে। তাদের মতে, প্রযুক্তি ব্যবস্থা, সেবা ও যন্ত্রাংশকে এমনভাবে তৈরি করা উচিত, যাতে করে তারা সময় উপযোগীভাবে তাদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়।
তরুণরা প্রযুক্তির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অসন্তুষ্ট হলেও তারা ভবিষ্যতে একে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করতে আগ্রহী। এমনকি তারা মনে করেন, আগামী সময়গুলোয় প্রযুক্তি বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সক্ষম হবে। জরিপে অংশগ্রহণকারী তরুণদের ৫৭ শতাংশ মনে করেন, প্রযুক্তি আগামী সময়ে শিক্ষা খাতের উন্নয়নে যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ৫২ শতাংশ মনে করেন, প্রযুক্তি আগামী সময়ে যোগাযোগ খাতে ভূমিকা রাখবে ও ৪৯ শতাংশ মনে করেন, এটি আগামী সময়গুলোয় স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।
বর্তমানে প্রযুক্তি ব্যবহারে তরুণদের তুলনায় বয়স্কদের আগ্রহ তুলনামূলক বেশি বলে জরিপের প্রতিবেদনে জানানো হয়। বিশ্বজুড়ে ৪৫ বছরোর্ধ্ব নারীরা মনে করে, বর্তমানে মানুষ প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করছে না। তাদের মতে, জীবনকে উন্নত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার আরো বৃদ্ধি করা উচিত।
বয়স্করা প্রযুক্তিকে তাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন। তাদের মতে, প্রযুক্তিই এখন তাদের অন্যতম সহায়। প্রযুক্তি দিয়ে বয়োবৃদ্ধরা এখন তাদের যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হচ্ছেন বলে জানান। তাদের মতে, প্রযুক্তি মানুষকে আরো বেশি মানবিক করে তুলছে। এর মাধ্যমে বয়স্করা তাদের আপনজনের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করতে পারছেন। ফলে সামাজিক যোগযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেকোনো সম্পর্কের বাঁধন আরো দৃঢ় হয় বলেও জরিপে অংশগ্রহণকারী বয়স্ক গ্রাহকরা মন্তব্য করেছেন।
উদীয়মান বাজারগুলোয় প্রযুক্তি প্রভাব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতি বয়স্কদের আগ্রহ একই হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা যে পরিমাণে প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, তাকে পর্যাপ্ত বলে মেনে নিতে নারাজ ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বের গ্রাহকরা। চীনের এ বয়সী ৭০ শতাংশ নারীই মনে করেন, প্রয়োজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে না। চীন ব্রাজিল, ভারত, ইন্দোনেশিয়ার অধিকাংশ বয়স্ক গ্রাহক মনে করে, প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নকে আরো ত্বরান্বিত করবে। আগামীতে প্রযুক্তির পর্যাপ্ত ব্যবহার ও প্রয়োগ করা হলে শিক্ষা খাতে উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে ৬৬ শতাংশ, যোগাযোগ খাতে ৫৮, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ৫৭ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে ৫৬ শতাংশ।
ব্যক্তি উন্নয়নে বয়স্করা ব্যক্তিগোপনীয়তা বিসর্জন দিতেও রাজি রয়েছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৬ শতাংশ বয়স্ক গ্রাহক বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহারে আগ্রহী, যা তাদের বিভিন্ন অভ্যাস নিরূপণ করবে। ৭৭ শতাংশ স্মার্ট শৌচাগার ব্যবহারে আগ্রহী। তারা মনে করেন, স্মার্ট শৌচাগার তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিভিন্ন জরুরি তথ্য সরবরাহ করবে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, প্রযুক্তিকে সবসময় সব বয়সী গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে হয়। তরুণদের প্রযুক্তি খাতে আগ্রহী করতে ও বয়স্কদের ধরে রাখতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো অবিরত কাজ করে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিশ্লেষকরা।
- See more at: http://bonikbarta.com/telecom-and-technology/2013/10/19/19432#sthash.MWezAejn.dpuf
বিধিনিষেধ বেশি তো আপনি গাধা ও আপনার বস ফকির- Excess Rules makes Stupid
কর্মক্ষেত্র বা অফিসে ‘এটা করা যাবে না, ওটা বলা যাবে না’ ইত্যাদি নিষেধাজ্ঞা পালনে বাধ্য করা হলে কর্মীদের সাফল্যের সম্ভাবনা কমে যায়। মার্কিন গবেষকেরা এমনটিই দাবি করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের যৌথ এক গবেষণা অনুযায়ী, অতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপের কারণে অফিসের একজন কর্মীর মৌলিক দক্ষতা ও সামর্থ্য, বুদ্ধিমত্তা ও শারীরিক সুস্থতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। পরিণামে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষতির আশঙ্কাই বেড়ে যায়।
এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ক্ল্যাটন ক্রিশার। তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে চারপাশে বৈচিত্র্য তৈরি করতে হবে। বাঁধাধরা নিয়মকানুনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বড় ধরনের সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়।
কারেন্টের বাতি দিয়ে ইন্টারনেট চালান- Lai fai wi-fi from electric light
বৈদ্যুতিক বাতি থেকে দ্রুতগতির ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক তৈরির দ্বারপ্রান্তে চীনা গবেষকেরা। এ পদ্ধতিটিকে গবেষকেরা বলছেন ‘লাই-ফাই’।
গবেষকেদের দাবি, লাই-ফাই পদ্ধতিতে প্রচলিত ওয়াই-ফাই পদ্ধতির চেয়ে ১০ গুণ দ্রুতগতিতে তথ্য স্থানান্তর করা সম্ভব। বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
লাইট এমিটিং ডায়োড বা এলইডি বাতি ব্যবহার করে তথ্য স্থানান্তরের পদ্ধতিটি গত দুই বছর ধরে আলোচনায় রয়েছে। এর আগে জার্মান গবেষকেরা দাবি করেছিলেন যে, লাইট এমিটিং ডায়োড বা এলইডি ব্যবহার করে তাঁরা প্রতি সেকেন্ডে ৮০০ মেগাবিট গতিতে তথ্য স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন। এ পদ্ধতিতে এলইডি ব্যবহার করে ডিজিটাল তথ্যের সংকেত পাঠানো হয়। একটি লাইট সেন্সর এলইডি থেকে পাঠানো তথ্য শনাক্ত করতে পারে, যা পরে কম্পিউটারে প্রসেসিং করা সম্ভব হয়। গবেষকেরা এ পদ্ধতিটির নাম দিয়েছেন ‘লাই-ফাই’।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, লাই-ফাই ব্যবহার করে হাই-ডেফিনেশন মানের চলচ্চিত্রও এক মিনিটেই ডাউনলোড করা সম্ভব। আর বাড়ির প্রতিটি বৈদ্যুতিক বাতিকে লাই-ফাই প্রযুক্তির রাউটার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে তারবিহীন প্রযুক্তির ইন্টারনেট হিসেবে কাজ করতে পারে।
এবারে চীনের ফুডান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন, সেকেন্ডে ১৫০ মেগাবিট গতিতে তথ্য স্থানান্তরের ক্ষেত্রে মাইক্রোচিপযুক্ত এলইডি বাতি কাজে লাগানো সম্ভব। এক ওয়াটের একটি বাতি কাজে লাগিয়ে চারটি কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ চালু রাখা সম্ভব বলেও গবেষকেরা মনে করছেন।
লাই-ফাই প্রযুক্তি ভিজিবল লাইট কমিউনিকেশনস বা ভিএলসি নামেও পরিচিত। এ পদ্ধতিতে প্রচলিত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির পরিবর্তে লাইট ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা হয়। গবেষকেদের দাবি, এ পদ্ধতির নেটওয়ার্ক হবে নিরাপদ ও অর্থ সাশ্রয়ী।
গবেষকেরা বলছেন, লাই-ফাই প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় মাইক্রোচিপ উন্নয়ন ও নকশার ক্ষেত্রে আরও উন্নতি করতে হবে। তাই শিগগিরই এ প্রযুক্তি হাতের নাগালে আসছে না। তবে নভেম্বর মাস নাগাদ চীনের শিল্প মেলায় ‘লাই-ফাই’ যন্ত্র পরীক্ষামূলক প্রদর্শন করতে পারে চীনা গবেষকেরা।
বড়লোক হবার সঠিক পদ্ধতিগুলো
অর্থই যেনো অনর্থের মূল কারণ না হয় সেজন্য টাকা-পয়সা সঠিকভাবে ব্যবহারের কিছু পদ্ধতি রয়েছে। জীবনে টাকা-পয়সার সর্বাধিক সুষ্ঠু ব্যবহার কী হতে পারে সে সম্পর্কে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। উন্নত দেশগুলোতে অর্থের যথার্থ ব্যবহারের শিক্ষাদান শিশুকাল থেকেই শুরু করা হয়। সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যত গড়তে প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত এ পদ্ধতি অনুসরণ করা। নিউ ইয়র্ক টাইমসের বেস্ট সেলার এমনই একটি বই 'গেট আ ফিনানসিয়াল লাইফ'। এর লেখক বেথ কবলাইনার সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ। তাছাড়া ইউএস প্রেসিডেন্টের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তিনি। তাঁর অপর একটি বই 'মানি অ্যাজ ইউ গ্রো' থেকে আপনারা সন্তানের বয়েসের ভিত্তিতে অর্থের ব্যবহার সংক্রান্ত নানা বাস্তবমুখী উপদেশ পাবেন।
অর্থের ব্যবহার সংক্রান্ত শিক্ষা নানা বয়েসে ভিন্নমুখী হয়ে থাকে। আপনাদের জন্য গবেষকদের কিছু শিক্ষা এখানে তুলে ধরা হল। আশা করি জীবনের অতিব জরুরি এই টাকা-পয়সার সঠিক ব্যবহার সম্বন্ধে আপনার সন্তানকে সচেতন করতে সাহায্য করবে এই প্রতিবেদন।
কবলাইনারের মতে অর্থ জমানো এবং খরচের শিক্ষা মাত্র তিন বছর বয়েস থেকেই শিশুরা পেতে পারে। ব্রিটেনের মানি অ্যাডভাইস সার্ভিসের তত্ত্বাবধানে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের গবেষণায় দেখা গেছে, সাত বছর বয়েস থেকেই মানুষের অর্থ সংক্রান্ত যাবতীয় অভ্যাস গড়ে উঠতে থাকে। কাজেই যতো দ্রুত আপনার সন্তান এসব শিক্ষা পাবে, সে ততো দ্রুত অর্থের ফলপ্রসূ ব্যবহার ঘটাতে পারদর্শী হয়ে উঠবে।
বয়স যখন ৩ থেকে ৫ বছর: এ বয়েসী শিশুদের মূল শিক্ষাটি হল- 'তুমি যা কিনতে চাও তার জন্যে তোমাকে অপেক্ষা করতে হতে পারে'। কবলাইনারের মতে, এ শিক্ষাটি সব বয়েসী মানুষের জন্যই বাস্তবতা। শিশুদের বোঝাতে হবে যে, সে যা চায় তার জন্য কিছু সময় ব্যয় করতে হবে। কারণ প্রয়োজনীয় টাকা তার জমাতে হবে। এর মাধ্যমে অপেক্ষা করে পরিতৃপ্তি লাভের মতো বড় একটি গুণ শিশুরা অর্জন করে। আবার তারা এ শিক্ষাটিও পায় যে, কোনো কিছু এতো দ্রুত শুরু করতে নেই।
আপনার করণীয়:
১. প্রথম কাজটি হবে তাকে বোঝানো। শিশুটি কোনো কিছু চাইলে তাকে সুন্দরভাবে বোঝান যে, জিনিসটি পেতে হলে তাকে টাকা জমাতে হবে এবং এ জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
২. আপনার শিশুকে টাকা জমানোর জন্য তিনটি মাটির ব্যাংক কিনে দিন। একটিতে লিখা থাকবে 'জমা', আরেকটিতে 'খরচ' এবং অন্যটিতে 'অংশগ্রহণ'। তাকে বোঝান, বড় কিছু কিনতে চাইলে জমার ব্যাংকটিতে টাকা রাখতে হবে। আর সব সময় ছোট কেনাকাটা যেমন- চকোলেট বা জুস ইত্যাদি কেনার জন্য খরচের ব্যাংকে টাকা থাকবে। আর বন্ধুদের সাথে কিছু কিনতে হলে বা সবাই মিলে একসাথে কিছু করতে অংশগ্রহণের ব্যাংকে টাকা রাখতে হবে।
৩. এমন কিছু সে দাবি করতে পারে যা কেনার সাধ্য তার নেই বা আপনারও সে পরিমাণ অর্থের যোগান দেয়া সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে তা কিনতে হলে তাকে ওই পরিমাণ অর্থ জমাতে হবে। এজন্য হয়তো অনেক সময় লেগে যাবে। তার সাথে কথা বলে আপনারা ঠিক করুন, অন্য কিছু কেনা যায় কিনা। কারণ সময়ক্ষেপণের বিষয়টি বেশি লম্বা করাটা উচিত নয়। নিজের জমানো টাকায় কেনা সম্ভব নয় দেখলে তার নিজেরও মত পরিবর্তন হতে পারে। আর জমানো সম্ভব হলে আপনার সন্তানের পরিতৃপ্তি হবে দেখার মতো।
বয়স যখন ৬ থেকে ১০ বছর: এ বয়েসীদের মূল শিক্ষাটি হল- 'তোমাকে ঠিক করতে হবে যে, কিভাবে টাকাটা খরচ করতে চাও'। সন্তানকে বোঝান, টাকার পরিমাণ সীমিত। কাজেই এই টাকা খরচ করতে হবে চিন্তা-ভাবনা করে। কারণ একবার খরচ করে ফেললে পরবর্তি খরচের জন্য টাকা থাকবে না। এ বয়েসীদের ওই তিনটি ব্যাংকে টাকা জমানোর সাথে আপনাকে পরামর্শকের ভূমিকায় থাকতে হবে বলে মনে করেন কবলাইনার। এ সময় জমা, খরচ এবং অংশীদার ব্যাংকে টাকা জমানোর জন্য সন্তানের নির্দিষ্ট লক্ষ্য জুড়ে দিতে হবে। এসব নিয়ে আপনি তার সাথে আলোচনা করবেন। তাছাড়া এখন কিছুটা বড় ধরনের অর্থ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তাকে জড়াতে হবে।
আপনার করণীয়:
১. কিছু কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে তার সাথে কথা বলুন। যেমন- জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের একটি জুস কিনতে গেলে ৫ টাকা বেশি খরচ হয়। কিন্তু একই স্বাদের অন্য জুস কিনলে এ টাকাটা বেঁচে যাবে। কাজেই কোনটা করলে ভাল হবে? এ প্রশ্নটি নিয়ে আলাপ করুন। অথবা প্রতিদিন কিনতে হচ্ছে এমন একটি জিনিস একটি করে না কিনে একবারে বেশি পরিমাণে কিনলে ক্রয়মূল্য কম পড়বে- এমন হিসাব সম্পর্কে তাকে ধারণা দিন।
২. মার্কেটে গেলে তার হাতে অল্প কিছু টাকা ধরিয়ে দিন। ধরুন ৫০ টাকা দিয়ে তাকে বলুন তার যা খেতে ইচ্ছা করছে তা এই টাকার মধ্যে কিনতে। এতে করে সে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত হবে।
৩. শপিংয়ে গেলে কেনাকাটার ফাঁকে নানা প্রশ্ন করে তার জবাবটি শুনুন। যেমন- এ জিনিসটি কি আসলেও কেনার প্রয়োজন আছে? এটা না কিনে ধার করা যায় না? অন্য কোথাও কি এটা কম দামে পাওয়া যেতে পারে? ইত্যাদি প্রশ্ন তার মধ্যে নানামুখী উপায় নিয়ে চিন্তা করতে শেখাবে।
বয়স যখন ১১ থেকে ১৩: মূল শিক্ষাটি হল- 'তুমি যতো দ্রুত টাকা জমাতে পারবে, তোমার বিভিন্ন চাহিদা মেটানোর জন্য ততো দ্রুত টাকা তৈরি থাকবে'। এ বয়েসে তাকে টাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সম্পর্কে জ্ঞান দিন। তাকে কমপাউন্ড ইন্টারেস্ট নিয়ে বোঝান। তার এখনকার জমানো এবং আগের জমানো একসাথে হয়ে কি ধরনের লাভ হচ্ছে তার ধারণা দিন।
আপনার করণীয়:
১. কম্পাউন্ড ইন্টারেস্ট সম্পর্কে বোঝাতে গাণিতিক উদাহরণ টানুন। যেমন- যদি তুমি ১৫ বছর বয়েস থেকে প্রতি মাসে ১০০ টাকা জমাও, তাহলে তোমার ৫০ বছর বয়েসে মোট ৪২ হাজার হবে। আর যদি এ টাকা তুমি ৩০ বছর বয়েস থেকে জমানো শুরু করো তাহলে মাত্র ২৪ হাজার টাকা জমবে।
২. ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট এবং এর থেকে বাড়তি আয়ের বিষয়টি তার ধারণায় দিন। তবে সুদ সংক্রান্ত বিষয়ের সাথে ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও তাকে অবগত করা উচিত।
৩. কবলাইনারের মতে, এ বয়েসে ছেলে-মেয়েরা পছন্দের জিনিস কিনতে চায়। এ ক্ষেত্রে তাদের বড় কিছু করতে ছোট কিছু ত্যাগ করার শিক্ষা দিন। যেমন- সে যদি স্কুল থেকে বের হয়ে প্রতিদিন একটি করে চিপস খায়, তবে তাকে হিসেব দিয়ে বুঝিয়ে দিন যে এই চিটসের টাকা জমিয়ে সে কিছু দিন পর বড় একটি জিনিস কিনতে পারবে।
বয়স যখন ১৪ থেকে ১৮ বছর: এ বয়েসের মূল শিক্ষাটি হল- 'কোন খাতে খরচ করলে তার বিপরীতে কী আসতে পারে'। ধরুন সে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যাচ্ছে। তার পছন্দের কোনো বিষয়ে পড়ার খরচ নিয়ে আলোচনা করুন। তাকে বোঝান, আগ্রহের সাথে তাল মিলিয়ে কোন বিষয় নিয়ে পড়লে কত টাকা খরচ হবে এবং ওই বিষয় নিয়ে পড়ে সে ভবিষ্যতে কতো টাকা উপার্জন করতে পারবে। তবে তার ইচ্ছাকে নিরুৎসাহিত করবেন না।
এ সময় তাকে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম কাজের উৎসাহ দিন। সেখান থেকে তার উপার্জন হবে। এর সাহায্যে সে তার লিখা-পড়ার জন্যে কিছু করতে পারবে। তবে শুধুমাত্র পড়াশোনার ক্ষতি না করে এসব কাজ চালানো যেতে পারে।
বয়স যখন ১৮ বছরের বেশি: মূল শিক্ষাটি এমন- 'তোমার একটি ক্রেডিট কার্ড থাকতে পারে যদি মাস শেষে ঠিকমতো টাকা জমা দিতে পারো'।
পার্টটাইম চাকরি থেকে উপার্জিত টাকা ব্যবহারে তার কিছু ভাল অভ্যাস গড়ে উঠবে। তাছাড়া এখন তার একটি ভাল চাকরি থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার সাথে নিজের টাকার সদ্ব্যবহার করতে শিখবে সে। এর মাধ্যমে জরুরি অবস্থায় টাকার প্রয়োজন যেমন মিটবে, তেমনি এই উৎসকে সুষ্ঠু উপায়ে ধরে রাখার অভ্যাস তাকে আরো বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল করে তুলবে।
বিবস্ত্র এক কলেজছাত্রীর ভিডিওচিত্র - Collage Student Suicide after the sex tap published
অপহরণের পর নির্যাতন চালিয়ে বিবস্ত্র করে এক কলেজছাত্রীর ভিডিওচিত্র ধারণ করার গ্লানি সইতে না পেরে ঈদের দুই দিন আগে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ। গত সোমবার রাতে পুলিশ ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিনকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ছাত্রীর বাবা কালের কণ্ঠকে জানান, তিনি ও তাঁর স্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে কাজ করেন এবং পাশেই কোয়ার্টারে থাকেন। গত সোমবার তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হাসপাতালে চলে যান। বিকেলে বাসায় ফিরে দেখেন দরজা-জানালা বন্ধ। পরে তাঁরা দরজা ভেঙে দেখেন রুমের ভেতর মেয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যাতে লেখা ছিল_'আমার এই মৃত্যুর জন্য একমাত্র গিয়াস উদ্দিন দায়ী।' স্বজনদের অভিযোগ, ধানমণ্ডি নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ অ্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচএসসি মানবিক শাখার দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীকে গিয়াস নামের একটি ছেলে প্রায়ই বিরক্ত করত। একপর্যায়ে গিয়াস হুমকি দিয়ে বলে, তাকে বিয়ে না করলে সপরিবারে ওই ছাত্রীকে হত্যা করা হবে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী রমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। কিন্তু পুলিশ এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়নি। ফলে এর কিছুদিন পরই গিয়াস কয়েকজন সহযোগীর মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে মগবাজার এলাকায় নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায় এবং নগ্ন করে ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে নানাভাবে হুমকি দিত গিয়াস। এসব সহ্য করতে না পেরে অবশেষে আত্মহননের পথ বেছে নেয় ওই ছাত্রী। স্বজনরা এ ঘটনায় পুলিশের গাফিলতিকে দায়ী করছেন। এ দিকে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার এসআই জামাল হোসেন জানান, জিডির বিষয়ে পুলিশের কোনো গাফিলতি ছিল না। তারা ছেলেটিকে খুঁজে পায়নি। অন্যদিকে শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। গিয়াসকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে গিয়াসকে ধরতে সম্ভাব্য সব জায়গায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাকে ধরতে পারলে রহস্য উদ্ঘাটন হবে এবং প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে।
Subscribe to:
Posts (Atom)
Blog Archive
-
▼
2013
(195)
-
▼
October
(100)
-
►
Oct 21
(6)
- CITYBANK-EGM of the Company will be held on Novemb...
- FINEFOODS-stock dividend @ 2% for the year ended o...
- স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে কার্যক্র...
- বিকৃতযৌনলোভী, মিথ্যুক একজন মানুষ- Steve was sex si...
- উলটাপালটা দৌড়ালে খবর আছে !! - How to walk properly
- মাত্র ১২ টাকায় খুন করা হয়- Murdered only for 12 taka
-
►
Oct 20
(9)
- পিসিতে এবার পাবেন ফ্রি- Windows 8.1 for free
- থৃজি আর নেই- ফাইভ জি- 5G Internet is in pipeline
- মোবাইল নিয়ে যুদ্ধ - War between samsung amd iphone 5
- খাবিনা? জোড় কইরা বাইন্দা খাওয়ামু- How to stop hung...
- ল্যাম্বরগিনি ভেনেনো রোডস্টার-Lambergini venono roa...
- বিষাক্ত বিষ আপনার মগজে -ধুয়ে নিন এখনই- Sleep wash ...
- প্রেম এটা টিকবেনা-বুঝার উপায়- How to know that lov...
- পানির নিচে ইন্টারনেট চালান সহজে- Wi-Fi is now unde...
- Rapist raped,Had SEX, Teen sex, Aubesment, WHY-HOW...
-
►
Oct 19
(8)
- ক্ষতিগ্রস্ত চামড়া ঠিক করুন নিমিষে- Burnt Skin repa...
- অমানুষ হবার সহজ উপায়- Technology making humane inh...
- কাল শেয়ার বাজারে কি হবে?
- বিধিনিষেধ বেশি তো আপনি গাধা ও আপনার বস ফকির- Exces...
- কারেন্টের বাতি দিয়ে ইন্টারনেট চালান- Lai fai wi-fi...
- বড়লোক হবার সঠিক পদ্ধতিগুলো
- বিবস্ত্র এক কলেজছাত্রীর ভিডিওচিত্র - Collage Stude...
-
►
Oct 21
(6)
-
▼
October
(100)
- ► 2011 (2088)