স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ - Demutualization Under Condition

Monday, October 21, 2013 Other
শর্তসাপেক্ষে বিন্যস্তকৃত (ডিমিউচুয়ালাইজড) এক্সচেঞ্জের অন্তর্বর্তী পর্ষদ বা প্রথম পরিচালনা পর্ষদ হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান প্রেসিডেন্ট অন্তর্বর্তী পর্ষদের চেয়ারম্যান হতে পারবেন না। স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্য থেকে অন্তর্বর্তী পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে। ১৩ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয় এ পরামর্শ দেয়। ডিমিউচুয়ালাইজেশন (বিন্যস্তকরণ) স্কিম অনুমোদনের পর বিন্যস্তকৃত এক্সচেঞ্জের প্রথম পরিচালনা পর্ষদ বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জের মতবিরোধ তৈরি হয়। প্রথম পরিচালনা পর্ষদ হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব খারিজ হলেও অনুমোদিত স্কিমে আলাদাভাবে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। আলাদা নির্দেশনা না থাকায় দুই স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ড সভায় কমিশনে খারিজ হওয়া পুরনো প্রস্তাবটিই গ্রহণ করা হয়। এ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় কমিশন। ১৩ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে উপপরিচালক নাসিরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ পরামর্শ পেল কমিশন, যা সেদিন বিকালেই দুই স্টক এক্সচেঞ্জে ফ্যাক্সযোগে প্রেরণ করা হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক (বিএসইসি) অনুমোদিত স্কিমের আদলেই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বর্তমান পর্ষদকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও অন্তর্বর্তী পর্ষদের আকার কি হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়নি। তবে অন্তর্বর্তী পর্ষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিচালক হবেন স্বতন্ত্র। একই সঙ্গে স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্য থেকে অন্তর্বর্তী পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। এ পর্ষদ বিন্যস্তকৃত এক্সচেঞ্জের নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠানের আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। প্রসঙ্গত, বিন্যস্তকৃত এক্সচেঞ্জের প্রথম পরিচালনা পর্ষদ বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রস্তাব খারিজ হওয়ায় অনুমোদিত ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিমের আদলে অন্তর্বর্তী পর্ষদ বা প্রথম পরিচালনা পর্ষদ গঠনের পক্ষে কমিশনের একাধিক সদস্য মত দিয়েছিলেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেয়া পরামর্শে প্রতিফলিত হয়েছে বলে মনে করেন কমিশন সদস্যরা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ পরামর্শের কারণে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান প্রেসিডেন্টকে তাদের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে। তবে অন্তর্বর্তী পর্ষদের পরিচালক হতে তাদের কোনো বাধা নেই। ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ও ২৯ অক্টোবর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে অনুমোদিত স্কিম, সংঘস্মারক ও সংঘবিধি পরিবর্তন এবং বিন্যস্তকৃত এক্সচেঞ্জের প্রথম পরিচালনা পর্ষদের তালিকা বিশেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করা হবে। গত ২৯ জুলাই এক্সচেঞ্জের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পৃথকীকরণে ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম জমা দেয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ গত ২৬ সেপ্টেম্বর ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম অনুমোদন দেয় কমিশন। তবে অনুমোদিত স্কিমে প্রথম পরিচালনা পর্ষদ হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব খারিজ করা হলেও আলাদাভাবে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। এতে জটিলতা তৈরি হয়। অনুমোদিত স্কিমে এ বিষয়ে আলাদা নির্দেশনা না থাকায় আসন্ন বিশেষ সাধারণ সভায় গ্রহণের জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ড সভায় কমিশনে খারিজ হওয়া পুরনো প্রস্তাবটিই গ্রহণ করা হয়। এতে কমিশনে অসন্তোষ দেখা দেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন থেকে প্রথম পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকদের নামের তালিকায় ‘কমিশনের নির্দেশক্রমে পরিবর্তন করা হতে পারে’ কথাটি যুক্ত করার মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর অনুমোদিত ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম অনুসারে স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ হবে ১৩ সদস্যের। স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য স্বতন্ত্র পরিচালক হবেন। অনুমোদিত স্কিম অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক সাতজন ও স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারসহ (কৌশলগত বিনিয়োগকারী) শেয়ারহোল্ডার পাঁচজন থাকবেন। তবে যত দিন পর্যন্ত স্ট্র্যাটেজিক শেয়ারহোল্ডার নির্বাচিত না হবে তত দিন পর্যন্ত এ পদ শূন্য থাকবে - See more at: http://bonikbarta.com/sharemarket/2013/10/21/19702#sthash.uSRWqcao.dpuf

Blog Archive