বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের নেওয়া আইনি সীমার অতিরিক্ত ঋণ সমন্বয়ের সময়সীমা বৃদ্ধির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের সমন্বয় কমিটির সভা শেষে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এস কে সুর চৌধুরী এ তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ের আগে এসইসি কার্যালয়ে সমন্বয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এসইসির চেয়ারম্যানসহ সব সদস্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক, দুই স্টক এঙ্চেঞ্জের সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বাজার সংশ্লিষ্ট ১৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এসইসির মুখপাত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ডিএসই ও সিএসইর পক্ষ থেকে শেয়ারের লেনদেন নিষ্পত্তির সময় তিন দিনের (টি+৩) পরিবর্তে দুদিনে (টি+২) নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। সমন্বয় কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমিয়ে আনার বিষয়টি কমিশন সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এস কে সুর চৌধুরী বলেন, শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর নেওয়া একক গ্রাহকসীমার (সিঙ্গেল পার্টি এঙ্পোজার লিমিট) অতিরিক্ত ঋণ সমন্বয়ের সময়সীমা আরো বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ঋণ সমন্বয়ের বিষয়টি একেবারে বাতিল করে দেওয়ার সুযোগ নেই। কেননা মুদ্রাবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঝুঁকি হ্রাসের প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে গুরুত্ব দিতে হয়। তবে সমন্বয়ের ফলে শেয়ারবাজারে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সে বিষয়ে বাংলাদেশ সতর্ক রয়েছে। এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।