গত তিন সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে দশ হাজার ৪৩৬ কোটি ৫৪ লাখ ২৪ হাজার ৪৬২ টাকা। তবে গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে। তাছাড়া দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি দেশের দুই পুঁজিবাজার। এর আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও ডিএসই ও সিএসইতে দরপতনের ধারা অব্যাহত ছিল।
গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৩ কার্যদিবসেই দরপতন হয় উভয় বাজারে। আগের মাসের মতো চলতি মাসেও দরপতনের প্রতিবাদে ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছেন বিনিয়োগকারীরা। গত ৫, ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর টানা তিনদিন বিক্ষোভ করেন তারা।
এর আগে গত মাসের ২, ৪ ও ৭ আগস্ট একই কারণে বিক্ষোভ করেন বিনিয়োগকারীরা।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ২২১টি প্রতিষ্ঠানের দাম ও সাধারণ সূচক কমেছে ১১০ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে ২৩৯টি প্রতিষ্ঠানের দাম ও সূচক কমেছিল ১৩৪ পয়েন্ট। অর্থাৎ গত দুই সপ্তাহে ডিএসইর সাধারণ সূচক কমেছে ২৪৪ পয়েন্ট।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১৩৯টি প্রতিষ্ঠানের দাম ও সাধারণ সূচক কমেছে ৯৩ পয়েন্ট বা ০.৮৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে ১৮৪টি প্রতিষ্ঠানের দাম ও সূচক কমেছিল ২৪৪ পয়েন্ট বা ২.২২ শতাংশ।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ২৭০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬৪টির লেনদেন হয়। এরমধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯টির ও কমেছে ২২১টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৪টি প্রতিষ্ঠানের দাম। বাকি ৬টি প্রতিষ্ঠানের লেনদেন হয়নি।
পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইর সাধারণ সূচক নেমে যায় ৫ হাজার ৯৬৬.৫১ পয়েন্টে যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ১.৮২ শতাংশ কম। সার্বিক সূচক ১.৯০ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৯৯১.৫২ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ৬৩২ কোটি ৭০ লাখ ৪২ হাজার ৫৭২ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৯৪ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার ৭৯৪ টাকা।