শেয়ারবাজার :::: পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) ইমেজ সঙ্কট কাটতে শুরু করেছে। পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বাজার নিয়ন্ত্রণে কমিশনের ব্যর্থতা এবং তৎকালীন চেয়ারম্যানসহ কিছু কর্মকর্তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছিল। নতুন চেয়ারম্যান ও সদস্যরা দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থান থেকে মুক্ত হয়েছে এসইসি। বাজার সংশিস্নষ্ট বিভিন্ন মহল থেকেও নবগঠিত কমিশনের ওপর পূর্ণ আস্থা ব্যক্ত করা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণে স্বাধীন ভূমিকা পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হলে বর্তমান কমিশনের পৰে অনৈতিক তৎপরতা রোধ করে শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে তাঁরা মনে করেন।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বাধীন পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সরকার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়। এর অংশ হিসেবে গত ১৫ মে সংস্থার চেয়ারম্যান পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. খায়রুল হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়। এর আগে ওই পদে অধিষ্ঠিত জিয়াউল হক খোন্দকারের চাকরি সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। আর কোন ধরনের অভিযোগ না থাকলেও সরকারের চাপের মুখে কমিশনের দুই সদস্য মোঃ ইয়াছিন আলী এবং মোঃ আনিসুজ্জামান পদত্যাগে বাধ্য হন। এর আগে গত ২ মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেলালউদ্দীন নিজামীকে নতুন সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। সর্বশেষ গত ২৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মোঃ আরিফ খানকে এসইসির সদস্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় কোরাম সঙ্কটের নিরসন হয়।
জানা গেছে, পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরপরই পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আইন ও বিধি-বিধান সংস্কারের লৰ্যে পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরম্ন করেছে এসইসি। ইতোমধ্যেই বাজার সংশিস্নষ্ট সকল পৰের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। এসব বৈঠকে অংশগ্রহণকারী স্টক এঙ্চেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংক, সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পুনগর্ঠিত কমিশনের প্রতি তাদের পরিপূর্ণ আস্থা ব্যক্ত করেছেন।
তাঁরা মনে করেন, চেয়ারম্যানসহ এসইসির নবনিযুক্ত সদস্যরা পুঁজিবাজারের সামগ্রিক বিষয় সম্পর্কে অবগত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিৰক, গবেষক, ব্যাংকার, চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্টসহ পুঁজিবাজার সংশিস্নষ্ট কাজে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিশনের পৰে পুঁজিবাজার শৃঙ্খলা স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব।
বাজার সংশিস্নষ্টরা মনে করেন, কমিশন পুনর্গঠনের পর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনাই এসইসির জন্য সবচেয়ে জরম্নরী। তবে বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যেই নতুন কমিশনের ওপর তাঁদের আস্থা ব্যক্ত করেছেন। তাঁদের একাধিক গ্রম্নপ কমিশনের কাছে দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছেন। বিনিয়োগকারীদের বিৰোভেও এখন এসইসির বিরম্নদ্ধে কোন সেস্নস্নাগান দেয়া হচ্ছে না। এসব কিছুই নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি আস্থার প্রতিফলন।
এদিকে কমিশন পুনর্গঠন শেষ হলেও সংশয়মুক্ত হয়ে কাজ করতে পারছেন না এসইসির কর্মকর্তারা। কারণ পুঁজিবাজার তদনত্ম কমিটির রিপোর্টে কমিশনের একাধিক কর্মকর্তার বিরম্নদ্ধে শাসত্মিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এরমধ্যে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় একজন নির্বাহী পরিচালককে আগেই ওএসডি করা হয়েছে। কিন্তু কোন ধরনের দুর্নীতি, অনিয়ম বা অনৈতিক কর্মকা-ের প্রমাণ না পেলেও আরেক জন নির্বাহী পরিচালককে অপসারণ করতে বলা হয়েছে। এ কারণে কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। কখন কার বিরম্নদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে_ এই নিয়েও বিভ্রান্তিতে রয়েছেন তাঁরা। এসইসি কর্মকর্তাদের মধ্যে বর্তমানে বিরাজমান ভীতি ও বিভ্রানত্মি দ্রম্নত দূর করা উচিত। তা না হলে পুনর্গঠিত কমিশনের কাজের গতি ব্যাহত হতে পারে। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অনিয়মের সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পেলে অবশ্যই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কিন্তু তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই শুধুমাত্র ধারণার ওপর ভিত্তি করে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সহায়তাকারী হিসেবে কাউকে শাসত্মি দেয়া উচিত হবে না। বরং তাদের দৰতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলেই পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বাধীন পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সরকার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়। এর অংশ হিসেবে গত ১৫ মে সংস্থার চেয়ারম্যান পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. খায়রুল হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়। এর আগে ওই পদে অধিষ্ঠিত জিয়াউল হক খোন্দকারের চাকরি সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। আর কোন ধরনের অভিযোগ না থাকলেও সরকারের চাপের মুখে কমিশনের দুই সদস্য মোঃ ইয়াছিন আলী এবং মোঃ আনিসুজ্জামান পদত্যাগে বাধ্য হন। এর আগে গত ২ মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেলালউদ্দীন নিজামীকে নতুন সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। সর্বশেষ গত ২৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মোঃ আরিফ খানকে এসইসির সদস্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় কোরাম সঙ্কটের নিরসন হয়।
জানা গেছে, পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরপরই পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আইন ও বিধি-বিধান সংস্কারের লৰ্যে পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরম্ন করেছে এসইসি। ইতোমধ্যেই বাজার সংশিস্নষ্ট সকল পৰের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। এসব বৈঠকে অংশগ্রহণকারী স্টক এঙ্চেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংক, সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পুনগর্ঠিত কমিশনের প্রতি তাদের পরিপূর্ণ আস্থা ব্যক্ত করেছেন।
তাঁরা মনে করেন, চেয়ারম্যানসহ এসইসির নবনিযুক্ত সদস্যরা পুঁজিবাজারের সামগ্রিক বিষয় সম্পর্কে অবগত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিৰক, গবেষক, ব্যাংকার, চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্টসহ পুঁজিবাজার সংশিস্নষ্ট কাজে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিশনের পৰে পুঁজিবাজার শৃঙ্খলা স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব।
বাজার সংশিস্নষ্টরা মনে করেন, কমিশন পুনর্গঠনের পর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনাই এসইসির জন্য সবচেয়ে জরম্নরী। তবে বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যেই নতুন কমিশনের ওপর তাঁদের আস্থা ব্যক্ত করেছেন। তাঁদের একাধিক গ্রম্নপ কমিশনের কাছে দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছেন। বিনিয়োগকারীদের বিৰোভেও এখন এসইসির বিরম্নদ্ধে কোন সেস্নস্নাগান দেয়া হচ্ছে না। এসব কিছুই নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি আস্থার প্রতিফলন।
এদিকে কমিশন পুনর্গঠন শেষ হলেও সংশয়মুক্ত হয়ে কাজ করতে পারছেন না এসইসির কর্মকর্তারা। কারণ পুঁজিবাজার তদনত্ম কমিটির রিপোর্টে কমিশনের একাধিক কর্মকর্তার বিরম্নদ্ধে শাসত্মিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এরমধ্যে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় একজন নির্বাহী পরিচালককে আগেই ওএসডি করা হয়েছে। কিন্তু কোন ধরনের দুর্নীতি, অনিয়ম বা অনৈতিক কর্মকা-ের প্রমাণ না পেলেও আরেক জন নির্বাহী পরিচালককে অপসারণ করতে বলা হয়েছে। এ কারণে কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। কখন কার বিরম্নদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে_ এই নিয়েও বিভ্রান্তিতে রয়েছেন তাঁরা। এসইসি কর্মকর্তাদের মধ্যে বর্তমানে বিরাজমান ভীতি ও বিভ্রানত্মি দ্রম্নত দূর করা উচিত। তা না হলে পুনর্গঠিত কমিশনের কাজের গতি ব্যাহত হতে পারে। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অনিয়মের সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পেলে অবশ্যই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কিন্তু তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই শুধুমাত্র ধারণার ওপর ভিত্তি করে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সহায়তাকারী হিসেবে কাউকে শাসত্মি দেয়া উচিত হবে না। বরং তাদের দৰতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলেই পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।