শেয়ারবাজার :::: চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) সঞ্চয়পত্র আর মেয়াদি বন্ডের নিট বা প্রকৃত বিক্রি আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।
বিশেষ করে তিন মাস ধরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি ধারাবাহিকভাবে কমেছে। অর্থাৎ গ্রাহকদের মধ্যে সঞ্চয়পত্র কেনার চেয়ে আগে কেনা সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করা বা ভাঙিয়ে ফেলার প্রবণতা বেড়ে গেছে।
নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে ওই সময়ের আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করার মাধ্যমে গ্রাহকদের মূল ফেরত দেওয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকে তাকেই নিট বা প্রকৃত বিক্রি ধরা হয়।
এ অবস্থায় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়িয়ে ব্যাংকের আমানতের সুদের হারের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে সরকার। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে অর্থমন্ত্রীর আগামী বাজেটে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
১৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। সুদের হার সমন্বয়সহ সঞ্চয়পত্র খাতের সরকারের রাজস্ব আহরণসংক্রান্ত সামগ্রিক প্রতিবেদন দেবে এই কমিটি। কমিটিতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি), অর্থ বিভাগ, ডাক বিভাগ, সঞ্চয় পরিদপ্তর ও হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। আগামী বাজেটে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়ানোসংক্রান্ত ঘোষণা থাকবে বলে জানা গেছে।
সঞ্চয় পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পেনশনার সঞ্চয়পত্র ও পরিবার সঞ্চয়পত্রে সুদের হার এক শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ানো হতে পারে। বর্তমানে এই দুটি সঞ্চয়পত্রের মেয়াদপূর্তিতে সুদের হার যথাক্রমে ১১ শতাংশ ও ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ। এ দুটি সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়িয়ে ১২ শতাংশ নির্ধারণের সুপারিশ করেছে আইআরডি।
এর আগে সঞ্চয়পত্রে সুদের হার সাড়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত ছিল। গত বছর জুন মাসে ব্যাংক সুদের হার কমানোর পর সঞ্চয়পত্রেরও সুদের হার কমানো হয়।
এ ছাড়া সঞ্চয়পত্রে ১০ শতাংশ উৎসে কর কর্তনের ক্ষেত্রেও সীমা বাড়ানো হতে পারে বলে সঞ্চয় পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সুদের হার হ্রাস ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া অনেকেই গত নভেম্বর-ডিসেম্বর সময়কালে সঞ্চয়পত্র ভেঙে শেয়ারবাজারেও বিপুল টাকা নিয়ে গেছেন অনেকে।
এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রির বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা বাজেটের চেয়ে এক হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র ও বন্ড বিক্রি করে সাত হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন তা এক হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ছয় হাজার ৪০০ কোটি টাকা করা হচ্ছে বলে সঞ্চয় পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
বিভিন্ন মেয়াদি সঞ্চয়পত্র ছাড়াও জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর পরিচালিত বাংলাদেশ প্রাইজবন্ড, ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, তিন বছর মেয়াদি জাতীয় বিনিয়োগ বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড—এই পাঁচ ধরনের বন্ড রয়েছে।
জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের সর্বশেষ হিসাব মতে, গত মার্চ মাসে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে মাত্র ২৪ কোটি টাকা। মার্চে এক হাজার ৬৪৮ কোটি টাকার বিভিন্ন মেয়াদি সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগ বা বিক্রি হয়েছে। একই মাসে সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করে গ্রাহকেরা এক হাজার ৬২৪ কোটি টাকা উঠিয়ে নিয়ে গেছেন। অথচ ২০১০ সালের মার্চ মাসে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল এক হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
এর আগের ফেব্রুয়ারি মাসে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩১৩ কোটি টাকা। এ সময় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ এক হাজার ১৪১ কোটি টাকা আর বিক্রীত সঞ্চয়পত্রের মূল পরিশোধ করতে হয়েছে ৮২৮ কোটি টাকা। জানুয়ারি মাসে নিট বিক্রি ছিল ৩২৯ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল এক হজার ৮১৮ কোটি টাকা। জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরকে এক হাজার ৪৮৯ কোটি টাকার মূল পরিশোধ করতে হয়েছে। এভাবে প্রতি মাসে ক্রমশ সঞ্চয়পত্রের প্রকৃত বিক্রি কমে যাচ্ছে।
বিশেষ করে তিন মাস ধরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি ধারাবাহিকভাবে কমেছে। অর্থাৎ গ্রাহকদের মধ্যে সঞ্চয়পত্র কেনার চেয়ে আগে কেনা সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করা বা ভাঙিয়ে ফেলার প্রবণতা বেড়ে গেছে।
নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে ওই সময়ের আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করার মাধ্যমে গ্রাহকদের মূল ফেরত দেওয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকে তাকেই নিট বা প্রকৃত বিক্রি ধরা হয়।
এ অবস্থায় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়িয়ে ব্যাংকের আমানতের সুদের হারের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে সরকার। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে অর্থমন্ত্রীর আগামী বাজেটে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
১৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। সুদের হার সমন্বয়সহ সঞ্চয়পত্র খাতের সরকারের রাজস্ব আহরণসংক্রান্ত সামগ্রিক প্রতিবেদন দেবে এই কমিটি। কমিটিতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি), অর্থ বিভাগ, ডাক বিভাগ, সঞ্চয় পরিদপ্তর ও হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। আগামী বাজেটে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়ানোসংক্রান্ত ঘোষণা থাকবে বলে জানা গেছে।
সঞ্চয় পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পেনশনার সঞ্চয়পত্র ও পরিবার সঞ্চয়পত্রে সুদের হার এক শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ানো হতে পারে। বর্তমানে এই দুটি সঞ্চয়পত্রের মেয়াদপূর্তিতে সুদের হার যথাক্রমে ১১ শতাংশ ও ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ। এ দুটি সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়িয়ে ১২ শতাংশ নির্ধারণের সুপারিশ করেছে আইআরডি।
এর আগে সঞ্চয়পত্রে সুদের হার সাড়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত ছিল। গত বছর জুন মাসে ব্যাংক সুদের হার কমানোর পর সঞ্চয়পত্রেরও সুদের হার কমানো হয়।
এ ছাড়া সঞ্চয়পত্রে ১০ শতাংশ উৎসে কর কর্তনের ক্ষেত্রেও সীমা বাড়ানো হতে পারে বলে সঞ্চয় পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সুদের হার হ্রাস ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া অনেকেই গত নভেম্বর-ডিসেম্বর সময়কালে সঞ্চয়পত্র ভেঙে শেয়ারবাজারেও বিপুল টাকা নিয়ে গেছেন অনেকে।
এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রির বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা বাজেটের চেয়ে এক হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র ও বন্ড বিক্রি করে সাত হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন তা এক হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ছয় হাজার ৪০০ কোটি টাকা করা হচ্ছে বলে সঞ্চয় পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
বিভিন্ন মেয়াদি সঞ্চয়পত্র ছাড়াও জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর পরিচালিত বাংলাদেশ প্রাইজবন্ড, ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, তিন বছর মেয়াদি জাতীয় বিনিয়োগ বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড—এই পাঁচ ধরনের বন্ড রয়েছে।
জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরের সর্বশেষ হিসাব মতে, গত মার্চ মাসে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে মাত্র ২৪ কোটি টাকা। মার্চে এক হাজার ৬৪৮ কোটি টাকার বিভিন্ন মেয়াদি সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগ বা বিক্রি হয়েছে। একই মাসে সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করে গ্রাহকেরা এক হাজার ৬২৪ কোটি টাকা উঠিয়ে নিয়ে গেছেন। অথচ ২০১০ সালের মার্চ মাসে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল এক হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
এর আগের ফেব্রুয়ারি মাসে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩১৩ কোটি টাকা। এ সময় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ এক হাজার ১৪১ কোটি টাকা আর বিক্রীত সঞ্চয়পত্রের মূল পরিশোধ করতে হয়েছে ৮২৮ কোটি টাকা। জানুয়ারি মাসে নিট বিক্রি ছিল ৩২৯ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল এক হজার ৮১৮ কোটি টাকা। জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তরকে এক হাজার ৪৮৯ কোটি টাকার মূল পরিশোধ করতে হয়েছে। এভাবে প্রতি মাসে ক্রমশ সঞ্চয়পত্রের প্রকৃত বিক্রি কমে যাচ্ছে।