শেয়ারবাজার :::: বাংলাদেশের ভাষাগত সংখ্যালঘু জনজাতিগুলোকে জাতিসংঘ 'আদিবাসী' হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতি দিতে চায়। উলি্লখিত জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরাও নিজেদের আদিবাসী হিসেবেই স্বীকৃতি চান। এ ব্যাপারে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে।
গত সোমবার নিউ ইয়র্কে শুরু হওয়া আদিবাসীবিষয়ক স্থায়ী ফোরামের দশম বৈঠকে জাতিসংঘ পার্বত্য শান্তিচুক্তিবিষয়ক এক প্রতিবেদনে পাহাড়ে বসবাসরত ১১টি জনজাতিকে জাতিসংঘ 'আদিবাসী' হিসেবে উল্লেখ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। প্রতিবেদনে চলতি সরকারের মেয়াদকালেই পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে আপত্তি তোলা হয়। আগামী বুধবার জাতিসংঘের এ প্রতিবেদন ফোরামের বৈঠকে উত্থাপিত হওয়ার কথা।
এদিকে আন্তর্জাতিক ওই বৈঠকে বাংলাদেশ দাবি করতে যাচ্ছে, এ দেশে আদৌ কোনো 'আদিবাসী' নেই! এ দেশে বসবাসকারী ভাষাগত সংখ্যালঘুরা সবাই 'ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠী'। অন্যদিকে দুই প্রতিমন্ত্রী ও তিন আদিবাসী এমপি সরকারবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। আদিবাসী নেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলছেন, দেশের সংবিধানে তো বটেই, এমনকি আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে ভাষাগত সংখ্যালঘু প্রান্তিক জনজাতিদের 'আদিবাসী' হিসেবেই স্বীকৃতি দিতে হবে। তাঁরা কোনোভাবেই 'উপজাতি', 'ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী' বা অন্যকোনো অভিধা মেনে নেবেন না।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন : পাহাড়ে সেনা অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন
জাতিসংঘের প্রস্তাবিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ বছর আগে স্বাক্ষরিত পার্বত্য শান্তিচুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় পাহাড়ে হতাশা বেড়েই চলেছে। জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে পার্বত্য সমস্যা। সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতিও যত্রতত্র লঙ্ঘিত হচ্ছে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে সেনা-অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, যুদ্ধাবস্থা ছাড়া কোনোভাবেই দেশের এক-তৃতীয়াংশ সেনাবাহিনী পাহাড়ে মোতায়েন রাখা যুক্তিযুক্ত নয়।
প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ থাকছে, তার মধ্যে পার্বত্য সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকারের মেয়াদেই শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ ঘোষণা, পাহাড়ি-বাঙালির ভূমির বিরোধ নিষ্পত্তি, অস্থায়ী সেনা ছাউনি প্রত্যাহার, পাহাড়ে সেনা কর্মকাণ্ড নিবিড় পর্যবেক্ষণ করতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগকে দায়িত্ব প্রদান, একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার তথা আইন সহায়তাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে ভুক্তভোগীদের সহায়তা দেওয়া, পাহাড়ে চলমান জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বিস্তৃতি ইত্যাদি অন্যতম।
গত সোমবার নিউ ইয়র্কে শুরু হওয়া আদিবাসীবিষয়ক স্থায়ী ফোরামের দশম বৈঠকে জাতিসংঘ পার্বত্য শান্তিচুক্তিবিষয়ক এক প্রতিবেদনে পাহাড়ে বসবাসরত ১১টি জনজাতিকে জাতিসংঘ 'আদিবাসী' হিসেবে উল্লেখ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। প্রতিবেদনে চলতি সরকারের মেয়াদকালেই পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে আপত্তি তোলা হয়। আগামী বুধবার জাতিসংঘের এ প্রতিবেদন ফোরামের বৈঠকে উত্থাপিত হওয়ার কথা।
এদিকে আন্তর্জাতিক ওই বৈঠকে বাংলাদেশ দাবি করতে যাচ্ছে, এ দেশে আদৌ কোনো 'আদিবাসী' নেই! এ দেশে বসবাসকারী ভাষাগত সংখ্যালঘুরা সবাই 'ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠী'। অন্যদিকে দুই প্রতিমন্ত্রী ও তিন আদিবাসী এমপি সরকারবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। আদিবাসী নেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলছেন, দেশের সংবিধানে তো বটেই, এমনকি আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে ভাষাগত সংখ্যালঘু প্রান্তিক জনজাতিদের 'আদিবাসী' হিসেবেই স্বীকৃতি দিতে হবে। তাঁরা কোনোভাবেই 'উপজাতি', 'ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী' বা অন্যকোনো অভিধা মেনে নেবেন না।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন : পাহাড়ে সেনা অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন
জাতিসংঘের প্রস্তাবিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ বছর আগে স্বাক্ষরিত পার্বত্য শান্তিচুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় পাহাড়ে হতাশা বেড়েই চলেছে। জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে পার্বত্য সমস্যা। সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতিও যত্রতত্র লঙ্ঘিত হচ্ছে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে সেনা-অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, যুদ্ধাবস্থা ছাড়া কোনোভাবেই দেশের এক-তৃতীয়াংশ সেনাবাহিনী পাহাড়ে মোতায়েন রাখা যুক্তিযুক্ত নয়।
প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ থাকছে, তার মধ্যে পার্বত্য সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকারের মেয়াদেই শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ ঘোষণা, পাহাড়ি-বাঙালির ভূমির বিরোধ নিষ্পত্তি, অস্থায়ী সেনা ছাউনি প্রত্যাহার, পাহাড়ে সেনা কর্মকাণ্ড নিবিড় পর্যবেক্ষণ করতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগকে দায়িত্ব প্রদান, একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার তথা আইন সহায়তাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে ভুক্তভোগীদের সহায়তা দেওয়া, পাহাড়ে চলমান জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বিস্তৃতি ইত্যাদি অন্যতম।