দুর্বল মৌল ভিত্তির কোম্পানি সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ তাদের উত্পাদনপ্রক্রিয়াকে আরও আধুনিকায়ন করবে। ফলে কোম্পানিটির পণ্য উত্পাদনক্ষমতা আরও বেড়ে যাবে বলে গত বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানায় কোম্পানিটি। এই খবরে এ শেয়ারের দর গতকাল উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তবে আধুনিকায়ন করে উত্পাদন বাড়াতে ন্যূনতম এক বছর সময় লাগবে বলে কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে। দেখা গেছে, গতকাল অনেকেই এ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী হলেও বিক্রেতা পাওয়া যায়নি। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ শেয়ারের দর বেড়েছে। ডিএসইতে গতকাল এ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ৪৮ টাকা ৫০ পয়সা। দিনভর এর দর ৬৮০ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ৬৯৮ টাকায় ওঠা-নামা করে। সর্বশেষ ৬৯৮ টাকায় এ শেয়ার লেনদেন হয়। দিনশেষে এ শেয়ারের দর দাঁড়ায় ৬৯৬ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৬৪৯ টাকা ৫০ পয়সা। দেখা গেছে, গতকাল শুরুতেই বেশি দরে এ শেয়ারের লেনদেন শুরু হয়। গতকাল লেনদেন শুরু হয় ৬৯৭ টাকা ৭৫ পয়সায়। এদিন এ কোম্পানির মোট ২৬০টি শেয়ার ২৯ বার লেনদেন হয়, যার বাজারদর ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটি জানিয়েছে, কারখানাকে আরও বড় করতে তারা জমি লিজ নেবে। এ ছাড়া বর্তমানের পণ্য উত্পাদন প্রক্রিয়াকে আরও আধুনিকায়ন করবে কোম্পানিটি, যার বদৌলতে কোম্পানিটির পণ্যের মান ও উত্পাদনক্ষমতা অনেকাংশে বেড়ে যাবে। এ জন্য কোম্পানিটি ভারতের প্রখ্যাত সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে যন্ত্রপাতি কিনে কারখানায় স্থাপন করবে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাভার রিফ্র্যাক্টরিজের কোম্পানি সচিব সৈয়দ মো. জাকারিয়া বলেন, ‘উত্পাদনপ্রক্রিয়া আধুনিকায়নের বিষয়ে শুধু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ জন্য আমাদের ভারতে যেতে হবে। আমাদের পণ্য উত্পাদনের জন্য চুল্লি বানাতে হবে। এ জন্য প্রায় এক বছর সময় লাগতে পারে। এরপর আমরা মেশিন স্থাপন করব, সেখানেও প্রায় তিন-চার মাস সময় লাগবে। দেখা যাবে, সব মিলিয়ে মূল কাজ বাস্তবায়ন করতে আরও এক থেকে দেড় বছর সময় লেগে যাবে।’ এদিকে কোম্পানিটির নতুন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কোত্থেকে এবং কী পরিমাণ অর্থায়ন হবে, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।