বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্কের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে প্রতারণা ও যৌন হয়রানির অভিযোগে ময়মনসিংহ কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে র্যাব ২-এর একটি দল তাঁকে ময়মনসিংহ শহরের রোম থ্রি রেস্টুরেন্ট থেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের লেভেল-২, সেমিস্টার ২-এর এক ছাত্রীর সঙ্গে ময়মনসিংহের বেসরকারি কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক প্রভাষক ডা. নূরুল আফসার শিমুল প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সম্পর্কের একপর্যায়ে নূরুল আফসার ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে তা মোবাইলে ধারণ করেন। এ ঘটনায় নূরুল আফসারের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে পারিবারিকভাবে ঠিক করা এক ম্যাজিস্ট্রেটকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওই ছাত্রী। এদিকে সাবেক প্রেমিক নূরুল আফসার ঘটনাটি জানতে পেয়ে তাঁদের শারীরিক দৃশ্যের ভিডিওচিত্র তাঁর হবু বরের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন। গত বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রী বিষয়টি তাঁর হবু বর ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান। পরে ওই ম্যাজিস্ট্রেটের কথামতো তিনি বাদী হয়ে নারী নির্যাতন আইনে ডা. নূরুলকে আসামি করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর ৪৬ (৯) ১১। মামলার পর ওই ছাত্রী গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত চিকিৎসক শিমুলকে কৌশলে ময়মনসিংহ শহরের রোম থ্রি রেস্টুরেন্টে দেখা করার জন্য ডাকেন। সেখানে দেখা করতে এলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা র্যাব ২-এর একটি দল রাত ১১টার দিকে ওই স্থান থেকে ডা. নূরুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়। ডা. নূরুল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার নূরুল হুদার ছেলে বলে জানা গেলেও হবু বর ম্যাজিস্ট্রেটের কোনো পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনার সত্যতা জানতে অভিযুক্ত শিমুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসি গোলাম সারোয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ র্যাব ২-এর সাহায্যে অভিযুক্ত ডা. নূরুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান করা হয়েছে।