পুঁজি বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা। এ চুক্তির চূড়ান্ত স্বাক্ষর হলে পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুই দেশই উন্নয়ন ও সংরক্ষণে কাজ করবে। বাংলাদেশের নাগরিক শ্রীলংকা এবং শ্রীলংকার নাগরিক বাংলাদেশে কাজের বৈধতা পাবে। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে পুঁজি বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ বিষয়ে আলোচনা চলে। গত বুধবার দুই দেশের প্রতিনিধি দলের সম্মতিতে একটি কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর করেন নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের পক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং শ্রীলংকার পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলংকার হাইকমিশনার শরত কুমারা ইরেগোদা নিজ দলের নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মির্জা আফরোজা খান, সিনিয়র সহকারী সচিব ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক এম হারুন আল রশিদ, বিনিয়োগ বোর্ডের উপপরিচালক মো. আরিফুল হক এবং শ্রীলংকা প্রতিনিধি দলে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন উপদেষ্টা তুশান্তা বিজেমানা, বিনিয়োগ বোর্ডের পরিচালক মিজ চাম্পিকা মালালগোডা এবং উপপরিচালক প্রিয়াঙ্কা ইলেগোদা ছিলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার মধ্যে পুঁজি বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ চুক্তি ছিল না। এ কারণে দুই দেশের নাগরিকদের পুঁজি বিনিয়োগ ও কাজের অনুমতির জন্য কোনো আইনগত নীতিমালাও ছিল না। ছয় বছর ধরে একটি নীতিমালা তৈরিতে দুই দেশই আগ্রহী হয়ে কাজ করছি, যার একটি খসড়া দুই দেশের প্রতিনিধি দল মিলে সর্বসম্মতভাবে তৈরি করেছি। বলা যায় ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। ফলে দুই দেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে। বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মন্ত্রীপর্যায়ের চুক্তি স্বাক্ষরের পর এটি একটি আইনগত ভিত্তি পাবে এবং এক দেশের নাগরিক অন্য দেশে কাজের বৈধতা পাবে। কার্যবিবরণী স্বাক্ষর শেষে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রীর শ্রীলংকা সফরের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা দ্বিপক্ষীয় পুঁজি বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।