শাহজাহানপুরের প্রবীণ করদাতা আবদুল হাই আয়কর মেলায় এসে সরকারের প্রাপ্য রাজস্ব মিটিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বয়স হয়ে যাওয়ায় কর অফিস কিংবা আইনজীবীর কাছে দৌড়াদৌড়ি করতে পারি না। তাই করমেলায় এসে একবারেই সব কাজ শেষ করতে চাই।’ মেলাতে এসেছিলেন বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত রামপুরার রিয়াজ আহমেদ। তিনি মেলায় রিটার্ন জমা দেন। তিনি জানান, মেলায় রিটার্ন জমা দিলে ‘ওয়ান স্টপ’ (এক জায়গাতে সব) সেবা পাওয়া যায়। আর সার্কেল অফিসে রিটার্ন দিতে গেলে নানা ধরনের হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। তাই ছুটির দিনেই রিটার্ন জমা দিতে এসেছেন তিনি। এভাবে ঢাকাসহ সারা দেশের ছয়টি বিভাগীয় শহরে এবারের আয়কর মেলায় গতকাল শনিবার রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ১১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছেন চার হাজার ১৪৮ জন। আর নতুন করদাতা হিসেবে আয়কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নিয়েছেন এক হাজার ২৩৪ জন। আর ঢাকার আয়কর মেলায় গতকাল দুই হাজার ৯৫৯ জন করদাতা তাঁদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছেন। আর এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১০ কোটি ২১ লাখ চার হাজার ৫০৯ টাকা। কর তালিকায় নতুন করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নেন ৩৮৮ জন। ছয় দিনব্যাপী আয়কর মেলা শুরু হয়েছে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও সব বিভাগীয় শহরে এই আয়কর মেলা গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই মেলার আয়োজন করছে। রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে এই মেলা আয়োজন করা হয়েছে। মেলার প্রথম দিন গতকাল দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইন ধরে নিজেদের প্রয়োজনীয় আয়করসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহসহ বার্ষিক বিবরণী জমা দিয়েছেন তাঁরা। ঢাকায় মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন-বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য দেন মেলা কমিটির আহ্বায়ক ও কর অঞ্চল-১-এর কমিশনার কাদের সরকার। উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সদস্য সৈয়দ আমিনুল করিম, বশির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।