পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে নিজস্ব বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
সোমবার ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) কার্যালয়ে আটটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বৈঠকে আগামী দু’ সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ফান্ডের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ শুরুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত আট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা বুধবার আইসিবিতে এক বৈঠকে মিলিত হন। এতে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান ছাড়াও জীবন বীমা কর্পোরেশন, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন, সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) প্রধান নির্বাহিরা উপস্থি ছিলেন।
বৈঠক শেষে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, শেয়ারবাজারে বেশ কিছুদিন ধরে প্রবণতা বিরাজ করছে। এ কারণে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর এখন বিনিয়োগযোগ্য পর্যায়ে রয়েছে। বাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখার স্বার্থে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন সময়ে বেশি দরে শেয়ার কিনেছে।
বর্তমানে শেয়ারের দর যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে নতুন করে বিনিয়োগ করা হলে আগে কেনা শেয়ারের দর সমন্বয় করে নেওয়া সম্ভব হবে। এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এসব বিষয় বিবেচনা করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজারে নতুন করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার কেনা উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান কেনা শুরু করলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যারা নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেনÑ তাদের জন্য বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।’
আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের সাবসিডিয়ারি মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে থাকে। একক গ্রাহক সীমার অতিরিক্ত ঋণ সমন্বয়ের সময়সীমা বৃদ্ধির ফলে এসব প্রতিষ্ঠান বাজারে আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো তাদের বড় বড় গ্রাহকদেরও শেয়ার কিনতে উদ্বুদ্ধ করবে।’