১১ ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ-সংশ্লিষ্ট সহযোগী প্রতিষ্ঠানে দেওয়া ঋণ একক গ্রহীতার সীমার চেয়ে বেশি রয়েছে। গত জুলাই পর্যন্ত হিসাবে এ তথ্য মিলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল সোমবার এই ঋণসীমা সমন্বয়ের সময় আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভের মুখে চতুর্থ দফা ঋণ সমন্বয়ের সময় বাড়াল। এর আগে সর্বশেষ সময়সীমা ছিল ৩১ ডিসেম্বর ২০১১। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গতকাল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ-সংশ্লিষ্টতা সীমার মধ্যে নামিয়ে আনার সময়ও বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন সময় দেওয়া হয়েছে ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। টানা কয়েক দিন ধরে শেয়ারবাজারে উত্থান-পতন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ-ভাঙচুর এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) নানা তত্পরতার পর গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন এই দুই নির্দেশ জারি করেছে। সূত্রে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, জুলাই পর্যন্ত হিসাবে ১১ ব্যাংকের শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগে সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া ঋণসীমার বেশি রয়েছে। এর আগে চলতি পঞ্জিকা বর্ষের আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সীমা সমন্বয়ের সময় নির্ধারিত ছিল। এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া ঋণের স্থিতি ব্যাংকের মূলধনের ৪৪ দশমিক ৫০ শতাংশ রয়েছে। তারপরই আছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। এই ব্যাংকটি তাদের শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগে সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ব্যাংক এশিয়ার ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ২৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ ঋণ স্থিতি রয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংকের। এনসিসিবিএলের স্থিতি ২৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংকের দেওয়া ঋণের স্থিতি রয়েছে ২৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ। সিটি ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৯১ শতাংশ। ন্যাশনাল ব্যাংকের স্থিতি ২১ দশমিক ২৩ শতাংশ। আইএফআইসির স্থিতি ১৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের স্থিতি ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ঢাকা ব্যাংকের শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট সহযোগী প্রতিষ্ঠানে জুলাই পর্যন্ত হিসাবে ঋণের স্থিতি রয়েছে ১৬ দশমিক ০২ শতাংশ।