সংবাদ সম্মেলনে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, বাংলাদেশ ফান্ডের উদ্যোক্তা অংশের বিনিয়োগ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই অবস্থায় ফান্ডটিকে পূর্ণতা দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোক্তাদের সবাই একমত হয়েছেন। শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে ফান্ডের ইউনিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ জন্য ২ অক্টোবরকে সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে। আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিরাও যাতে এই ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন, সে জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখা ও বাংলাদেশ দূতাবাসকে কাজে লাগানো হবে। যেসব দেশে বাংলাদেশিদের বসবাস বেশি, সেসব দেশে আনুষ্ঠানিকভাবেই ফান্ডটির বিক্রয়-কার্যক্রম শুরুরও পরিকল্পনা রয়েছে। ফায়েকুজ্জামান বলেন, প্রবাসীরা দেশে নগদ টাকা পাঠানোর চেয়ে বাংলাদেশ ফান্ডের মতো লাভজনক উপাদানে বিনিয়োগে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এরই মধ্যে দেশে-বিদেশে ফান্ডটি নিয়ে যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে, তাতে ফান্ডের আকার আরও বাড়ানোর সুযোগ আছে। গতকাল সকালে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে বলে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যেসব বিনিয়োগকারী লেনদেন করেন, তাঁদেরও বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়। ফায়েকুজ্জামান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক বিনিয়োগকারী বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। কিন্তু শেয়ারবাজারে কোনো উচ্চ ও নিম্ন পর্যায় (বটম লাইন) নেই। এখনই বিনিয়োগের সবচেয়ে ভালো সময়। এখন বিনিয়োগ করলে লাভের সম্ভাবনা বেশি। এমনকি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও এখন এ দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে ফায়েকুজ্জামান জানান, আইসিবির হাতে যেসব মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে, সেগুলোর মেয়াদ বাড়ানো হবে। এ জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) চিঠি দেওয়া হয়েছে।