অবশেষে নতুন ব্যাংক অনুমোদনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদন পড়ে মনে হয়েছিল, বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন ব্যাংক অনুমোদনের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে অনেক কারণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল, যার কথা বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন ব্যাংক অনুমোদনের বিরোধিতা করছিল। এর পর পরই অর্থমন্ত্রী একদিন বললেন, নতুন ব্যাংক অনুমোদনের বিষয়টি সরকারের ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’। অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, সরকার নতুন ব্যাংক অনুমোদনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সরকার চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংক কী করবে, এই হচ্ছে অবস্থা! দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের যে পরিচালনা পর্ষদ এত দিন নতুন ব্যাংকের ব্যাপারে আপত্তি করছিল, সেই পর্ষদই গত সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতিবাচক। খবরের কাগজের একটি প্রতিবেদনে দেখলাম, শুধু নতুন ব্যাংক অনুমোদনের সিদ্ধান্তই নয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ নতুন ব্যাংক গঠনসংক্রান্ত নীতিমালাও অনুমোদন করেছে। বলা হয়েছে, এ নীতিমালার অধীনে দরখাস্ত আহ্বান করা হবে। যারা শর্ত পূরণ করবে, তাদের অনুমোদন দেয়া হবে। কয়টি ব্যাংক অনুমোদন পাবে, তার কথা কিছু বলা হয়নি। যেসব দরখাস্ত এখন হাতে আছে, সেগুলোর কী হবে তাও জানা যায়নি। শুধু বলা হয়েছে, দরখাস্ত আহ্বান করা হবে। অনুমোদনটি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্ষদ। দৃশ্যত মনে হয়, এখানে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। কিন্তু বিষয়টি যেহেতু রাজনৈতিকভাবে বিবেচিত হচ্ছে, অতএব বলাই বাহুল্য বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু আনুষ্ঠানিকতাই পালন করবে। আসল কাজটি হবে মন্ত্রণালয়ে।