বর্তমান পরিস্থিতিতে টাকা থাকলে সকলেরই শেয়ার কেনা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তহবিল ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসার এখনই উপযুক্ত সময়। কারণ বাজারে শেয়ারের দর যে পর্যায়ে নেমেছে তাতেÑ বিদেশি বিনিয়োগকারী বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তহবিল ব্যবস্থাপকরা এখন বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে বেশ ভাল। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের কাছাকাছি।’
গত বছর রেমিট্যান্সে কিছুটা নেতিবাচক অবস্থা দেখা গেলেও বর্তমানে এক্ষেত্রেও সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি এসেছে। রপ্তানি-বাণিজ্যে আশাব্যঞ্জক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে।
এ কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এদেশের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসতে শুরু করেছে। পুঁজিবাজারেও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হবে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজার বর্তমানে অর্থনীতির মূলধারায় যথেষ্ট অবদান রাখছে। এ অব¯’ায় বিদেশি বিনিয়োগ এলে বাজার ও বিনিয়োগকারীরা যথেষ্ট লাভবান হবে।
মো. ফায়েক্জ্জুামান আরও বলেন, ‘পুঁজিবাজারে বড় দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে আটটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী একসঙ্গে বসে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এরমধ্যে বাংলাদেশ ফান্ড গঠনের বিষয়টিও ছিল। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনসহ সব রকম আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ইতিমধ্যেই ওই ফান্ডের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উদ্যোক্তা অংেশর দেড় হাজার কোটি টাকার বড় অংশ বিনিয়োগ করা হয়েছে।’
দু’সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ফান্ডের তহবিল সংগ্রহ শুরু হবে জানিয়ে ফায়েকুজ্জামান বলেন, ‘সরকারের নীতি-নির্ধারক পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে তহবিল সংগ্রহ উদ্বোধন করা হবে। এতে বিনিয়োগকারীরা এই ফান্ডের প্রতি আকৃষ্ট হবে। প্রবাসীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার জন্য বেশ কয়েকটি দেশে অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ফান্ডটির প্রতি প্রবাসীরা বেশ আগ্রহ দেখিয়েছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোগে এই ফান্ড গঠিত হওয়ায় তাদের আস্থা অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশ ফান্ডের মাধ্যমে প্রবাসীদের বিনিয়োগ আনতে পারলে দেশের পুঁজিবাজার উপকৃত হবে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশ ফান্ডের জন্য সরকারের কাছে বেশ কিছু সুবিধা চাওয়া হয়েছে। সরকার চাইলে যে কোন সময় এসব সুবিধা দিতে পারে। এসব সুবিধা দেয়া হলে বাংলাদেশ ফান্ডের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে।