শেয়ারবাজার :::: স্থিতিশীল ও টেকসই পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় জোরদার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মিলনায়তনে আয়োজিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়। বৈঠকে বাজার তদারকির লক্ষ্যে চার সংস্থার চৌকস কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করারও সিদ্ধানত্ম হয়। সেই সঙ্গে ব্যাংক নিয়মকানুন মেনে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন বাধা দেবে না বলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে এসইসির চেয়ারম্যান খায়রম্নল হোসেন, ডেপুটি গবর্নর জিয়াউল হক সিদ্দিকী, মুরশিদ কুলি খান, এসইসির সদস্য অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এসকে সুর চৌধুরী, মোঃ জাহাঙ্গীর আলমসহ রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। পুঁজিবাজারসহ দেশের আর্থিক খাতে আরও গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লৰ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এসকে সুর চৌধুরী জনকন্ঠকে বলেন, পুঁজিবাজার তথা আর্থিক খাতের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা রাখার লৰ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ চার রেগুলেটরের মধ্যে সমন্বয় আনা হয়েছে। এ বৈঠকের ফলে আর্থিক খাতের কোন বিষয়ে সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করতে হলে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই তা করা হবে।
শেয়ারবাজার নিয়ে তিনি বলেন, বাজারে আরও তারল্য যোগান দিতে বীমা কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত তারল্য সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করার সিদ্ধানত্ম হয়েছে। সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেট থেকে সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ করলে বাজারে তারল্য সঙ্কট কিছুটা কমে আসবে। এ বিষয়ে বীমা কর্তৃপৰ ঐকমত্য পোষণ করেছে।
এসকে সুর চৌধুরী আরও বলেন, শেয়ারবাজারের পতনের পেছনে অন্যতম কারণ হলো একাধিক কোম্পানির জালিয়াতি হিসেব প্রদান। অনেক নামসর্বস্ব কোম্পানি বছর শেষে ভাল প্রফিট, শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেশি দেখানো এবং সামগ্রিক আর্থিক অবস্থার উন্নতি দেখিয়ে রিপোর্ট করেছে। এ রিপোটিংয়ের ফলে সংশিস্নষ্ট কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারী ওই শেয়ারে বিনিয়োগ করে তারা সর্বস্ব হারিয়েছেন। কিন্তু কোম্পানিগুলোর হিসেব প্রদানের ৰেত্রে ন্যাশনাল একাউন্টিং ওভারসি বোর্ড (এনএওবি) গঠন করা হচ্ছে। তবে এনএওবি গঠনের আগে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স রিপোর্টিং সিস্টেম (আইএফআরএস) ও ইন্টারন্যাশনাল একাউন্টিং সিস্টেম (আইএএস) এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলো তাদের রিপোর্ট প্রদান করবে। একই সঙ্গে কোম্পানির অডিট করার ৰেত্রে আনত্মর্জাতিক মানের অডিট ফার্মগুলোকে নিয়োগ দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সুর চৌধুরী আরও বলেন, ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ভাল করে তদনত্ম করতে হবে। এৰেত্রে এসইসি ঠিক করবে কিভাবে তদনত্ম করা হবে। তবে এসইসি চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংক সামগ্রিক সহযোগিতা প্রদান করবে। এ বিষয়টিও বৈঠকে চূড়ানত্ম হয়েছে।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের পৰে নির্বাহী পরিচালক ও মুখপত্র জাহাঙ্গীর আলম এবং এসইসির পৰে অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেট, মানি মার্কেট, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি এবং বীমা কতর্ৃপৰের মধ্যে একটি সুষ্ঠু সমন্বয় করার লৰ্যেই মূলত বৈঠক করা হয়েছে। এ ধরনের বৈঠক আগ থেকেই রয়েছে। কিন্তু গত প্রায় দু'বছর ধরে এটি বন্ধ রাখা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক আবার এ বৈঠক চালু করেছে। এর ফলে আর্থিক খাতের কোন সিদ্ধানত্ম নিতে হলে সংশিস্নষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই গ্রহণ করা হবে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বৈঠকের ফলে এখন থেকে তিন মাস পর পর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজন হলে আরও কম সময়েও বসা হতে পারে। এসব বৈঠকে পারস্পারিক প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান করা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মকানুন মেনেই বিনিয়োগ করতে পারবে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন বাধা দেবে না। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কোন অবকাশ নেই। এছাড়াও বাজার উন্নয়নে প্রয়োজন অনুসারে সব ধরনের পদৰেপ গ্রহণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এসইসির সদস্য হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, এই বৈঠক তিন মাস পর পর হওয়ার কথা থাকলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রায় দেড় বছর ধরে কোন বৈঠক হয়নি। এখন থেকে সংশিস্নষ্ট সকলের সমন্বিত উপস্থিতিতেই বৈঠক অুনষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, বাজার টেকসই করতে যোগ্য লোকদের দ্বারা একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে। পুঁজিবাজারের বিভিন্ন অনিয়ম খুঁজে বের করা, কোম্পানির মনিটরিং এবং তদনত্ম করার কাজটি করবে টাস্কফোর্স। টাস্কফোর্স বিভিন্ন সুপারিশ করে সরকারের কাছে প্রদান করবে। এসইসির সদস্য বলেন, মুদ্রানীতি যেন পুঁজিবাজারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী নীতিগত সিদ্ধানত্মের পরিবর্তন করা হবে। এ লৰ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কারিগরি সহায়তা দেবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সাম্প্রতিক শেয়ারবাজার ধবসের কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে সংস্থাগুলোর পৰ থেকে জানানো হয়, এবার বাজার ধসের পেছনে অন্যতম একটি কারণ ছিল তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অসত্য, প্রতারণামূলক আর্থিক প্রতিবেদন। এসইসি ও ডিএসইর কাছে বেশির ভাগ কোম্পানি ভুয়া ও প্রতারণামূলক আর্থিক প্রতিবেদন তুলে ধরে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে। ভবিষ্যতে আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা আনতে গঠন করা হচ্ছে 'ন্যাশনাল এ্যাকাউন্টিং ওভারসি বোর্ড।' বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া অনেকখানি এগিয়ে গেছে। এটি গঠন করা হলে ভুয়া ও প্রতারণামূলক আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে না কোম্পানিগুলো।
বৈঠকে এমএলএম কোম্পানি হিসেবে আর কোন নিবন্ধন দেয়া হবে না। যেগুলোকে দেয়া হয়েছে সেগুলোকে কঠোরভাবে তদারকি করা হবে নীতিমালার আওতায়। এছাড়াও এমএলএম কোম্পানির নতুন সংজ্ঞাও নির্ধারণ করা হবে।
জানা গেছে, আনত্মর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, বিশ্বব্যাংক দেশের আর্থিক বাজার স্থিতিশীল করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে নিয়মিত বৈঠক করার তাগাদা দিয়েছে। এরই প্রেৰিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো দুবছর পর বৈঠকে বসল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে এসইসির চেয়ারম্যান খায়রম্নল হোসেন, ডেপুটি গবর্নর জিয়াউল হক সিদ্দিকী, মুরশিদ কুলি খান, এসইসির সদস্য অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এসকে সুর চৌধুরী, মোঃ জাহাঙ্গীর আলমসহ রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। পুঁজিবাজারসহ দেশের আর্থিক খাতে আরও গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লৰ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এসকে সুর চৌধুরী জনকন্ঠকে বলেন, পুঁজিবাজার তথা আর্থিক খাতের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা রাখার লৰ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ চার রেগুলেটরের মধ্যে সমন্বয় আনা হয়েছে। এ বৈঠকের ফলে আর্থিক খাতের কোন বিষয়ে সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করতে হলে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই তা করা হবে।
শেয়ারবাজার নিয়ে তিনি বলেন, বাজারে আরও তারল্য যোগান দিতে বীমা কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত তারল্য সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করার সিদ্ধানত্ম হয়েছে। সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেট থেকে সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ করলে বাজারে তারল্য সঙ্কট কিছুটা কমে আসবে। এ বিষয়ে বীমা কর্তৃপৰ ঐকমত্য পোষণ করেছে।
এসকে সুর চৌধুরী আরও বলেন, শেয়ারবাজারের পতনের পেছনে অন্যতম কারণ হলো একাধিক কোম্পানির জালিয়াতি হিসেব প্রদান। অনেক নামসর্বস্ব কোম্পানি বছর শেষে ভাল প্রফিট, শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেশি দেখানো এবং সামগ্রিক আর্থিক অবস্থার উন্নতি দেখিয়ে রিপোর্ট করেছে। এ রিপোটিংয়ের ফলে সংশিস্নষ্ট কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারী ওই শেয়ারে বিনিয়োগ করে তারা সর্বস্ব হারিয়েছেন। কিন্তু কোম্পানিগুলোর হিসেব প্রদানের ৰেত্রে ন্যাশনাল একাউন্টিং ওভারসি বোর্ড (এনএওবি) গঠন করা হচ্ছে। তবে এনএওবি গঠনের আগে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স রিপোর্টিং সিস্টেম (আইএফআরএস) ও ইন্টারন্যাশনাল একাউন্টিং সিস্টেম (আইএএস) এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলো তাদের রিপোর্ট প্রদান করবে। একই সঙ্গে কোম্পানির অডিট করার ৰেত্রে আনত্মর্জাতিক মানের অডিট ফার্মগুলোকে নিয়োগ দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সুর চৌধুরী আরও বলেন, ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ভাল করে তদনত্ম করতে হবে। এৰেত্রে এসইসি ঠিক করবে কিভাবে তদনত্ম করা হবে। তবে এসইসি চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংক সামগ্রিক সহযোগিতা প্রদান করবে। এ বিষয়টিও বৈঠকে চূড়ানত্ম হয়েছে।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের পৰে নির্বাহী পরিচালক ও মুখপত্র জাহাঙ্গীর আলম এবং এসইসির পৰে অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেট, মানি মার্কেট, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি এবং বীমা কতর্ৃপৰের মধ্যে একটি সুষ্ঠু সমন্বয় করার লৰ্যেই মূলত বৈঠক করা হয়েছে। এ ধরনের বৈঠক আগ থেকেই রয়েছে। কিন্তু গত প্রায় দু'বছর ধরে এটি বন্ধ রাখা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক আবার এ বৈঠক চালু করেছে। এর ফলে আর্থিক খাতের কোন সিদ্ধানত্ম নিতে হলে সংশিস্নষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই গ্রহণ করা হবে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বৈঠকের ফলে এখন থেকে তিন মাস পর পর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজন হলে আরও কম সময়েও বসা হতে পারে। এসব বৈঠকে পারস্পারিক প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান করা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মকানুন মেনেই বিনিয়োগ করতে পারবে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন বাধা দেবে না। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কোন অবকাশ নেই। এছাড়াও বাজার উন্নয়নে প্রয়োজন অনুসারে সব ধরনের পদৰেপ গ্রহণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এসইসির সদস্য হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, এই বৈঠক তিন মাস পর পর হওয়ার কথা থাকলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রায় দেড় বছর ধরে কোন বৈঠক হয়নি। এখন থেকে সংশিস্নষ্ট সকলের সমন্বিত উপস্থিতিতেই বৈঠক অুনষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, বাজার টেকসই করতে যোগ্য লোকদের দ্বারা একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে। পুঁজিবাজারের বিভিন্ন অনিয়ম খুঁজে বের করা, কোম্পানির মনিটরিং এবং তদনত্ম করার কাজটি করবে টাস্কফোর্স। টাস্কফোর্স বিভিন্ন সুপারিশ করে সরকারের কাছে প্রদান করবে। এসইসির সদস্য বলেন, মুদ্রানীতি যেন পুঁজিবাজারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী নীতিগত সিদ্ধানত্মের পরিবর্তন করা হবে। এ লৰ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কারিগরি সহায়তা দেবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সাম্প্রতিক শেয়ারবাজার ধবসের কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে সংস্থাগুলোর পৰ থেকে জানানো হয়, এবার বাজার ধসের পেছনে অন্যতম একটি কারণ ছিল তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অসত্য, প্রতারণামূলক আর্থিক প্রতিবেদন। এসইসি ও ডিএসইর কাছে বেশির ভাগ কোম্পানি ভুয়া ও প্রতারণামূলক আর্থিক প্রতিবেদন তুলে ধরে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে। ভবিষ্যতে আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা আনতে গঠন করা হচ্ছে 'ন্যাশনাল এ্যাকাউন্টিং ওভারসি বোর্ড।' বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া অনেকখানি এগিয়ে গেছে। এটি গঠন করা হলে ভুয়া ও প্রতারণামূলক আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে না কোম্পানিগুলো।
বৈঠকে এমএলএম কোম্পানি হিসেবে আর কোন নিবন্ধন দেয়া হবে না। যেগুলোকে দেয়া হয়েছে সেগুলোকে কঠোরভাবে তদারকি করা হবে নীতিমালার আওতায়। এছাড়াও এমএলএম কোম্পানির নতুন সংজ্ঞাও নির্ধারণ করা হবে।
জানা গেছে, আনত্মর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, বিশ্বব্যাংক দেশের আর্থিক বাজার স্থিতিশীল করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে নিয়মিত বৈঠক করার তাগাদা দিয়েছে। এরই প্রেৰিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো দুবছর পর বৈঠকে বসল।