শেয়ারবাজার :::: তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের প্রতিবাদে দীর্ঘ আড়াই বছর পর আবার একসঙ্গে পথচলা শুরু করেছে চারদলীয় জোট। বিএনপি-জামায়াত আগামী রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে। এতে সমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও ইসলামী ঐক্যজোট।
চারদলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সঙ্কট, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দায়ের, ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তিসহ জাতীয় বিভিন্ন ইস্যুতে লাগাতার আন্দোলন করার জন্য তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এর আগে জোটের দলগুলোর মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব এখন আর নেই। এমনকি যুদ্ধাপরাধের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতেও তারা একে অপরের পাশে থাকবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগে মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি দিয়ে রাজপথ উত্তপ্ত করতে ব্যর্থ হয়ে চারদলীয় জোটের শরিকদের টনক নড়েছে। কোনো কর্মসূচি দিয়ে জোটের কোনো দলই মাঠেই নামতে পারেনি। জোটের প্রধান শরিক বিএনপি সর্বশক্তি প্রয়োগ করে রাজপথে দাঁড়াতে পারেনি। এ পরিস্থিতিতে জোটবদ্ধ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই_ শরিকরা তা বুঝতে পেরেছে।
প্রসঙ্গত, সরকার গঠনের পরই একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ইস্যুতে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় মহাজোট। গত বছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত দলটির ৬
শীর্ষ নেতাসহ অর্ধসহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কিন্তু চারদলীয় জোটের নেতৃত্বে থাকা বিএনপি এ নিয়ে তেমন কোনো জোরালো ভূমিকা পালন করেনি। বিএনপির সক্রিয় সহযোগিতা না পাওয়া জামায়াতও শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বড় ধরনের কোনো কর্মসূচি পালনের সাহস দেখায়নি। ঘরোয়া পরিবেশে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশেই সীমাবদ্ধ থেকেছে দলটি। তবে এসব কর্মসূচিও তারা সফলভাবে পালন করতে পারেনি। গত বছরের ২৭ জুন বিএনপির ডাকা প্রথম হরতালে মৌন সমর্থন দিলেও জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাজপথে নামেননি। দূরত্বের পরিসীমা আরো বৃদ্ধি পায়।
পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মঈনুল রোডের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে এ সরকারের আমলে বিএনপির ডাকা দ্বিতীয় ও তৃতীয় হরতাল এবং আড়িয়ল বিলের ঘটনায় খালেদা জিয়াকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ডাকা চতুর্থ হরতালেও জামায়াতের ভূমিকা সমর্থনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকায় দু'দলের সম্পর্কে ফাটল ধরে। এ কারণে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় কারাগারে আটক জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হলেও বিএনপি অনেকটা নিশ্চুপ ছিল।
বিএনপি-জামায়াত সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন কর্মসূচি না থাকায় দলের নেতাকর্মীরা নির্জীব হয়ে পড়েছিলেন। রাজপথ উত্তপ্ত করা ছাড়া তাদের পুনরুজ্জীবিত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ কারণে দু'দলই হরতালসহ বড় ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি দেয়ার চিন্তাভাবনা করছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার সিদ্ধান্তে তাদের কাছাকাছি আনার সুযোগ করে দেয়।
যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে কোণঠাসা জামায়াতও আন্দোলনের মাঠে বিএনপির পাশে থেকে দু'দলের দূরত্ব কমিয়ে নিজেদের আগের অবস্থানে ফিরতে চাইছিল। এ পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল ইস্যুতে বিএনপি হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা দেয়ায় জামায়াতের আকাঙ্ক্ষা পূরণের পথ প্রশস্ত হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জামায়াতও তাৎক্ষণিক একইদিনে হরতালের ঘোষণা দেয়।
এদিকে চারদলীয় জোটের অন্য শরিকরা কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও তারাও ৫ জুনের হরতালে সমর্থন দিয়ে নিজেদের একই কাতারে এনে দাঁড় করায়। বিএনপি ও জামায়াতও এ দুঃসময়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল শরিকদের সাদরে গ্রহণ করে আন্দোলনের পথ সুগম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চারদলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা জানান, আগামীতেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুসহ অন্যান্য সরকার বিরোধী ইস্যুতে জোটবদ্ধ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে জোটের বাইরের সমমনা দল জাগপা, বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, এনডিপি, মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ আর ন্যাপও জোটবদ্ধ আন্দোলনে শরিক হবে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি ও জামায়াত যুগপৎ কর্মসূচি দিয়েছে। দেশ যে পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে তাতে আগামীতে জোটবদ্ধ আন্দোলন হতেও পারে।
জামায়াতের প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক তাসনিম আলম বলেন, জোটের সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে যেহেতু এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, সেহেতু এটিকে জোটবদ্ধ ও যুগপৎ আন্দোলনই বলা যায়।
জোটের আরেক শরিক বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছেন। গণতন্ত্রের রক্ষার জন্য এ আন্দোলন চলবে।
সমমনা দল জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, আন্দোলনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। পথে থামার আর কোনো সুযোগ নেই।
ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেন, ৫ জুনের হরতালে বিএনপিকে সমর্থন দিয়েছেন। সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে কোনো আন্দোলনে বিএনপির পাশে ইসলামী ঐক্যজোট আছে, থাকবে।
ঢাকার বাইরে অবস্থানরত খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যাপক মওলানা মুহম্মদ ইসহাক মোবাইলে বলেন, আমরাও আজ হরতালের ঘোষণা দিয়েছি। এটি পরিষ্কার যুগপৎ আন্দোলন।
চারদলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সঙ্কট, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দায়ের, ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তিসহ জাতীয় বিভিন্ন ইস্যুতে লাগাতার আন্দোলন করার জন্য তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এর আগে জোটের দলগুলোর মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব এখন আর নেই। এমনকি যুদ্ধাপরাধের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতেও তারা একে অপরের পাশে থাকবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগে মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি দিয়ে রাজপথ উত্তপ্ত করতে ব্যর্থ হয়ে চারদলীয় জোটের শরিকদের টনক নড়েছে। কোনো কর্মসূচি দিয়ে জোটের কোনো দলই মাঠেই নামতে পারেনি। জোটের প্রধান শরিক বিএনপি সর্বশক্তি প্রয়োগ করে রাজপথে দাঁড়াতে পারেনি। এ পরিস্থিতিতে জোটবদ্ধ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই_ শরিকরা তা বুঝতে পেরেছে।
প্রসঙ্গত, সরকার গঠনের পরই একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ইস্যুতে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় মহাজোট। গত বছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত দলটির ৬
শীর্ষ নেতাসহ অর্ধসহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কিন্তু চারদলীয় জোটের নেতৃত্বে থাকা বিএনপি এ নিয়ে তেমন কোনো জোরালো ভূমিকা পালন করেনি। বিএনপির সক্রিয় সহযোগিতা না পাওয়া জামায়াতও শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বড় ধরনের কোনো কর্মসূচি পালনের সাহস দেখায়নি। ঘরোয়া পরিবেশে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশেই সীমাবদ্ধ থেকেছে দলটি। তবে এসব কর্মসূচিও তারা সফলভাবে পালন করতে পারেনি। গত বছরের ২৭ জুন বিএনপির ডাকা প্রথম হরতালে মৌন সমর্থন দিলেও জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাজপথে নামেননি। দূরত্বের পরিসীমা আরো বৃদ্ধি পায়।
পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মঈনুল রোডের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে এ সরকারের আমলে বিএনপির ডাকা দ্বিতীয় ও তৃতীয় হরতাল এবং আড়িয়ল বিলের ঘটনায় খালেদা জিয়াকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ডাকা চতুর্থ হরতালেও জামায়াতের ভূমিকা সমর্থনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকায় দু'দলের সম্পর্কে ফাটল ধরে। এ কারণে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় কারাগারে আটক জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হলেও বিএনপি অনেকটা নিশ্চুপ ছিল।
বিএনপি-জামায়াত সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন কর্মসূচি না থাকায় দলের নেতাকর্মীরা নির্জীব হয়ে পড়েছিলেন। রাজপথ উত্তপ্ত করা ছাড়া তাদের পুনরুজ্জীবিত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ কারণে দু'দলই হরতালসহ বড় ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি দেয়ার চিন্তাভাবনা করছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার সিদ্ধান্তে তাদের কাছাকাছি আনার সুযোগ করে দেয়।
যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে কোণঠাসা জামায়াতও আন্দোলনের মাঠে বিএনপির পাশে থেকে দু'দলের দূরত্ব কমিয়ে নিজেদের আগের অবস্থানে ফিরতে চাইছিল। এ পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল ইস্যুতে বিএনপি হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা দেয়ায় জামায়াতের আকাঙ্ক্ষা পূরণের পথ প্রশস্ত হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জামায়াতও তাৎক্ষণিক একইদিনে হরতালের ঘোষণা দেয়।
এদিকে চারদলীয় জোটের অন্য শরিকরা কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও তারাও ৫ জুনের হরতালে সমর্থন দিয়ে নিজেদের একই কাতারে এনে দাঁড় করায়। বিএনপি ও জামায়াতও এ দুঃসময়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল শরিকদের সাদরে গ্রহণ করে আন্দোলনের পথ সুগম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চারদলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা জানান, আগামীতেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুসহ অন্যান্য সরকার বিরোধী ইস্যুতে জোটবদ্ধ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে জোটের বাইরের সমমনা দল জাগপা, বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, এনডিপি, মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ আর ন্যাপও জোটবদ্ধ আন্দোলনে শরিক হবে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি ও জামায়াত যুগপৎ কর্মসূচি দিয়েছে। দেশ যে পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে তাতে আগামীতে জোটবদ্ধ আন্দোলন হতেও পারে।
জামায়াতের প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক তাসনিম আলম বলেন, জোটের সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে যেহেতু এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, সেহেতু এটিকে জোটবদ্ধ ও যুগপৎ আন্দোলনই বলা যায়।
জোটের আরেক শরিক বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছেন। গণতন্ত্রের রক্ষার জন্য এ আন্দোলন চলবে।
সমমনা দল জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, আন্দোলনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। পথে থামার আর কোনো সুযোগ নেই।
ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেন, ৫ জুনের হরতালে বিএনপিকে সমর্থন দিয়েছেন। সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে কোনো আন্দোলনে বিএনপির পাশে ইসলামী ঐক্যজোট আছে, থাকবে।
ঢাকার বাইরে অবস্থানরত খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যাপক মওলানা মুহম্মদ ইসহাক মোবাইলে বলেন, আমরাও আজ হরতালের ঘোষণা দিয়েছি। এটি পরিষ্কার যুগপৎ আন্দোলন।