শেয়ারবাজার :::: নতুন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে। তবে এ সুযোগ ঢালাওভাবে নয়, কেবল পুঁজিবাজারসহ কয়েকটি খাতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হতে পারে। শেয়ারবাজার চাঙ্গা করতে ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সরকার এরই মধ্যে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপরও বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে পুঁজিবাজারে কালো টাকা প্রবেশের সুযোগ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে সরকার। তাই নতুন বাজেটে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত আয় বা কালো টাকার ওপর একটি নির্দিষ্ট করারোপ করে তা বৈধ করার সুযোগ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সরকারের একটি অংশ এখনো এর বিরোধিতা করছে।
সূত্র জানায়, গত মাসের শেষের দিকে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে পুঁজিবাজারে তারল্য সঙ্কট মোকাবেলায় অপ্রদর্শিত আয় ১০ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকেই এর পক্ষে-বিপক্ষে দু'ধরনেই মতামত দেয়া হয়। তাই বাজেট বই না ছাপানো পর্যন্ত তা নিশ্চিত হওয়া যাবে না, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে কিনা।
তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, নতুন বাজেটে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে। পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতেই এ সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া আবাসন খাতেও এ সুযোগ থাকতে পারে।
সচিবালয়ের ওই বৈঠকে উপস্থিত ডিএসই এবং সিএসই কর্মকর্তারা বলেছেন, পুঁজিবাজার একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তারল্য সঙ্কটও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে পুঁজিবাজারে। আর যথেষ্ট তারল্য না থাকায় পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক বিনিয়োগও হচ্ছে না। এ অবস্থায় অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দিলে তারল্য সঙ্কট কাটবে। পাশাপাশি বাজার স্বাভাবিক করতে তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তবে কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু এখনো তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। এদিকে বাজেটের বই ছাপানোও চূড়ান্ত হয়েছে। আজকালের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে প্রতি বছর নতুন বাজেট
তৈরির আগে কালো টাকা সাদা করার দাবিতে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু এবার এ বিষয়ে নীরব রয়েছে প্রায় সব সংগঠন। এমনকি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকেও এবার অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেয়ার কোনো সুপারিশ আসেনি।
কালো টাকাকে দেশের অর্থনীতির মূল স্রোতে নিয়ে আসার জন্য ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মহলের চাপে ২০০৯-১০ অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়। ওই অর্থবছরে পুঁজিবাজার এবং পর্যটন, কৃষি, মেলামাইন, সিরামিক, মোবাইল, পোশাক শিল্প, টেক্সটাইল, প্লাস্টিক, খেলনা খাতসহ মোট ৬০টি খাতে ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা হয়। এদিকে চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) অবকাঠামো উন্নয়নে যে অবকাঠামো তহবিল ঘোষণা করা হয়, সেখানে পরোক্ষভাবে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ রাখা হয়।
এ ব্যাপারে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজ যায়যায়দিনকে বলেন, কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়াকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। সরকার প্রতি বছরই কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে জানায়, এবারই শেষ আর দেয়া হবে না। কিন্তু প্রতিবারই কালো টাকার মালিকদের চাপে আবার সুযোগ দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ফান্ডামেন্টাল ফান্ড না বাড়িয়ে একটা অবৈধ পন্থায় তা বাড়ালে পুঁজিবাজার হয়তো সাময়িক চাঙ্গা হবে। তবে তা স্থায়িত্ব পাবে না। ফলে আবারো ধস হবে, যা সরকারের জন্য সুখকর হবে না। তিনি বলেন, একটি বৈধ বাজারে অবৈধ অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া আর দস্যুতা করতে দেয়া একই বিষয়।
উল্লেখ্য, ২০০৯-১০ অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার পর ১ হাজার ১৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ টাকা সাদা করা হয়। ওই অর্থবছরে চারটি পর্যায়ে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮ শতাংশ কালো টাকা বাড়ি ও ভূমি ক্রয় করে সাদা করা হয়। ওই অর্থবছরে ব্যক্তি পর্যায়ে মোট ২ হাজার ৩০০ জন কালো টাকা সাদা করার সুযোগ গ্রহণ করেন। এ থেকে সরকার রাজস্ব আয় করে ৪৩ কোটি টাকা।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৫৬ হাজার ৮৪৫ জন ৯১১ কোটি টাকা কর পরিশোধ করে ৯ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা বৈধ করেন। ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে সব সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে আসছে। কিন্তু শুরুর দিকে খুবই কম সাড়া পাওয়া যেত। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ (২০০০-০১) অর্থবছরে মাত্র এক হাজার কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ তিন অর্থবছরে দুই হাজার কোটি কালো টাকা সাদা হয়।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সরকার এরই মধ্যে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপরও বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে পুঁজিবাজারে কালো টাকা প্রবেশের সুযোগ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে সরকার। তাই নতুন বাজেটে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত আয় বা কালো টাকার ওপর একটি নির্দিষ্ট করারোপ করে তা বৈধ করার সুযোগ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সরকারের একটি অংশ এখনো এর বিরোধিতা করছে।
সূত্র জানায়, গত মাসের শেষের দিকে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে পুঁজিবাজারে তারল্য সঙ্কট মোকাবেলায় অপ্রদর্শিত আয় ১০ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকেই এর পক্ষে-বিপক্ষে দু'ধরনেই মতামত দেয়া হয়। তাই বাজেট বই না ছাপানো পর্যন্ত তা নিশ্চিত হওয়া যাবে না, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে কিনা।
তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, নতুন বাজেটে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে। পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতেই এ সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া আবাসন খাতেও এ সুযোগ থাকতে পারে।
সচিবালয়ের ওই বৈঠকে উপস্থিত ডিএসই এবং সিএসই কর্মকর্তারা বলেছেন, পুঁজিবাজার একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তারল্য সঙ্কটও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে পুঁজিবাজারে। আর যথেষ্ট তারল্য না থাকায় পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক বিনিয়োগও হচ্ছে না। এ অবস্থায় অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দিলে তারল্য সঙ্কট কাটবে। পাশাপাশি বাজার স্বাভাবিক করতে তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তবে কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু এখনো তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। এদিকে বাজেটের বই ছাপানোও চূড়ান্ত হয়েছে। আজকালের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে প্রতি বছর নতুন বাজেট
তৈরির আগে কালো টাকা সাদা করার দাবিতে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু এবার এ বিষয়ে নীরব রয়েছে প্রায় সব সংগঠন। এমনকি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকেও এবার অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেয়ার কোনো সুপারিশ আসেনি।
কালো টাকাকে দেশের অর্থনীতির মূল স্রোতে নিয়ে আসার জন্য ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মহলের চাপে ২০০৯-১০ অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়। ওই অর্থবছরে পুঁজিবাজার এবং পর্যটন, কৃষি, মেলামাইন, সিরামিক, মোবাইল, পোশাক শিল্প, টেক্সটাইল, প্লাস্টিক, খেলনা খাতসহ মোট ৬০টি খাতে ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা হয়। এদিকে চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) অবকাঠামো উন্নয়নে যে অবকাঠামো তহবিল ঘোষণা করা হয়, সেখানে পরোক্ষভাবে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ রাখা হয়।
এ ব্যাপারে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজ যায়যায়দিনকে বলেন, কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়াকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। সরকার প্রতি বছরই কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে জানায়, এবারই শেষ আর দেয়া হবে না। কিন্তু প্রতিবারই কালো টাকার মালিকদের চাপে আবার সুযোগ দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ফান্ডামেন্টাল ফান্ড না বাড়িয়ে একটা অবৈধ পন্থায় তা বাড়ালে পুঁজিবাজার হয়তো সাময়িক চাঙ্গা হবে। তবে তা স্থায়িত্ব পাবে না। ফলে আবারো ধস হবে, যা সরকারের জন্য সুখকর হবে না। তিনি বলেন, একটি বৈধ বাজারে অবৈধ অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া আর দস্যুতা করতে দেয়া একই বিষয়।
উল্লেখ্য, ২০০৯-১০ অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার পর ১ হাজার ১৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ টাকা সাদা করা হয়। ওই অর্থবছরে চারটি পর্যায়ে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮ শতাংশ কালো টাকা বাড়ি ও ভূমি ক্রয় করে সাদা করা হয়। ওই অর্থবছরে ব্যক্তি পর্যায়ে মোট ২ হাজার ৩০০ জন কালো টাকা সাদা করার সুযোগ গ্রহণ করেন। এ থেকে সরকার রাজস্ব আয় করে ৪৩ কোটি টাকা।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৫৬ হাজার ৮৪৫ জন ৯১১ কোটি টাকা কর পরিশোধ করে ৯ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা বৈধ করেন। ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে সব সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে আসছে। কিন্তু শুরুর দিকে খুবই কম সাড়া পাওয়া যেত। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ (২০০০-০১) অর্থবছরে মাত্র এক হাজার কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ তিন অর্থবছরে দুই হাজার কোটি কালো টাকা সাদা হয়।