শেয়ারবাজার :::: দেশে প্রকৃত করদাতার চেয়ে ভুয়া বা 'নাই' করদাতার সংখ্যাই বেশি। আয়কর ও ভ্যাট-এই দুই খাতেই কাগজে-কলমে ব্যক্তি ও কম্পানি পর্যায়ে করদাতার সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু তাঁদের বেশির ভাগ কর দিচ্ছেন না। আয়করের মোট ২৮ লাখ নিবন্ধিত করদাতার মাত্র ৩৯ শতাংশ রিটার্ন জমা দেন। বাকি প্রায় ৬১ শতাংশের খোঁজ নেই। তাঁদের ভুয়া হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। আর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের ক্ষেত্রে এ অবস্থা আরো নাজুক। এ ক্ষেত্রে নিবন্ধিত সাড়ে সাত লাখ ভ্যাটদাতা কম্পানির মাত্র ১৩ শতাংশ ভ্যাটের রিটার্ন জমা দেয়। বাকি ৮৭ শতাংশ ভুয়া।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিজস্ব অনুসন্ধানেই ধরা পড়েছে এমন উদ্বেগজনক চিত্র। সরকারকে দেওয়া এনবিআরের সার্বিক দুর্বলতার নানা বিষয়সংবলিত বিশদ এ প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, কর, শুল্ক, ভ্যাট ফাঁকিসহ নানা অনিয়ম ধরা, নিজেদের সক্ষমতা না বাড়িয়ে বছরের পর বছর বিপুল অর্থের অপচয় করে বিদেশি প্রি-শিপমেন্ট ইনস্পেকশন বা পিএসআই সংস্থাকে দিয়ে কাজ করানো এবং রাজস্ব আয়ে আইনের উপযুক্ত ব্যবহারে অদক্ষতার কারণে অর্থনীতির প্রাণ সঞ্চারকারী সংস্থা এনবিআরের মূল ভিত্তি এখন অনেকটাই দুর্বল।
এমন নড়বড়ে অবস্থায়ও প্রতিষ্ঠানটি পরবর্তী চার বছরে বর্তমানের চেয়ে পৌনে ৩০০ শতাংশ বেশি রাজস্ব্ব আয়ের স্বপ্ন দেখছে। অবশ্য এ জন্য এনবিআরের সক্ষমতা বাড়াতে শর্ত হিসেবে চাওয়া হয়েছে ৭০০ কোটি টাকার প্যাকেজ।
দেশে শিল্প ও সেবা খাতের বিকাশ এবং আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারিত হওয়ার ফল হলো প্রতিবছরের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রার রাজস্ব প্রবৃদ্ধি। এতে মনে হতে পারে, দেশের বিপুল জনসংখ্যা করদাতায় পরিণত হচ্ছে এবং প্রচুর শিল্প-প্রতিষ্ঠান ভ্যাট দিচ্ছে। এনবিআরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ট্যাঙ্ আইডেনটিফিকেশন নম্বর বা টিআইএন সনদ নেওয়ার মাধ্যমে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা কাগজে-কলমে প্রতিদিন বাড়লেও বাস্তবে বাড়ছে না। ২৮ লাখের মধ্যে মাত্র ১১ লাখ করদাতা টিআইএন জমা দেন। কিন্তু তাঁদের সবাই কর দেন না। এভাবে বর্তমানে আয়করের যে ৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি তা মূলত ৩৯ শতাংশ করদাতারই অবদান। বাকিরা 'কাজীর গরু কেতাবে'র মতো। তাই এসব ভুয়া করদাতাকে বাতিল করতে এনবিআরের পক্ষ থেকে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যা অচিরেই চালু হবে। এই প্রকল্পের আওতায় জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে বিদ্যমান টিআইএন ক্লিনিং করে নতুন টিআইএন দেওয়া হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিজস্ব অনুসন্ধানেই ধরা পড়েছে এমন উদ্বেগজনক চিত্র। সরকারকে দেওয়া এনবিআরের সার্বিক দুর্বলতার নানা বিষয়সংবলিত বিশদ এ প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, কর, শুল্ক, ভ্যাট ফাঁকিসহ নানা অনিয়ম ধরা, নিজেদের সক্ষমতা না বাড়িয়ে বছরের পর বছর বিপুল অর্থের অপচয় করে বিদেশি প্রি-শিপমেন্ট ইনস্পেকশন বা পিএসআই সংস্থাকে দিয়ে কাজ করানো এবং রাজস্ব আয়ে আইনের উপযুক্ত ব্যবহারে অদক্ষতার কারণে অর্থনীতির প্রাণ সঞ্চারকারী সংস্থা এনবিআরের মূল ভিত্তি এখন অনেকটাই দুর্বল।
এমন নড়বড়ে অবস্থায়ও প্রতিষ্ঠানটি পরবর্তী চার বছরে বর্তমানের চেয়ে পৌনে ৩০০ শতাংশ বেশি রাজস্ব্ব আয়ের স্বপ্ন দেখছে। অবশ্য এ জন্য এনবিআরের সক্ষমতা বাড়াতে শর্ত হিসেবে চাওয়া হয়েছে ৭০০ কোটি টাকার প্যাকেজ।
দেশে শিল্প ও সেবা খাতের বিকাশ এবং আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারিত হওয়ার ফল হলো প্রতিবছরের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রার রাজস্ব প্রবৃদ্ধি। এতে মনে হতে পারে, দেশের বিপুল জনসংখ্যা করদাতায় পরিণত হচ্ছে এবং প্রচুর শিল্প-প্রতিষ্ঠান ভ্যাট দিচ্ছে। এনবিআরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ট্যাঙ্ আইডেনটিফিকেশন নম্বর বা টিআইএন সনদ নেওয়ার মাধ্যমে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা কাগজে-কলমে প্রতিদিন বাড়লেও বাস্তবে বাড়ছে না। ২৮ লাখের মধ্যে মাত্র ১১ লাখ করদাতা টিআইএন জমা দেন। কিন্তু তাঁদের সবাই কর দেন না। এভাবে বর্তমানে আয়করের যে ৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি তা মূলত ৩৯ শতাংশ করদাতারই অবদান। বাকিরা 'কাজীর গরু কেতাবে'র মতো। তাই এসব ভুয়া করদাতাকে বাতিল করতে এনবিআরের পক্ষ থেকে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যা অচিরেই চালু হবে। এই প্রকল্পের আওতায় জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে বিদ্যমান টিআইএন ক্লিনিং করে নতুন টিআইএন দেওয়া হবে।