শেয়ারবাজার :::: সরকারের বহুমুখী উন্নয়ন-পদক্ষেপ সত্ত্বেও দেশে গ্যাস-সংকট কমছে না। ২০১২ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর যে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে সরকার কাজ করছে, তার বাস্তবায়নও আগামী বছরই শেষ হচ্ছে না। ফলে গ্যাস-সংকট আরও দীর্ঘায়িত হওয়া প্রায় নিশ্চিত।
সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্রগুলো জানায়, গত তিন বছরে দেশে গ্যাসের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৩০ কোটি ঘনফুট। ফলে বর্তমানে দৈনিক গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ ২০০ কোটি ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। চাহিদা এখনো ২৫০ কোটি ঘনফুটই ধরা হচ্ছে। তবে গ্যাসের প্রক্ষেপিত (প্রোজেক্টেড) চাহিদা এবং তা পূরণের লক্ষ্যে গৃহীত পেট্রোবাংলার কার্যক্রম অনুযায়ী, এ বছর গ্যাসের চাহিদা বেড়ে ২৮০ কোটি ঘনফুট হবে। কিন্তু উৎপাদন ২২০ কোটি ঘনফুটের বেশি হবে না।
একইভাবে গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর পূর্বোক্ত মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনায় সাতটি অনুসন্ধান কূপ, ২৪টি উন্নয়ন কূপ ও তিনটি ওয়ার্কওভার কূপ খনন এবং দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুটের সমান এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির কথা থাকলেও আগামী বছরের মধ্যে এ কাজগুলো শেষ হবে না বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে জ্বালানিসচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে সংকটকাল কমিয়ে আনার। তবে ২০১২ সালের শেষ কিংবা ২০১৩ সাল শুরুর আগে সংকট নিরসন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
হাইড্রোকার্বনের তিন সুপারিশ: জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা সেল হাইড্রোকার্বন ইউনিট গত মাসে (এপ্রিল) সরকারের উচ্চপর্যায়ে উপস্থাপিত একটি সমীক্ষা প্রতিবেদনে গ্যাস-সংকট দ্রুত নিরসনে তিনটি সুপারিশ করে। প্রথম সুপারিশে বলা হয়, গ্যাসকূপগুলোর উপরিভাগের কিছু যন্ত্রপাতি (বাল্ব, চোক, রেগুলেটর প্রভৃতি) পরিবর্তন করে এক মাসের মধ্যে গ্যাসের উৎপাদন দৈনিক মোট ১৫ থেকে ২০ কোটি ঘনফুট বাড়ানো সম্ভব। সরকারি সূত্রগুলো জানায়, এ কাজ আগে থেকেই শুরু করা হয়েছে।
দ্বিতীয় সুপারিশ হলো, উৎপাদনরত কূপগুলোর ভেতরে কিছু সংস্কারকাজ করা (ওয়েল লাইন ইন্টারভেনশন)। আর তৃতীয় সুপারিশে বলা হয়, কূপগুলোর উত্তোলন পাইপ (টিউব) বদলে দেওয়ার কথা। উপস্থাপনায় বলা হয়, এক বছরের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব এবং এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে এক বছরের মধ্যে দৈনিক ৩৫ থেকে ৫০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্রগুলো জানায়, গত তিন বছরে দেশে গ্যাসের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৩০ কোটি ঘনফুট। ফলে বর্তমানে দৈনিক গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ ২০০ কোটি ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। চাহিদা এখনো ২৫০ কোটি ঘনফুটই ধরা হচ্ছে। তবে গ্যাসের প্রক্ষেপিত (প্রোজেক্টেড) চাহিদা এবং তা পূরণের লক্ষ্যে গৃহীত পেট্রোবাংলার কার্যক্রম অনুযায়ী, এ বছর গ্যাসের চাহিদা বেড়ে ২৮০ কোটি ঘনফুট হবে। কিন্তু উৎপাদন ২২০ কোটি ঘনফুটের বেশি হবে না।
একইভাবে গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর পূর্বোক্ত মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনায় সাতটি অনুসন্ধান কূপ, ২৪টি উন্নয়ন কূপ ও তিনটি ওয়ার্কওভার কূপ খনন এবং দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুটের সমান এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির কথা থাকলেও আগামী বছরের মধ্যে এ কাজগুলো শেষ হবে না বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে জ্বালানিসচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে সংকটকাল কমিয়ে আনার। তবে ২০১২ সালের শেষ কিংবা ২০১৩ সাল শুরুর আগে সংকট নিরসন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
হাইড্রোকার্বনের তিন সুপারিশ: জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা সেল হাইড্রোকার্বন ইউনিট গত মাসে (এপ্রিল) সরকারের উচ্চপর্যায়ে উপস্থাপিত একটি সমীক্ষা প্রতিবেদনে গ্যাস-সংকট দ্রুত নিরসনে তিনটি সুপারিশ করে। প্রথম সুপারিশে বলা হয়, গ্যাসকূপগুলোর উপরিভাগের কিছু যন্ত্রপাতি (বাল্ব, চোক, রেগুলেটর প্রভৃতি) পরিবর্তন করে এক মাসের মধ্যে গ্যাসের উৎপাদন দৈনিক মোট ১৫ থেকে ২০ কোটি ঘনফুট বাড়ানো সম্ভব। সরকারি সূত্রগুলো জানায়, এ কাজ আগে থেকেই শুরু করা হয়েছে।
দ্বিতীয় সুপারিশ হলো, উৎপাদনরত কূপগুলোর ভেতরে কিছু সংস্কারকাজ করা (ওয়েল লাইন ইন্টারভেনশন)। আর তৃতীয় সুপারিশে বলা হয়, কূপগুলোর উত্তোলন পাইপ (টিউব) বদলে দেওয়ার কথা। উপস্থাপনায় বলা হয়, এক বছরের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব এবং এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে এক বছরের মধ্যে দৈনিক ৩৫ থেকে ৫০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।