শেয়ারবাজার :::: বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের গৃহীত অতিরিক্ত ঋণ সমন্বয়ের চাপ পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। একক গ্রাহকের ঋণসীমা (সিঙ্গেল ক্লায়েন্ট এঙ্পোজার) সমন্বয়ের বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার কারণে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের নিজস্ব পোর্টফলিও থেকে শেয়ার বিক্রি করতে হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রাহকদেরও শেয়ার বিক্রি করে মার্জিন ঋণ সমন্বয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণে বাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে গেছে। এর বিপরীতে ক্রেতা সঙ্কটের কারণে পড়ে যাচ্ছে অধিকাংশ শেয়ারের দর। এ অবস্থায় সাবসিডিয়ারি কোম্পানির ঋণসীমা সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনাটি শিথিল করাতে উদ্যোগ নিচ্ছে সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে এসইসির পৰ থেকে আলোচনা করা হবে বলে সংশিস্নষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এর আগে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো বাণিজ্যিক ব্যাংকের নিজস্ব বিভাগ বা ইউনিট হিসেবে কাজ করায় তাদের দেয়া মার্জিন ঋণ ব্যাংকের নিজস্ব বিনিয়োগ হিসাবে ধরা হতো। ফলে এক্ষেত্রে ঋণের কোন সীমা নির্ধারিত ছিল না। কিন্তু মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হয়ে যাওয়ায় মার্জিন ঋণ দেয়ার জন্য তাদের ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়। গত বছরের ১ নবেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের মাস্টার সার্কুলারে ব্যাংকগুলোকে তাদের সাবসিডিয়ারি মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউসকে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে একক গ্রাহক ঋণসীমা মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়। ইতোমধ্যেই যেসব সাবসিডিয়ারি কোম্পানি অতিরিক্ত ঋণ নিয়েছে_ তা সমন্বয়ের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
সংশিস্নষ্টরা জানান, শেয়ারবাজারে মন্দা পরিস্থিতির কারণে অতিরিক্ত ঋণ সমন্বয় করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলো। বর্তমান পরিস্থিতিতে ঋণ সমন্বয় করতে হলে লোকসানে শেয়ার বিক্রি করতে হবে। এতে ঋণ দাতা ও গ্রাহক উভয়ই বিপাকে পড়বে। পাশাপাশি শেয়ারবাজারে মন্দার কারণে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো থেকে গ্রাহকদের দেয়া মার্জিন ঋণের প্রায় পুরোটাই আটকে গেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্দেশনা পালন করতে হলে বাধ্যতামূলক শেয়ার বিক্রি (ফোর্স সেল) করতে হবে।
জানা গেছে, গত বুধবার এসইসির সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) নেতারা এই সমস্যাটি তুলে ধরেন। তারা জানান, মন্দার কারণে একদিকে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বিপুল পরিমাণ মার্জিন ঋণ আটকে গেছে, অন্যদিকে তহবিল সঙ্কটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী নতুন ঋণ দেয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বোচ্চ ঋণসীমা বেঁধে দেয়ায় মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো তাদের মূল প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে পারছে না। এৰেত্রে তারা পুঁজিবাজারে গতিশীলতা ফেরানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এসইসির মধ্যে যোগাযোগ ও সমন্বয় বৃদ্ধির ওপর গুরম্নত্বারোপ করেন। এরই প্রেৰিতে এসইসি থেকে বিএমবিএর কাছে লিখিত প্রসত্মাব চাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিএমবিএর পৰ থেকে এই প্রসত্মাব জমা দেয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে এসইসির পৰ থেকে ঋণ সমন্বয়ের নির্দেশনা শিথিল এবং সাবসিডিয়ারি কোম্পানির ঋণসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।
বিএমবিএর সভাপতি হাফিজ উদ্দীন বলেন, বাজারে তারল্য সঙ্কট রয়েছে। এই মুহূর্তে ঋণ সমন্বয়ের নির্দেশনা সেল প্রেসার বাড়াবে। এছাড়া পতনের কারণে গ্রাহকরা লোকসানে রয়েছে। এ অবস্থায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ফোর্স সেল না করা এবং গ্রাহকদের মানবিক বিবেচনায় আমরা শেয়ার সেল করছি না। এজন্য এসইসির কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩০ জুনের মধ্যে নির্ধারিত সিঙ্গেল পার্টি এঙ্পোজার সম্পন্ন করার নির্দেশনা শিথিল এবং মূল কোম্পানি থেকে ঋণ গ্রহণের সীমা ১৫ শতাংশের লিমিট বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।
সূত্র জানায়, এর আগে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো বাণিজ্যিক ব্যাংকের নিজস্ব বিভাগ বা ইউনিট হিসেবে কাজ করায় তাদের দেয়া মার্জিন ঋণ ব্যাংকের নিজস্ব বিনিয়োগ হিসাবে ধরা হতো। ফলে এক্ষেত্রে ঋণের কোন সীমা নির্ধারিত ছিল না। কিন্তু মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হয়ে যাওয়ায় মার্জিন ঋণ দেয়ার জন্য তাদের ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়। গত বছরের ১ নবেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের মাস্টার সার্কুলারে ব্যাংকগুলোকে তাদের সাবসিডিয়ারি মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউসকে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে একক গ্রাহক ঋণসীমা মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়। ইতোমধ্যেই যেসব সাবসিডিয়ারি কোম্পানি অতিরিক্ত ঋণ নিয়েছে_ তা সমন্বয়ের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
সংশিস্নষ্টরা জানান, শেয়ারবাজারে মন্দা পরিস্থিতির কারণে অতিরিক্ত ঋণ সমন্বয় করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলো। বর্তমান পরিস্থিতিতে ঋণ সমন্বয় করতে হলে লোকসানে শেয়ার বিক্রি করতে হবে। এতে ঋণ দাতা ও গ্রাহক উভয়ই বিপাকে পড়বে। পাশাপাশি শেয়ারবাজারে মন্দার কারণে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো থেকে গ্রাহকদের দেয়া মার্জিন ঋণের প্রায় পুরোটাই আটকে গেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্দেশনা পালন করতে হলে বাধ্যতামূলক শেয়ার বিক্রি (ফোর্স সেল) করতে হবে।
জানা গেছে, গত বুধবার এসইসির সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) নেতারা এই সমস্যাটি তুলে ধরেন। তারা জানান, মন্দার কারণে একদিকে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বিপুল পরিমাণ মার্জিন ঋণ আটকে গেছে, অন্যদিকে তহবিল সঙ্কটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী নতুন ঋণ দেয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বোচ্চ ঋণসীমা বেঁধে দেয়ায় মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো তাদের মূল প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে পারছে না। এৰেত্রে তারা পুঁজিবাজারে গতিশীলতা ফেরানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এসইসির মধ্যে যোগাযোগ ও সমন্বয় বৃদ্ধির ওপর গুরম্নত্বারোপ করেন। এরই প্রেৰিতে এসইসি থেকে বিএমবিএর কাছে লিখিত প্রসত্মাব চাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিএমবিএর পৰ থেকে এই প্রসত্মাব জমা দেয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে এসইসির পৰ থেকে ঋণ সমন্বয়ের নির্দেশনা শিথিল এবং সাবসিডিয়ারি কোম্পানির ঋণসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।
বিএমবিএর সভাপতি হাফিজ উদ্দীন বলেন, বাজারে তারল্য সঙ্কট রয়েছে। এই মুহূর্তে ঋণ সমন্বয়ের নির্দেশনা সেল প্রেসার বাড়াবে। এছাড়া পতনের কারণে গ্রাহকরা লোকসানে রয়েছে। এ অবস্থায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ফোর্স সেল না করা এবং গ্রাহকদের মানবিক বিবেচনায় আমরা শেয়ার সেল করছি না। এজন্য এসইসির কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩০ জুনের মধ্যে নির্ধারিত সিঙ্গেল পার্টি এঙ্পোজার সম্পন্ন করার নির্দেশনা শিথিল এবং মূল কোম্পানি থেকে ঋণ গ্রহণের সীমা ১৫ শতাংশের লিমিট বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।