বানিজ্য সংবাদ :::: দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশে ইসলামিক ক্ষুদ্র অর্থায়ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) প্রেসিডেন্ট ড. আহমেদ মোহাম্মদ আলী। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ইসলামিক ব্যাংক কনসালটেটিভ ফোরাম (আইবিসিএফ) আয়োজিত 'বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার শক্তি' শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। আইডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসলামিক আর্থিক সেবা খাত সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকে উৎসাহ দিচ্ছে। ক্ষুদ্রঋণের এ ধারণা বাংলাদেশ থেকেই এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইসলামিক ব্যাংকগুলো দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ইসলামী ক্ষুদ্র বিনিয়োগ প্রসারে সফলভাবে কাজ করছে। সম্প্রতি অর্থনৈতিক মন্দা বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থায় উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এই মন্দা বর্তমান ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার দুর্বল দিকগুলো সবার সামনে নিয়ে এসেছে। কিন্তু মন্দায় ইসলামিক ব্যাংক ব্যবস্থায় তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি বলে জানান তিনি। সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান, আইবিসিএফের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের এবং আইবিসিএফের ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিবির স্পেশাল অ্যাসাইনমেন্ট ইন ইসলামিক রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (আইআরটিআই) সাবেক প্রধান ড. আওসাফ আহমাদ।
সেমিনারে ড. আতিউর রহমান বলেন, বিশ্ব মন্দায় যখন দেশি বিদেশি ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তখন ইসলামিক ব্যাংকগুলো স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল। এ কারণে এখন অনেক ব্যাংকই ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে আগ্রহী হচ্ছে। দেশের মোট আমানতের ১৮.৫ শতাংশ ইসলামিক ব্যাংকগুলো থেকে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামিক ব্যাংকগুলোর জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে এই ব্যাংকগুলোর স্বার্থ এবং সুবিধা নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ইসলামিক ব্যাংকগুলোকে কোনো ধরনের অপরাধের আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত না হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ব্যাংকগুলোকে জঙ্গিবাদের অর্থায়নের বিষয়েও হুঁশিয়ার করেন।
আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের বলেন, ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থা মানুষের কল্যাণের বিষয়টি লক্ষ রেখে পরিচালিত। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য ইসলামী ব্যাংকিংয়ের সেবা উন্মুক্ত।
সেমিনারে ড. আতিউর রহমান বলেন, বিশ্ব মন্দায় যখন দেশি বিদেশি ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তখন ইসলামিক ব্যাংকগুলো স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল। এ কারণে এখন অনেক ব্যাংকই ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে আগ্রহী হচ্ছে। দেশের মোট আমানতের ১৮.৫ শতাংশ ইসলামিক ব্যাংকগুলো থেকে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামিক ব্যাংকগুলোর জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে এই ব্যাংকগুলোর স্বার্থ এবং সুবিধা নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ইসলামিক ব্যাংকগুলোকে কোনো ধরনের অপরাধের আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত না হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ব্যাংকগুলোকে জঙ্গিবাদের অর্থায়নের বিষয়েও হুঁশিয়ার করেন।
আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের বলেন, ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থা মানুষের কল্যাণের বিষয়টি লক্ষ রেখে পরিচালিত। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবার জন্য ইসলামী ব্যাংকিংয়ের সেবা উন্মুক্ত।