শেয়ারবাজার ::::
শেয়ারবাজরের ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট পরিণত হয়েছে চোরাগলিতে। এ মার্কেটে বিনিয়োগকারীরা কোনোভাবেই যেন মুক্তি পাচ্ছেন না। পরিস্থিতি এমনই, তারা এখন বিনিয়োগ করা মূল টাকা ফেরত পেলেই বেঁচে যান।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ২০০১ সালে ওটিসি মার্কেট বিষয়ে আইন প্রণয়ন করে এবং ২০০৪ সালের জুলাইয়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) চালু করে। পরে ২০০৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ওটিসি চালু হয়। এ মার্কেটে লেনদেন হয় মূলত দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ার। শেয়ারবাজারের মূল ধারায় স্বচ্ছতা আনা, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা এবং বিনিয়োগকারীদের কাগুজে শেয়ারের হতাশা থেকে মুক্তি দিতে এ মার্কেটের যাত্রা। কিন্তু এরপর দুই বছর চলে গেলেও ওটিসি মার্কেট বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো আশার সঞ্চার করতে পারেনি। বরং ওটিসি মার্কেটের শেয়ার কিনে সমস্যায় পড়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই মার্কেটের অধীনে প্যারাগন লেদার, রূপন অয়েল, ন্যাশনাল অক্সিজেন এবং জেম নিটওয়্যারের কোনো শেয়ার এ পর্যন্ত বিক্রি হয়নি। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওটিসি মার্কেটে শেয়ারের ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ লেনদেনে জটিলতা। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ওটিসিতে কেউ শেয়ার বিক্রি করতে চাইলে তাকে ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে শেয়ারের সংখ্যা, দাম উল্লেখ করে ওটিসিতে জমা দিয়ে রসিদ সংগ্রহ করতে হয়। এই তথ্য ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করা হয়। যারা এই শেয়ার কিনবেন তাদের ব্রোকরেজ হাউসের মাধ্যমে ডিএসইর কাছে পে অর্ডার জমা দিতে হয়। পরে শেয়ারের সনদ এবং মালিকানা পরিবর্তনের ফর্ম সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাছে পাঠানো হয়। এরপর কোম্পানি পাঁচ দিনের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে শেয়ার বিক্রেতাকে চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে। শেয়ার লেনেদেনে এই জটিলতার কারণেই অনেক বিনিয়োগকারী এখান থেকে বের হতে পারছেন না বলে জানান। ওটিসি মার্কেটে বিনিয়োগকারী আবদুর রাজ্জাক বলেন, লাভ দরকার নেই। হাতের শেয়ারগুলো বিক্রি করে বাজার থেকে বেরিয়ে যেতে চাই। তিনি তিন লাখ টাকার মেঘনা শ্রিম্প শেয়ার কিনেছেন বেশ আগে। বিক্রয় আদেশ দেয়ার পরও কোনো ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ডিএসই দ্রুত ব্যবস্থা নিলে মূল টাকা নিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবেন। আর যেসব কোম্পানি খারাপ তাদের বিষয়ে এসইসির তদন্ত করা উচিত। এরপর খারাপ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে টাকা আদায় করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ফেরত দেয়া উচিত।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ওটিসি মার্কেটে এই মুহূর্তে ৬৯টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ডি-ম্যাট শেয়ার পাঁচটি এবং বাকিগুলো কাগুজে শেয়ার। এসব কোম্পানিতে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারীর বড় ধরনের বিনিয়োগ আছে।
শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, ওটিসি মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের অবস্থা বেশ খারাপ। ডিএসইর সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ খান বণিক বার্তাকে বলেন, ওটিসি মার্কেটে যাদের রাখা হয়েছে তাদের অনেকেই টাকা নিয়ে সরে পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে দেউলিয়া ঘোষণা করা উচিত। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে। সেটা না করে বরং এসব প্রতিষ্ঠানকে মার্কেট থেকে টাকা তোলার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ওসমান ইমাম বলেন, এই ওটিসি মার্কেটে যেহেতু লেনদেন হয় না সেহেতু তারল্য সংকট রয়েছে। বর্তমানে এই মার্কেটটির বর্তমান অবস্থায় আসার কারণ হলো ভবিষ্যতে শেয়ার বিক্রি করতে না পারা। সেজন্য বিনিয়োগকারীদের একটি অংকের টাকা পড়ে আছে। এসইসিকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। আর এ ধরনের কোম্পানিকে ওটিসিতে না রেখে নতুন করে সেকেন্ড মার্কেট করা যেতে পারে। এ ধরনের মার্কেট অনেক দেশে চালু আছে। এটি করলে ছোট ছোট অনেক কোম্পানি তাদের শেয়ার বিক্রি করতে পারবে।
এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক আহমেদ রশীদ লালী জানান, ওটিসি মার্কেটের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তার জানা নেই। তবে পুরো বিষয়টি তিনি নির্বাহী কর্মকর্তাকে খতিয়ে দেখতে বলবেন।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান বলেন, এই মুহূর্তে ওটিসি মার্কেট নিয়ে এসইসির কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে যেহেতু এসইসি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দিকটি সব সময় দেখে তাই এ বিষয়টিও ভেবে দেখা হবে।
শেয়ারবাজরের ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট পরিণত হয়েছে চোরাগলিতে। এ মার্কেটে বিনিয়োগকারীরা কোনোভাবেই যেন মুক্তি পাচ্ছেন না। পরিস্থিতি এমনই, তারা এখন বিনিয়োগ করা মূল টাকা ফেরত পেলেই বেঁচে যান।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ২০০১ সালে ওটিসি মার্কেট বিষয়ে আইন প্রণয়ন করে এবং ২০০৪ সালের জুলাইয়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) চালু করে। পরে ২০০৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ওটিসি চালু হয়। এ মার্কেটে লেনদেন হয় মূলত দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ার। শেয়ারবাজারের মূল ধারায় স্বচ্ছতা আনা, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা এবং বিনিয়োগকারীদের কাগুজে শেয়ারের হতাশা থেকে মুক্তি দিতে এ মার্কেটের যাত্রা। কিন্তু এরপর দুই বছর চলে গেলেও ওটিসি মার্কেট বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো আশার সঞ্চার করতে পারেনি। বরং ওটিসি মার্কেটের শেয়ার কিনে সমস্যায় পড়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই মার্কেটের অধীনে প্যারাগন লেদার, রূপন অয়েল, ন্যাশনাল অক্সিজেন এবং জেম নিটওয়্যারের কোনো শেয়ার এ পর্যন্ত বিক্রি হয়নি। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওটিসি মার্কেটে শেয়ারের ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ লেনদেনে জটিলতা। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ওটিসিতে কেউ শেয়ার বিক্রি করতে চাইলে তাকে ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে শেয়ারের সংখ্যা, দাম উল্লেখ করে ওটিসিতে জমা দিয়ে রসিদ সংগ্রহ করতে হয়। এই তথ্য ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করা হয়। যারা এই শেয়ার কিনবেন তাদের ব্রোকরেজ হাউসের মাধ্যমে ডিএসইর কাছে পে অর্ডার জমা দিতে হয়। পরে শেয়ারের সনদ এবং মালিকানা পরিবর্তনের ফর্ম সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাছে পাঠানো হয়। এরপর কোম্পানি পাঁচ দিনের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে শেয়ার বিক্রেতাকে চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে। শেয়ার লেনেদেনে এই জটিলতার কারণেই অনেক বিনিয়োগকারী এখান থেকে বের হতে পারছেন না বলে জানান। ওটিসি মার্কেটে বিনিয়োগকারী আবদুর রাজ্জাক বলেন, লাভ দরকার নেই। হাতের শেয়ারগুলো বিক্রি করে বাজার থেকে বেরিয়ে যেতে চাই। তিনি তিন লাখ টাকার মেঘনা শ্রিম্প শেয়ার কিনেছেন বেশ আগে। বিক্রয় আদেশ দেয়ার পরও কোনো ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ডিএসই দ্রুত ব্যবস্থা নিলে মূল টাকা নিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবেন। আর যেসব কোম্পানি খারাপ তাদের বিষয়ে এসইসির তদন্ত করা উচিত। এরপর খারাপ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে টাকা আদায় করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ফেরত দেয়া উচিত।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ওটিসি মার্কেটে এই মুহূর্তে ৬৯টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ডি-ম্যাট শেয়ার পাঁচটি এবং বাকিগুলো কাগুজে শেয়ার। এসব কোম্পানিতে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারীর বড় ধরনের বিনিয়োগ আছে।
শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, ওটিসি মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের অবস্থা বেশ খারাপ। ডিএসইর সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ খান বণিক বার্তাকে বলেন, ওটিসি মার্কেটে যাদের রাখা হয়েছে তাদের অনেকেই টাকা নিয়ে সরে পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে দেউলিয়া ঘোষণা করা উচিত। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে। সেটা না করে বরং এসব প্রতিষ্ঠানকে মার্কেট থেকে টাকা তোলার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ওসমান ইমাম বলেন, এই ওটিসি মার্কেটে যেহেতু লেনদেন হয় না সেহেতু তারল্য সংকট রয়েছে। বর্তমানে এই মার্কেটটির বর্তমান অবস্থায় আসার কারণ হলো ভবিষ্যতে শেয়ার বিক্রি করতে না পারা। সেজন্য বিনিয়োগকারীদের একটি অংকের টাকা পড়ে আছে। এসইসিকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। আর এ ধরনের কোম্পানিকে ওটিসিতে না রেখে নতুন করে সেকেন্ড মার্কেট করা যেতে পারে। এ ধরনের মার্কেট অনেক দেশে চালু আছে। এটি করলে ছোট ছোট অনেক কোম্পানি তাদের শেয়ার বিক্রি করতে পারবে।
এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক আহমেদ রশীদ লালী জানান, ওটিসি মার্কেটের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তার জানা নেই। তবে পুরো বিষয়টি তিনি নির্বাহী কর্মকর্তাকে খতিয়ে দেখতে বলবেন।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান বলেন, এই মুহূর্তে ওটিসি মার্কেট নিয়ে এসইসির কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে যেহেতু এসইসি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দিকটি সব সময় দেখে তাই এ বিষয়টিও ভেবে দেখা হবে।