শেয়ারবাজার :::: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডেলটা লাইফ, ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের লেনদেন স্থগিত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বেআইনিভাবে এজিএম ও রেকর্ড ডেট বাতিল করায় গতকাল সোমবার ডিএসই এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) এবং রেকর্ড ডেটও বাতিল করা হয়েছে। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ রোববার রাতে বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) এ সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী ১১ আগস্ট কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আর গতকাল সোমবার এর রেকর্ড ডেট নির্ধারিত ছিল।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের দেয়া একটি রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি না পেয়েই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল কোম্পানিটি। অথচ ৩০ মে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছিল, আইনজীবীর মাধ্যমে রায়ের কপি পেয়ে লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে এর শেয়ারের দর ৩০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৪০ হাজার টাকায় ওঠে আসে। এখন এজিএম এবং রেকর্ড ডেট বাতিল করায় শেয়ারহোল্ডাররা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।
গত ১৭ জুন বণিক বার্তায় ‘১০০ টাকার শেয়ার ৪০ হাজার টাকা! ডেলটা লাইফের শেষ কোথায়’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর নজরে আসে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কোম্পানিটির কাছে রায়ের কপি চাইলে তাদের হাতে পৌঁছায়নি বলে জানায়। এরপর স্টক এক্সচেঞ্জগুলো রায়ের কপি না পেয়ে রেকর্ড ডেট ঘোষণার বিরোধিতা করে। চাপের মুখে গতকাল সোমবার তাদের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও রেকর্ড ডেট স্থগিত করে।
জানা গেছে, মামলা জটিলতার কারণে কোম্পানিটি গত সাত বছর ধরে লভ্যাংশ দিচ্ছে না। গত মাসে হাইকোর্টের একটি রায়ে কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা করতে কোনো বাধা নেই বলে জানানো হয়। কোম্পানিকে ২০০৪ থেকে ২০১০ সালের লভ্যাংশ ঘোষণা ও এজিএম করার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। কিন্তু কোম্পানি শুধু ২০০৪ সালের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস ঘোষণা করে। আগামী ১১ আগস্ট তাদের এজিএম আয়োজনের করার কথা ছিল।
গত ৩০ মে ডেলটা লাইফ শুধু ২০০৪ সালের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করে। পরদিন কোম্পানির শেয়ারের দরের ওপর সার্কিট ব্রেকার না থাকায় একলাফে ৬০ হাজার টাকায় ওঠে যায়। পরবর্তী সপ্তাহে তা কিছুটা কমে। দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে এটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম। নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও স্টক এক্সচেঞ্জগুলো কোম্পানির দর ওঠানামার বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে। আগে এসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জ এ ধরনের কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিকহারে বাড়ার কারণে লেনদেন স্থগিত করে দিয়েছিল। কিন্তু এ কোম্পানির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ডেলটা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাস দেব প্রসাদ সোমবার বণিক বার্তাকে বলেন, আদালতের রায় পেয়েছি তা কখনোই বলা হয়নি। আমরা বলেছি আইনজীবীর মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত কপি পেয়েছি। এ অনুযায়ী আমরা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছি।
রায়ের কপি না পেয়ে কেন হঠাত্ করে এক বছরের লভ্যাংশ ঘোষণা করা হলো জানতে চাইলে ডেলটা লাইফের এমডি বলেন, এটি পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত। কোম্পানির লেনদেন স্থগিত রাখার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পুরো সাত বছরের লভ্যাংশ ঘোষণা করছেন না কেন জানতে চাইলে দাস দেব প্রসাদ বলেন, এজন্য কোম্পানিকে আরও কিছু দিন সময় দিতে হবে। কোম্পানির হিসাব নিরীক্ষা করতে হবে। নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হচ্ছে শিগগিরই। খুব দ্রুত লভ্যাংশ ও এজিএম ঘোষণা করা হবে।
গত কয়েক দিনের বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোম্পানির একশ’ টাকার প্রতিটি শেয়ার ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার কোম্পানির শেয়ারের দর ৩৯ হাজার ৭৭৩ টাকায় ওঠে আসে। গতকাল রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন স্থগিত ছিল।
একশ’ টাকার এই শেয়ারের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে এর মৌলভিত্তি অতিক্রম করে ফেলেছে। লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ও স্থায়ী সম্পদ মূল্য (এনএভি) দেখায় না। ফলে মৌলভিত্তি থেকে কত উপরে গেল তাও বোঝা যাচ্ছে না। এ সুযোগ নিচ্ছে কোম্পানি।
২০০৪ সালে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ‘ডিআইটিএল’ নামে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বীমা নিয়ন্ত্রক থেকে অনুমোদন না দেয়ায় শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে মামলাসংক্রান্ত জটিলতার সৃষ্টি হয়।
মামলা চলার কারণে কোম্পানি প্রতি বছর এজিএম আয়োজন ও বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে পারছে না। বাজারে এ কোম্পানির মোট শেয়ার রয়েছে তিন লাখ।
এদিকে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) এবং রেকর্ড ডেটও বাতিল করা হয়েছে। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ রোববার রাতে বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) এ সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী ১১ আগস্ট কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আর গতকাল সোমবার এর রেকর্ড ডেট নির্ধারিত ছিল।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের দেয়া একটি রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি না পেয়েই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল কোম্পানিটি। অথচ ৩০ মে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছিল, আইনজীবীর মাধ্যমে রায়ের কপি পেয়ে লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে এর শেয়ারের দর ৩০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৪০ হাজার টাকায় ওঠে আসে। এখন এজিএম এবং রেকর্ড ডেট বাতিল করায় শেয়ারহোল্ডাররা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।
গত ১৭ জুন বণিক বার্তায় ‘১০০ টাকার শেয়ার ৪০ হাজার টাকা! ডেলটা লাইফের শেষ কোথায়’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর নজরে আসে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কোম্পানিটির কাছে রায়ের কপি চাইলে তাদের হাতে পৌঁছায়নি বলে জানায়। এরপর স্টক এক্সচেঞ্জগুলো রায়ের কপি না পেয়ে রেকর্ড ডেট ঘোষণার বিরোধিতা করে। চাপের মুখে গতকাল সোমবার তাদের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও রেকর্ড ডেট স্থগিত করে।
জানা গেছে, মামলা জটিলতার কারণে কোম্পানিটি গত সাত বছর ধরে লভ্যাংশ দিচ্ছে না। গত মাসে হাইকোর্টের একটি রায়ে কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা করতে কোনো বাধা নেই বলে জানানো হয়। কোম্পানিকে ২০০৪ থেকে ২০১০ সালের লভ্যাংশ ঘোষণা ও এজিএম করার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। কিন্তু কোম্পানি শুধু ২০০৪ সালের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস ঘোষণা করে। আগামী ১১ আগস্ট তাদের এজিএম আয়োজনের করার কথা ছিল।
গত ৩০ মে ডেলটা লাইফ শুধু ২০০৪ সালের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করে। পরদিন কোম্পানির শেয়ারের দরের ওপর সার্কিট ব্রেকার না থাকায় একলাফে ৬০ হাজার টাকায় ওঠে যায়। পরবর্তী সপ্তাহে তা কিছুটা কমে। দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে এটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম। নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও স্টক এক্সচেঞ্জগুলো কোম্পানির দর ওঠানামার বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে। আগে এসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জ এ ধরনের কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিকহারে বাড়ার কারণে লেনদেন স্থগিত করে দিয়েছিল। কিন্তু এ কোম্পানির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ডেলটা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাস দেব প্রসাদ সোমবার বণিক বার্তাকে বলেন, আদালতের রায় পেয়েছি তা কখনোই বলা হয়নি। আমরা বলেছি আইনজীবীর মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত কপি পেয়েছি। এ অনুযায়ী আমরা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছি।
রায়ের কপি না পেয়ে কেন হঠাত্ করে এক বছরের লভ্যাংশ ঘোষণা করা হলো জানতে চাইলে ডেলটা লাইফের এমডি বলেন, এটি পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত। কোম্পানির লেনদেন স্থগিত রাখার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পুরো সাত বছরের লভ্যাংশ ঘোষণা করছেন না কেন জানতে চাইলে দাস দেব প্রসাদ বলেন, এজন্য কোম্পানিকে আরও কিছু দিন সময় দিতে হবে। কোম্পানির হিসাব নিরীক্ষা করতে হবে। নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হচ্ছে শিগগিরই। খুব দ্রুত লভ্যাংশ ও এজিএম ঘোষণা করা হবে।
গত কয়েক দিনের বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোম্পানির একশ’ টাকার প্রতিটি শেয়ার ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার কোম্পানির শেয়ারের দর ৩৯ হাজার ৭৭৩ টাকায় ওঠে আসে। গতকাল রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন স্থগিত ছিল।
একশ’ টাকার এই শেয়ারের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে এর মৌলভিত্তি অতিক্রম করে ফেলেছে। লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ও স্থায়ী সম্পদ মূল্য (এনএভি) দেখায় না। ফলে মৌলভিত্তি থেকে কত উপরে গেল তাও বোঝা যাচ্ছে না। এ সুযোগ নিচ্ছে কোম্পানি।
২০০৪ সালে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ‘ডিআইটিএল’ নামে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বীমা নিয়ন্ত্রক থেকে অনুমোদন না দেয়ায় শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে মামলাসংক্রান্ত জটিলতার সৃষ্টি হয়।
মামলা চলার কারণে কোম্পানি প্রতি বছর এজিএম আয়োজন ও বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে পারছে না। বাজারে এ কোম্পানির মোট শেয়ার রয়েছে তিন লাখ।