শেয়ারবাজার :::: উচ্চ আদালতের রায় অনুসারে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা না রাখার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটি।
কমিটি মনে করে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখলে ভবিষ্যতে তা আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন।
তবে প্রধান বিরোধী দলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল চাইলে আলোচনা করে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে শুধু আগামী দুই মেয়াদের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখার সুযোগ থাকতে পারে।
গতকাল সোমবার সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশেষ কমিটির বৈঠকে এই নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় বিশেষ কমিটির চেয়ারপারসন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। ইতিমধ্যে বিএনপি তার এই অবস্থান পরিষ্কার করেছে। তবে এ বিষয়ে কোনো বিল সংসদে উঠলে বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা যাবে। তখন বিএনপি সিদ্ধান্ত নেবে, এই বিলের ওপর আলোচনার প্রয়োজন আছে কি না।
বৈঠক সূত্র জানায়, গতকালের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কমিটির সব সদস্য আদালতের রায় অনুসারেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা না রাখার পক্ষে মত দেন। তাঁরা এ ধরনের জনগুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়ে একমত হতে বিরোধী দলকে বিশেষ কমিটি কিংবা সংসদে এসে আলোচনা করার আহ্বান জানান। বৈঠকে বলা হয়, তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও আওয়ামী লীগ আদালতের রায় লঙ্ঘন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল রাখতে চায় না।
কমিটির মুখপাত্র সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করবেন বলে জানান।
জানতে চাইলে কমিটির সদস্য আবদুল মতিন খসরু প্রথম আলোকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বিশেষ কমিটির আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব করার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রীও এ ব্যাপারে বিশেষ কমিটির সঙ্গে একমত হয়েছেন। তবে বিরোধী দল চাইলে বিশেষ কমিটিতে এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আরও দুই মেয়াদে রাখার ব্যাপারে প্রস্তাব করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে। আর বিরোধী দল না এলে বিশেষ কমিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির প্রস্তাব করবে সংসদে।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে যা বলা আছে, তা-ই হবে। কারণ এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার রেখে যদি নির্বাচন করা হয়, রায় অনুসারে তা অবৈধ হবে। তাই এ ধরনের কাজ করার ঝুঁকি কেউ নেবে না।
কমিটির অপর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের রায় অনুসারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির কোনো বিকল্প নেই। কমিটির এ প্রস্তাবের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও একমত হয়েছেন। তবে যেহেতু এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, তাই প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে আবারও আলোচনায় আসার আহ্বান জানাতে বলেছেন। এ ব্যাপারে কমিটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতেই নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট বলেছেন, আদালতের রায় অনুসারে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখার কোনো সুযোগ নেই। তাই বিশেষ কমিটিরও এ ধরনের কোনো প্রস্তাব আনার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার রেখে তার অধীনে নির্বাচন হলে তা অবৈধ ঘোষিত হতে পারে। তাই এ জটিলতায় যাওয়া যাবে না।
জানা গেছে, সভায় বিশেষ কমিটির এ পর্যন্ত করা খসড়া প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। তবে গতকালের আলোচনার বেশির ভাগ সময়জুড়ে ছিল তত্ত্বাবধায়ক প্রসঙ্গ।
কমিটির খসড়া প্রতিবেদনে বহু বিতর্কিত ৭০ অনুচ্ছেদে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। প্রস্তাব অনুযায়ী সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব, বিল এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্য যেকোনো বিলের ওপর সাংসদেরা দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন বলে কমিটির সদস্য রহমত আলী জানান।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কোনো সাংসদ দলের বিপক্ষে ভোট দিলে তিনি সদস্যপদ হারাবেন। এ ছাড়া সভায় বিচারপতিদের অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনসংক্রান্ত ৯৬ অনুচ্ছেদ অপরিবর্তিত রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুরুতে কমিটি বিচারপতিদের অপসারণসংক্রান্ত বিষয়টি অনুমোদনের ক্ষমতা সংসদের কাছে রাখার প্রস্তাব করেছিল।
এ ব্যাপারে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, বিচারপতিদের অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনসংক্রান্ত ৯৬ অনুচ্ছেদ অপরিবর্তিত থাকবে। কমিটি মনে করে, বিচার বিভাগ যেহেতু স্বাধীনভাবে কাজ করছে, তাই অপসারণের ক্ষমতাও তাদের কাছেই থাকা উচিত।
খসড়া প্রতিবেদন অনুসারে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখার কথাও বলা হয়েছে। তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র।
বিএনপির প্রতিক্রিয়া: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী নিয়ে আদালতের রায় বিএনপি প্রত্যাখ্যান করেছে। এ রায়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আছে। তিনি বলেন, ‘সরকার কী করতে চাইছে, তা আমাদের জানা নেই। এ-সংক্রান্ত বিল সংসদে উঠলে বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা যাবে। তখন বিএনপি সিদ্ধান্ত নেবে, এই বিলের ওপর আলোচনার প্রয়োজন আছে কি না।’
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য এম কে আনোয়ার বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। ইতিমধ্যে বিএনপি তার দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করেছে। এম কে আনোয়ার বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা ও সংকট সৃষ্টি করা সরকারের উচিত হবে না।
কমিটি মনে করে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখলে ভবিষ্যতে তা আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন।
তবে প্রধান বিরোধী দলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল চাইলে আলোচনা করে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে শুধু আগামী দুই মেয়াদের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখার সুযোগ থাকতে পারে।
গতকাল সোমবার সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশেষ কমিটির বৈঠকে এই নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় বিশেষ কমিটির চেয়ারপারসন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। ইতিমধ্যে বিএনপি তার এই অবস্থান পরিষ্কার করেছে। তবে এ বিষয়ে কোনো বিল সংসদে উঠলে বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা যাবে। তখন বিএনপি সিদ্ধান্ত নেবে, এই বিলের ওপর আলোচনার প্রয়োজন আছে কি না।
বৈঠক সূত্র জানায়, গতকালের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কমিটির সব সদস্য আদালতের রায় অনুসারেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা না রাখার পক্ষে মত দেন। তাঁরা এ ধরনের জনগুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়ে একমত হতে বিরোধী দলকে বিশেষ কমিটি কিংবা সংসদে এসে আলোচনা করার আহ্বান জানান। বৈঠকে বলা হয়, তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও আওয়ামী লীগ আদালতের রায় লঙ্ঘন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল রাখতে চায় না।
কমিটির মুখপাত্র সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করবেন বলে জানান।
জানতে চাইলে কমিটির সদস্য আবদুল মতিন খসরু প্রথম আলোকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বিশেষ কমিটির আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব করার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রীও এ ব্যাপারে বিশেষ কমিটির সঙ্গে একমত হয়েছেন। তবে বিরোধী দল চাইলে বিশেষ কমিটিতে এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আরও দুই মেয়াদে রাখার ব্যাপারে প্রস্তাব করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে। আর বিরোধী দল না এলে বিশেষ কমিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির প্রস্তাব করবে সংসদে।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে যা বলা আছে, তা-ই হবে। কারণ এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার রেখে যদি নির্বাচন করা হয়, রায় অনুসারে তা অবৈধ হবে। তাই এ ধরনের কাজ করার ঝুঁকি কেউ নেবে না।
কমিটির অপর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের রায় অনুসারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির কোনো বিকল্প নেই। কমিটির এ প্রস্তাবের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও একমত হয়েছেন। তবে যেহেতু এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, তাই প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে আবারও আলোচনায় আসার আহ্বান জানাতে বলেছেন। এ ব্যাপারে কমিটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতেই নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট বলেছেন, আদালতের রায় অনুসারে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখার কোনো সুযোগ নেই। তাই বিশেষ কমিটিরও এ ধরনের কোনো প্রস্তাব আনার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার রেখে তার অধীনে নির্বাচন হলে তা অবৈধ ঘোষিত হতে পারে। তাই এ জটিলতায় যাওয়া যাবে না।
জানা গেছে, সভায় বিশেষ কমিটির এ পর্যন্ত করা খসড়া প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। তবে গতকালের আলোচনার বেশির ভাগ সময়জুড়ে ছিল তত্ত্বাবধায়ক প্রসঙ্গ।
কমিটির খসড়া প্রতিবেদনে বহু বিতর্কিত ৭০ অনুচ্ছেদে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। প্রস্তাব অনুযায়ী সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব, বিল এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্য যেকোনো বিলের ওপর সাংসদেরা দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন বলে কমিটির সদস্য রহমত আলী জানান।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কোনো সাংসদ দলের বিপক্ষে ভোট দিলে তিনি সদস্যপদ হারাবেন। এ ছাড়া সভায় বিচারপতিদের অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনসংক্রান্ত ৯৬ অনুচ্ছেদ অপরিবর্তিত রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুরুতে কমিটি বিচারপতিদের অপসারণসংক্রান্ত বিষয়টি অনুমোদনের ক্ষমতা সংসদের কাছে রাখার প্রস্তাব করেছিল।
এ ব্যাপারে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, বিচারপতিদের অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনসংক্রান্ত ৯৬ অনুচ্ছেদ অপরিবর্তিত থাকবে। কমিটি মনে করে, বিচার বিভাগ যেহেতু স্বাধীনভাবে কাজ করছে, তাই অপসারণের ক্ষমতাও তাদের কাছেই থাকা উচিত।
খসড়া প্রতিবেদন অনুসারে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখার কথাও বলা হয়েছে। তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র।
বিএনপির প্রতিক্রিয়া: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী নিয়ে আদালতের রায় বিএনপি প্রত্যাখ্যান করেছে। এ রায়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আছে। তিনি বলেন, ‘সরকার কী করতে চাইছে, তা আমাদের জানা নেই। এ-সংক্রান্ত বিল সংসদে উঠলে বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা যাবে। তখন বিএনপি সিদ্ধান্ত নেবে, এই বিলের ওপর আলোচনার প্রয়োজন আছে কি না।’
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য এম কে আনোয়ার বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। ইতিমধ্যে বিএনপি তার দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করেছে। এম কে আনোয়ার বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা ও সংকট সৃষ্টি করা সরকারের উচিত হবে না।