শেয়ারবাজার :::: উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীর কাছে পুঁজিবাজারের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। একটি বিষয় ছাড়া উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের বক্তব্য প্রায় একই রকম।
তাদের প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের কাছ থেকে অগ্রিম আয়কর (এআইটি) নেওয়া হয় দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ হারে। গতবারই তা বাড়িয়ে ধরা হয়েছিল। বাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে তা দশমিক শূন্য ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত।
স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির পক্ষ থেকে অভিহিত মূল্যের (ফেস ভ্যালু) অতিরিক্ত প্রিমিয়ামের ওপর ৩ শতাংশ হারে কর আদায়কেও অযৌক্তিক উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, এটি একেবারেই প্রত্যাহার করা উচিত। কারণ প্রিমিয়াম কোনো আয় নয়, বরং মূলধনের অংশ। স্পন্সর শেয়ারধারীদের শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ড স্থানান্তর বাবদ কর আদায়ের ভার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) কাছে প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জ দুটি আরও বলেছে, মামলায় থাকা কোনো বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার আগে ১০ শতাংশ অর্থ জমা রাখার বিধান ন্যায়বিচারের পথে বাধা। তাই এটি বাতিল করা উচিত।
তাদের প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) যখন লভ্যাংশ হিসেবে ইউনিট সার্টিফিকেট বা মিউচুয়াল ফান্ডের সার্টিফিকেট দেয়, তখন কর নেওয়া হয় না। এসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে অন্যদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম করা উচিত, নইলে তা বৈষম্য তৈরি করবে।
ঋণপত্র বা বন্ডের সুদের ওপর বর্তমানে ১০ শতাংশ হারে কর ধার্য করা আছে। বন্ড মার্কেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বার্থে তা প্রত্যাহার করা দরকার বলেও ডিএসই ও সিএসই মনে করে।
ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আয়ের ওপর বর্তমানে সাড়ে ৪২ শতাংশ হারে প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর আদায় করা হয়। এটি কমিয়ে সাড়ে ৩৭ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। উল্লিখিত প্রস্তাবগুলোর পাশাপাশি কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বিষয়ে আলাদা একটি প্রস্তাব করেছে সিএসই। বলেছে, শেয়ারে বিনিয়োগ করতে গেলে টিআইএন থাকা বাধ্যতামূলক না করাই ভালো হবে। কারণ, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় বিনিয়োগ করে পুঁজিবাজারে তথা অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন ছাত্রছাত্রী, এমনকি গৃহিণীরাও। এমতাবস্থায় টিআইএন বাধ্যতামূলক করলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বাজারবিমুখ হবে, বাজারের লেনদেন কমবে এবং সরকারের রাজস্ব সংগ্রহেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সিএসইর এই প্রস্তাবে ডিএসইরও সমর্থন রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীর মূলধনি মুনাফার ওপর কর আরোপের চিন্তা করা হচ্ছে—এমন কথা উল্লেখ করে স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির পক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রস্তাব শোনার পর অর্থমন্ত্রী তেমন কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি বলেন, ‘ডিমিউচুয়ালাইজেশনের বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে একটি ধারণাপত্র চাই।’
তাদের প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের কাছ থেকে অগ্রিম আয়কর (এআইটি) নেওয়া হয় দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ হারে। গতবারই তা বাড়িয়ে ধরা হয়েছিল। বাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে তা দশমিক শূন্য ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত।
স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির পক্ষ থেকে অভিহিত মূল্যের (ফেস ভ্যালু) অতিরিক্ত প্রিমিয়ামের ওপর ৩ শতাংশ হারে কর আদায়কেও অযৌক্তিক উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, এটি একেবারেই প্রত্যাহার করা উচিত। কারণ প্রিমিয়াম কোনো আয় নয়, বরং মূলধনের অংশ। স্পন্সর শেয়ারধারীদের শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ড স্থানান্তর বাবদ কর আদায়ের ভার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) কাছে প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জ দুটি আরও বলেছে, মামলায় থাকা কোনো বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার আগে ১০ শতাংশ অর্থ জমা রাখার বিধান ন্যায়বিচারের পথে বাধা। তাই এটি বাতিল করা উচিত।
তাদের প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) যখন লভ্যাংশ হিসেবে ইউনিট সার্টিফিকেট বা মিউচুয়াল ফান্ডের সার্টিফিকেট দেয়, তখন কর নেওয়া হয় না। এসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে অন্যদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম করা উচিত, নইলে তা বৈষম্য তৈরি করবে।
ঋণপত্র বা বন্ডের সুদের ওপর বর্তমানে ১০ শতাংশ হারে কর ধার্য করা আছে। বন্ড মার্কেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বার্থে তা প্রত্যাহার করা দরকার বলেও ডিএসই ও সিএসই মনে করে।
ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আয়ের ওপর বর্তমানে সাড়ে ৪২ শতাংশ হারে প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর আদায় করা হয়। এটি কমিয়ে সাড়ে ৩৭ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। উল্লিখিত প্রস্তাবগুলোর পাশাপাশি কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বিষয়ে আলাদা একটি প্রস্তাব করেছে সিএসই। বলেছে, শেয়ারে বিনিয়োগ করতে গেলে টিআইএন থাকা বাধ্যতামূলক না করাই ভালো হবে। কারণ, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় বিনিয়োগ করে পুঁজিবাজারে তথা অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন ছাত্রছাত্রী, এমনকি গৃহিণীরাও। এমতাবস্থায় টিআইএন বাধ্যতামূলক করলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বাজারবিমুখ হবে, বাজারের লেনদেন কমবে এবং সরকারের রাজস্ব সংগ্রহেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সিএসইর এই প্রস্তাবে ডিএসইরও সমর্থন রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীর মূলধনি মুনাফার ওপর কর আরোপের চিন্তা করা হচ্ছে—এমন কথা উল্লেখ করে স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির পক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রস্তাব শোনার পর অর্থমন্ত্রী তেমন কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি বলেন, ‘ডিমিউচুয়ালাইজেশনের বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে একটি ধারণাপত্র চাই।’