শেয়ারবাজার :::: অভিজ্ঞ ব্যাংকাররা বলছেন, এই মুহূর্তে নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার কোনও যৌক্তিক কারণ নেই। এখন নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হলে সেটি হবে রাজনৈকি কারণ। এটি হবে কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করা। এতে দেশের অর্থনীতিতে একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন, বেসরকারি, বিশেষায়িত এবং বিদেশি মিলিয়ে মোট ৪৭টি ব্যাংক রয়েছে।
এসব ব্যাংকের সারা দেশে মোট ৭ হাজার ৭১২টি ব্রাঞ্চ রয়েছে। এর মধ্যে আবার শহরমুখী রয়েছে ৩ হাজার ২৯২টি এবং পল্লী অঞ্চলে রয়েছে ৪ হাজার ৪৩০টি শাখা।
ব্যাংকগুলোর নতুন ব্যাংক অনুমোদনের বিষয় অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবু আহমদ বলেন,‘নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হলে ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে।’
তবে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার।
তিনি বাংলাদেশ বলেন, ‘শহরভিত্তিক আরও ৫ থেকে ১০টি ব্যাংক স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া উচিত। কারণ ২০০১ সালের পর নতুন করে ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।’
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভৌগোলিক অবস্থান ও দেশের মানুষের ব্যাংকিং করার চাহিদা বিবেচনা করেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ নতুন ব্যাংক খোলার অনুমতি প্রদান করে।
এ ক্ষেত্রে নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্টদের মানসিকতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা, মিশন, ভিশন এবং সর্বোপরি দেশের স্বার্থে কতটুকু কাজ করবে সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা হয়।
এর পাশাপাশি ব্যাংক খোলার পরে যাতে ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে সে বিষয়েও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।