যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অর্থ ব্যয় করতে পারেনি, সেগুলো হলো: পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়: পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ; সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ বিভাগ (আইএমইডি); গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; কৃষি মন্ত্রণালয়; বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; তথ্য মন্ত্রণালয়;, শিল্প মন্ত্রণালয়; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; নৌ মন্ত্রণালয়; পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়; ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়; বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়; ভূমি মন্ত্রণালয়; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়; খাদ্য বিভাগ; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়; সেতু বিভাগ; বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)।
শীর্ষ মন্ত্রণালয়গুলো নাজুক: এডিপির বরাদ্দপ্রাপ্ত শীর্ষ ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে চলতি এডিপির ৩২ হাজার ২৮২ কোটি টাকা বা ৭০ শতাংশ বরাদ্দ রয়েছে।
এর মধ্যে এ বছরের জুলাই মাসে মাত্র এক হাজার ৬০৩ কোটি টাকা খরচ করেছে এসব মন্ত্রণালয়, যা বরাদ্দের মাত্র পাঁচ শতাংশ।
গত বছরের জুলাই মাসে বাস্তবায়ন হার ছিল মাত্র তিন শতাংশ, খরচ হয়েছিল ৭৮২ কোটি টাকা।
এসব শীর্ষ মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে দুটি কোনো টাকা খরচ করতে পারেনি। এগুলো হলো: সেতু বিভাগ ও কৃষি মন্ত্রণালয়। আর এক শতাংশের কম অর্থ খরচ করেছে তিনটি মন্ত্রণালয়। এগুলো হলো: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ পাঁচ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগ ১৪ শতাংশ, সড়ক ও রেলপথ বিভাগ দুই শতাংশ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এক শতাংশ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় পাঁচ শতাংশ খরচ করতে পেরেছে।
চলতি বছরের শুরুতেই এডিপি বাস্তবায়নে গতি আনতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এসব বৈঠকে অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মধ্যে প্রকল্পসমূহের দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া এ বছর এডিপিতে অর্থ বরাদ্দের সংকট থাকায় মন্ত্রণালয়গুলোকে অগ্রাধিকার প্রকল্প চিহ্নিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।