প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজও দরপতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে বিনিয়োগকারীরা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁরা কাঠখড়ে আগুন জ্বালিয়ে ডিএসইর সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় কয়েকজন বিক্ষোভকারী মতিঝিলের মধুমিতা ভবনে অবস্থিত ডিএসই ট্রেনিং একাডেমির নামফলক ও ওই ভবনের বিভিন্ন তলায় রাখা ফুলের টব ভাঙচুর করেন। আরেক দল বিনিয়োগকারী ডিএসইর অ্যানেক্স ভবনে ঢুকে র্যাপিড সিকিউরিটিজ নামের একটি ব্রোকারেজ হাউসের দরজার গ্লাস ও ভবনের আট তলায় ডিএসইর লাইব্রেরির সামনের অভ্যর্থনা ডেস্ক ভাঙচুর করে। বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা ঝাড়ু ও জুতা হাতে নিয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কে মিছিল করতে থাকেন। তাঁরা অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এতে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে বেলা দুইটার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ দিকে বিক্ষোভের একপর্যায়ে বেলা একটার দিকে বিনিয়োগকারীদের একটি মিছিল শাপলা চত্বর থেকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) যাচ্ছিল। পুলিশ এ সময় তাঁদের ধাওয়া করে। এ সময় তাঁরা অগ্রণী ব্যাংক ভবনের সামনে বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করেন। তবে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান-উর-রশিদ চৌধুরীসহ পাঁচজনকে আটক করেন। পরে বেলা দুইটার দিকে ডিএসইর সামনে থেকে আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়। আটক হওয়া ব্যক্তিদের মতিঝিল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।